[ বহুদিন আগে একখানা গল্প অর্ধেক লিখে বৌ’য়ের ভয়ে সেখানেই শেষ করে দিয়েছিলাম। তারপর নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেই গল্প আর শেষ করা হয়নি। ভেবেছিলাম পাঠকরাও ভুলে যাবে, এই পোস্ট-সেই পোস্ট দিয়ে সেই অর্ধেক গল্প থেকে চোখ ফেরাতে চাইছিলাম। কিন্তু সিসিবির পাঠক খুব খারাপ। কয়দিন পরপরই দেখি সেই অর্ধেক গল্পের পোস্টে একজন করে কমেন্ট দিয়ে আসে, ‘কি ভাই , বাকি গল্পটা শেষ করবেন না’। যদিও আমি জানি শেষ করার মতো আর কিছু বাকি নেই। গল্প আসলে সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তবু যাতে অনেকের মনে না হয় ‘শেষ হয়েও হইলো না শেষ’ তাদের জন্যে আজকে বাকিটুকু লিখতে বসলাম।
তেমন কিছু আসলে বলার বাকি নেই, তবু যারা শুনতে চান তাদের প্রতি অনুরোধ আগের টুকু কষ্ট করে পড়ে আসার। ]
হ্যা, যা বলছিলাম। সেই জ্বালা এমনই জ্বালা, আমার মনে হলো যেন এ জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাকে এক দৌড়ে এন্টার্ক্টিকার বরফে ঢাকা কোন পর্বতের চূড়ায় গিয়ে বসতে হবে। এছাড়া কোন গতি নাই।
ইশ্বরের কি লীলা ! ডিনারের ঠিক আগ মুহুর্তে জ্বালা একটু সহ্য করার মতো কমলো। কিন্তু হাঁটা স্বাভাবিক করতে পারলাম না। যাই হউক, আস্তে আস্তে ডাইনিং হলের সামনে চলে এলাম যেখানে স্যার ম্যাডামরা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। আমি বিমান রায় ম্যাডামকে আগে দেখিনি। তাই চিনতে পারছিলাম না। সবাই একে একে চলে যাবার পর দেখি একজন ম্যাডাম একা দাঁড়িয়ে বিমান রায় স্যারের সাথে কথা বলছেন। আমি তখনই বুঝতে পারলাম , ইনিই সেই মিসেস বিমান রায় । গিয়ে নমস্কার দিলাম। স্যার বললেন, ‘সুব্রত ম্যাডামকে ভিতরে নিয়ে যাও।’
ম্যাডাম আস্তে আস্তে আমার সঙ্গে হেটে আসলেন। আমার পাশে ছিলেন আমাদের রোমিও ভাই। উনি ক্লাস টুয়েলভে তখন। ম্যাডাম আসার সাথে সাথে রোমিও ভাই উনার সাথে খুব গল্প জুড়ে দিলেন। ম্যাডামও উনার সাথে হেসে হেসে নানান কথা বলছেন। আর আমি আঁড়চোখে ম্যাডামকে দেখছি। সেদিন উনি উঁচু করে খোঁপা বেধেছিলেন। সেই উঁচু করে বাঁধা খোপায় আবার ফুল গোজা ছিলো। কি ফুল তাও আমার মনে আছে, কিন্তু বলবো না।
ঘন্টা পড়লো। খেতে শুরু করলাম। ম্যাডাম খুবই অল্প আহার করলেন। আর টুকটাক হেসে হেসে কথা বলছেন রোমিও ভাইয়ের সাথে। কিন্তু যখন পুডিং খাবার সময় এলো তখন সব হিসেব উলটে দিয়ে ম্যাডাম রোমিও ভাইকে বললেন, ‘পুডিংটা সুব্রতকে দাও।’ বলে নিজের পুডিংটা এগিয়ে দিলেন। ব্যাপারটা হয়তো খুবই সামান্য কিন্তু অস্টম শ্রেনীর সেই ছোট্ট আমার কাছে প্রাপ্তির খাতায় একটু বেশিই মনে হয়েছিলো। সেই পুডিং-এর কোন স্বাদ আমি পাইনি, কারন সেদিন স্বাদের চেয়ে আমার বেশি মনোযোগ ছিলো আমার প্রাপ্তির দিকে।
গল্প এখানেই শেষ।
পনের বছর পার হয়েছে। সেদিন অষ্টম শ্রেনীতে পড়া সেই আমি এখন বিয়ে করে ঘোরতর সংসারী।
জানিনা ছোট্ট বেলায় দেখা সেই বিমানবালা আজো ওইরকম আছেন কিনা, হয়তো চুলে পাক ধরেছে, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা নিয়েছেন, কিন্তু আমার কাছে তিনি সব সময় সেদিনের সেই ডিনারের বিমানবালা হয়েই থাকবেন। উঁচু করে বাধা খোঁপায় ফুল গোজা। কি ফুল তাও আমার মনে আছে, কিন্তু বলবো না।
:boss: :boss:
দুইখন্ড একত্র করলে এটা সুব্রত'র সেরা লেখা।
মারাত্মক। :clap:
একটাই প্রশ্ন
কি ফুল?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কবি সেখানে নীরব
দোস্ত,
মাইর খাওনের বন্দোবস্ত করছ।পাম দিয়া দিয়া লেখাইছ।তোমার বৌদি পড়লে আমার ১৪ গুষ্ঠী উদ্ধার করব।
লেখাটা বোউদির সাথে শেয়ার করা জায়না??? :grr:
😛 😛 😛
শেষটা কিন্তু দারুণ হলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পুলাপাইন এতো ভালো লিখে ক্যামনে? 😮
মারাত্নক হইছে, বিশেষ করে ফিনিশিংটা। :gulli2: :gulli2:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমরা যতদিন পাইসি তিনি আগের মতই ছিলেন, শুধু নতুন কয়েকজন এসে যাওয়ায় জনপ্রিয়তায় একটু ভাটা পরে এই আরকি 😀 😀
লেখা জোস সুব্রত ভাই :boss: :boss:
আপনেকে :salute:
এইটা কি আমারে কইলা।।?
ভাই ল'ইয়ার নাকি? বুকে আসেন :hug:
তুমিও কি আমার লাইনের?
ভাই আমি আপনার লাইনের। আপনি কোথায় প্রাকটিস করেন?
আমি ভাই বিদেস থাকি।আইনের উপর পরাশোনা করছি এখনও।
যাউক মগডালে উঠাইয়া ঠাল কাটলেও নিচে ফোমের গদি দিয়া রাখছিলেন দেইখ্যা থাঙ্কু ... 😀
অনেকদিন অপেক্ষা করা লাগল ...
বড়ই ভাল লাগল :clap: :clap: :clap:
পুরা :gulli2: :gulli2: :gulli2:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কি ফুল আর, হয় গাদা, না হয় জবা। আর যদি মালা হয় তাইলে বেলী।
ঠিক কইছি না 😉
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এত সহজে হিসাব মিলাইলেন...?যদি কই ঠিক বলেন নাই,তাহলে কিন্তু বিমানবালার সৌন্দর্য আরো বাড়বে...
দোস্ত লেখা সেইরকম হইছে...আর ছোটগল্পের মত ফুলের রহস্য দিয়া অতৃপ্তি রাইখা দিছস ...ভালই টেকনিক...দারুণ একটা লেখার জন্য তোরে :hatsoff: :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:boss: :boss: :boss:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
:dreamy: :dreamy: :dreamy:
জাতি ফুলের নাম জানতে চায়।না কইলে সুব্রত ভাইয়ের ব্যাঞ্চাই।
:boss: :boss:
কিরে মামা, জটিল লিখছোস।
রবিন,রেগুলারিটি মেইন্টেইন করার জন্য তরে ধন্যবাদ।
দারুন সমাপ্তি।
আহা! :dreamy: :dreamy:
তানভীর,তোরেও ধন্যবাদ
অসাধারণ