২৯ মে ২০২৫
শিক্ষকের ডায়রি: পর্ব-১৫
কমিউনিকেশনের বৃষ্টিনামা
১। ফেনিতে জয়েন করার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিশেষ করে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের) ছেলেমেয়েদের প্রফেশনাল সফট স্কিলসে গ্রুমিঙের দিকে নজর দেয়া শুরু করেছি; এক্ষেত্রে, অনেকটা নয়,বরং পুরোটাই বলা চলে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। তবে কিছু ছাত্রছাত্রী তাদের সফট স্কিলস ডেভলাপমেন্টের বিষয়ে বেশ আগ্রহী। তাদের নিয়েই শুরু হলো ইংলিশ ক্লাবের তত্বাবধানে কমিউনিকেশন এবং প্রেজেন্টেশন স্কিলসের বিষয়ে ধারাবাহিক সেশন। কোন দিন সেশনে পার্টিসিপ্যান্ট বেশি থাকে, কোন দিন আবার কমে যায়। তারপরেও এই অধম, আমি, যথেষ্ট ধৈর্য্য সহকারে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ছেলেমেয়েদের মেইন স্ট্রিমের পড়াশোনার বাইরে প্রফেশনাল গ্রুমিঙের এই কাজটা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কোথায় গিয়ে ঠেকে!!
২। গত দুদিন ধরে ফেনিতে আকাশ কেঁদেই চলেছে। ইদানিং সবার মুখে মুখে, প্রায় মুহূর্তেই, গতবারের বন্যার বর্ননা শুনছি। বেশ চিন্তায় আছি, দুদিন বাদেই আমাদের ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। কটা দিন বেশি ছুটির আশায় আমরা এবারে টানা তিন সপ্তাহ (প্রতি সপ্তাহে একদিন করে) অতিরিক্ত অফিসও করলাম। এখন যদি, আল্লাহ মাফ করুক, বন্যা হয়, আর আমি ঈদের ছুটিতে এখানেই আটকা পড়ি! আসলেই, মানুষের মনে কথা কথাই আসে! যাহোক, এই ঝিরি-ঝিরি ঝরো-ঝরো দিনগুলিতে, আজ সকালেই কোন এক সময় দেখি আন্ডারগ্র্যাডের ছাত্রছাত্রীদের সাথে থাকা একটা ব্যাচ/কোর্সের হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপে (যাদের মধ্যে গুটিকতক আবার তাদের সফট স্কিলস ডেভলাপ করাটাকে বেশ গুরুত্বের নিয়েছে) তাদের সিআর একটা টেক্সট দিয়ে পরের লাইনে আবার আমাকে ট্যাগ করেছে। এই লেখার সাথে দেয়া ছবিগুলো (স্ক্রীনশটস) আসলে সেই কনভারর্সেশনটা নিয়েই, যেখানে তাদের শেখানো কমিউনিকেশন স্কিলসের টেকনিক তারা আমার উপরেই প্র্যাক্টিস করার চেষ্টা করেছে। নট ব্যাড!! আই জাস্ট লাভড ইট!! তবে এখানে চিন্তার বিষয় একটাই:
মেরে বিল্লি মুঝে বোলে ম্যাঁও!!