এক বলে দরকার এক রান , তারপর হাসিবুল হোসেন শান্ত আর খালিদ মাসুদ পাইলটের সেই দৌড়, যার পর থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছিল এক নতুন পথে দৌড়… আজ ১৩ এপ্রিল সেই আইসিসি ফাইনালের ১২ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ, যার পর থেকেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র।
সে সময় আমরা ক্লাস এইটে। লাঞ্চের পর পরই দেখলাম ক্লাস টুয়েলভের ব্লকে রেডিও অন করা হয়েছে, একটু পরেই সেই রেডিও ঘিরে দাঁড়িয়ে গেল পুরো হাউস। খেলার শেষ মুহুর্তে ঘটল বিপত্তি, ঠিক কত ওভার বাকি ছিল তা মনে নেই, খুব সম্ভবত ২-৩ ওভার হবে, সে সময় কারেন্ট চলে গেল। দিনের বেলা বলে জেনারেটর ও চালু করা হচ্ছিল না। তখন খোজা শুরু হল ব্যাটারি… খেলা শোনা হচ্ছিল হাউসের বড় টু ইন ওয়ান এ, সেটার জন্য ব্যাটারি দরকার ছিল মনে হয় ৪টা বা ৬ টা। এই খোজাখুজির মাঝে আমাদের ক্লাসের কে জানি বলল যে হাসপাতালে মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট হাশেম ভাই রেডিওতে খেলা শুনছে, ও লাঞ্চের পরে গিয়ে দেখেছিল। সাথে সাথে আমরা ৭/৮ জন দৌড় দিলাম হাসপাতালে, ওখানে হাশেম ভাইয়ের রেডিওতে খুব সম্ভবত শেষ ওভারটা শুনেছিলাম, শেষ বলে জয় নিশ্চিত হবার সাথে সাথে হা্সপাতাল থেকে বের হতে হতে দেখি সব হাউস থেকেই ততক্ষনে সবাই বেরিয়ে এসেছে… বিজয় মিছিল হচ্ছে সাথে ডানোর ডিব্বা, পানির বোতল আর প্লাস্টিকের বক্স ইত্যাদির ঢোল… আমরাও মিলে গেলাম সেই দলে… সেই দিনের সেই আনন্দের সাথে একমাত্র তুলনা করা যায় ৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাথে জয়ের, অবশ্য সেটা লাইটস আউটের পরে হওয়ায় সে রকম কিছু করতে পারিনি।
সেই ম্যাচের নাটকিয় শেষ ওভারের ভিডিও টা দিয়ে দিলাম।
এই টুর্নামেন্টের পরে সব ক্রিকেটার হিরোতে পরিনত হয়, বিশেষ করে শেষ ওভারে ছক্কা মারা পাইলট… আর আমি এই আইসিসি ট্রফির থেকেই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ফ্যান হয়ে যাই, আকরাম খান ।
😀 :awesome: :awesome:
ঐ দিন আমাদের কোচিং ছুটী দিয়া দিছিল 😀
আমরা ট্রাক ভারা কইরা রঙের বালতি নিয়া পুরা বরিশাল চক্কর মারছি......কত জনরে মারলাম :dreamy: 😛
কি উত্তেজনার দিন :awesome: :awesome:
ফাইনালের আগেই আকরাম মামা হল্যান্ড এর লগে এক খান ইনিংস খেলছিলো, আমার কাছে এইটাই এখন পর্যন্ত আমাদের ক্রিকেটের কুলীন রাজ্যে ঢুকবার প্রধান টার্নিং পয়েন্ট :thumbup: বস্ পুরা এক হাতে জিতাইছিলো।
ফাইনালের সময় সিলেটে একটা আই সি সিতে আছিলাম, সব কলেজ মিল্যা সেরকম মজা হইছিলো, রেডিও তে শরাফ উল্লাহ জরাফতের চিক্কুরডা এখোনো কানে বাজে 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
শরাফ উল্লাহ জরাফতের চিক্কুরডা...... :)) :))
হল্যান্ডের সাথে ঐ ম্যাচে ৩৩ ওভারে ১৪১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ১৫ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায়, এরপরে আকরাম আর নান্নু একটা ৫০ পার্টনারশীপ করে তারপর একপর্যায়ে ৮৬/৬ হয়ে যায়, তারপর সাইফুলকে সাথে নিয়ে আকরাম টার্গেটে পৌছে যায়। সাইফুল শেষ মুহুর্তে আউট হয়ে গেলেও আকরাম অপারাজিত থাকে ৬২ রান করে। আমার মতে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক অবদান, ম্যাচে ২ উইকেটও নেয় আকরাম।
ম্যাচের বিস্তারিত স্কোরকার্ড এইখানে
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup: :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাবার সোনালী স্বপ্নে বিভোর তখন আমরা। ভাইভার কোচিং শেষে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় রাস্তায় রঙ ছিটাছিটি চলছে। বিজয় সত্যি কতো আনন্দের, সেদিন বুঝেছিলাম।
'৯৯-র জয়ের পর লাইট্স অফের পরও হাউসে উল্লাস-মিছিল হইসিলো। সে যেন ছিল আরেক ১৬ ডিসেম্বর!
:dreamy: :dreamy:
:clap: :clap:
দারুণ!
এ্যাদ্দিন পর দৃশ্যটা দেখলাম।
তখন তো রেডিওতে শুনসিলাম।
শরাফত ভাইয়ের মারফতী মিস করলে দেখতে পারেন এইখানে।
আহ!! সেই দিনটা এখনও মনে আছে। মাঝখানে বারো বছর হয়ে গেলো। বুড়া হয়ে যাইতেছি তো B-)
হ!! মইরা যাবার আগে বিয়াটা কইরা ফেল 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:just: পাত্রি খুজে দেন ~x( ~x(
http://en.wikipedia.org/wiki/Mallika_Sherawat
পাত্রীর ছবিসহ বায়োডাটা এখানে দিলাম। আপনাদের সুখী মঙ্গলময় জীবন কামনা করছি 😉 😛 ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:shy: :shy: :shy: