ডিস্ক্লেইমারঃ
টাইটেল দেখে ভাববেন না,ক্ষোভ বা হতাশা থেকে এটা লেখা।আমাদের মিলেনিয়াম ব্যাচটা কলেজে এমন একটা সময় পার করেছে,যে সময়ের মধ্যে কলেজটা অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন এবং ট্রেডিশন-নিষিদ্ধকরণ এর মধ্যে দিয়ে গেছে।আমরা দেখেছি,ক্যাডেটদের বিপদে স্যার-ম্যাডামদের আন্তরিক সহমর্মিতা,আবার একই লোকদের দেখেছি…নতুন প্রিন্সিপালের আমলে পুরাই ক্যাডেটদের বিপক্ষে কথা বলতে!…..
প্রিফেক্টশীপ ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজের একটা বিশেষ আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।যে কোন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন ক্যাডেটই কলেজ জীবনের শুরু থেকে এই বিশেষ ক্ষণটার অপেক্ষায় থাকে।নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ত্বের উপর যার আস্থা আছে,সে মোটামুটি কলেজের প্রভূত প্রতিযোগিতাতে কৃতিত্ব লাভ করেই।প্রিফেক্টশীপ একই সাথে তার প্রতিভা,ব্যক্তিত্ব,নেতৃত্ববোধ ইত্যাদির পুরস্কারস্বরূপ।….
আমি নিজে প্রিফেক্ট ছিলাম না।তবে,আমাদের ব্যাচে প্রিফেক্টশীপ প্রদান এবং এর পর প্রিফেক্টদের ক্ষমতায় যে অমূলক হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল,তা-ই আমি ফুটিয়ে তুলতে চাই।বড়-ছোট ভাই ও বোনেরা,আমাকে ক্ষমা করবেন,কোন বিশেষ ব্যাক্তি বা শ্রেণীকে খাটো করা আমার উদ্দেশ্য নয়,নিতান্তই বন্ধুদের স্মরণ করে আমার এটা লেখা……..
********
…………..ক্লাস সেভেনে যেদিন প্রথম ডিনারে গেলাম,কলেজ প্রিফেক্ট ইফতেখার ভাই (৩১-তম ব্যাচ,মনোবুশু বৃত্তি নিয়ে গিয়েছিলেন।এখনো জাপানেই আছেন সম্ভবত) আমাদের চামচ ধরা শিখিয়েছিলেন।তিনি যখন নিজের পরিচয় দিলেন,আপাদমস্তক ভালো করে খেয়াল করলাম,মনে হয়নি স্পেশাল কোন মানুষ।কিন্তু ছয়দিন পর যখন তাঁদের ব্যাচের বেস্ট একাডেমিক্স আর বেস্ট ডিসিপ্লিন নিজের ঝুলিতে পুরলেন,তখন বুঝলাম,মানুষ দেখে আসলেই কিছু আন্দাজ করা যায় না।এস.এস.সি. আর এইচ.এস.সি-দুইটাতেই স্ট্যান্ড করেছিলেন,যতদূর মনে পড়ে।….
..৩১-তম ব্যাচ কে মাত্র সাত দিন পেয়েছিলাম,আমাদের হাউসে কলেজ ডাইনিং হল প্রিফেক্ট আলম ভাই ছিলেন,অসাধারণ হ্যান্ডসাম মানুষ।একদিক দিয়ে তিনি আমার আত্মীয় হন।কাসিম হাউসের হাউস প্রিফেক্ট ছিলেন ফেরদৌস ভাই,সহকারী আহমেদ ভাই,তারিক হাউসের হাউস প্রিফেক্ট সম্ভবত শহীদ ভাই ছিলেন…আর মনে নেই…….
….পরে যখন ৩২-তম ব্যাচ প্রিফেক্টশীপ পেল,ভালো করে খেয়াল করলাম,একেকটা ভাইকে।রিজওয়ান ভাই(১৭১২) কলেজ প্রিফেক্ট হলেন,কী চেহারা তার,কী তার ভাব,কী তার কথা বলার ভঙ্গি!প্রায় ছ-ফুট লম্বা একজন মানুষ,গমগম আওয়াজ তার।গান গাইতেন,কবিতা পাঠ করতেন,এমনকি অভিনয়ও করতেন!২০০০ সালের আইসিসিএলসিএম এ তিনি সম্ভবত জেমসের “কবিতা,তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না……” গেয়েছিলেন,এলোকিউশনে “Oh Fostas!…..must be damned!!’’ সে-ই করেছিলেন,উচ্চাঙ্গ সংগীতেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন….তার খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল,কিন্তু উনাদের ব্যাচের বিদায়ের সময় যখন বেস্ট একাডেমিক্স,বেস্ট গেমস,বেস্ট কালচারাল তিনটা ক্যাটাগরিই তার হাতে গেল,বুঝলাম,একজন ক্যাডেটকে চেনার জন্য একটা বছর বড়ই কম সময়!যদিও তিনি তারিক(রেড) হাউসে ছিলেন,তারপরও আমাকে ‘পিন্টু’ নামের বদৌলতে ভালোই চিনতেন।এই নামের আবিষ্কারের সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন!(সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহন)বিদায়ের আগ দিয়ে যতক্ষণ উনার সাথে কথা বলেছি,মনে হয়েছে কোন মহামানবের সাথে কথা বলছি!এত অলরাউন্ডার কোন মানুষ হতে পারে!…ভাই আর্মিতে আছেন যতদূর জানি…
…….আমাদের হাউস প্রিফেক্ট রাশেদ ভাই(১৭১৬) আরেকজন কিংবদন্ততী,এ্যাডজুটেন্ট স্যার উনাকে খুবই পছন্দ করতেন,এই সুবাদে উনার হেয়ারকাট মোটামুটি এক্সকিউজ ছিল।আমাদের কাছে ভাই এর চুল রীতিমত একটা আইকন ছিল!হাউসের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটার কথা বলে বুঝানো সম্ভব না।ইন্টার হাউস সাঁতারে আমাদের হাউসে তেমন স্টার কেউ ছিল না,উনি একাই ইন্টার ক্যাডেট কলেজ সুইমিং এ অ্যাটেন্ড করা সাঁতারু ছিলেন।তো সিনিয়র স্কটে রিলেতে জিতলেই আমরা সুইমিং এ চ্যাম্পিয়ন হব,এমন অবস্থা।রিলে শুরু হল,আগের তিন প্রতিযোগী এতই পিছিয়ে ছিল যে,যখন অন্য দুই হাউসের শেষ প্রতিযোগী অর্ধেক পথ পাড়ি দিল,তখন রাশেদ ভাই লাফ দিলেন।এক ডুব সাঁতারেই একজনকে পার করলেন,হাউসকে চ্যাম্পিয়ন করালেন অবিশ্বাস্য সাঁতার দিয়ে।বাকি ৫ বছরেও এরকম সাঁতারু পায়নি আমাদের কলেজ!ভাই ডিসিপ্লিন নিয়ে বেশি সিরিয়াস ছিলেন না,নইলে আমরা যতদূর শুনেছি বি.এম.এ-তে সোর্ড অফ অনার পেতে পারতেন,তিনি মোবাইল নিয়ে ধরা খেয়েছিলেন বি.এম.এ-তে!২০০৪ সালের আইসিসি ক্রিকেটে উনি কলেজে আসছিলেন,তখন দেখি এই মানুষটার চেয়ে আমিই বড়!…প্রতিটা ব্লগ লিখি আর ভাই এর কথা চলে আসে…
….কত কত বসদের সাহচর্যে বেড়ে উঠেছি!নিজের স্মৃতিশক্তির প্রতি মর্যাদা দিয়েই বলছি,ইনাদের একেকজনকে নিয়ে একেকটা ব্লগ লিখে ফেলা যায়!এত প্রতিভাবান ভাইদের প্রিফেক্ট হতে দেখে আমাদের মনে প্রিফেক্টশীপের যে মানদন্ড তৈরি হয়েছিল,তা দিয়েই আমরা ৩-৪ বছর ধরে আমাদের কয়েকজনকে একেকটা প্রিফেক্ট হিসেবে পুরা ‘ধরা’ ভেবে রেখেছিলাম।কিন্তু এস.এস.সি-এর পর কলেজে এসেই সব ভোজবাজির মত পালটে গেল…..
……..একাদশ শ্রেণীতে এসে আমরা ভাইস প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যারকে পেলাম,অ্যাডজুটেন্ট শফিউল্লাহ মাস্তান স্যার ততদিনে প্রিফেক্টদের ‘পাওয়ার’ অনেকটাই খর্ব করে ফেলেছেন।জুনিয়রদের পানিশমেন্ট দেয়া,ক্যাডেটদের সাথে প্রিফেক্টদের আচরণ কিরূপ হবে-ইত্যাদি অনেক ক্যাডেটীয় ব্যাপারে প্রিফেক্টদের ওথরিটির অনুমতি নিতে হত!এমন অনেক শুনেছি,প্রিফেক্ট ভাইরা লাঞ্চের পর প্রিন্সিপাল অফিসে গিয়ে থ্রেট+ স্টিকচার্জ খেয়ে আসছেন!প্রিফেক্টরা নিজেরাই এত চাপে থাকতেন যে,সাধারণ ক্যাডেটদের ঠিকমত স্বাধীনভাবে চালানোর কোন সুযোগ তারা পাননি।অথরিটী যেভাবে চায়,সেভাবেই চাবি দেয়া পুতুলের মত তাঁদের চলতে হয়েছে।…..
……আমাদের ব্যাচ ইলেভেন-এ এসে এত পরিবর্তন আসলে ধরতে পারেনি,কিংবা ধরতে পারলেও গায়ে মাখতে চায়নি।এস.এস.সি-তে আমাদের রেজাল্ট বিগত বছরগুলোর চেয়ে ভালো ছিল,তাই মাথা উঁচু করেই কলেজে ঢুকেছিলাম।আমাদের ঔদ্ধত্যকে অথরিটি কঠোরভাবে দমন করতে চাইল এবং তোপটা গিয়ে পড়ল তখন পর্যন্ত যাদের পারফরমেন্স ভালো ছিল,তাদের উপর।স্যাররা ভাবা শুরু করল,এরাই সব ইন্ডিসিপ্লিন কাজে লীডীং দেয়!অচিরেই এই ভালো ছেলেগুলো মার্কড হয়ে গেল।ততদিনে কলেজের পুরোটা সিস্টেম এমনভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেল যে,হাউস বেয়ারারা নিজেদের চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে ক্যাডেটদের পিছনে গুপ্তচরের মত লেগে থাকত।স্যাররা যখন তখন কথায় কথায় জরিমানা-প্যারেন্টস কল ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে আমাদের ত্রস্ত করে রাখতেন।এভাবে দেখতে দেখতে আমাদের লং এক্সকার্শন চলে আসল………
…….রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ৩৭-তম ব্যাচের লং এক্সকার্শন আর এর পরবর্তী অবস্থা রীতিমত একটা ‘কেচ্ছা-কাহিনী’’-তে পরিণত হয়ে গেছে।সিসিবি-তে আমার দুই ফ্রেন্ড এটা নিয়ে পোস্টও দিয়েছে,(”৭ই জানুয়ারী,২০০৫” এবং ”কেন আমি তাকে ঘৃণা করি?? কেন আমি এরকম ক্যাডেট কলেজ জীবন কারো জন্য চাইনা??” )তাই আমি এটা নিয়ে কিছু বললাম না।আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যার কেমন,তা এই দুই পোস্টেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।তো,লং এক্সকার্শনের পরে আমাদের ব্যাচের পক্ষে-বিপক্ষে স্যারদের মধ্যেই দুইটা গ্রুপ তৈরি হল।যেসব স্যাররা ক্যাডেটদের পক্ষে ছিলেন,অথরিটির কোপানলে না পড়ার জন্য তারাও চুপ মেরে রইলেন,আর যারা সবসময় ক্যাডেটদের ক্রিমিনাল ভাবতেন,তারা আমাদের ব্যাচটাকে একদমই অরক্ষিত মৎস্যচারণ ক্ষেত্রের মীনরাশি ভাবা শুরু করলেন।ভাবখানা এমন,আমরা যা-ই করি,তা-ই ক্রাইম এবং সবই দন্ডযোগ্য অপরাধ,আমরা মাছ এবং আমাদের শিকার করেই তাদের জীবিকা-নির্বাহ করতে হয়……
এভাবে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠে পড়লাম।প্রিফেক্টশীপের সময় চলে আসল।লং এক্সকার্সনেই আমাদের ৬ জন ভালো ক্যাডেটের জেপিশিপ সিজ করা হয়েছিল,এদের প্রত্যেকেই ক্রসবেল্ট পাবার দাবী রাখে।এর মধ্যে বাশারের কথা না বললেই নয়।ওপরে যে রিজওয়ান ভাই এর বিবরণ দিলাম,বাশারও অনেকটা সেরকম অলরাউন্ডার ক্যাডেট।এমনকি বিগত ৪ জন কলেজ প্রিফেক্ট কলেজ থেকে বের হওয়ার আগে কলেজ চালানোর ব্যাপারে বাশারকে উপদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন।এরকম যার অবস্থা,তাকে কলেজ প্রিফেক্ট ছাড়া অন্যকিছু ভাবাই যায় না।আমরাও ৫ বছর ধরে কল্পনা করে এসেছি..বাশার বলছে… ‘রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ,সাবধান হবে,সাবধান……” ৬টা বছর একসাথে এক হাউসে পার করেছি,এখনো একসাথেই পড়ছি…….
অথরিটির কোপানলে পড়ে খালিদ হাউসের(গ্রীন) প্রায় সবার প্যারেন্টস কল হল নানা কারণে।তারিক হাউসের(রেড) ডিসিপ্লিন খারাপ ছিল বলে তারাও অথরিটির রোষে পড়ল।ফলাফলস্বরূপ,প্রীফেক্টশীপে এক আমাদের হাউসেই টোটাল ৪টা ক্রসবেল্ট হোল্ডার আসল।খালিদ হাউসে কোন সেন্ট্রাল প্রিফেক্ট নেই!জুনিয়ররা হয়ত ভাবল,কাসিম হাউসের(ব্লু) ভাইরা বস,কিন্তু ব্যাপারটা তা না!অনেক যোগ্য ক্যাডেটের জায়গায় এমন অনেকে প্রিফেক্ট হল,যাদেরকে ওই পদে আসলে ভাবা যায় না।বুঝলাম,ডীসিপ্লিন্টাই মুখ্য,আর যারা অথরিটির পুতুল হিসাবে কাজ করতে পারবে তাদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে………..

শফির সাথে হাত মেলাচ্ছেন প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যার।পিছনে অ্যাডজুটেন্ট শফিউল্লাহ মাস্তান স্যার
……কিন্তু ক্যাডেটদের অথরিটী কোনদিনো বুঝতে পারেনাই,পারবেও না।আমাদের ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট হল শফি।শফি এস.এস.সির পর কলেজে এসে রীতিমত প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল,যে প্রতিযোগিতাতেই যায়,তাতেই কিছু না কিছু পায়।কিন্তু এত সহজে বাশারের কাছাকাছি ওর পৌছানোর কথা কেউ ভাবেনি।এজন্যই যখন অ্যাডজুটেন্ট স্যার কলেজ প্রিফেক্ট হিসাবে শফির নাম ঘোষণা করলেন,আমার মনে আছে,প্রায় ৫ সেকেন্ড পর প্রথম যে তালির শব্দটা হয়েছিল,সেটা ছিল আমার!ব্যক্তিগতভাবে শফি আমার খুব ভালো বন্ধু,পুরা ৬ বছর একসাথে থেকেছি,ঢাকা-রাজশাহী যাতায়াত করেছি।এক ভালো বন্ধু সিপি হয়নি-আরেকজন হয়েছে,এটাই আমার জন্য অনেক কিছু!এরকম আরো কয়েকটা তাক লাগানো প্রিফেক্টশীপ হল সেদিন………বাশার হল কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট!
প্রিফেক্টদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ শুরু করল অথরিটি।নরমাল ক্যাডেটদের সাথে যেরূপ ব্যবহার,তাদের সাথেও সেইরূপ ব্যবহার!সিপি হবার পর শফি ভালো কাপড়ের ২টা ইউনিফর্ম বানিয়ে আনল,দেখতে খুব ভালো লাগত।প্রথম ড্রিলের দিনই কলেজের সবার সামনে অ্যাডজুউটেন্ট স্যার ওর এই ইউনিফর্ম নিয়ে চরম অপমান করলেন,এই ড্রেস ব্যানড করলেন।আমরা হতবাক হয়ে গেলাম,একজন সিপির সাথে এরকম আচরণ!…..
একদিন সব প্রিফেক্টদের দিয়ে আমাদের পানিশমেন্ট দেয়ালেন।পুরা কলেজ তাকিয়ে দেখল, ব্যাচমেট ব্যাচমেটদের পানিশমেণ্ট দিচ্ছে,জুনিয়ররা দেখল,সিপি-হাউস প্রিফেক্টরা অ্যাডজুটেন্টকে রিকোয়েস্ট করছে,কিন্তু অ্যাডজুটেন্ট তাদের কথা না শুনে থ্রেট দিচ্ছে!
……একদিন একাডেমী শেষে লাঞ্চে যাওয়ার আগে হাউসে গেলাম আমরা।সব রুম তালা মারা,তাই ফ্যানের বাতাস খেতে শফির রুমে ঢুকে পড়লাম।শফি আমাদের সাথে দুষ্টামি করে বাইরে থেকে তালা দেয়ার ভান করে কড়ার সাথে আলগা ভাবে তালা লাগিয়ে নিচে চলে গেল।ও ভেবেছিল,আমরা ভিতর থেকে তালা খুলে বের হতে পারব।পেরেছিলাম ঠিকই,কিন্তু একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল।কাজেই লাঞ্চে লেট হল।ডিউটি মাস্টার ছিলেন জাহিদুল ইসলাম স্যার,গণিত বিভাগ।মেস ও.আই.সি আর তিনি কিছুতেই ঢুকতে দিবেন না।আমরা বলতে ৪জন—আমি,রাফি,ফয়সাল,তামীম।বাইরে দাঁড়িয়ে আছি,ভিতরে কী হচ্ছে জানিনা।পরে শুনেছিলাম,শফি স্যারকে ঘটনা খুলে বলে রিকয়েস্ট করেছিল আমাদের ঢুকতে দিতে,স্যার দেননাই।শফি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল,তবে মোটেও অভদ্রভাবে নয়,কোন অফেন্সেও নয়।ওর খারাপ লেগেছিল এই ভেবে যে,ওর দুষ্টুমির জন্য আমরা লাঞ্চ মিস করলাম!কিন্তু সমস্যা হচ্ছে,শফির খাওয়া বন্ধ হওয়া দেখে হাইটেবিলের বাকি কয়জনও খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।কাজেই স্যার বাধ্য হলেন,আমাদের ঢুকতে দিতে।লাঞ্চ শেষে স্যার শফির সাথে হ্যাণ্ডশেক করে বললেন, ‘তোমার ফ্রেন্ড ফিলিংস দেখে আমি অভিভূত।দোয়া করি বাবা,অনেক বড় হও!’’ কিন্তু নাটকটা হল পরের দিন………
একাডেমীর পর শফিকে ডাকা হল প্রিন্সিপাল অফিসে।অফিস থেকে ফিরে এসে যখন ও আমাদের হাউসের ব্যালকনিতে এসে শূন্যদৃষ্টিতে কলেজ মাঠের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল,আমরা দেখলাম শফির কাঁধে ৩ স্টার নাই!ক্রসবেল্ট নাই,তার বদলে ৬ দাগ!বুঝতে বাকি রইল না,প্রিফেক্টশীপ সিজ হয়েছে!আমার চোখে পানি এসে গেল।নিজেকে কতটা অপরাধী মনে হল,বলে বুঝাতে পারব না।৩০ মিনিট পর নোটিশ আসল,আজকে গেমস থেকে নতুন কলেজ প্রিফেক্ট এর দায়িত্ব পাবে আমাদের হাউস প্রিফেক্ট হাসান!এখানেও একটা ব্যতিক্রম দেখা গেল।নিয়মানুযায়ী,সিনিয়র হাউস হিসেবে খালিদ হাউসের হাউস প্রিফেক্ট রকিবের কলেজ প্রিফেক্ট হবার কথা!
যাই হোক,পুরা ব্যাপারটা এতটাই হাস্যকর যে,কি বলব আমরা কিছুই বুঝলাম না।আমাদের ৪ জনের নামে ৩xইডি ইস্যু হল।আর কলেজময় ছড়িয়ে পড়ল,আমরা ৪ জন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সিপিশিপ সিজ করিয়েছি!স্যাররা কানাঘুষা করল!এসব কানে আসা আমার জন্য অনেক পেইনফুল ছিল,আমার এবং আমাদের জন্য……সবথেকে অবাক ব্যাপারটা হল, জাহিদুল ইসলাম স্যার প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে নালিশ করেছিলেন, ‘’শফি নাকি অন্যান্য ক্রসবেল্ট হোল্ডারদের নিয়ে বিদ্রোহ করেছিল!স্যারকে অপমান করেছিল।’’তার এই নালিশের জন্যই এত বড় শাস্তি।অথচ,এত গুলা ক্যাডেট যা দেখল,সব মিথ্যা!
সব থেকে জঘন্য ব্যাপার ছিল,স্যার জুনিয়রদের ক্লাস নিতে গিয়ে বলতেন, ‘আমি বুঝিনা,ফ্রেন্ড কিভাবে ফ্রেন্ডের এত বড় একটা ক্ষতি করতে পারে!এতটা শয়তানি বুদ্ধি এদের মাথায় কেমনে আসে!কলেজ প্রিফেক্টরে নামায় ফেলল ৪ জন মিলে!’ যখন জুনিয়রদের কাছ থেকে এই কথাটা শুনলাম,তখন ঘৃণায় গা শিরশির করে উঠেছিল আমার।মানুষ এত বেঈমান হয়!……
পরের প্যারেন্টস ডে-তে শফির বাবা আর আমার বাবা এবং আমরা একসাথে বসে আছি,এমন সময় প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যার এসে হাজির হলেন।শফির বাবার সাথে হ্যাণ্ডশেক করতে করতে যা বললেন তা হল, ‘I am definitely sorry for what he has done!আমি নিজের হাতে অ্যাপুলেটটা পড়ালাম আর আমি নিজেই তা টেনে ছিড়লাম!ছেলেটাকে আমি ভালোই ভেবেছিলাম!ওই কাল্প্রিট গুলার জন্যই আপনার ছেলের এই দশা।” আমি পাশে দাঁড়ানো,আমার বাবা আমার পাশে দাঁড়ানো।প্রিন্সিপাল আমাকে চিনেন না অথচ আমাকে নিয়েই গালমন্দ করে গেলেন!আমার বাবা এখনো জানেন না,ওইদিন কাদেরকে স্যার কালপ্রিট বলেছিলেন!শফি হয়ত ওর বাবাকে আসল ঘটনা খুলে বলেছিল,আঙ্কেল কখনও আমাকে কিছু বলেননি।কিন্তু আমি আমার বাবাকে কিছুই বলতে পারিনি,কারণ আব্বু শফিকে অনেক পছন্দ করেন,আমাকেই আসল কালপ্রিট ভাববেন,আমি নিশ্চিত!……..
পাবনা ক্যাডেট কলেজের ১২শ শ্রেণীর ক্যাডেটরা মানে আমাদের একই ব্যাচের ছেলেরা ওই বছর এক্সকার্শনে আমাদের কলেজে এসেছিল।তারা ২ ঘন্টা আউটিং এর জায়গায় ৪ ঘন্টা সময় নিয়েছিল।যে কারণে আমাদের কলেজে আসতে তাদের লেট হয়েছিল।সেই সুবাদে আমাদের প্রিন্সিপাল আর অ্যাডজুটেন্ট মিলে তাদের প্রিন্সিপাল-অ্যাডজুটেন্টকে এমন উস্কানি দিলেন যে………কলেজে ফিরে গিয়ে তাদের পুরা প্রিফেক্টদের সেটটাই ক্যান্সেল করা হয়েছিল।নতুন ১৬ জনকে প্রিফেক্ট করা হয়েছিল!…..কি লঘু পাপে কি গুরু দন্ড!
আইএসএসবি-তে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ”তোমার ক্যাডেট কলেজের ক্যারিয়ার তো খারাপ না,তুমি প্রিফেক্টশীপ পাওনি কেন?” আমি জবাবে বলেছিলাম, ”স্যার,আমার চেয়ে যোগ্য আরও অনেকে ছিল।তারাই প্রিফেক্ট হয়েছে।”জি.টি.ও আবার জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমার কি মনে হয়,তুমি প্রিফেক্ট না হয়ে ভালো ছিলে?’।এর জবাবটা আমি ঠিকমত দেইনি,কলেজের স্মৃতি আমাকে একটু রুষ্ট করেছিল।আমি বলেছিলাম, ‘স্যার,আমার কলেজে প্রিফেক্ট না হয়েই আমি অনেক ভালো ছিলাম।ক্ষমতা ছাড়া প্রিফেক্ট হয়ে কোন লাভ নেই।অথরিটির প্রতিনিধি হয়ে লাভ নেই,প্রিফেক্টস আর ফর ক্যাডেটস,নট ফর অথরিটী!’ আমার এই কথা শুনে তারা কিছুক্ষন চুপ করে ছিলেন।আমি এখনো মনে করি,এই জবাবটা দেয়া আমার ঠিক হয়নি,অন্তত ওই সিচুয়েশনে।কিন্তু বিবেকের কাছে আমি পরিস্কার………
………অনেক কথা লিখে ফেললাম।স্মৃতিচারণ করি অনেক কিছুই,সব যে হাস্যরসাত্মক হতে হবে,এমন তো নয়।আমরা যারা ক্যাডেট,তারা জানি প্রিফেক্ট জিনিসটা ক্যাডেট কলেজে কত বড় একটা ব্যাপার।এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটাকে যখন এত গুরুত্বহীন করা হয়,তখন তা মনে একটা দুঃস্মৃতি হিসাবেই ঠাঁই পায়।আশা করি কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিতে বিচার করবেন না………
Valo hoise lekha 🙂
😮 ব্যাপক মজা পাইলাম 😮 🙂 ধন্যবাদ......সার্থক :hatsoff:
মজা পাইলাম =)) =)) =)) =)) =))
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
x-( ওই ব্যাটা,এই সিরিয়াস পোস্টে এত মজা পাওয়ার কি আছে??????? 😡
:chup: লাগা :frontroll:
আছিব
তোর উপর আমার ভীষণ রাগ হইতেছে... এইসব কথা মনে করায়া দেয়ার জন্য তোরে ভ্যাঞ্চাই। আমি জানতাম তোরা অনেক বাজে টাইম পার করছিস, কিন্তু সেইটা এইরকম খারাপ সেইটা শুনিনি। আমার মনে হইলো আমাদের সময় আমরা অনেক ভালো ছিলাম!! অথচ শিক্ষক নামক সেই চতুর্পদ প্রাণী মফিজ মিয়ার সাথে আমার সেই ঘটনার পর কলেজের প্রতিটি জিনিসে অভক্তি লাগতো। যা-ই দেখতাম, নিজেকে সান্তনা দিতাম, কোনরকম পালায়া বাঁচি!
এই লেখা পড়তে গিয়া সমস্ত বাজে ফিলিংসগুলা (যেইসব অলওয়েজ ধামাচাপা দিয়া রাখি) সেইসব মনে পইড়া গেলো!! এই পাক্কা ৫ বছর পরেও আমার ঘৃণা এতটুকু কমে নাই দেইখা নিজেরে নিয়া চিন্তায় পড়ে গেলাম!! আসলে আমার অনেকবার লিখতে ইচ্ছা করছিলো এই অদ্ভূত ব্যাপারগুলো নিয়ে, কিন্তু হাত এগোতে চায়না বিশ্রী অনুভূতিগুলোর সাথে অনেকক্ষণ থাকতে হবে এই ভয়ে! 🙁
আমার কাছে মনে হইছিলো, পাওয়ার খর্ব করা হলেও আমাদের প্রিফেক্টগুলোর বেশিরভাগই চমৎকার (যেটা আমরা আশা করতাম) হয়েছিলো। আল্লাহর রহমতে কলেজের সামনে কোনদিন ঝাড়ি খাই নাই ( যা কিনা স্বাভাবিক হয়ে যাইতেছিলো প্রিফেক্টদের জন্য) ... অথচ ইফতেখার ভাই, রিজওয়ান ভাইরা কী দারুণ সময়ে পার করছিলো!! স্যাররা কী ভীষণ সুন্দর করে ব্যবহার করতেন উনাদের সাথে!! শুধুই প্রবাদপ্রতিম...
ভাই,আমার কী দোষ। :(( বিষময় এইসব স্মৃতি শেয়ার করে যে কী শান্তি পাইতেছি O:-) ,মুখে বা লিখে প্রকাশ করতে পারমু না। :-B অনেক চিন্তাভাবনা কইরা লিখছি বস :hatsoff: গালি আসছে,লিখতে গিয়েও অতি কষ্টে সাম্লাইছি x-(
এখন কী যে শান্তি লাগতেছে আপনারা পরতেছেন দেইখ্যা :goragori: 😡
দোস্ত ঘটনাগুলা কলেজে থাকা অবস্থাতেই শুনছিলাম...তবে এত বিস্তারিতভাবে জানতাম না । শেয়ার করার জন্যে থ্যাংকস ।
🙁 বিশ্বাস স্যাররে আমরা ৪ বছর পাইছিলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে :(( :(( । এত কড়া বেতের বাড়ি আর কারও কাছে খাইছি বইলা মনে পড়ে না... :chup: । বুড়া মানুষের গায়ে এত জোর ক্যামনে থাকে সেইটাও একটা রহস্য :dreamy: !!!
:gulli: ওইটা শয়তানের উপাসক। x-( শিওর ৭১ এ রাজাকার ছিল। :duel:
ঘটনা ঘুলা যে কত রটনা হিসেবে ছড়াইছে আল্লাহই জানে। :no:
:)) আমরা অন্য ক্যাডেট কলেজের পোলাপানের কাছে শুনি,যে শফি নাকি পুরা রিভোলিউশন ঘটাইছে,ডাইনিং এ প্লেট ছুঁড়ে মারছে,আরও কত চাঁপা :khekz: =))
অথচ,ঘটনা কতটা মামুলী ;))
ভাইয়া সমস্যাটা অনেক ভালভাবে তুলে ধরেছেন
হুম,ধন্যবাদ বুঝার জন্য।
ওল্ড ব্যাচের ক্যাডেট ভাইরা আসলেই বুঝবেন না ,ক্যাডেট কলেজ কত বিবর্তিত হয়েছে এই ক বছরে
বিষয়টার অনেক গুরুত্ব আছে।ক্লাসমেটরা চায় প্রিফেক্টদেরকে হেল্প করতে।কিন্তু কতিপয় টিচার এমন একটা সিচুয়েশন সৃষ্টি করেন যে...তোমরা ক্লাসমেট বা ক্যাডেটদের জন্য না,অথরিটির জন্য। একটা ১৭-১৮ বছরের ছেলে বা মেয়ের জন্য এটা অনেক মানসিক যন্ত্রণার।
আমি এই ব্যাপারটাই বলতে চাইছিলাম,নেতৃত্ব দিয়ে যদি তা ব্যবহার অথবা প্র্যাকটিসের অধিকার খর্ব করা হয়,তাহলে সেই নামমাত্র নেতৃত্ব কী দরকার?
আমাদের ছেলেপেলে ওই বয়সেই যথেষ্ট মানসিক পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছিল।
আপডেটঃ ইফতেখার ভাই ৯৪৯ নাম্বার পেয়ে বোর্ডে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। যিনি পরবর্তীতে তুরষ্কের গভমেন্ট স্কলারশীপ নিয়ে ইস্তানবুল টেকনিক্যাল ইউনি থেকে পাশ করেছিলেন। এখন সপরিবারে (ভাবী সহ) তুরষ্কে একটা সফটওয়্যার ফার্মে আছেন।
রিজওয়ান ভাই মনোবুশো স্কলারশীপ নিয়ে জাপানে গিয়েছিলেন এবং এখনো সেখানেই আছেন...
আর, এলএম-এ উনি যেই গানটা গেয়েছিলেন তা হলো "তুমি আমার সুরে সুরে" 😀 আমি ওইবার গেছিলাম তো! তাই মনে আছে আরকি!! 😛 চ্যাম্পিয়ন হইছিলাম রিজওয়ান ভাই (৩২), সাঈদ ভাই (৩১), আজিজ ভাই (৩২), সাজজাত ভাই (৩২), ইশতিয়াক ভাই (৩৩), সাঈদ ভাই(৩৩), ইমরান (৩৭) সবাই ফার্স্ট অথবা সেকেন্ড হইছিলো। ওইবার আমাদের লোয়েস্ট প্লেস ছিলো একটা মাত্র ইভেন্টে ৬ষ্ঠ। এছাড়া সবাই মেডেল পাইছিলো... আহারে!! কী মজা লাগে চ্যাম্পিয়ন হইতে!! :dreamy: :dreamy: :dreamy:
~x( ভাই,দেখছেন আমি স্মৃতিবিভ্রাট করে ফেলছি।ইশশিরে. x-( ..........পুরাই উল্টায় ফেলছি,তয় আমার মত আমক্যাডেটের চেয়ে আপনার মত বসরাই এসব খবর ভালা রাখবেন। :shy: :boss:
রিজওয়ানভাই,প্র্যাকটিসে স্বপ্নচারিণী গানটা গাইছিল,তাই ব্লগ লেখার সময় কম্পিটিশনে গাওয়া গানটা ভুলে গেছি।যাই হোক,মনে করায় দিয়া বিরাট উপকার করলেন :salute:
:bash: কতই আর মনে রাখা যায়,১০ বছর হইয়া যাইতেছে 😕
২০০০ সালের আইসিসিএলএমএমে আরসিসি এতই দুর্ধর্ষ পারফর্ম করেছিলো যে এই মানুষগুলোর নাম পরের বছরের আইসিসিতে গিয়ে আমরা জেনে যাই।বসদের সালাম!
ভাই,আমাদের গর্ব ওই লিটারেচারেই 🙂 ,সংগীতে আমাদের কলেজ বরাবরই চ্যাম্পিয়ন,তয় লাস্টের দিক থেকে 😛
B-) ২০০১ এ জেসিসি চ্যাম্পিয়ন হইছিলো,আমি সেই টিমের সদস্য ছিলাম।তয় ভেন্যু কই ছিলো জিগাইছনা 🙁
মাস্ফ্যুদা, আমার পিসিসির এক দুস্ত কইছিলো যে, ইন দ্যা ইয়ার দুই হাজার এক, আইসিসিএলএমে এক ভরাট কন্ঠের লম্বা চওড়া বিরিক্ষরে ওগোর নাকি কুব্বালা লাগছিলো। 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:pira:
আর তারিক হাউসের হাউস প্রিফেক্ট ছিল জিন্নাতুন। আমি না...
:khekz: :khekz: :khekz:
জোস তো। আর দুইবার ওরা এরকম করলে কি ক্লাশ ১১ থেকে প্রিফেক্টশিপ দিতো?? :goragori: :goragori: :goragori:
তোরে পাঁচ তারা দিয়া গেলাম।।
আরে ভাই, 😀 পিসিসি :gulti: গুলা সেদিন অনেক আজাবের উপরে দিয়া গেছে।তাই ওগুলারে কলেজে কোন রকম টিজ না কইরা মানে মানে কাইটা পড়ার সুযোগ দিছি =))
:just: ওদের সিসিপি টারে সিপি বানায়ছিল,বাকি পুরাই চেঞ্জ 🙁
onek sundor hoyeche vai :hatsoff:
:goragori:
;;; 🙂 :ahem:
লেখাটা পড়ে বেশ মন খারাপ হয়ে গেল।
ক্লাস ইলেভেনে এসে আমাদেরও খুব বড়সড় একটা ধাক্কা খেতে হয়েছিল নিয়ম-কানুন, ঐতিহ্যের বিশাল পরিবর্তন দেখে। আমাদের কষ্ট পেতে হয়েছিল কলেজ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
🙁 ভাই,মন খারাপ করবেন না প্লিজ :boss:
😕 আমরা কলেজ থেকে বের হবার সময় কেউই কাঁদিনাই,ভেবেছি-যাক বাঁচলাম এই শিকারীদের হাত থেকে। :duel:
পরে......কলেজের থেকে যখন দূরে চলে আসছি,তখন আস্তে আস্তে বুঝেছি কী ফেলে আসলাম! :dreamy: :((
there was a time when the set of prefects used to change in every term, so that most percentage of cadets could have the leadership quality developed within themselves. I think that was a nice system.
:thumbup: ভাই,এটা তো খুবই ভালো সিস্টেম ছিল,কিন্তু মামুলী কারণে শাস্তিস্বরূপ সেট টা চেঞ্জ করা হলে তা অপমান জনক হয়।আর লীডারশিপ কোয়ালিটী তখনই ডেভেলপ করে যখন তা প্র্যাকটিসের সুযোগ দেয়া হয়।আমাদের প্রিফেক্টরা খালি পিটি-প্যারেডে কমান্ড দেয়ার জন্যই সুযোগ পাইত মনে হয় 🙁
দোস্ত আমাদের(খালিদ হাউসে) সেন্ট্রাল প্রিফেক্ট তো দুরের কথা......হাউস কালচারাল প্রিফেক্টই ছিলোনা....ভুলে গেলি?? এক হাউসে ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনেরি প্যারেন্টস কল =)) =))
x-( আরে,ভুলিনাই ত,লিখছি দেহস না? :))
পাঁচতারা দাগায়া গেলাম
:ahem: :shy:
😮 এহ.... :chup: ..আইছে.. :duel: .. 😛 ..রেটিং করা শিখে গেছে আইজকাল! :duel:
🙁 আমিও বুঝতেছিনা... :no: ......লেখকের কৃতিত্ব কোন জায়গায় আপনি বলবেন কি? 😛 :-/
তোমার এই লেখাটা পড়ে কষ্ট পাইলাম ভাই ...... আমরা বেশ আরামেই ছিলাম এই দিক থেকে ......
:no: কষ্ট দিতে চাইনি ভাই, :just: দুঃস্মৃতিচারণ করলাম =((
আমাদের পরের ব্যাচগুলাও আরামে ছিল, :just: মরা হিসেবে খাঁড়াটা আমাদের উপর দিয়েই গেছে x-(
🙁 ভাই..আপনাদের জন্য খারাপ ই লাগে...চোখের সামনে অনেক কিছুই দেখছি,...ওই রকম খারাও সময় কলেজে হয়ত আর
কখনো যায় নি...আপনারা যাওয়ার পর [আবু সায়ীদ..+শফিউল্লাহ] জুটিও বিদায় নিল...আমরা ১১ এ আসার পর দুবছর শান্তিতেই ছিলাম..
যদিও প্রিফেক্ট বা সিনিয়র দের ক্ষমতা আগের মত ছিল না..তবে সব মিলায়ে ১ তা ব্যালেন্স ছিল...
:-B ওই ব্যাটা, 😮 তোর মেমরী দেহি মোর চাইতেও হারাপ, ~x( তুই কস কি ও! x-(
:party: আমরা খলেজ ছাড়নের ১-২মাস আগেই ওই ২টা বিদায় নিছিল,ভুইল্যা গেছস? :chup: ওই ১-২ মাস মেজর আসাদ স্যার আর কর্ণেল রেজা স্যাররে কি পরিমাণ জ্বালাইছি সেই কাহিনী পরে কবানি, :guitar: আর জামশেদ স্যারও অনেক পেইন খাইছে আমাগো কাছ থিকা :grr: :gulti:
চরি ভাই... 🙂 আসলে ঐসময় আমরাই এসএসসির ছুটিতে চলে গেসলাম...এজন্য ই সামান্য স্মৃতি ভ্রষ্টতা!!!!
🙁 আরে,আর কইস না,তর আর কি স্মৃতিভ্রষ্টতা হইছে! :chup: আমার তো এত সিরিতি হার্ড্ডিস্কে থুইতা গিয়া সব পেচগি লাইগা গ্যাছে, ~x( 😕 এহন একটা লিখি আর পোলাপান বাহবা না দিয়ে ঝাড়ি মারে :((
জুওলজির জামশেদ স্যার?
আব্বার জিজ্ঞেস বস.........স্যাররে যে হাউস মাস্টার হিসেবে পাইয়া লাস্ট ২ মাস কি পরিমাণ জ্বালাইছি! :grr:
তবে বস,সার্টিফিকেট তুলতে গিয়া স্যারের সাথে সেইরাম খাতির জমাইছিলাম,আমি একাই গেছি,স্যার বাসায় নিয়ে বসাইছিল,ছোট মেয়েটা পায়েস খাইতে দিছিল :dreamy:
x-( থাক আর কিছু কইলামনা- তোর চরিত্র সংশোধনের আশা বহুত আগেই ছাইরা দিছি x-(
😮 এটা কি কইলেন বস,আপনে করবেন চরিত্র সংশোধন!! 😮 তাইলে যতটুকু ভালা ছিল ওইটুকুও কালা হয়ে যাব :)) :grr:
আমি রেগুলার জিনিস গুলা আরাফাতের কাছ থেকে শুনি...আর মনে মনে ইচ্ছা হয় কোপা সামছু হয়ে তোদের ওই আমলের অথরিটি কে কোপাই x-( x-( x-( x-(
:grr: কোপা শামছু হয়ে আপাতত চাইনিজ মাইয়াগোরেই কোপান, 😕 অথরিটি কোপানো লাগব না =)) :)) 😛
নাহ!!!!! পিন্টু খালি খালি হাড়ি থিক্কা মধু বাইর করস :chup: ...এক বারই বলছি..."who's the hottest girl in the world...my desi girl ...desi girl" 😀 😀
দোস্তানার ওই গানটা দেখছেন না বস......''দেশি গার্ল ও দেশি গার্ল........." 😛 :grr:
:shy: ওইখানে প্রিয়াঙ্কার শাড়ি পড়ার স্টাইল দেইখা মামুউউউ... :dreamy: 😡 :gulli:
ইশশিরে, 😕 মাসরুফ ভাবী যে ক্যান সিসিবি পড়ে না :grr:
:shy: কেমনে পড়বে?আমি তো এখনো কুমার :shy:
ছি ছি ছি .. ... শেষ পর্যন্ত চরিত্রবান মাস্ফু ভাইয়ের কুমারত্ব নিয়ে টানাটানি 😛 😛 😛 😛 😛 😛
চায়নিজ মেসেজ পার্লার...নাহ আর কিছু কমুনা কইলে রুবেল লইজ্জা পাইবো ;;;
ভাই আপনাদের এক্সকারসনের কাহিনি এত মন খারাপ হইসে বলার মত না............... :no: :no: :no:
আপনাদের তুলনায় আমাদের এক্সকারসনটা একেবারে গা জালানি এইটা সিওর.....................
আমরা যা করসি এইটা সালাউদ্দীন নয়ন স্যার ছাড়া দুনিয়ার কোন Adjutant মানবে না......................
আমাদের প্রথম আউটিং ছিল রাত বারটায়!!!!!!!!!!!
:goragori: :goragori: :goragori: :goragori: :goragori:
R@fee
শোনো, :-B আমাদের লং এক্সকার্শনটা কিন্তু যথেষ্ট ভালো হইছিল।আমরা পুরা ৭ দিনের সদ্ব্যবহার করছি।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে,অনেক স্পটে আমাদের না নিয়েই বিষু-মেডিকেল অফিসার ফ্যামিলিসহ এক মাইক্রো নিয়ে চলে গেছে।আমাদের কলেজ বাস নষ্ট হইছিল,আমাদের ফেলে তারা ফয়'স লেক ঘুরে আসছে।কক্সবাজারে আমাদের ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা,ক্যাম্পফায়ারে খাসিউ দেয়ার কথা,এইসব দেয়নাই,এই কারণগুলাই আমাদের বিদ্রোহের কারণ :dreamy:
O:-) আমরাও পুরা দুইদিন বীচেই কাটায় দিছি,কক্সবাজার আর ইনানী মিলে ১১ ঘন্টা খালি পানিতেই ছিলাম B-)
x-( x-( x-( x-(
🙁 🙁 :((
দোস্ত আছিব
তোর লিখা পড়ে কি কমু
আমি ক্যাডেট কলেজের স্যারদের লাইফ দুই কর্নার থেকেই দেখছি। বিশ্বাস স্যার আমার পাশের বাসাতেই ছিল।
বর্তমানে আমার deduction একটাই। কেউ যদি কলেজে ক্যাডেটদের পাশে থাকে তাইলে তার উপরে যাওয়ার উপায় কম। সবাই এখন carrier দেখে।
তোর ডিডাকশনে ভুল নাই দোস্ত :boss:
আছিব
তোমাদের মতো এখনকার ক্যাডেটদের জন্যে আমার মাঝে মাঝে বেশ মায়া হয়। কেন জানি মনে হয় ক্যাডেট কলেজে পড়ার সত্যিকারের মজাটা আসলে তোমরা পাওনি।
দোষ তোমাদের নয়, ক্রমেই বদলে যাওয়া সিস্টেমের। কিন্তু এর ভুক্তভুগী তোমরা, মানে গত এক দশকের ব্যাচগুলো। আমি নিশ্চিত তোমাদের কাছ থেকে ক্যাডেট কলেজের গল্প শুনলে যে কারো ক্যাডেট কলেজে পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে, যদিও গল্পগুলো মিথ্যা নয়।
কিন্তু জানো, ক্যাডেট কলেজ এমন নয়। আমি দেখেছি, আমরা দেখেছি। এই যে প্রিফেক্টশীপ দেয়া না দেয়া বা ক্যাডেটদের সংগে স্যারদের আচরণ নিয়ে নানান অভিযোগ শুনলাম এগুলো হয়তো আমাদের সময় অনেক কম ছিল। অথবা আমরা এসব নিয়ে এতো মাথা ঘামাই নি। সময়টা আমরা আমাদের মতো উপভোগ করেছি। কোন স্যার, কোন এডজ্যুট্যান্ট বা কোন নিয়ম আমাদের জন্যে তাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ক্যাডেট কলেজে একটা ব্যাচের প্রধান শক্তি থাকে তাদের বন্ধুত্ব। আমাদের সেটা ছিল। এমনিতেই ৫০ জন ছেলে একসংগে থাকলে একটা স্বভাবিক বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। কিন্তু যে ব্যাচ সেটা ছাড়িয়ে নিজেদের বন্ধুত্বটাকে আরো গভীরে নিয়ে যেতে পারে তাদেরকে এইসব অথারিটি, নিয়ম, শাসন দিয়ে আটকানো যায় না। আমাদের সময়ের ব্যাচগুলোতে আমি এমন বন্ধুত্ব দেখেছি। আমাদের কাছে তাই ৫৬ একরের সেই জায়গাটা হয়ে গিয়েছিল স্বর্গের মতো, সেই ছয়টা বছর ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু এখনকার ক্যাডেট কলেজের গল্প শুনলে মনে হয়, তাদের অভিজ্ঞতাটা আমাদের মতো নয়।
আমি জানি, আমার জীবনের সেরা ছয়টি বছর আমি ফেলে এসেছি ক্যাডেট কলেজে। আফসোস লাগে, তোমরা হয়তো আমাদের মতো করে এই কথাটা কখনোই বলতে পারবে না।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভাই,আপনার কথাগুলো আসলেই অনেক যুক্তিযুক্ত।
কিন্তু,আমরাও অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একতা বজায় রাখতে পেরেছিলাম।এরকম একতার জন্যই আমাদের ব্যাচ থেকে একটি ছেলেও কলেজ আউট হয়নি।আমাদের কলেজে এটা রেকর্ড,আমি যতদূর জানি।
কিন্তু আমাদের দুর্বলতা হচ্ছে আমাদের বাবা-মা।এই দুর্বলতাটাকেই এখনকার অথরিটী কাজে লাগায়।আপনারা দেখেননি বা পাননি,তাই আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এখন সবাইকে পানিশমেন্ট না দিয়ে শুধু কয়েকজনকে দেয়া হয়,যে কারণে সবাই ভয়ে থাকে।
সবার জীবনেই প্রতিকূলতা থাকে।তারপরও আমিও মনে করি,আমার জীবনে ওই ৬টা বছর আসলেই সেরা।
কামরুল তোর কথাটা ঠিক। কিন্তু সত্যি বলতে কি কথায় কথায় প্যারেন্টস কল করলে আসলেই কিছু করার নেই। ক্যাডেট সারা দিনরাত পানিশমেন্ট খেয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাবা মাকে কলেজে ডেকে অপমান করলে বড্ড অসহায় হয়ে যেতে হয়। 🙁
@মিশেল ভাই- ঐ
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মিশেল
হাহাহাহ.........
আমার আঙ্কেলের চেহারাটা চোখে ভাসছে। পেরেন্টস ডে তে উনার সারাদিন কাটতো সোহরাব আলী সাহেবের কাছে তোর অপরাধের ফিরিস্তি শুনতে শুনতে।
সোহরাব আলী সাহেব আমার বাবাকেও খুজতো আমার নামে বদনাম করার জন্যে। কিন্তু আমি তার আগেই উনার নামে বাবার কাছে এতো বদনাম করে রাখতাম যে আমার বাবার ধারণা ছিল, এই লোকটা আস্ত হারামি। তার কথা পাত্তা দিয়া লাভ নাই। (সত্যিকার অর্থেই সোহরাব আলী সাহেব এমন ছিল)।
মোরাল অব দ্য স্টোরি হইতেছে, অথারিটি যদি ডালে ডালে চলে তোমাকে পাতায় পাতায় চলা শিখতে হবে।
একবার শিখে ফেললে ক্যাডেট কলেজের মতো আরামের জায়গা আর নাই। জান্নাতুল ফেরদৌস।
আর না শিখতে পারলে, বের হইয়া আইসা ক্যাডেট কলেজ নিয়া গঠনমূলক সমালোচনা করে দিন পার করতে হবে। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ঐ
টুয়েল্ভ এ আমার ও মুহিব এর প্যারেন্টস ডাকছিলো। তো আমার আব্বু আবার আগে থেকেই একটু অথরিটি বিরোধী। আব্বু প্রিন্সিপাল এর অফিসে ঢুকেই প্রিন্সিপাল রে চার্জ করছে আপনারা কি শিক্ষা দিলেন যে আপনাদের বিরোধিতা করতে হয় (আব্বু আবার ছাত্র অবস্থায় জাসদ করতো)। প্রিন্সিপাল ঝাড়ি খায়া পাঁচ মিনিটে আব্বু রে ছাইরা দিসে। মুহিব এর প্যারেন্টস রেও আর আটকায় নি। অথচ আগের সপ্তাহ গুলোতে প্রত্যেক প্যারেন্টস কল এ প্রিন্সিপাল কমসে কম দুই ঘন্টা কইরা জ্বালাইছে। এর পর প্রিন্সিপাল প্যারেন্টস ডে গুলোতে ট্যুরে আসলে আমার আব্বু দেখলে সেই এলাকায় আর ঢুকতো না।
প্যারেন্টস ঠিক থাকলে আসলে ব্যাপার না।
:)) :thumbup: :boss:
@কামরুল
দোস্ত আমি আসলে আমার কথা বলি নাই। সিনিয়র আর্মি অফিসার হওয়ার কারণে আমার বাবাকে অপমান করা আসলে প্রিন্সিপালের পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। অপরাধের ফিরিস্তি শুনানো অপমানের মধ্যে পড়েও না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে অপমানটা হয়েছে। আর তার সাথে যদি মোটা অংকের জরিমানা যোগ হয় তবে ঘটনা আরো সিরিয়াস হয়ে দাড়ায় অনেকের জন্যই।
সোহরাব আলী স্যারকে তুই যাই ভাবিস না কেন, উনি কিন্তু তোকে বেদম লাইক করত।
একটু শিখায়া দেই। ব্যাচের আর্মি অফিসারের পোলাপাইনগুলারে ফ্রন্টে রাখবা। 😉 আর যদি জেনারাল টেনারেলদের ছেলে থাকে ২/১টা তাইলেতো কথাই নাই। সাঈদ বিশ্বাসরা দেখবা সিঙ্গেল লাইনে ফলইন কইরা মুমিন মুসলমানদের খাতায় নাম লিখাইতাছে। :grr:
নাহ মানুষ হইলি না। এখনো ক্যাডেটই রয়া গেলি 😀
আছিব
ছোট্ট একটা অনুরোধ আছে। লেখায় এবং মন্তব্যে এতো ইমো দিও না। দেখতে বিশ্রী লাগে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভাই,অনুরোধ শিরোধার্য,লেখায় তো দেইনাই ভাই!দোয়া করবেন,মনে কিছু নিয়েন না ভাই প্লিজ
ভাই আপনার এই কথাটা দারুন লাগসে, একেবারে মনের কথাটা বলছেন 🙂
কামরুল ভাইয়ের সাথে সহমত |
এখন প্রিফেক্টশীপ সীজ হওয়াটা একটা রেগুলার নাটক হয়ে গেসে, এইটা আমাদের ব্যাচেও হইসে, আমাদের হাউসের "হাউস প্রিফেক্ট নির্ঝর" আর সেন্ট্রালের "কলেজ ডাইনিং হল প্রিফেক্ট জাহিদ" দুইজনেরই প্রিফেক্টশীপ সিজ হইসিলো | শুধুমাত্র ডিভিডি প্লেয়ার নিয়ে ধরা খাওয়ার জন্য | পরে আমাদের হাইসে কোনো সেন্ট্রালের প্রিফেক্ট ছিল না | আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র ভাইদের সময়েও একই কাহিনী 🙁
তবুও আমি বলবো, আমার জীবনের সেরা ছয়টি বছর আমি ফেলে এসেছি ক্যাডেট কলেজে, হয়তোবা আপনাদের ছয়টি বছরের মত নয়, তবুও আমার জীবনের সেরা ছয়টি |
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ভাই রে,তোমাদের কলেজ শুধু না,এখন সিস্টেমটা আসলেই এরকম হয়ে গেছে,সবকিছুই নড়বড়ে।
''শুধুমাত্র ডিভিডি প্লেয়ার'' এটা শুধুমাত্র হইলে,আমাদের সিপির ফল্ট আণুবীক্ষণিক ছিল। 🙁
কথাটা ওই সময় মুখ দিয়ে জাস্ট বের হয়ে গেছে।আমি ভাবি,ওই কথাটাই আমার পারফরমেন্সের ১২ টা বাজায় দিছে আইএসেসবিতে 🙁
হায়রে প্রিফেক্টশীফ ... ... কলেজ লাইফে সবচেয়ে সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছি মেজর আলমের আমলে ক্লাস টুয়েলভ , এর চেয়ে আমার ক্লাস সেভেনও শান্তিতে ছিলাম। বাস্কেটবল গ্রাইন্ডে পুরো কলেজের সামনে, হাউজ কন্টিনজেন্টে পুরো হাউজের ক্যাডেটদের সামনে, গেমস টাইমে পুরো কলেজের সামনে - এহেন এমন কোন জায়গা নাই, যেখানে মেজর আলম আমাদের ব্যাচের প্রিফেক্টগুলোকে গালাগালি-চড়-থাপ্পর-অপমান করে নাই। এমন কি পুরো কলেজের সামনে আমাদের সব ক্রস-বেল্টদের কলেজ আউট করার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন। পুরো কলেজ লাইফে ED খাইছি ৫টা, আর ডাইনিংহলে খাকি ড্রেস পড়ে ডিনার করছি টানা ১৫ দিন, reason ছিল এটা যে কলেজ CSM (আগের CHM) stuff আহসান (আমাদের হাউজ প্রিফেক্ট) আর আমার নামে কমপ্লেন করছে, আমরা নাকি স্টাফের সাথে বারগেইন করছি আর এডজুটেন্টকে "বাঘ" বলছি ... .. আর তাতেই নোটিস চলে আসল যে, পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারিক আর আহসানের ড্রেস-রেস্ট্রিকশন ... । আরও কত কী ... ... শুধু বাপ-মার কথা চিন্তা করে সব সহ্য করে গেছি ... ... নইলে অমন প্রিফেক্টশীপের খাতাপুরি ... ... আর প্রিফেক্টশীপের ক্ষেত্রে এডজুট্যান্টের "ইচ্ছামতন বাছাই" এসবতো ছিলোই ... ... তা না হলে , অন্তত আমাদের ব্যাচের আরও কিছু ভাল ছেলে ছিল যারা এডু স্যারের ছায়াতলে আসতে পারেনি ... ...
নাজমুল , তুই কই ? তোরাও কিছু লেখ ... ... আর কী কী দেখছিলি ... ... তোরাতো টুয়েলভে সবচেয়ে চাম মারছিস ... ... আমরাও কলেজ ছাড়লাম, আর আলম স্যারও গেল আমাদের ২ দিন পরে ... ...
তবে ভাই, এসব বিষয়ে আপনি যেমনে লিখছেন, অনেক সাহসের পরিচয় দিছেন।
ভাই এদের নিয়া মিছিল করতে হয় লিখা কি লাভ বলেন 🙁
হায়রে ,ভাইরে,তুই তোর যে কাহিনী কইলি,আমাদের টার চেয়ে কোন অংশে কম না! আসলে,এই নরপিশাচ গুলা ক্যাডেট আর প্রিফেক্টদের নিজেদের প্রতী্যোগী ভাবে,মনে করে ক্যাডেটদের সাথে তাদের 'ভাব'-এর কম্পিটীশন লাগছে!!ভাই,বয়সেরও তো একটা ব্যাপার আছে!১৭-১৮ বছরের ছেলেমেয়ের সাথে ভাব মেরে কী লাভ??? x-(
তবে ভাই, এসব বিষয়ে আপনি যেমনে লিখছেন, অনেক সাহসের পরিচয় দিছেন।
ওই ব্যাটা,এটা কি কইলি রে?ব্লগে সব ধরণের টপিক নিয়েই আলোচনার সুযোগ আছে,এটা একটা প্লাটফর্ম।কাজেই,কারো ক্ষতি না করে,রেড বুক মেনে সবই লেখা যায়।সাহস না,''সীমা-লংঘন-বোধ'' থাকতে হয়। 😕
১৭-১৮ বাদ দে, ১৩/১৪ বছরের একটা বাচ্চার সাথে কিছু কিছু বাপ/দাদার বয়েসি শিক্ষক এমন ব্যবহার করতেন মনে করলে লজ্জায় মুখ লুকাইতে হবে।সৌভাগ্যের বিষয়-অন্ততঃ আমাদের সময়েও ক্যাডেটদের নিজের সন্তান মনে করা মানুষজন ছিলেন এবং তাঁদের সংখ্যাটা একেবারে কম ছিলোনা-তাই মনে হয় ক্যাডেট লাইফটা পার করতে পেরেছি...সেইসব স্যার ম্যাডামদের সেলাম :hatsoff: :salute:
ভাই,অনেক ভালো মানুষকে আমরা শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি।
যেমন-ফিজিক্স এর গোলাম মোস্তফা স্যার,বাংলা-শাহজাহান আলী স্যার,ইংরেজি-শ্রী নীরদবরণ সরকার স্যার,পৌরনীতি-শরীফুজ্জামান স্যার.........আরো অনেকে ,সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম :salute:
ঁ@আছিব ভাই, ব্লগে লিখছেন- এজন্য "সাহসের পরিচয়" বলি নাই, বরং এজন্যে বলেছি যে: এসব বিষয়ে লিখতে গেলে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয় কারণ কখন কোন কথা/কমেন্টে নিজেরই কোন ব্যাচমেট (হয়ত সে প্রিফেক্ট ছিল, কিন্তু আপনার দৃষ্টিতে তার চেয়ে যোগ্য কেউ ছিল) আবার কষ্ট পেয়ে বসে ।
হুম,তোর কথা ঠিক আছে ভাই,সতর্কতা নিয়েই লিখছি,দেহস না কারো নাম উল্লেখ করিনাই। 😕 পড়ছে কয়েকজন,এহনও কেউ কিছু কয়নাই,তয় ভয়ে আছি 😕
@ কামরুল ভাই,
ভাই, আমরাও এসব নিয়ে মাথা ঘামাইনি, এ বিষয়ে একটা পোস্ট পেলাম, তাই সামান্য স্মৃতিচারণ করলাম !!! কিন্তু মেজর আলম আমাদের ব্যাচের প্রিফেক্টদের সাথে পুরো কলেজের সামনে যে সব অপমানজনক আচরন করছে, তা একজন সিনিয়রের জন্য খুবই অপমানজনক, গেমস টাইমে পুরো কলেজের সামনে "কলেজ গেসম প্রিফেক্ট"কে চড়ের মহড়া দেয়া ইত্যাদি ... ...
x-( খুবই অপমানজনক,একজন প্রিফেক্ট সামান্য হলেও কিছুটা শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য।
@কামরুল ভাইঃ ভাই,আপনিই বলেন,এরকম আচরণ করলে আমরা কিভাবে ''গঠনমূলক সমালোচনা'' না করে থাকতে পারি? ''মোরাল অব দ্য স্টোরি হইতেছে, অথারিটি যদি ডালে ডালে চলে তোমাকে পাতায় পাতায় চলা শিখতে হবে।''
আপনি হয়ত এই মুরাল নিয়ে চলতে পারেন,আমরা অনেকেই তা পারি না।কারণ,মাঝে মাঝে অত্যাচার সহ্যসীমা অতিক্রম করে যায়,তখন বিবেকই কথা বলে।
তারিক/আছিব
কী বলবো বল!
তোমাদের এই সব গল্প শুনে একটু আশ্চর্যই লাগছে।
যে সময়টা আমরা পার করে এসেছি তখন ক্যাডেট কলেজে স্যার/এডজ্যুট্যান্টরা এতোটা 'সাহসী' হয়ে উঠেননি। ক্যাডেট কলেজে তখন শুধু ক্যাডেটদের রাজত্ব ছিল।
প্রিফেক্ট কেন, ক্লাস ইলেভেন/টুয়েলভের সঙ্গে কথা বলতেও স্যাররা বেশ ভাবনা চিন্তা করতেন। এর মধ্যেও দুয়েকজন ব্যতিক্রম ছিলেন না যে তা নয়, কিন্তু তারাও বোধহয় তোমাদের এই স্যারদের মত 'খারাপ' ছিলেন না।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
জ্বী ভাই,ক্যাডেটদের রাজত্ব আমরাও ফিল করতাম ক্লাস ৭ম -৮ম এ,আপনারা যখন বেরিয়ে আসলেন তখন।এরপর থেকেই এত পরিবর্তন...............
@ আছিব/কামরুল ভাই,
ক্যাডেটদের ডিসিপ্লিন রক্ষার দায়িত্ব যেদিন থেকে ক্যাডেটদের হাত থেকে নিয়ে অথরিটির হাতে দেয়া হল সেইদিন থেকেই ক্যাডেট কলেজের পতনের শুরু বলে আমি মনে করি।
একদম হক কথা কইছেন বস।
এখানে এজি সাহেবের হাত ছিল,আমার মনে আছে ২০০৪ এ নতুন এজি স্যার এসে সব ক্যাডেট কলেজের জন্য অভিন্ন একটা নীতিমালা-মানে,ক্যাডেটরা কি কি করবে কখন কখন,এসব প্রণয়ন করল,তারপর থেকেই স্যাররাই সব দায়িত্ব পেয়ে গেল।
বুঝাইতে পারলাম কিনা আমি নিজেই বুঝতেছি না। 😕
আছিব ভাই, লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। সত্যি বলতে এধরণের অযাচিত এবং নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ কলেজ কর্তৃপক্ষকে ক্যাডেটদের কাছে আরো ছোট করে দেয়।
আমরা আসলেই যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ আমাদের প্রিফেক্ট নির্বাচনের ব্যাপারটা বেশ মানানসই ছিলো; দুয়েকজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছিল, না হলে ১০০% মানানসই বলতে পারতাম। কেন যেন অ্যাডজুটেন্টের কাছে থেকে মোটামুটি ভালো ব্যবহারই পেয়েছিলাম আমরা। মাঝে সাঝে অবশ্য ড্রেস রেস্ট্রিকশন ছিলো; কিন্তু প্রিফেক্টদের অধিকার খুব বেশি ক্ষুণ্ন করা হয়নি আমাদের সময় (যদিও বেশ সিনিয়র ব্যাচের ভাইয়াদের কাছে যেমন শুনেছিলাম, অতটা পাইনি)।
তারপরো কিছু ব্যাপার ছিলো যা মেজাজ খারাপ করিয়ে দিতো।
তবে শুনেছি আমাদের পরের ব্যাচে নতুন অ্যাডজুটেন্ট এবং প্রিন্সিপাল আসবার পর পুরো কলেজে তুলকালাম করে ফেলেছিল।
আইএসএসবিতে আপনার কথাটাকে :salute: । কেবল কাগুজে অধিনায়ক বানিয়ে লাভ কী, তাতে তার নেতৃত্বকেই বরং উপহাস করা হয়।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সবাই তো আর খারাপ না রে ভাই,সবার মানসিকতাও একরকম না।
কারো মন খারাপ করতে চাইনি রে ভাই,আমরা একটা সময় পার পার করেছি,তার মধ্যে সুখস্মৃতিও আছে,দুঃস্মৃতিও আছে।সবই শেয়ার করা উচিত।
রকিব্যা,তুই :salute: মারতাছস,কিন্তু আমারে তো খেদায়েই দিছে মনে হয় এই ডায়লগ শুইনাই,ভালোই তো পারফরম করছিলাম,চান্স তো পাইনাই বাপ। ~x(
ইশশ..ভাই তোমাদের অবস্থা দেখে তো আমার নিজের পার করা সময়গুলোর প্রতি ফিলিংস আরো বেড়ে গেল..ব্যাপক মন্জায় ছিলাম...সিরাম প্রিন্সিপাল..সিরাম এডু.. :awesome:
ব্যাপার্নাহ..সময় থাকতে সিসিবিতে এনজয় কইরা নাও...পরে কি হইব কিচ্ছু কিন্তু কওন যায়না.. :grr: :grr:
ভাই,কি আজাব-গজবের পূর্বাভাস দিলেন কিছুই তো ঠাওর কর্বার্পার্লাম না! 😕
যতদূর জানি ক্যডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্টরা এক্স-ক্যাডেট হয়। কিন্তু, এই যে মেজর শফিউল্লাহ মাস্তান,মেজর আলম, আমার কলেজে দেখেছি মেজর জিয়াদ(এক্স এমসিসি), স্কোয়াড্রন লিডার চৌধুরী এবং আরও অনেকে............ উনারা কি ক্যাডেট কলেজে পঞ্চইন্দ্রীয় বন্ধ করে চলাফেরা করতেন? নাকি সেনাবাহিনীতে আসার পর উনাদের ক্যাডেট কলেজের স্মৃতি মাথা উধাও হয়ে গেছে?
অ্যাডু হওয়ার ভাবে অন্ধ হয়ে গেছিল ভাই
মনে কয় ওগুলান স্পাই আছিল। বলতে খারাপ লাগে আসলে। জীবনে আগে কখনো দেখি নাই, শুনি নাই, তাও যেকোনো ক্যাডেট কলেজের বড় ভাই/আপু জানতে পারলে সাথে সাথেই মনে একটা শ্রদ্ধাবোধ চলে আসে। এটা কি তারা বুঝে না। আমাদের এ্যাডজুটেন্টদের দেখেছি রাত ১২টা/১টার দিকে হাতে বেত নিয়ে হাউজে আসত। সিগারেটখোরদের ধরে পিটিয়ে, পানিশমেন্ট দিয়ে ছেড়ে দিত। হায়ার অথরিটি কোনদিন জানতেও পারত না। যেকোনো ফল্টে সান্টিং বা পানিশমেন্ট কোনটাই কম হতো না। কিন্তু কোনদিন দেখি নাই কোনো জুনিয়রের সামনে কোনো সিনিয়রকে অপমান করতে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত শ্রদ্ধা করে যাব তাঁদের। আসলে শ্রদ্ধা আদায় করার জিনিস, জোর করে ছিনিয়ে নেয়া যায় না। আরো অনেক আজেবাজে কথা মাথায় আসছিল। কিন্তু না বলাই শ্রেয়। শত হলেও কোনো না কোনো কলেজের বড় ভাই উনারা। 🙁
amader somoy amader tokhonkar maal eaa ajom(?) principal 12 er kisu room niya prefect's block name ekta block banaicilo, jeikane mango class 12 er probesh nished asilo..... ei rokom hajar niyom ostade start korsilo....
ওরে,সারছে,এত আরো এক কাঠী সরেস ছিল ভাই!!
মালদা আরো যা যা করছে, মালডার কথা মনে পরলে **রে ****** ইচ্ছা করে।
**মালডা
দুঃখ এক্টাই এই টাইপ মাআআআআল গুলারে সাইজ দিতে পারুমনা, মাল গুলা ইচ্ছা মতো আমাদের গর্বের ক্যাডেট কলেজের ১২টা বাজাইয়া দিতেছে।
লেখাটা খুবি ভালো লাগলো। কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেলো ডিফেন্সের চামচামি স্বভাবটা রুট লেভেলে ছড়াতে ছড়তে এখন ক্যাডেট কলেজ এও শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
ভালো বলছেন ভাই
চামচামি কি খালি ডিফেন্সে রে ভাই? এমএসসিতে ঢাকা ভার্সিটিতে ফার্স্ট ক্লাস থার্ড আমার বাপরে(প্রাক্তন সিভিল সার্ভিস অফিসার) উনার ইন্টার-ফেল সন্ত্রাসী মন্ত্রীরে ৫ মিনিটের ফোন কলে গুইনা গুইনা ৪৩ বার স্যার কইতে শুনছি 🙁 এইটা খালি ডিফেন্সের সমসযা না,আমাদের জাতিগত সমস্যা।২০০ বছর ব্রিটিশদের আর ২৪ বছর পাকিদের ল্যাট্রিন সাফ করতে করতে সেই অভ্যাস এখনো আমাদের যায়নাই।অফিসার তো দূরকি বাত,সরকারী অফিসের পিয়ন সাধারণ মানুষের সাথে যেই ব্যবহার করে তাতে ব্রিটিশ লর্ডরাও মনে হয় লজ্জা পাবে-আর ম্যাঙ্গো পাবলিকও উপায় না দেইখা তেল দিয়াই যাইতেছে।ফলাফল-দুষ্টচক্র কন্টিনিউস...
জাতিটাই যেখানে দুষ্ট,সেখানে দুষ্ট চক্র বলে আলাদা কোন জিনিস নাই ভাই।
বাঙ্গালী জাতির জীবনচক্রটাই একটা দুষ্ট চক্র
নিজেই লজ্জা পাইতাছি
অনেক কমেন্টস এবং ভাইয়ার লেখা পড়ে একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু চিন্তা করলাম না থাক ভাইয়ার লেখায় কমেন্ট করি।
মেজর নুরুল আলমঃ তিনি গর্ব নিয়ে বলতেন তিনি হাউজ প্রিফেক্ট থাকাকালীন স্যারদের হাউজে ঢুকতে দিতেননা। কিন্তু আমাদের সময় আমরা আমাদের সিনিয়র হাউজ প্রিফেক্টকে মার খেতে দেখেছি, ক্লাস ১২ এর ক্যাডেট ভেকেশন থেকে দেরি করে এসেছে বলে মাথায় ব্যাগ নিয়ে গেমস টাইমে চক্কর দিতে দেখেছি, কলেজ গেইমস প্রিফেক্টকে দেখেছিলাম চড় খেতে ভলিবল খেলার সময় হাসার কারণে। উনি না ক্যাডেট না আর্মি অফিসার?? না একটা মানুষ!!! যিনি ক্যাডেটদের বাবা মাকে ফকির বলতো তার বাবা অর্থের দিক দিয়ে না হোক মনের দিক থেকে কি সেটা যানিনা। নুরুল আলম স্যার এর বাবা মা বোধহয় ভুলে তাকে কার বাবা মাকে সম্মান করা শেখায় নাই তা না হলে এভাবে কার বাবা মা কে অপমান করা সম্ভব কিনা যানিনা। এটা স্যার দোষ বলা যায়না হয়তো পারিবারিক ভাবেই উনি এসব আদব ছাড়া বেড়ে উঠেছেন।
এসব নুরুল আলম যারা কিনা ক্যাডেট ছিলেন তাদের সাথে মুস্তাফিজ কিংবা আবু সাঈদ বিস্বাস স্যাররা মিলে ক্যাডেট কলেজের বারোটা বাজাচ্ছেন। ক্যাডেট কলেজের বেতন খেয়ে ক্যাডেট কলেজের ক্ষতি ছাড়া কি করছেন যানিনা।
নুরুল আলম স্যার কোন ক্যাডেট গোপনে কি করছে সেটা বের করে গর্ববোধ করতেন কিন্তু ডাইনিং হলের পিছনে খাবার দাবার ইস্যু করতে গিয়ে কি অনিময়ম হচ্ছে সেটা দেখেও দেখতেন না।
এদেরকে কখোনো শিক্ষক এর সম্মান দেয়া যায়না। এরা বেতনভোগি কর্মকর্তা ছাড়া আর কিছু না।
(আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষ্মাপার্থি অনেক বাজে কথা বলার জন্য কিন্তু আমার মনের যা আছে তা এখনো বের করতে পারিনাই। এদের কাহিনী শুনলে এদের কাহিনী দেখলে নিজেকে ঠিক রাখা খুব কষ্টের)
কামরুল ভাই হয়তোবা আপনাদের মতো মজা করতে পারিনাই কিন্তু এসব নুরুল আলম, মুস্তাফিজ কিংবা আবু সাঈদ বিস্বাস কে সাথে রেখেই আমরাও অনেক মজা করেছি আমরাও বলতে পারি
আমি জানি, আমার জীবনের সেরা ছয়টি বছর আমি ফেলে এসেছি ক্যাডেট কলেজে।
নাজমুল ,সত্য সত্যই,সেটা প্রকাশ করাটাই ভালো।তুমি যে কথা গুলা বলে ফেলেছ এই জন্য তোমাকে অভিবাদন জানাই।আশা করি তোমার বুক থেকে একটা বড়সড়ো পাথর নেমে গেল।অন্তত আমার এই ফিলিংস্টা হয়েছে। O:-)
এইসব লোকের এরকম ঘৃণা প্রাপ্যই।কাজেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিনয়ী হওয়ার দরকার নাই :thumbup:
সবেমাত্র গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরলাম।অনেক-অনেক-অনেক কথা মনে পড়ে গেল লেখাটা পড়ে।একটু ধীতস্থ হই,এরপর লিখব।
ভাই...... :salute: ......আপনি গ্রামে গেছিলেন,কয়ে যাইবেন না!!
আমি তো আপনারে ব্যাপক মিস্কর্ছি। :shy:
ভাবলাম, ''একটা হারানো বিজ্ঞপ্তিঃ বস,...আপনি কুথায়?!!'' টাইটেলে একখান পুস্ট দিমু। :hug:
এখনও মডু স্যারের প্যাঁচের ভিতরে থাকি,ভয় লাগে,কখন যে কুন পুস্টের জন্য ডিস্কোয়ালি খাই ঠিক নাই। 😕
আছিব ভাই, আমার প্রথম মন্তব্যটা এডিট করে দেন, অন্যথায় সেটা আমার বক্তব্যের ভুল অর্থ প্রকাশ করছে ... ...
করে দিলাম। 😀
আচ্ছা,তুই কি তিতুমীর হলে থাকিস? B-)
তদের কলেজের মিথুন ভাই কিন্তু আমার জিগরি দোস্ত। 🙂
তিতমীর না, নজরুল। ও মিথুন ভাই, আমারও জিগরি ব্রাদার ... .. তারে খালি আমার কথা জিগাইয়েন, আমার চৌদ্দগুষ্ঠির কথা কইয়া দিবে ... ... আর সাফায়েত ভাইতো ৫ বছরের টেবিলমেট ... ...
আইচ্ছা.........দেখা হবে তর সাথে ইনশাল্লাহ...আমি শের-এ-বাংলা-তে থাকি . B-) .....পড়াশুনা ঠিক রাখিস রে ভাই. 🙂 .............২-২ তে সিএসই গুলা সেইরাম বাঁশ খাইছিল আমাদের সময় 😕
অনেক কথা মনে পড়ে গেল.......ভালো থেক
দোয়া করবেন ভাই :boss:
কিছু কিছু মানুষ নিজেরা ক্রিমিনাল টাইপের হয় তাই ক্যাডেটদেরকেও নিজের মত মনে করে।আমার ভিপি পামোশ আমারে কইছিলো- as the college prefect you are part of the administration first,then a cadet.
উত্তরটা আজো মনে আছে- "I can be a cadet without being part of your administration but it is impossible for me to become a part of your administration without being a cadet.Now you guess where my first loyalty lies"
আমার মনে হয় এই টাইপ লোক ক্যাডেট কলেজে দরকার আছে-নাহলে কখনো জানতামনা যে বাপ মায়ের আদরে মানুষ হওয়া একমাত্র ছেলে এই আমার মত অতি সাধারণ মানুষের পক্ষেও অথরিটির অন্যায় চোখ-রাঙ্গানির জবাব পালটা চোখ-রাঙ্গানির মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব।এই নিয়ে "আমাদের বিদ্রোহ" শিরোনামে একটা ব্লগ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি-স্মৃতি ঝাঁপসা হয়ে ওঠার আগেই দিয়ে দিব আশা করি-দিন-তারিখ মিলিয়ে নেবার জন্য একটু সময় চেয়ে নিচ্ছি।
:salute: :boss:
তাড়াতাড়ি চাই, নাইলে :duel:
তোর ব্লগগুলোর একটা বড় সমস্যা কি জানিস??পড়লেই খুব ভাল লেগে যাই।মনে হয় সব খুব সামনে থেকে দেখছি।
🙁 🙁 🙁 🙁
ধন্যবাদ,তোর মত পাঠক আমার লেখা পড়ে বলেই উৎসাহ পাই, :shy: ভালো থাকিস আর ডাক্তারিটা ঠিকমত পড়িস,খালি ব্লগেই থাকিস না :thumbup:
আমরা পাস-আউট (২০০৪) করার পর শুনেছি জেসিসিতেও একই রকম গজব নেমে এসেছিল। তবে এখন আমার ছোটভাই জেসিসিতে আছে, এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার কাছে শুনলাম এখন পরিস্থিতি অনেকটাই 'স্বাভাবিক'।
osthir lekha asib vai.....great writing!!!!
Сайф