তখন ক্লাশ ইলেভেনে । পাড়ার বখাটে ছেলে বলতে যা বোঝায় হাউসে আমাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকম যদিও নিজেদের আমরা খুব বস মনে করতাম । আমরা ৫ জন। আমি, আরাফাত, ইফতে, আলীম, মেহেদী।
আমাদের হাউসে এক অদ্ভুত চিড়িয়া বাস করত । ধরি তার নাম ” ফ্যা ” । ক্লাস সেভেন থেকেই সে আমাদের ইনটেকে বিরাট বিনোদনের উৎস ছিল । এক টার্মে ছুটি থেকে কলেজে আসার পর দেখি তার অনেক চেঞ্জ । ফুলটাইম নামাজ কালাম পড়ে । অবসর সময়ে দোয়া-কালাম পড়ত এবং মাঝে মাঝে তাকে অনেক আগের কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ পড়তে দেখতাম । গেমস টাইমে চিপায় চিপায় ঘুরত আর বিড়বিড় করে কি যেন বলত। অন্যান্য সময়েও আমাদের এড়িয়ে চলত, একা একা ঘুরাঘুরি করত, ক্যাডেট কলেজে যা খুবি অস্বাভাবিক বিষয় । হটাৎ সে আমাদের কাছে একটা বিরাট রহস্য হয়ে গেল ।
অনেকে তার এই পরিবর্তনের কারন জিজ্ঞেস করত কিন্তু উত্তর মিলত না । অনেক কাহিনী করার পর অনেক গুঁতাগুঁতি করার পর জানতে পারলাম জ্বীন সংক্রান্ত কোন কিছু । ভালমত চেপে ধরলাম । শুনলাম সে নাকি জ্বীন পালে । শুরুতে তো আমরা হেসেই বাঁচি না, হাস্যকর কথাবার্তা। পরে দেখি সে এই বিষয়ে সিরিয়াস। আসলেই নাকি তার সাথে একজন জ্বীনের যোগাযোগ আছে। আমাদের কে বিশ্বাস করানোর জন্য স্বাক্ষী হিসাবে সে হাজির করল তারই জেলার একজনকে, যার সাথে নাকি কলেজ ছুটিতে সে জ্বীন সাহেবের দেখা করিয়েছে। তৎকালীন নির্মানাধীন বগুড়া শহীদ চাঁঁন্দু স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে জায়নামাজে করে উড়ে বেড়ানোর কিছু একটা প্রাসঙ্গিক কাহিনীও ছিল, সঠিক মনে নাই (চিন্তা করে দেখুন, কি একটা awesome ব্যাপার স্যাপার) । তাকে একদিন লাইটস অফের পর আমাদের হাউজে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এর সত্যাতা সম্পর্কে আমাদের নিশ্চিত করল । আমরা মোটামুটি কনভিন্সড। তখন রক্ত গরম, আমাদেরও জ্বীন দেখতে হবে । যেভাবেই হোক দেখতে হবে । দেখতেই হবে।
জ্বীনের নাম মীম অথবা হামযা, আমার ঠিক মনে নাই। তার বাড়ি ক্রোকাব শহরে। অনেক পরে বুঝতে পেরেছি কোহেকাফ এর সংক্ষেপিত ভার্সন ক্রোকাব, অথবা আমাদের বন্ধু ফ্যা কোহেকাফ এর সঠিক উচ্চারণ জানতেন না হাহাহোহো । যদিও শুরুতে সে রাজি হচ্ছিল না, ফ্যা এর পিছনে অনেক ঘুরাঘুরির পর, অনেক তৈলমর্দনের পর, অনেক রকম ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল এবং হালকা পাতলা পলিটিক্স করার পর – আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পর সে রাজি হলেন আমাদের জ্বীন দেখাবে। তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হল । এদিকে আমরাও প্রিপারেশন নিচ্ছি। উত্তেনজনায় তখন আমাদের কাপাকাপি অবস্থা । ইভিনিং প্রেপে আমরা ৫জন একসাথে প্ল্যান করছি তার সাথে দেখা হলে কি বলব, তাকে দিয়ে কি কি আনাব ( আমরা আগেই জেনেছিলাম তার ক্ষমতা সম্পর্কে)। ডিনারে কিছুই খাওয়া হল না কারন রাতে জ্বীন সাহেব আছেন । নাইট প্রেপ যেন আর শেষ হয় না…
অবশেষে হাউসে আসলাম, লাইটস অফের বেল পড়ল । রাত ১২টা । আমরা দুই পাশের করিডোরের সবগুলা লাইট বন্ধ করে দিয়েছি । অপেক্ষা করছি । কিন্তু ফ্যা আর আসে না । আরো অনেক পর সে আসলো । কৈ গেছিলি ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারলাম না । এখনই জ্বীন ল্যান্ড করবে আমাদের রুমে ( জাহাঙ্গীর হাউস -১২৯) । ফ্যা এর রহস্যময় এবং ধার্মিক ইম্প্রেশনের কারনে আমরা সবাই মোটামুটি কনফিউসড । মনে হচ্ছে জ্বীন আসলেও আসতে পারে।
জ্বীন সাহেবের ল্যান্ডিং শুরু হল । আলো আধারিতে ফ্যা কে মাঝখানে নিয়ে আমরা বসে আছি । হটাৎ ফ্যা সেন্সলেস হয়ে গেল । অদ্ভুত এক গোঙানোর আওয়াজ তার মুখে । হটাৎ করে ভয় পেয়ে গেলাম । নানামুখী ভয় । যদি জ্বিন সতিই এসে থাকে প্রথমত তার উপস্থিতির ভয় এবং ফ্যা এর খারাপ কিছু হয়ে গেল কি না তার ভয় । আমার মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগল । জ্বীন দর্শক বাকিদের অবস্থাও একই রকম ।
জ্বিনের সাথে কথা বলছি । তার নাম পরিচয় নিয়ে বৃত্তান্ত কথাবার্তা হল । তিনি আমাদের পরিচয় জানলেন । জিজ্ঞেস করলাম আপনার কন্ঠ্যস্বর ফ্যা এর মত কেন ? সে তেমন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলেন না। আমরা তাকে যে প্রশ্নই করই, সব কিছুতেই তার গোঁজামিল উত্তর। আমার রুমমেট ইফতেখার খোচা দিয়ে বুঝিয়ে দিল সে কিছুই বিশ্বাস করছে না । তখনও আমার মনে সংশয় । হয়ত ইনিই আসল হামযা সাহেব। তিনি নিজেকে একজন তাবেঈন বলেও দাবি করলেন ।
মেজাজ খারাপ হয়ে গেল যখন তিনি বললেন তিনি কলেজের বাইরে থেকে কিছুই এনে দিবেন না । তিনি পারেন কিন্তু দিবেন না । কত আশা করে একটা লিস্ট বানাইছিলাম … আফসোস !! সেই লিস্টে বাহারী সব আইটেম । সমস্ত ভয় কেটে গেল । ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলতে শুরু করলাম । দেখি জ্বীন চলে যাইতে চায় । হুট করে বলেও ফেললাম “ফ্যা আ্যকটিং শেষ কর” । একটু পর জ্বীন চলে গেল । ফ্যা এর জ্ঞান ফিরল একটু পর। জ্ঞান ফেরার পরও তার হালকা অভিনয় চলছে, আমি কোথায়, আমার কি হইছে, এই টাইপের।
ফ্যা আমাদের এইভাবে জ্বীন দেখায়ে গেল, পুরা আবুল হয়ে গেলাম । খুব ইজ্জতে লাগল । একটু হলেও ভয় পেয়েছিলাম এটাই আমদের ব্যার্থতা । সে আমাদের কাছ থেকে আরো ওয়াদা করে নিয়েছিল এইসব কাহিনী নিয়ে দুনিয়ার কারোর সাথে আলোচনা করা যাবে না। ওয়াদা ভন্গ করলাম এই সিসিবিতে ।
এই ঘটনার খুব চমৎকার একটা প্রতিশোধ নিয়েছিলাম । অত্যন্ত মধুর প্রতিশোধ, যা ফ্যা এর উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। সেই কাহিনী আরেকদিন।
হা হা হা। কাহিনীটা শুনে বড়ই মজা পাইলাম। 😀
রাজী বন্ধু স্বাগতম। এইরকম আরও মজার মজার কাহিনী ছাড় তো।
অলস ব্লগার।
কাহিনী অনেক । আস্তে আস্তে ছাড়ব ।
রংপুরের জ্বীন কাহিনী তো আমাদের সময় পুরাই হিট, অনেক মশলা সাপ্লাই দিয়েছিল উমেদ আলী। জুনিয়র ফুটবল গ্রাউন্ডে একটা কবর দেখছ না, ওটা অনেক পুরনো কবর, কেউ জানে না কার। কলেজ কতৃপক্ষ কলেজ রঙ করানো সময় কবরটাও রঙ করাতো। কত গল্প শুনেছি, লম্বা সাদা মত একজন উড়ে উড়ে বেড়াতো রাস্তায়।
মজার গল্প শুনেছিলাম একটা, সত্য মিথ্যা জানি না। কলেজের পানির ট্যাঙ্কিতে কলেজের পতাকা লাগাতে গিয়েছিল সিনিয়র কোন এক ভাইয়া। তাও আবার লুঙ্গি পড়ে নাকি তিনি উঠেছিলেন। এরপর লুঙ্গিতে টান পড়াতে জ্বীনের আক্রমন ভেবে তড়িঘড়ি করে লুঙ্গি দান করে ছুটে পালিয়েছিলেন।
এ্যথলেটিক্স গ্রাউন্ডে যাবার আগে যে ছোট একটা ক্যানাল আছে, যেটা আবার মসজিদের পিছনে গিয়ে লেগেছে বড় ক্যানালে, সেটা নাকি গন কবর ছিল।
হয়ত এডিসন ভাই সঠিকটা বলতে পারবেন। তবে জ্বীন বাবাজি আমাদের দুষ্টুমিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এটা নিশ্চিত। সেই অর্থে সে একজন ব্যর্থ জ্বীন।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সাদা মানুষ উড়াউড়ির কাহিনী হালকা পাতলা শুনেছিলাম।
জাহাংগীর হাউসের টিভি রুম নাকি পাকিস্তানিদের অত্যাচার রুম ছিল, ড্রাইং রুমে ক্যাডেটের মৃত আত্মা, জাম্বুরা গাছের কান্ন ... আরো অনেক গুজব শুনেছিলাম।
বহুত দিন পর ওমেদ আলীর নাম মনে করাইয়া দিলেন।
ক্যাডেটের মৃত আত্মা না, হবে মৃত ক্যাডেটের আত্মা। আমি আরও একটা শুনেছিলাম, ওমর ফারুক হাউসের সী-বিচে বেনারসি শাড়ি পড়া, ঘোমটা দেয়া মৃত বউ ঘোরাফেরা করেন একজন আমাবশ্যা রাতে। আরও একটা শুনেছিলাম, এটাকেও ভৌতিক কাহিনীই বলা যায়, ওমেদ আলী আর তোমাদের হাউসের একজন গনিত শিক্ষক নাকি দুই ভাই। =)) বুচ্ছোতো কে?
:just: :just: :khekz: :khekz: :khekz:
:pira: :pira: :goragori: :goragori:
জটিল ......
ফরমালি স্বাগতম রাজী।( পুরান ব্লগার হওয়ার ভাব লইলাম আর কি)।
মজা পাইলাম গল্প পইড়া। তবে নাম ব্যবহারে একটু সতর্ক থাইকো।
সামুব্লগে আমি আপনের সবচেয়ে পুরাতন নিকের চেয়েও পুরাতন ।
একটু ভাব নিলাম আরকি !!
🙂 🙂 🙂
রাজী,
এইটা কী লিখলি দোস...
:boss: :boss: :boss:
দারুন হইছে সত্যি... আরে বেটা কাহিনী তাড়াতাড়ি ছাড়...
আরো কী বলে হইছিলো-- লিখা ফেল হারি আপ।
লেখতাছি।
অ্যায়য়য়য়য় বেট্টাআআআ ... ব্যাপক দিলা যে!!!
আমার প্রিয় পোস্ট
আমিও প্রস্তুত...
একজন চিকির আত্মকাহিনী :)) :)) :))
:)) :)) :)) :khekz:
:)) :)) :))
ওই মিয়া তুমি আবার হাসো ক্যান?তুমারেই তো পোচাঈলাম x-(
সাবাস বেটা :hug: ফরমাল ওয়েল্কাম :party:
আরো দে , এইটা কঠিন হইসে...... :awesome:
তোমাদের মাহামুদ, =)) =)) কেমন আছে ও এখন? কি করে? মাহামুদই অবশেষে তোমাদের ভুত দেখায় দিল? =)) =)) । মজা পাইলাম। তবে সারা পৃথিবী ভুতে ছেয়ে গেলেও আমি মানবো না যে সিসিআরে ভুত আছে। ইল্যাভেন, টুউয়েল্ভ সব চিপা চাপা দিয়ে ঘুরে ফিরে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
সাবধান !!!!
মোল্লা টানেল ahed...
=)) আমার জীবনেও এই রকম একটা কাহিনী আছে। আমাকে জিন দেখাতে গিয়ে একবার একজন নয় দুই দুইজন জিন সাধক জিনের পাখার বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, তাদের জ্বর চলে আসে। এবং এই ব্যাপারে মোটেও লজ্জিত না হয়ে তারা আমাকেই দোষারোপ করতে থাকে যে, আমার উৎপাতে অতিষ্ট হয়েই জিন এহেন অপকর্ম করে। বলাই বাহুল্য, আমার প্রশ্ন ছিল "উৎপাত করলাম আমি আর পাখার বাড়ি খেলি তোরা???????" আমরা বোধহয় এই কনসেনসাসে পৌছতে পারি যে, অজ্ঞান করার কাজে জিন খুবই পারদর্শী। নিকট সম্পর্কযুক্ত কাছের বান্দাটিকেই দেশীরভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞান করে দেবার প্রবনতা তার মধ্যে প্রকট।
স্বাগতম। 🙂 প্রথম লিখাতেই খুব মজা পেলাম। লিখতে থাকো নিয়মিত 🙂
আপনার জন্য ইসপেশাল জ্বিন লাগবে । নরলাম জ্বীনে কাজ হবে না ।
😀 😀 😀
জুবায়ের ভাই আপনার গল্প টা বল্বেন......খুব মজার মনে হচ্ছে। :grr:
:khekz: :khekz:
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
প্রতিশোধের কাহিনীটা তারাতারি লিখে ফেল রাজী।
প্রতিশোধের কাহিনীটা সবাই মজা পাবে কিনা সন্দেহ আছে ।
তাও লেখব ঠিক করেছি ।
😀 😀 😀 😀
তোর ডাইরিয়ার অবস্থা এখন কেমন?
ভালা লিখছস। তগো জ্বীন সাধক টা এখন কই, ওরে তো দেখতে ইচ্ছা করতেছে।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
অবস্থা ভাল।
সাধক এখন BIFT তে পড়ে । হলে কম আসে।
আচ্ছা!!!!!!এই তাহলে জ্বীন সাধকের কাহিনী????
অই জ্বীন সাধক তো মাঝে মাঝে আমাকে ফোন দেয়......শালারে একদিন ঠিকমত ধরতে হইবো।
mcc এর এইরকম কাহিনী। ২৫শে আগস্ট নাকি কলেজ ভূত দিবস। সেদিন রাত ১২টার বেল দেবার পর নাকি প্যারেড গ্রাউন্ডে নাকি গলাকাটা ক্যাডেট মার্চ করে আর কমান্ড দেয় :goragori: :goragori: :goragori:
আর তখন নাকি কলেজের সব পানির ট্যাপ থেকে পানির বদলে রক্ত বের হয়... :khekz: :khekz:
:goragori: :goragori: :goragori: হাসতে হাসতে :pira:
=)) =)) =)) =))
গলাকাটা থাকতে কমান্ড দেয় কেমনে?
বছরের বাকি দিনগুলা উনারা কই থাকেন? :)) :))
=)) :)) :goragori: :khekz: 😛
:pira: :goragori: :goragori: ওরে কি শুনাইলি রে...।। :))
রবিন ভাই... পরের পর্ব কই?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই রে, আগামী ১৫ দিনে ২টা পরীক্ষা।একটা ভর্তি পরীক্ষা,আরেকটা ওরাকল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। তাও ইনশাল্লাহ কালকে আরেকটা পর্ব দিবো দেখি
শোধ টা কেমতে নিছিলি রে? আর্তর্ষৈতাছে না
সামু ব্লগে কি নামে লেখস রে?
শিট সুজি নামে লেখে
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
লিংক কেমনে দেয়?
:khekz: :khekz: =))
ভাই কাহিণীতো পুরাই অস্থির... জটিল হইসে...
:boss: :salute: :salute:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
তাই নাকি ? কলেজে জ্বীন ছিল নাকি ? ৬ বছরেরও জ্বীনের দেখা পেলাম না :(। তবে জ্বীনের দেখা না পাই, পেয়ারা বাগানে সাপের তাড়া খেয়েছি। আর হসপিটালের পেছন দিয়ে পালাতে গিয়ে অনেক শেয়ালের সাথে দেখা হয়েছে।
পেয়ারা পেড়ে নিয়ে আসলাম হাউসে । ২মিনিটের মধ্যে সাহাবুল স্যার রুমে উপস্থিত । পুরা এক ব্যাগ পেয়ারা নিয়ে গেল । মাইরের ভয়ে লকারের ভিত্রে লুকাইছিলাম । কোন লাভ হয় নাই। রাইতের বেলা হাউস অফিসে উনার ফ্রেন্ডের (বেত) দেখা। কঠিন মাইর খাইছিলাম ।
কলেজ পালাইতে গিয়া একবার কঠিন চিপায় পড়ছিলাম । সেই কাহিনী লেখার ইচ্ছা আছে ।
রাজী এইটা কি দিলিরে। হাস্তে হাসতে শেষ =)) =)) =))
=)) =)) =))
দারুন মজা লাগলো। প্রিয়তে যোগ করেছি।
দিরুন মিজা পিয়িছি। এইরিকিম কিহিনি ইরু চিই। 😀
এইরিকিম কিহিনি ইরু আচে। লিকা হবে ইনশাআল্লাহ ।
:clap:
আরে আমাদের ব্যাচের দেখি। আমি তো জানতাম আমাদের ব্যাচের সবাই ডজার
নওরিন আপনি ক্যাডেট নাম্বার, কলেজ, ক্যাডেট নাম ইত্যাদি ঠিক মত লিখেন দয়া করে।
প্রতিশোধের কাহিনীটা লিখিস না........ 😐 😐 😐
আর কেউ না জানুক অন্ততপক্ষে আমিতো জানি সেইটা কি ছিল..... নামটা ভুলে গেছি, সম্ভবত মার্ক অ্যান্থনি,তাইনা ???? 😛
এই ব্লগের কারো এত ক্ষমতা নাই যে কাহিনীটা হজম করতে পারবে........ সব হাসতে হাসতেই মারা যাবে এবং মাঝখান থেকে তুই ধরা খাবি..... লিখিস না.....
আগেই তো রহস্য ফাস করে দিলি । পরের কাহিনী জমবে না। বরং রংপুরের পোলাপাইন কি রকম স্টুপিড ছিল সেইটা প্রমান হবে ।
মজা পাইলাম রাজী । =))
:)) :goragori: খুব মজা পাইলাম।তোমার লেখার ধরন টা খুব মজার।
কাহিনির শেসে কি হলো?
আর মাহমুদ কেনো তোমাদের সাথে এমন করলো? কি ভেবে?কি বলেছিল ?
জানাবা কিন্তু?
পরের লেখার জন্য অপেক্ষা থাকলাম। :dreamy:
রাজী সামান্য কম চাপা মারিস। মাহমুদ আমারে আগে থেকেই আমারে এ ব্যাপারে কইছিল। আর আমারে ভূয়া প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিয়োগ দিছিল। ঘটনার পর তোদের কাজকর্মের প্রত্যক্ষদর্শীও আমি ছিলাম। মেহেদী আর আরাফাত তো মনে হয় জিনিসটা নিয়ে এখনও দ্বিধায় আছে। তোর থাকাও অস্বাভাবিক না।
কি চাপা মারলাম একটু স্পেসিফিকালি বল
তুই তো শালা বগুরা আজিজুল হক স্টেডিয়ামের উপর দিয়া উইড়া বেড়াইছস, ভুয়া সাক্ষী মানছস।
লজ্জা । x-( x-(
আজিজুল হক ষ্টেডিয়াম??? =)) =)) :pira:
আমাদের কলেজে এক স্যার ছিলেন আজিজুল হক......উনার মাথায়ও বিরাট একটা ইডেন গার্ডেন ছিল।তাঁর পেটটাও ছিল মাসাল্লাহ!!!
তাঁর পেট নিয়ে হাসাহাসি করার সুবাদে আল্লাহ তার বিচার করেছেন......বর্তমানে আমারো ঠিক তার মত ১টি পেট আছে।
:)) :))
:just: :khekz: :khekz: :khekz:
মাযারিরে ধইরা মাইর দিলি না কেন?
মাইর দেওয়ার মুড ছিল না সেই সময়।
😀 😀 😀
সবচেয়ে জটিল সংবাদ আমি দেই,মাহমুদ মাজারি এখন "fashion designing" এ পরতেছেন......বয়েজ......fa....fa....fa.... =)) =)) =)) =))
কেন সমস্যা কি?
বোরখা ডিজাইন করবে । :)) :)) :))
:khekz: :khekz: :khekz:
মাগরিবের টাইম টা ভাল ছিল। সবাই নামাজ পড়তে যেত। ধীমান গীতা পড়ত, শোভন রুমে কি করত মনে নাই, পার্থ ভাল ছেলে, মাঝে মাঝে টেবিলের পায়ার ব্যাট আর বিখ্যাত মোজার বল দিয়ে ক্রিকেট খেলত আমার আর ১৭ ব্যাচের দেবাশীষের সাথে। আমি আর দেবাশীষ ক্রিকেট খেলতাম আর চুরি করতে যেতাম মাঝে মাঝে। পেয়ারা, কাঁঠাল। আমাদের কলেজে আম ছিলনা। একাডেমি ভবনের ভিতরের মাঠের পশ্চিম কোনায় লাল রঙের দেখতে সুন্দর খাইতে বান্দর একটা ফলের গাছ ছিল। দুই ফুটবল গ্রাউন্ডের বুক চিরে চলে যাওয়া লম্বা পিচ ঢালা পথ। তার দুই পাশে চেরি ফুলের গাছ। গোলাপি ফুল ফুটত বর্ষার সময়। বাস্কেট গ্রাউন্ডে ঝুম বৃষ্টি। টি ব্রেকের সময় যখন ফলিনে দাঁড়াতাম তখন দূরে পশ্চিমে এ্যাথলেটিক্স গ্রাউন্ডেরও কিছুটা পরে কালো কালো গাছের পেছনে অদ্ভুত লাল আকাশ। অন্ধকারে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কাল্পনিক জ্বীন অথবা ভুত। লাইটস অফের পরে টুয়েল্ভের করিডোরে তুলি দিয়ে ছবি আঁকা।------ সব আমাদের জীবনে ঘটেছে। কোথায় গেল?
রাজী, অবিরত গল্প বলা তোমাদের সময় ছিল নাকি?
ছিল মানে! এই কম্পিটিশনে ভাল কোন প্রতিযোগী না পাওয়ায় আমাকে পাঠানো হয়েছিল যখন ক্লাস ৯এ পড়ি (ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা আরকি ) । সেবার যে স্টেজে মূত্র বিসর্জন করিনি এই অনেক।
দোস্ত, অনেক দিন পর গল্পোটা পইড়া সেই কাহিনী আবার মাথা চাড়া দিয়া উঠলো... এবং স্বাভাবিকভাবেই ভুড়ি ফাটাইন্যা হাসি পায়িচ্ছে..........
:just: :just: :khekz: :khekz: :khekz:
দোস্তো, জীনের কাছে আরাফাতের আবদার সমগ্রের লিস্টিটা কইলি না যে!! 😛 😛
আহারে আরাফাত, কত শখ আছিলো পোলাডার... জীনের হাতের উপর দাড়ায়া অথবা উড়ন্ত পাটিতে কইরা মুম্বাই যাইবো জাস্ট কারিনা-র সাথে দ্যাখা করতে (ঐ সময় তার একমাত্র ফেভারিট হট নায়িকা)
আর কিডা যেন পিজ্জা হাটের পিজ্জা আনাবো জিন রে দিয়া???!! :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
মইরা গেলাম............... :just: :khekz: :khekz:
দোস্তো, তোমার গল্পতো সেই হিট হইছে আমার এইখানে। পরের কাহিনীটাও পাবলিক জানতে চায়। তোমারে লেখার রিকোয়েস্ট করতেছে। বিলিভ না হইলে দ্যাখ।