শুক্রবার, ৯ মে ২০০৩
আজকের দিনটা মোটামুটি গিয়েছে। সকালে Optional Games, জুমআ নামাজ, তারপর Quiet Hour এ লম্বা ঘুম, 2nd Prep, অবশেষে হাউসে এসে লিখতে বসলাম। আজ আমাদের কলেজ টিম পার্লামেন্টারী ডিবেটে অংশ নিতে গিয়েছিল। প্রতিপক্ষ ছিল ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল। Hard Opponent তবে ফাইট হয়েছে।
খুশকি – ৩
সায়েদের সুপার ডুপার বাম্পার জাম্পার হিট “টুশকি” দেখে লোভ সামলাতে না পেরে অনেকটা নকল করে, অনেকদিন আগে আমি সাহস করে লিখেছিলাম “পুশকি”। তাতে বেশ ক’জনার উৎসাহ পেয়ে পরে আরেকটা লিখেছিলামঃ “ঠুশকি”। তখন অনেকে উপদেশ দিল একটা সিরিজ করে ফেলার জন্যে। কিন্তু আমি পড়লাম উভয় সঙ্কটে। প্রথমতঃ সায়েদের মতো আমার ষ্টক এতো অফুরন্ত এবং ষ্ট্যান্ডার্ড নয়, আর দ্বিতীয়তঃ সিরিজ করার মতো ভাল কোন নামও খুজে পাচ্ছিলাম না।
বিস্তারিত»পারসনাল আউটিং।। আলমাস দিনার
আমাদের ব্যাচ যখন পানি সমস্যার জন্য কলেজে একা ছিলাম তখন বস্তুত ডিসিপ্লীন বলে কিছু ছিলনা । আমরা ইচ্ছামত কলেজের বাইরে যেতাম । শুধু খেয়াল রাখতে হত ডাইনিং হলে কাঊণ্ট করে কিনা । পিটি প্যারেড না থাকায় প্যারেড স্টেটমেণ্টের কোন ঝামেলা ছিলনা । আমি আমার আগের আর্টিকেলে ঊল্লেখ করেছি আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন মহামান্য বশীরুদ্দীন ভাইয়া । আমাদের কলেজে কোন বাঊণ্ডারী দেয়াল ছিলনা । আমাদের পিছনে সমহিমায় দাড়িয়ে আছে পাহাড় যার গায়ে লেখা আছে ‘কথা নয় কাজ’।এটি আমাদের কলেজ মটো ।
বিস্তারিত»পোল-ভোল্ট রেকর্ড টা কি ভেংগেছে?
আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগের কথা!! ৯৬ সাল!! ঝিনাইদাহ ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম -ইন্টার ক্যাডেট কলেজ এথলেটিক্স মিটে। ক্লাস টেন-এ পড়ি তখন। ভীষণ উত্তেজনা, ভীষণ আনন্দ!! আজো স্মৃতিতে অম্লান।
সবাই জানি কলেজে এথলেটিক্স প্রতিযোগীতার সময় “পোল-ভোল্ট” আইটেম টা নিয়া কেমন ক্যারিক্যাচার হয়!নরমালি এই আইটেমটাতে কেউ ইন্টারেস্টেড হইত না। তখন বছরের শেষের দিক। ইন্টার হাউস ফাইনাল চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ভর করছে এই একটা মাত্র আইটেমের উপর। এথলেটিক্স।
বিস্তারিত»স্মৃতির ঝাঁপি : নরক ছেড়ে পালালাম
প্রথম পর্ব
দুই.
বাবার একটা পদোন্নতি হলো। মুক্তিযুদ্ধের আগেই আমরা বাসা বদল করে কলোনীর আইডিয়াল স্কুল অঞ্চলে চলে গেলাম। এফ-৪৯ নম্বর ভবনে। এই বাসাটা কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে। ‘৭০-৭১ সালে কলোনীর ভেতরে প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-সভা হতো। সন্ধ্যায়-রাতে নিয়মিত ছিল মশাল মিছিল।
‘৭১-এর ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে রাস্তায় প্রবল উত্তেজনা দেখছি। তরুণ-যুবক বয়সীরা কেউ বাসায় নেই। সবাই রাজপথে নেমে গেছে।
বিস্তারিত»MJ, তোমাকে ভালবেসেছি, বেসে যাব!
কোনো একটা ব্লগে লিখেছিলাম, কলেজে ৭ম শ্রেণীতে পদার্পণ করার পর ১২এর সিনিয়র ভাইরা ডেকে নিয়ে যায়, সেখানে আমাকে ড্যান্স করে মাইকেল জ্যাকসনের গান গাওয়ানো হয়। ঐটুকু পিচ্চির মাইকেল জ্যাকসনের আস্ত একটা ইংরেজী গান মুখস্ত ছিল এটা তো কম কথা নয়।
হ্যা, আমি মাইকেলের সেরকমই একজন ভক্ত ছিলাম। আমাকে এই সিরিয়াস ট্যালেন্টেড আর্টিস্ট-এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার খালাত ভাই রাজীব। তখন আমরা মনে হয় ক্লাস 3/4 এ পড়ি।
বিস্তারিত»ডায়েরীর পাতা থেকে কিছু উদ্ধার করা জঞ্জাল…
১২ মে ২০০৩
গতকাল রাতে লিখতে বসতে পারিনি। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভোরের দিকে ঝড় এবং ফলশ্রুতিতে PT মাফ। এখন একাডেমী ব্লকে বসে লিখছি। আগামীকাল বাসায় যাচ্ছি। কিন্তু যাওয়া নিয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল অর্ধদিবস হরতাল। কলেজ এখন সিদ্ধান্ত নিবে যে হরতালের আগে ভোরে পাঠাবে নাকি হরতালের পর দুপুরে পাঠাবে। হঠাৎ এরকম সমস্যার জন্য সবাই মোটামুটি বিরক্ত। আজকে ফজলুল হক হাউসের Cultural Show. দেখার জন্য বসে আছি ওরা কি করে।
স্মৃতির ঝাঁপি : ভবন নম্বর ১১
গত এক মাস ধরে এক ধরণের উত্তেজনার মধ্যে বাস করছি। বাসার অবস্থা বেরাছেড়া! সব লন্ডভন্ড, কোনো কিছু জায়গামতো নেই! অতিথি ঘরটা ফাঁকা পড়ে আছে। ভেতরের ঘরগুলোর অবস্থাও তাই। উত্তেজনায় টানটান হয়ে আছি একা আমি নই, বাসার সবাই। কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব। সব বাধাছাদা হয়ে গেছে। গাড়িতে, ঠেলায় করে হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, কাপড়-চোপড়, কিছু কিছু ফার্নিচার চলে গেছে আরেক বাসায়। আমাদের নতুন বাসায়। কবে যাবো সেখানে?
বিস্তারিত»স্বপ্নপূরণ……….অতঃপর কেম্নে কি??!!
আজকে একটা দিন গেল বটে। অসম্ভব রকমের গরমের মধ্যে অফিসের কাজে জীপে (নন-এসি অবশ্যই) দু’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়া খুব একটা আরামের কিছু না। তবে যাত্রা শুরু করার পর নিজের অজান্তেই একা একা মিটমিট হাসতে লাগলাম। আমার যাত্রাপথে ঝিনাইদহ পড়বে। ১৫ টা মিনিট সময় কি পাওয়া যাবে না? অবশ্যই যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সহযাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ দিয়ে প্রবেশ করলাম সেই গেট দিয়ে যেটা পার হলে আজ ২০ বছর পরেও মনে হয় এখনও ক্যাডেট আছি।
বিস্তারিত»বাবা,কতদিন…কতদিন দেখিনা তোমায়…
“বাবা কতদিন…কতদিন দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়।
বাবা কতরাত…কতরাত দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়……”
আজ ২১শে জুন ,যদি ভুল না করি আজ ‘বাবা দিবস’। বিদেশ বিভূঁইয়ে বসে আজকাল দেশের সব ‘বিশেষ দিবস’ এর হিসাব অতোটা রাখা হয়ে উঠেনা। মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় দৃষ্টিগোচর হলে সেটা নিয়ে কম বেশি ভাবা হয়।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – ছোট্ট বেলার নায়কেরা
১।
জাহাজের বদ-রাগী ক্যাপ্টেন গুলি করে খালাসী ব্যাটাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল আর কি। শেষ মুহুর্ত্তে তিনি হাত দিয়ে ক্যাপ্টেন কে ঠেলে দেয়াতেই সেই যাত্রায় বেঁচে গেল খালাসীটা। অবশ্য কৃতজ্ঞ খালাসী এর প্রতিদান দিতে সপ্তাহ দেড়েকে বেশি নিলনা যখন তার নেতৃত্বে সব অফিসারকে মেরে মেরে জাহাজ দখল করে নিল কর্মচারীরা। খালাসীটা প্রানে বাচিয়ে রাখল তাকে, কিন্তু অন্য বিদ্রোহীদের চাপে তাকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সহ নামিয়ে দিতে বাধ্য হল কঙ্গোর গহীন জঙ্গলে,
বিস্তারিত»আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ
২১ শে মে ১৯৯২ – প্রায় ৫৫০ এর মত নিবো’ধ কিছু বালক-বালিকার সাথে নিবো’ধ আমিও বোধশক্তি বৃদ্ধির জন্যে ক্যাডেট কলেজ নামক দেশের সনামধণ্য এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাণে নিজেকে বিষজ’ন দিলাম।জয়েন করার দিন আমার সাথে বাবা,মা ছাড়াও গিয়েছিল আমার প্রতিবেশী এক আপু।সবকিছুই ক্যামন যেন একটা ঘোরের মত মনে হচ্ছিল ।আর আমার এবং আমার সজ্জনদের যেভাবে আপ্যায়ণ করা হচ্ছিল আমার কাছে কলেজের সবাইকে মনে হচ্ছিল ফেরেশতা। আনুষ্ঠানিকতা ছেড়ে যখন হাউসে গেলাম তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল সব সিনিয়র ভাইরা আমার দিকে বিশেষ যত্ন নিচ্ছে ব্যাপারটা আমার কাছে আরও দারুণ লাগছিলন।
বিস্তারিত»কলেজ ছুটিতে মস্ত বড় সারপ্রাইজ!
কলেজ থেকে ছুটিতে আসা আমার জন্য সবসময়েই একটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। সত্যি কথা বলতে, ক্লাস সেভেন থেকে টুয়েলভ এর প্রতিটা মুহূর্তেই আমি থাকতাম হোমসিক। ক্যাডেট লাইফটার অন্য একটা মজা ছিল, এটা ঠিক; মজাও করেছি – কিন্তু সেটা আমার বাড়ির প্রতি দুর্বলতাটাকে কখনও ম্লান করতে পারেনি। ছুটির দিনগুলো শেষ হয়ে আসলে আমি আস্তে আস্তে মনমরা হয়ে পড়তাম। ছুটির প্রতিটা দিনই আমি উপভোগ করতাম। যদিও বেশীর ভাগ সময় কাটাতাম ক্যাডেট কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথেই।
বিস্তারিত»এই লাইনে নতুন…
বাংলা সিনেমা কে কে পছন্দ করে ? কেউ না তাইনা ? কিন্তু যদি বলি গাবতলি (নাম মনে নেই) সিনেমা হলে তাহলে?এর পর তা যদি হয় ২ ইন ১ ?এইবার সবাই রাজি তাইনা …হা হা হা। আজকের গল্পটা আমার জনৈক এক ক্যাডেট বন্ধুকে নিয়ে । কলেজ ছুটির আগেরদিন রাতের প্ল্যান , গাবতলিতে বাস থেকে নেমেই সরাসরি মরনিং সো ধরবো , তখন আমরা ৯ এ।প্ল্যান মাফিক বাস থেকে নেমে যার যা পারসোনাল ড্রেস ছিল পরে নিলাম এরপর একজন গিয়ে টিকিট কাটল এবং ঢুকলাম ফ্যান্টাসির জগতে ।ঘটনাটা ঘটল সেকেন্ড মুভি যখন শুরু হল,
বিস্তারিত»স্মৃতিচারণ: পলাশীর আম্রকানন …
আমরা তখন ১১ এ। নতুন প্রিন্সিপাল এসে আমাদের ৪ বছরের সম্পত্তি আম বাগান লিজ দিয়ে দিল। গত ৪ বছরে গাছের একটা আমও পাকতে দেইনি আর এখন কিনা এই বেরসিক প্রিন্সিপাল আম পাকিয়ে বিক্রি করবে !!! সবার তো মাথা গরম । প্রতিটা গাছের নিচে একটা করে গাডঁ , কোন উপাই নাই আম পাড়ার । কি করা যায় এই নিয়ে প্ল্যান করতে থাকলাম। বুদ্ধি বের হল। কাউন্টার এ্যাটাক…প্রেপ টাইমে ঠিক করলাম সবাই একসাথে আমগাছে এ্যাটাক করব।
বিস্তারিত»