শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঘড়িটা এলার্ম দিলেও আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পৌনে ৮টায় ইকরামের ফোন পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়লাম। উত্তরা থেকে রওয়ানা হয়ে ও তখন আমার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে। সোজা টয়লেট, তারপর দাঁতব্রাশ, দাড়ি কামানো, গোসল এবং হালকা নাস্তা সেরে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হলাম ৪৫ মিনিটে। ২৯ বছর আগে কলেজ ছাড়ার পর এতো কাজ এতো অল্প সময়ে আর কখনো সেরেছি কিনা সন্দেহ!
বিস্তারিত»কাল যাবো ফিরে আমার প্রিয় বঙ্গোপসাগরের তীরে
কাল কলেজে যাবো। টিনের কালো ট্রাংকটা এখনো গোছানো হয়নি। ইউনিফর্মটা খুঁজে পাচ্ছি না। বেল্ট, ক্যাপ, সু কোথায় যে রাখলাম! টুথপেস্ট কেনা হয়নি, সাবানও না। শ্যাম্পু, জুতার কালি, ব্রাসো- এসব কখন কিনবো? নেইল কাটার, রুমাল, টুথব্রাশ ………… আম্মা’টা যে কি? একটুও দেখে রাখে না।
গেঞ্জি, আন্ডারওয়ার না হয় কলেজে গেলেই ইস্যু করবে, কিন্তু লুকিয়ে দুটো লুঙ্গি তো নিতে হবে। হাউস মাস্টার একটা সিজ করলে আরেকটা থাকবে।
বিস্তারিত»শৈশবের বিনোদন
(আদনান ভাইয়ের এই পোস্টে ফুলটোক্কা সহ একেবারে ছোটবেলার আরো অনেক খেলাধুলার কথা মনে পড়ে যায়, সেগুলো নিয়েই এই পোস্ট)
আমার শৈশব ঢাকা শহরে কাটলেও তা পুরোপুরি শহুরে ছিল না, কারন থাকতাম মীরপুরে। আজ থেকে ১৮-২০ বছর আগে মীরপুরে তখনও পুরোপুরি শহরে ছোয়া লাগে নি। এ কারনেই হয়তো সুযোগ পেয়েছিলাম ডাংগুলি আর ক্রিকেট উভয় খেলার, সেই সাথে আরও অনেক কিছুর,
বিস্তারিত»গল্পের বইয়ের বাকি গল্প
মীরপুর থেকে রামপুরাতে এসে আমি প্রথম প্রথম খুবই কষ্টে দিন কাটত, কোন বন্ধু নেই, পরিচিত কেউ নেই। তবে কিছুদিন যেতেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটল। দুটো সার্কেল গড়ে উঠল, একটা এলাকায় আর একটা স্কুলে। এখানে এসে নতুন জিনিষের সাথে পরিচয় হলো, সেটা হলো কমিকস। চাচা চৌধুরী, বিল্লু, পিঙ্কি, ফ্যান্টম, হি-ম্যান প্রভৃতি ইন্ডিয়ান কমিকস। এগুলো খুব একটা ভাল লাগে নি আমার,
বিস্তারিত»গল্পের বইয়ের গল্প
অনেক দিন পর অন্যরকম একটা ছুটির দিন কাটালাম। তেমন কিছুই না, পুরো শনিবার রুমে শুয়ে শুয়ে শুধু গল্পের বই পড়া। শেষ কবে গল্পের বই পড়েছিলাম ভুলে গেছি। কমপক্ষে চার থেকে সাড়ে চার বছর হবে। ভাবতে গেলে অবাকই লাগে। কারন রীতিমত বইয়ের পোকা ছিলাম এক সময়ে। এতটাই যে বিএমএতে থাকতেও(৩য় টার্ম থেকে)নিয়মিত গল্পের বই পড়তাম। কিন্তু তারপর কম্পিউটার গেমস, ইন্টারনেট, টিভি এইসবের ভিড়ে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যেতে থাকে।
বিস্তারিত»পাখির চোখে দেখা আমেরিকা, ২০০৪
[২০০৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একমাস ছিলাম। ওই সময়ের নির্বাচনটি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কাভার করতে গিয়েছিলাম। কোনো একটা দেশ, সমাজ বা মানুষকে জানা-বোঝার জন্য একমাস তেমন সময় নয়। তবে সাংবাদিকরা হলো “সকল কাজের কাজী”। আমরা মনে করি, আমি সব জানি, বুঝি। আমার বোঝার কিছু বাকি নাই। তাই আমার শেখারও কিছু নাই। (কতো বড়ো মাতব্বর!!)
ওটাই ছিল আমার প্রথম এবং শেষ আমেরিকা সফর।
বিস্তারিত»দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু
ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (দ্বিতীয় কিস্তি)
১।
আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন জেসমিন আপা (নামটা বদলে দিলাম)।
জেসমিন আপারা ছিলেন সাত বোন দুই ভাই। একদম আমাদের লাগোয়া বাসা। জেসমিন আপা সবার ছোট, তাদের নয় ভাই-বোন এর মধ্যে। একটু ডানপিটে আর গেছো টাইপ ছিলেন উনি, আমাদের গলিতে অনবরত সাইকেল চালাতেন। বাবাই বলেছিলেন উনাকে, আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দিতে।
আমাদের সাইকেলটা ছিল পুরোনো আমলের, ব্রান্ড যতদূর মনে পড়ে রয়েল বা র্যালে জাতীয় একটা নাম।
বিস্তারিত»পোর্চের সেলুন
চুল বড় হতে হতে এখন নাক ছাড়িয়ে গেছে। নাপিতের কাছে যেতে ইচ্ছা করে না। এই অনিচ্ছার কারণ অবশ্য ক্যাডেট কলেজ, প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে নাপিতের কাঁচির নিচে মাথা পেতে দিতে হত কিনা। তখন থেকেই নাপিতের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে আমার একটা এলার্জি জন্মে গেছে যেটা এখনও যায়নি। চুল খুব ত্যক্ত-বিরক্ত না করলে নাপিতের কাছে যাওয়া হয় না। হিসাব করে দেখলাম বছরে নাপিতের কাছে যাই দুইবার।
বিস্তারিত»সতের বছর আগে এই দিনটি-আজ ২১ মে
সময় কিভাবে গড়িয়ে যায় তা আজ আবার মনে হলো। আজ সেই দিন যেদিন আমি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ নামক এক অজানা জায়গার উদ্দেশ্যে বিকেল দুইটায় আমার বাসা থেকে রওনা দেই। তখনো জানতাম না এই জায়গায়টাই জীবনের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হয়ে যাবে। আজও মনে পড়ে ২১ তারিখ সন্ধ্যার কথা যখন নিজ হাউস নজরুল এর বদলে ভুলে রবীন্দ্র হাউস ঢুকে পড়ায় প্রথম দিনেই এক বড় ভাই এর থাপ্পড় এর কথা।
বিস্তারিত»প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ২
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ১
৪। আমি আর তৌহিদ বসে আছি বাংলাদেশ সেন্টারের টিভি রুমে । চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি কি কি আছে। টিটু ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো টিভি রুমেই। কথায় কথার অনেক খোঁজ খবর নিলেন। আমাদের খাওয়া দাওয়ার দূর্দশার কথা শুনে বললেন, “কাল তো রবি বার, আমার তেমন কাজ নেই, চল তোমাদের কে বাজার করতে নিয়ে যাব। তারপর এসে একসাথে রান্না করে খাব,
বিস্তারিত»ছয়মিশালী নাইট প্রেপ
কলেজ থেকে চলে আসার পর এখনো প্রেপ টাইমটা প্রচন্ড মিস করি ।
তার মানে এই নয় যে আমি প্রচুর পড়াশুনা করতাম । আসলে তিন হাউসের সব বন্ধুরা এই প্রেপ টাইমেই একসাথে হতাম । আলোচনা হত সারাদিনের এবং পরদিনের কার্যক্রম নিয়ে । প্রাণখুলে টিজ হত এই সময় । আর যদি কোন ইন্টার হাউস কম্পিটিশন থাকত তাহলে তো পুরো প্রেপ কোন দিক দিয়ে পার হত টেরই পেতাম না ।
আমার ডাক্তার হওয়ার গল্প
আসলে সিসিবিতে অনেকেই খুব ভাল লিখেন । মাহমুদ ভাইয়ের ব্লগ পড়লে তো আমার লিখতেই ইচ্ছে করে না । আর আমি পিচ্চি তো । তবুও কিছু কিছু ঘটনা প্রায়ই মনের মধ্যে উকিঝুকি দেয় ।
কলেজে থাকাকালীন সময়ে দেখতাম সবাই ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ ব্যস্ত ।
আমি আবার অংকে একটু দূ্র্বল আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করার চিন্তা মাথা থেকে তাড়ালাম ।
মেডিকেল কোচিং করার জন্য ভর্তি হলাম রেটিনাতে ।
জন্মদিন রকার্স
হে হে হে … সিরিজের মাঝখানে অন্য পোস্ট দেওনের মজা পাইয়া গে – সি ……… টইং টইং টইং :awesome:
৩রা জুলাই আমরা প্রথম ক্যাডেট কলেজে পদার্পণ করি। দিনটি সব ব্যাচমেটদের জন্যই স্মরণীয় নানা ভাবে। তবে আমার কাছে স্মরণীয় একটু অন্যভাবে।
আমাদের হাউজে জামাকাপড় এ্যারেঞ্জ করা-করি, লুকার পার্টনারের সাথে ঘুরাঘুরি, এসব বিষয় সবার-ই একরকম। তবে অডিটোরিয়ামে আমাদের যে নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়েছিল সেটার বাকি সব ইভেন্ট মনে না থাকলেও তাহসির ভাই-এর কিবোর্ড তুখোড় কিবোর্ড বাজানো আর আলী ভাই-এর ‘মনে পড়ে যায় আমার কৈশোর’
বিস্তারিত»স্মোকিং রুম- জানে বেচে গেছি
মাহফুজ এর কমেন্টে উৎসাহ পেয়ে আবার লিখতে বসলাম। তাছাড়া সবাই দেখি ভাল কথাও লিখতেছে। যদ্দিন পর্যন্ত টিজ না খাই তদ্দিন পর্যন্ত চালায়ে যাব। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো দেব। বাংলার ………………
কলেজে বিড়ি খাওয়াটা মোটামুটি বীরত্বের ক্যাটাগরীতেই পড়ে। যতটা না নেশায় খাইতাম, তারচেয়েও খাইতাম ভাবে। একটা বিড়ি খাওয়ার জন্য কত একশান? আর বিড়ি ম্যানেজ করার জন্য যে কত কাহিনি ঘটাইতে হইত?…… কত এস্পিওনাজ, কত ব্ল্যাক্মেইল?
বিস্তারিত»