ফ্ল্যাশব্যাক ০৫

১।আমাদের কলেজ়ে মাঝে মাঝেই সাডেন ইন্সপেকশন হতো। একাডেমি ব্লকে এসে ক্লাশ টাইমে হঠাৎ আমাদের চাবি চেয়ে নিয়ে হাউস ডিউটি মাস্টাররা এবং এডজুট্যান্ট স্যার লকার চেক করতেন। তখন ত সবার আত্নারাম খাঁচাছাড়া। কিছু স্যার আবার ছিলেন বেশ উদার। ইংরেজীর শফিক স্যার আমাদের একজনের লকার থেকে এডুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ‘পুস্তিকা’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন।
আরেকদিন চাবি নেয়ার পর আমাদের একজন মোকসেদুল ইসলাম রাজা স্যারকে কাঁচুমাচু করে বলল-
“স্যার আমার লকারটা একটু…”
স্যার দ্বায়িত্ব নিয়ে সেভ করলেন এবং পরে ঝারি দিলেন “ এত সস্তা জিনিস পড় কেন,

বিস্তারিত»

ট্যুর ডি টাঙ্গাইল

গত কয়েকদিন যাবৎ আমি বেশ মনোদৈহিক যাতনার মধ্যে আছি। ব্যাপারটা প্রিন্সিপাল স্যার অবগত। ডেস্কজব করলে যা হয় আর কি, ব্যাকপেইন। হওয়াটা খুব ইজি বাট খতরনাক এন্ড লং লাস্টিং ।আমার ঠিক এখনো হয়নি কিন্তু সেরকমই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান হও নীতিতে তৎপর। এখনি এইটার মূলোৎপাটন করাটা বাঞ্ছনিয়। এখানে বলে রাখা ভাল আমার শরীর ছিল বিশ্রি রকমের ভাল। ক্যাডেট কলেজে ফাঁকি মারার জন্য খুব কমই সিক রিপোর্ট করতে পেরেছি।

বিস্তারিত»

বাংলা চলচ্চিত্রের দুটি অসাধারণ সুরেলা গান

আমার খুব পছন্দের গান এ দুটি। সত্তুরের দশকের শেষে অথবা আশির দশকের শুরুতে দুটি বাংলা চলচ্চিত্রের এ গান দুটি চরম জনপ্রিয় হয়েছিল। কামরুল আবার বাংলা চলচ্চিত্রের পুরনো গান খুব পছন্দ করে। আমারও ভীষন পছন্দ। রেডিও’তে কাজ করার কারণে আর বাংলা চলচ্চিত্রের গান নিয়ে এবিসির সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সিনেমাতাল (অনুষ্ঠানটির নামও কামরুলের দেওয়া) থাকায় আমাদের এই বিষয়ক আর্কাইভটা ভালই আগাচ্ছে।

সম্প্রতি মধুমিতা সিনেমা হলের কর্নধার একজনের সঙ্গে কথা চলছে।

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৭

শুক্রবার (তারিখ লেখা নেই)
রাত বাজে পৌনে বারটা। আগামীকাল থেকে পাক্ষীক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সকালে আবার Principal Assembly আছে। ভাবতেই মেজাজটা খিঁচরে গেলো।

১৯ অক্টোবর ২০০৩, রবিবার
দুপুর দু’টা বাজে, তিনটার সময় অডিটরিয়ামে যেতে হবে। Music Club এর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২৩ তারিখ। যাবার ইচ্ছা ছিলনা। মহসিন নাম ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আসলে ICCLMM এর পর সবকিছু ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখছি হলো না।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব

‘৭৩ সালের শেষ দিক থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি শুরু হলো। যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ। পূনর্গঠন, পূনর্বাসন দরকার। কিন্তু সরকারের কাছে টাকা নেই। মার্কিন বিরোধীতার কারণে বৈদেশিক সাহায্য আসছে সামান্যই। কিউবায় পাট রপ্তানি করায় মার্কিন সরকার বাংলাদেশে খাদ্য সাহায্যের জাহাজ আটকে দিলো। কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু যুদ্ধে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৪

১।দেবর ভাবীর সম্পর্ক ছিল চমৎকার।আসলে তারা ভার্সিটি ফ্রেন্ড কিন্তু ঢং করে ভাবী ডাকা । এতে রিলেশনটাও একটু ইয়ে হলো আর কি । আর ভাবী ডাকার অযুহাত হলো ভাবী ক্যাপ্টেনের উয়াইফ আর দেবর এক্স ক্যাডেট। সব আর্মি অফিসারের ঊয়াইফদের মনে হয় ক্যাডেটরা ভাবী ডাকতে চায়। ভাবী প্রায়ই ফান করে বলে চল দোস্ত চিপায় যাই…
দেবর কি আর না করতে পারে ! 😡

২।

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৬

১২ অক্টোবর ২০০৩ রবিবার
আজকে শবে বরাত তাই ছুটি। সারাদিন ফাউল কাজ করে কাটিয়েছি। রুমে পোলাপান কার্ড খেলছে 29. ফয়সাল, মঞ্জুর, আনোয়ার, ওয়ালিউল্লাহ। হাসান বই পড়ছে জানি না কি। লাঞ্চ হচ্ছে আমি যাই নাই। বিরক্তিকর ডিম ভাজা। অলস দুপুর, গরম, বিদ্যুত নেই সকাল থেকে। ৬ ঘন্টা হতে চলেছে। এমনিতেই কলেজের জেনারেটার নষ্ট। শুরুতে ছিল দানব আকৃতির Rolls Royce এর। ওটা ফুরাতে নতুন একটা নিয়ে এসেছে যেটার ব্র্যান্ড কি জানি না।

বিস্তারিত»

সহজিয়া-২

আই,ইউ,টিতে শেষ কিছু দিন কাটাচ্ছি।এইতো আর মাত্র কিছু দিন,তার পরেই আবার দিকভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে হবে।কি করব কিছুই জানি,কি হবে সেটাও জানি না।কলেজ থেকে যখন বের হলাম যেমন অনুভূতি হয়েছিল এবার ও একই অনুভুতি।সামনের দিনগুলির কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।কতই না মজায় ছিলাম!
আমি এমনি খুব বাসা পাগল।কলেজেও ছিলাম, এখন ও আছি।এখনো আই,ইউ,টি গেলে কবে বাসায় আসবো সেই চিন্তায় বিভোর থাকি।কলেজর শেষের সময়টায় আমার খুব মন খারাপ থাকতো।মায়াটা খুব বেশি বেড়ে গিয়েছিল বোধ হয়।টি ব্রেকের বাশি যখন পড়ত তখন ১ নাম্বার রূমের পাশে দাড়াতাম আর জুনিওরদের ফলিন যাওয়া দেখে মন খারাপ হয়ে যেতো।এত দ্রুত কিভাবে যে সময় টা গেল বুঝতেই পারলাম না!

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা কিছু জঞ্জাল – ৫

৭ অক্টোবর ২০০৩, বৃহস্পতিবার
আজ বৃহস্পতিবার। আমরা বলি সাপ্তাহিক ঈদ। এখন যদিও আগের মত মজা হয়না। আগে প্রায় প্রতি সপ্তাহে ভিসিডি শো হত (যদিও আমি খুব কম দেখি বা দেখি না), ডিশ চ্যানেল থাকত। MTV, CMM, B4U কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখব এই নিয়ে মারামারি লাগবার জোগাড়। এখন এসবের কিছু নেই। থাকে শুধু BBC, DD Metro, Channel-i, ATN Bangla। আমি মাঝে মাঝে BBC দেখে পন্ডিত সাজার চেষ্টা করি কিন্তু কতক্ষণ?

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৪

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৩
বৃহস্পতিবার
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের শেষ শিক্ষাবর্ষের কয়েকটি মাস বাকি আছে। তারপর মুক্তি, স্বাধীনতা যে যেটাই বলুক না কেন। বিরক্তির চূড়ান্ত সীমায় অবস্থান করছি। কিভাবে যে বেচে আছি তা উপরওয়ালা জানেন। কলেজটা এখন একনায়কতন্ত্রের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রতিটা পদে আটকানো হচ্ছে আমাদের। নিয়মের মাঝে শক্ত করে বেধে ফেলেছে আমাদের। এতটা কখনই দরকার ছিল না। Red Book এর Reference দিয়ে সব নিয়ম আরোপ করা হচ্ছে।

বিস্তারিত»

ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম

[ পৌরাণিক সপ্তাহ চলছে সিসিবির। এর শুরু আমারই হাত ধরে । আমি এর ফাঁকে একটা অল্প পুরান কাহিনী দিয়ে দেই, জীবন থেকে নেওয়া কেন যেন হঠাৎ লেখতে ইচ্ছা হল। একেবারে নতুন এর আগে এটা নিয়ে কোথাও কখনো লেখিনি আমার নিজের ডায়েরিতেও না একেবারে টাটকা লেখা অনলি ফর সিসিবি]
পূর্বকথাঃ
বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্যালাইনের ফোঁটা গুনি। সকাল থেকে চলছে । গতকাল রাতে হঠাৎ করে প্রচন্ড পেটে ব্যাথায় অজ্ঞান টাইপ হয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাসা থেকে দুলাভাই এসে ঘুমের ওষুধ সিরিঞ্জ পুশ করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে এই স্যালাইন চালু করে দিয়ে গেছেন।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৩

১। আমার ফ্রেণ্ড মাহবুবের ওয়াইফের নাম হাসি। হাসির মামাত ভাই রাজ়ীব মাহবুবকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ওর এক চাচার সাথে-

চাচা, এইটা হইল হাসির ভাতাড় ।
জামাইকে অনেক জায়গায় ভাতাড় বলা হয়। সম্ভবত ভাতের জোগান দেয়ার পুরস্কার সরূপ এই নাম।

২। আমার মামীর ব্লাড ক্যান্সার। গত মাসে উনি ছিলেন কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাস্পাতালে। ব্লাড দরকার ছিল তাই আমার এক কলিগকে (কৃতজ্ঞতা মাছুম ভাইকে) নিয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

কৈশোরে চেপে ধরে সুনীল গাঙ্গুলী

(কিছু একটা লেখার জন্য অফুরন্ত সময় হাতের কাছে। হাতের কাছেই লেখা প্রস্তুত করার জন্যে সবকিছু আছে- কী বোর্ড, বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার- মনিটরে নোডপ্যাড।
কিন্তু ‘কিছু একটা’ নেই।
লেখার জন্য বোধহয় সেই ‘কিছু একটা’ প্রয়োজন। তবুও মাঝেমধ্যে দু:সাহস থেকে লিখে ফেলি। আরো মাঝমধ্যে একটা দুইটা লেখায় তৃপ্তি পাই। ভরপেটে বেনসন সিগারেট না হলেও- অন্তত একটা স্টার সিগারেট খাওয়ার তৃপ্তি।
বিরিয়ানি হজম করার পর স্টার সিগারেট টাইপ -কয়েকদিনের পুরনো- সুনীল- নীরা- লেখাটা তাই সিসিবিত দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : মুক্তিযুদ্ধোত্তর অস্থিরতা

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তিন.
স্রোতে স্মৃতির ভেলা ভাসিয়েছি। লগি-বৈঠা কিছু নেই। তাই বাতাস আর স্রোতের টানে কোথা থেকে কোথায় যে যাই, নিজেও জানি না। সময়টা মনে রেখে ঘটনাগুলোকে শুধু সুতোয় গাঁথছি যেন! লিখতে বসেছিলাম ঢাকায় আমার-আমাদের পরিবারের বাড়িগুলোকে নিয়ে। এখন তার সঙ্গে চলে আসছে সমসাময়িক রাজনীতি, ব্যক্তিগত স্মৃতি, ঘটনাক্রম, আশেপাশের মানুষ কত্তো কি! এটা কি আত্মজীবনী? তা তো নয়।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০২

১। আমরা ক্লাস নাইনে (১৯৯৫ সাল) হাইকিং এ গিয়েছিলাম। ৩ দিনের আমাদের ফাইনাল ডেস্টিনেশন ছিল ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা। প্রথমদিন আমাদের স্টপেজ ছিল সীতাকুন্ড থানায়। আমরা কলেজ থেকে সকালে রেললাইন ধারে হাটতে থাকি।১১ টার দিকে হালকা নাস্তা দেয়া হয় রেললাইনের পাশেই। আমাদের সাথে ছিলেন এডজুটেন্ট মেজর রেজা (আরসিসি এক্স ক্যাডেট) স্যার। বিরতির সময় বললেন আজ রাতে তোমরা যে যা পার পারফর্ম করবা।
আমরা বললাম কি কি হবে স্যার?

বিস্তারিত»