গিফটের প্যাকেটে কার নাম লিখবো ?

( এই লিখাটা আমি গত ২০০৯ এর মে মাসে দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু মাগার অভ্র সংক্রান্ত জটিলতার কারনে এবং আইভোরী কোস্টে থাকায় দেয়া সম্ভব হয় নাই।তাই মাত্র ৮/৯ টি মাস অপেক্ষা করে দেশে এসে সেট হয়ে লিখাটা শেষ করলাম।মে মাসে আবার দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও কোনভাবেই আর নিজেকে অপেক্ষায় রাখতে পারলাম না,দিয়ে দিলাম।যা হউক,সি সি বি তে এইটাই আমার প্রথম লিখা((আগের ছবি ব্লগটা বাদ দিলে;লিখা ব্লগ আর কি))।দেশ ও জনগনের কাছে দোয়া প্রার্থী । )

প্রতি বছর মে মাসটা আসলেই আমার বোন আমাকে ফোন করে মনে করিয়ে দেয়- “ভাইয়া,২০ মে কিন্তু আব্বু আম্মুর ম্যরেজ ডে,মনে আছে তো ?”
– “মনে আছে”।এক রকম নিরুত্ত্বাপ উত্তর দিয়ে আমি আবার আমার কাজ করতে থাকি।খুব সম্প্রতি যোগ হয়েছে আমার বউ।
-“আচ্ছা,বাবা মার জন্য শাড়ি আর পাঞ্জাবি কিনি?”
– কিনে ফেল।
– “আচ্ছা,খুব সুন্দর ২টা ঢাকনা সহ মগ পেয়েছি।কিনে ফেলি?”
– কেন।
– “আচ্ছা,প্যাকেটের উপরে কার নাম লিখব?২ জনের নাম ই লিখি?”
– ঠিক আছে,যেটা ভাল লাগে।

নিরুত্ত্বাপ থাকার যে ব্যাপারটা বলছি এ কারনে যে ২০ মে দিনটার ঠিক এই কারনে আমার কাছে এত গুরুত্ত্ব নাই যে কারনে আমার বোন কিংবা বউ এর কাছে আছে।হুম,বাবা-মার বিয়ের দিনটা আমার কাছে অবশ্যই একটা আলাদা আবেদন নিয়ে থাকে।কিন্তু এই তারিখটাতে তো আমার কাছে অন্য কিছু যা ঐ উপলক্ষ্যকেও ছাপিয়ে যায়।বাবা মার বিয়েটা ১৯ কিংবা ২১ তারিখে হলেও তো সমস্যা ছিল না।কিন্তু ১৯৯৩ সালের ২০ মে দিনটা যদি না আসতো তাহলে তো আমি আজকের এই আমি নাও হতে পারতাম।আর তাহলে এই ব্লগটা কে লিখত?

২০ মে,১৯৯৩।জীবনের বেশ কয়েকটি ২০ মের মত এটাও ঐ এক ই রকম হতে পারতো যদি না ক্যাডেট কলেজের জয়েনিং লেটারে ঐ একই দিন আমাকে জয়েন করতে না বলা হত।নতুন কাপড়ের গন্ধ মেশানো সাদা ফুল শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়ে সুবোধ বালকের মত সামিয়ানার নিচে গিয়ে বসলাম তখন দেখি আমার পাশে আমার মত আরেকজন।সৌভাগ্যক্রমে ব্যাচের সবচাইতে ভদ্র ছেলেটার সংগেই আমার প্রথম পরিচয়।”আমার নাম নাজমুল,আমার বাড়ী যশোর।তুমি?”নিজের পরিচয় দিলাম।এক রকম ভাব নিয়েই দিলাম আরকি।ক্যাডেট বলে কথা।

এক সময়ে প্যান্ডেলের সামনে এসে নুরুজ্জামান ভাই ( টি ভি তে নিউজ পড়ার সময় এখন নিজের নামের এই অংশ বাদই দিয়ে দিয়েছেন;কল্লোল নাম নিয়েছেন আকিকা সহ ) নাম ডাকলেন।হেব্বি ভাব মাইরা গিয়া ব্যাজ ট্যাজ পড়লাম।রিসিপশনের পরে ডাইনিং হলে টি ব্রেক শেষে বাইরে বের হয়েই সিকদার স্যারের সামনে পড়লাম।”হে হে হে,এক রুম্মান আছে,আরেক রুম্মান আসলো,হে হে হে”।স্বপ্ন পুরনের এক রকম ঘোর কাজ করছিল।এ জন্য এই কথার ভেতরে যে আসলে হাসির কি আছে সে প্রশ্ন খুঁজিনি।কিন্তু আমি নিশ্চিত, এর কয়েক দিন পর থেকেই তা খোঁজা শুরু করেছি।যা হোক,সেই স্বপ্ন পুরনের গল্প আসলে আজ বলব না।আজ যেটা বলব সেটা হল ছোট ছোট কিছু ঘটনা যেটার কোনো নাম আমি খুঁজে বের করতে পারিনি।টুশকি আর অন্যান্য নামের সংগে মেলাতে গেলে শুধু আমার মনে “খুশকী” নাম চলে আসে যে নামটা দেয়ার রিস্ক নেয়ার মত সাহস আমার হয়নাই।নিতান্তই অপছন্দ এই জিনিসটা নিশ্চয়ই আমার মত মহান লেখকের অনুপম রচনার নাম হতে পারে না।যা বলছিলাম,এই লেখার বিভিন্ন ঘটনার নায়ক একেক সময়ে একেক জন।কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই তা মেহেদী।ওকে নিয়ে আমি আলাদা “মেহেদীসমগ্র” লিখতে পারব।তবে সেটা পরে।তাই ইচ্ছা করেই ওর ঘটনা আমি বাদ দিয়েছি।তবুও ২/১ টা হয়তো চলেই আসবে।

ক্যাডেট কলেজ মাথায় যেটা ঢুকিয়ে দিয়েছে সেটা হল ক্যাডেট নাম্বার সিনিয়ারিটি থেকে শুরু করা।আমাদের ফার্স্ট ক্যাডেট হুমায়ুন।ক্যাডেট নাম্বার ৭৬৯।পাবলিক স্পিকিং ক্লাশের শুরুতেই বলবে,”স্যার,ক্যাডেট নাম্বার জুনিয়রিটি থেকে হবে”।আর ভাল যে কোনো কাজে সবার আগে বলবে ক্যাডেট নাম্বার সিনিয়রিটি থেকে শুরু হোক।ক্যাডেট নাম্বার অনুযায়ী ডাইনিং হলে টেবিল ডিস্ট্রীবিউশন করা হলে স্বভাবতঃই সে ১ নাম্বার টেবিলে বসতো।তো সিনিয়র ক্যাডেট হওয়ার কারনে ক্লাশ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে সে মাঝে মাঝেই কলেজ প্রিফেক্ট এর কাছে যেত।জুনিয়র ক্যাডেট ; চোখের সামনেই ১ নম্বর টেবিলে বসে।হাই টেবিলের ‘এক্সট্রা’ ২/১ টা আইটেম কলেজ প্রিফেক্ট এহসান ভাই হুমায়ুন কে পাঠিয়ে দিতেন।ব্যাপারটা বাকী আমরা যারা আছি ঠিক সহ্য হ্লনা।হবেই বা কেন?তো আমরা সবাই মিলে হুমায়ুনের ১টা নাম দিয়ে ফেললাম।নাম আসলে কি,ওকে আমরা ‘এহসান ভাই এর বউ’ বানিয়ে ফেললাম।এই সময়ে আমাদের এক স্যার নতুন এসে আমাদের নাম আর বাড়ী বলতে বললেন।সবাই নিজেদেরটা বলছি আর হুমায়ুনের পেছনে লেগে আছি-“হুমায়ুন,ঢাকা ; হুমায়ুন,ঢাকা ; হুমায়ুন,ঢাকা”।আসলে ওর বাড়ী বরিশালে।কিন্ত যেহেতু এহসান ভাইয়ের বাড়ী ঢাকাতে এ জন্য ওর শ্বশুর বাড়ীও ঢাকাই হবে।আর জামাই এর বাড়ীই তো আসলে নিজের বাড়ী।অবাক কান্ড,যখন ওর টার্ণ এল,ও সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলল-“হুমায়ুন,ঢাকা”।ঘটনার সংগে সংগে আমরা একটা ঝাকি খেলাম।পরে বুঝতে পারলাম,সবাই বলতে বলতে এ কথাটা ওর মাথায় এমনভাবে ঢুকে গেছে যে ও দাঁড়িয়ে ওটাই বলে দিয়েছে।

ডাব চুরি,আমড়া চুরি কিংবা হাউস গার্ডেনের আলু চুরি করার সময় আমরা ইমতিয়াজকে ডাকলে ও বলতো “না ভাই,ধরা পড়লে কলেজ থেকে যাওয়ার সময় টেস্টিমোনিয়াল খারাপ দিবে।”তো সবার টিজে এবং এক সময়ে নিজেও থাকতে না পেরে এস এস সি পরীক্ষার সময় ও গেল ডাব চুরি করতে এবং সৌভাগ্যক্রমে ধরা পড়লো এ্যডজুটেন্ট এর হাতে।এই ইমতিয়াজের মাথাতেই একটা বড় কাটা দাগ ছিল।এটাই ছিল ওর ট্রেডমার্ক।তাই বাথরুমে উঁকি মারার সময় ও গেঞ্জি দিয়ে মাথাটা ঢেকে উপরে উঠতো যাতে কেউ চিনতে না পারে।

আহসানুল কবির স্যার পড়াচ্ছেন।বাংলা ব্যাকরণ।’সুন্দর’ আর ‘সৌন্দর্য’ এর পার্থক্য বুঝাচ্ছেন।আমরা কোথায় কি ভুল করি এসব।হঠাত আবিস্কার করলেন মুনতাসির ওর খাতায় কি যেন লিখছে।স্যারের হাতের চক দিয়ে সারা মুখে দাগ দিয়ে পরে বললেন “এটা হচ্ছে একটা সৌন্দর্য গাধা”।ধন্যবাদ স্যার,নামটা এই ২০১০ পর্যন্ত আছে।একই স্যারের পরীক্ষার খাতা দেয়ার সময় দেখা গেল স্যার আসলে খাতায় যতগুলি উত্তর লিখা হয় সবগুলির ই মার্ক দিয়ে যান।ব্যাস,আর যায় কোথায়,মাহিন বাংলার মত পরীক্ষায় ৩টা উত্তর বেশী লিখে ফেললো।আসলে পরীক্ষার খাতায় বেশী নাম্বার পাওয়ার ব্যাপারে মাহিন এক রীতিমতো গবেষক।ইসলামিয়াত পরীক্ষায় নিজের উদ্ভাবিত কোটেশন তো আছেই,প্রশ্ন পাবার আগেই সমস্ত খাতায় টেক্সট মার্কার দিয়ে জলছাপ এঁকে ফেলে।দাড়িপাল্লা ( কারণ অনুমেয়),মেঘ থেকে বৃষ্টি,ঘর ইত্যাদি ইত্যাদি।

ইসলামিয়াতের শিক্ষকরা তো বরাবর ই কোটেশন পছন্দ করেন।কলেজে নতুন নিয়ম চালু করা হল জুম্মার নামাজের খুতবার আগে বাংলা /ইংরেজীতে ইসলামিয়াতের শিক্ষকরা ১টা লেকচার দিবেন।তো শুরু হল।বিল্লাহ স্যার ১ দিন লেকচারের শেষটা করলেন এভাবে-
“ঐ যে কবিগুরু বলেছেন না?

উদয়ের পথে শুনি কার বানী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে আপন প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই সে অক্ষয়।।”
-বুঝেন অবস্থা।

আন্তঃ ফর্ম ডিসপ্লে প্রতিযোগিতা।তো এই সময়ে সব ফর্ম ই তাদের ফর্মকে সাজানোর জন্য যতরকম ক্যারিকেচার আছে তা করে।বিশেষ করে একই ক্লাশের অন্য ফর্মের সংগে তো মারমার কাটকাট অবস্থা।আমরা ঠিক করলাম খুব সুন্দর একটা ওয়াল ম্যাগাজিন বানাবো।সেই অনুযায়ী সব কিছু কিনে আনা হলো।কিন্তূ হঠাত হাইটেক পেনটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফর্ম মাষ্টার কবীর স্যার যারপরনাই বিরক্ত।কেউ কেউ এর মধ্যেই এটাকে ‘বি ফর্মের’ কারসাজি হিসেবে মোটামুটি কনফার্ম।আমাদের রেজাল্ট যাতে খারাপ হয় এ জন্য তারা এ কাজ করেছে।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,ঠিক এই মুহুর্তে নিয়াজ বি ফর্ম থেকে হাসতে হাসতে আমাদের ফর্মে ঢুকলো।কেউ একজন বলে উঠলো,”স্যার,আমাদের মনে হয় নিয়াজ ই ওই কলম টা চুরি করেছে।”বেচারা নিয়াজ;কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও দেখলো যে সে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে কবির স্যারের মারের চোটে।

ক্লাশ সেভেনে আমরা যখন জয়েন করলাম তখন আমাদের ব্যাচের সবচাইতে ছোট সাইজের ছিল তানভির।লম্বায় ছোট হলে কি হবে,গর্বে ক্লাশে ওর বুকই সবচাইতে ফুলে থাকে।তার কারন,ক্লাশ এইটের ফার্ষ্ট বয় আসাদ ভাই ওর রুম লিডার।তো আমাদের রেজা একদিন ওকে বলেই ফেললো-“আচ্ছা,তুই এতো ছোটখাট,ক্যাডেট কলেজে চান্স পেলি কিভাবে?”তানভিরের সগর্ব উত্তর- “ভাল ছাত্র হলে সবই সম্ভব”।এই ১টা ডায়লগই বাকি ৬ বছরের জন্য যথেষ্ট ছিল।কিছুদিন আগে সেই ছোট্ট তানভিরের ই মেয়ে হলো।গ্রুপে ও মেইল ড্রপ করার সংগে সংগে সবার রিপ্লাই-“কনগ্রাচুলেশনস তানভির,ভালো ছাত্র হলে সবই সম্ভব।”

আগেই বলেছি,আমাদের ব্যাচের বড় বড় ঘটনা লিখতে গেলে মোটামুটি ‘মেহেদীময়’ হয়ে যাবে।কিন্তু ২/১ টা ঘটনা এসেই যায়।বাংলার আখতার হোসেন স্যার।আড়ালে আমরা ডাকতাম ‘খলনায়ক’।কি জিনিস সেটা বি সি সির ক্যাডেট দেরকে নতুন করে আর বলার দরকার নাই।যারা দেখেন নি,তাদের জন্য,আখতার হোসেন স্যার এক মুর্তিমান আতংকের নাম।এক ক্লাশে পড়াতে থাকলে তার ২ পাশের ২ ক্লাশ ও চুপ থাকে।এই ভদ্রলোক প্রতিদিন বিকেলে ক্যাডেটদের সংগে ভলিবল খেলতেন।একদিন খেলতে গিয়ে বিধি বাম।ওনার ট্রাউজারের পেছনের সেলাইটা গেল ছিড়ে।স্যার টি শার্ট টা তুলে দিয়ে চলে গেলেন।ঘটনাটা এখানেই শেষ হতে পারতো যদি ব্যাপারটা মেহেদী না দেখতো।কিন্তু ব্যাড লাক।ও দেখে ফেললো।তার কয়েকদিন পরে আমাদের ফর্মে স্যারের বাংলা ক্লাশ।ক্লাশে স্যার আসার আগে মেহেদী কিছুক্ষন চিন্তা করছিল।হঠাত বললো আজ আখতার স্যারকে একটা শিক্ষা দিব।ওরে বাপরে!!!আখতার হোসেন স্যারকে শিক্ষা!!!ঘাড়ে কয়টা মাথা?আমরা জানতে চাইলাম,কিভাবে?ও বললো,আমি দাঁড়িয়ে স্যারকে বলবো স্যার,পৃথিবীতে তো অনেক খেলাই আছে;কিন্তু আপনার মতে পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন খেলার নাম কি?তখন স্যার হয়তো বক্সিং,বাংগি জাম্প ইত্যাদি খেলার নাম বলবেন।কিন্তু আমি বলবো হয়নি।তখন তোদেরকে বলবো তো্রা জানিস?তোরা সব খেলার নাম বলবি একে একে ফুটবল,হকি,ক্রিকেট,বাস্কেটবল-সব।শুধুমাত্র ভলিবল ছাড়া।তখন আমি বলবো হয়নি।আমি স্যারকে বলবো,স্যার,আমার মতে পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন খেলা ভলিবল।কারণ,ভলিবল খেলতে গিয়ে অনেকেরই প্যান্ট ছিঁড়ে যায়।আপনার কি কখনো ছিঁড়েছে স্যার?আমরা প্ল্যান শুনে হতভম্ব।এই প্ল্যান এক্সিকিউট না করানোর জন্য আমাদেরকে মেহেদির পা ধরার মত অবস্থা হয়েছে।

আরেকদিনের ঘটনা।ক্লাশ টুয়েলভের শেষ দিকে।ততদিনে ফর্ম মাষ্টার পরিবর্তন হয়েছে।নতুন ফর্ম মাষ্টার ফজলুল করিম স্যার।ফর্ম ক্লাশ চলছে।হঠাত মেহেদী দাঁড়িয়ে বলে,স্যার,আমরা তো চলে যাবো।তো যাওয়ার আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কলেজ কিংবা হাউজকে তো কিছু দিবই,সব স্যারদেরকেও কিছু না কিছু দিব।আমরা আকাশ থেকে পড়লাম।কি বলে?এই ধরনের কোন সিদ্ধান্ত তো হয়নি!ও তখন প্রস্তাবনার বাকি অংশ পেশ করলো।এখন স্যার,সব স্যারদের কে দিবই।কিন্তু আপনি হলেন গিয়ে আমাদের ফর্ম মাষ্টার।আপনি তো সবার থেকে আলাদা।কাউকে দিব শার্ট তো কাউকে প্যান্ট।কিন্তু আপনাকে দিব ১টা পুরো সেট।এখন চয়েজ আপনার।আপনার জন্য অপশন হচ্ছে- ফুল প্যান্ট-ফুল শার্ট,হাফ প্যান্ট-হাফ শার্ট নাকি গেঞ্জি-আন্ডার ওয়্যআর।স্যার শুনেও না শোনার ভান করলেন।মেহেদীর সংগে ওটা করাটাই আসলে বুদ্ধিমানের কাজ।কিন্তু মেহেদী ও নাছোড় বান্দা।ও আবার বললো-স্যার আপনি বোধহ্য় শো্নেন নি।আমি আবার বলছি,আপনার জন্য অপশন হচ্ছে- ফুল প্যান্ট-ফুল শার্ট,হাফ প্যান্ট-হাফ শার্ট নাকি গেঞ্জি-আন্ডার ওয়্যআর।ভাগ্যিস,ফর্ম ক্লাশের ঘন্টা বেজে গেছে ততক্ষনে।স্যার পালিয়ে বাঁচলেন।

আমাদের প্রোপার ক্যাডেট আব্দুল্লাহ।যেটা করবে,প্রোপারলি করবে।দৌড়;সেটা কমপিটিশন হো্ক কিংবা পানিশমেন্ট-সে আগে আসবে।রুম ঝাড়ু দিবে-ঘাম ঝড়িয়ে।ডাব কিংবা আমড়া চুড়ি করার সময়ও এমনকি প্রোপারলি গাছে উঠবে,গাছ থেকে নামবে।মুখ দিয়ে ডাব ছিলে ফেলার এক অভাবনীয় ক্ষমতার অধিকারী সে।ক্লাশ ইলেভেনের ঘটনা।কালচারাল প্রোগ্রাম।অনুষ্ঠানের প্রথম সিকোয়েন্সটা ছিল বাথরুমের।হাউসের বাথরুমে যে সব দুষ্টামি হয় আর কি।তো ঐ অংশের শেষ দৃশ্য ছিল পাশাপাশি ৫টা বাথরুমে থেকে একসময় সবাই বের হয়ে আসবে।খালি গায়ে,টাওয়েল পড়া।কিন্তু বের হয়ে নিজেদেরকে এত দর্শকের সামনে এ অবস্থায় দেখে চিতকার দিবে,লাইট নিভে যাবে।ঐ সিকোয়েন্সে অংশ নেয়া সবাই ই মোটামুটি টাওয়েলের নিচে শর্টস পড়া ছিল শুধুমাত্র আব্দুল্লাহ ছাড়া।ও এখানেও প্রোপার।একবার চিন্তা করেন,খুলে গেলে কি হতো!!!!

প্রতি ব্যাচেরই আর্টস পার্টির মোটামুটি করে ২/১ টা ঘটনা থাকেই।আমাদেরও আছে।ক্লাশ টুয়েলভে এসে আমরা এক সময়ে আবিস্কার করলাম যে প্রতিদিন সকাল সোয়া ১০ টায় আমাদের আর্টস ক্লাশের পার্শের কলেজ বাউন্ডারী ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে এক সুন্দরী মেয়ে (নাইন/টেনে পড়ে হয়তো) কলেজ ক্যাম্পাসের শিশু নিকেতন স্কুলে যায়।ব্যাস,আমাদের প্রতিদিনের ডিউটি হয়ে গেল ১০টা ১০ বাজলে জানালার পাশে চলে যাওয়া।প্রথম ২/১ দিন কিছু বললাম না।শুধুই দেখলাম।তারপর একটু ইশারা,একটু আওয়াজ।মেয়েও আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়।আমাদের আর তখন পায় কে?এক সময় নাম ও জিঞ্জেস করি।কিন্তু তার পক্ষ থেকে ঐ হাসি পর্যন্তই।আমরা নিরাশ হই না।একটা নাম ও দিয়ে দেই এক সময়ে- ‘সুস্মিতা’;বিশ্ব সুন্দরীর নামে নাম।সে তো আমাদের কাছে তখন ঐ পর্যায়েরই।এরপর প্রতিদিন ই স্কুলে যাওয়ার সময় “কি খবর সুস্মিতা,কেমন আছ?পড়াশুনা কেমন চলছে?”ইত্যাদি ইত্যাদি।এমন সময় একদিন সকাল ১০টার দিকে আমরা মোটামূটি রেডি হচ্ছি।২ টা ছেলে (যারা কয়েকদিন আগেই ক্যাম্পাস সোনালি ব্যাংকে এসেছিল এবং ফেরত যাওয়ার সময় মেহেদীর সামনে পড়ে।তাদের অপরাধ-একজন অনেক খাটো আর আরেকজন অনেক লম্বা। ব্যাপারটা মেহেদীর ঠিক পছন্দ হল না।ব্যাস খেয়ে গেল টিজ।)রাস্তার উপরে আমাদের ক্লাশ বরাবর ২ পার্শে দাঁড়িয়ে গেল।আমরা ওদেরকে দেখে চিনলাম।খানিকটা টিজও করলাম।এক সময় ১০ টা ১০ বাজল।আমরা রেডি হলাম।ছেলে ২টা তখনও দাঁড়িয়ে।কিন্তু তাতে কি?আমরা করবো আমাদের কাজ।সুস্মিতা আসলো।আমরাও হাই হ্যালো করলাম।তখন ই বিপত্তি।ছেলে ২টা ক্ষেপে গেল।আমরা তাদের এলাকার বোনকে টিজ করেছি।গালাগাল শুরু করলো।আমরাও দিলাম গালি।এক সময় ওরা বললো-“আমরা মেজর সাহেবের কাছে বিচার দিব”।ঠিক এই কথাটায় আমরা একটু দমে গেলাম।কিন্তু ১জন ছাড়া- ইফতেখার।ও এটা শুনে আরো মনে হয় ক্ষেপে গেল।যা তা বললো ওদেরকে।আমরা এত থামানোর চেষ্টা করি,থামেই না।উল্টা বলে,যা তোরা তোদের ___ কে রিপোর্ট দে,দেখি কি করতে পারিস।জীবনে এই প্রথম “ভিলেজ পলিটিকস” দেখলাম।ঐ ছেলেরা নিজেরা রিপোর্ট না করে ঐ মেয়েকে দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে।আমাদেরকে ডাকা হল এ্যডজুটেন্ট অফিসে।ততক্ষনে মিল্ক ব্রেকের ঘন্টা হয়ে গেছে।ডাইনিং হলে রাষ্ট্র হয়ে গেল- “আর্টস পার্টি rape caseএ ধরা খেয়েছে।এদিকে আমরা এ্যডজুটেন্ট অফিসে গিয়ে দাঁড়ালাম।ভেতরে নিয়ে হ্যান্ডস ডাউন করিয়ে ২টা বেত ভাংলো ঐ দিন।৭ জনের ৫ জন ই এ্যপয়েন্টমেন্ট হোল্ডার।মার দেয়ার সময় যখন আমার পালা এলো তখন এ্যডজুটেন্ট বললো rumman,can you remember s ome night?সেই some night এর ঘটনা পরে আরেকদিন বলবো।যে রাতে আমাদের ৩ রুম মেইটের পিঠে এ্যডজুটেন্ট কতৃক মাত্র ৪টা হ্যাংগার ভাংগা হয়েছিল।

লেখাটা শুরু করেছিলাম ২০ মে দিয়ে।শেষ করি আরেকটা দিনের কথা দিয়ে।৩রা নভেম্বর।যে দিনটাতে আমাদের মোদাব্বের ‘তোরা থাক,আমি আসছি’ বলে সেই যে উঠে গেল,আজ ও তো এল না।আমি বি এম এ তে জয়েন করার আগে ওর সাথে আমার দেখা সাক্ষাত খুব কমে গেল।বুয়েটে গেলে ওর সাথে খুব একটা দেখা হতো না কারন ও হলে থাকতো খুব কম।ও অসুস্থ-এই খবরটা শুনে বি এম এর ছুটিতে প্রথমে যাই ওর বাসায়।ও তখন ডাক্তারের কাছে।সি এম এইচ এ ভর্তি হবার খবর শুনে যাই সেখানে।ওকে কি একটা টেষ্টের জন্য নিয়ে গেছে।আসতে ২/৩ ঘন্টা লাগবে।ওটাই আমার শেষ দেখা করতে যাওয়া।পরবর্তী টার্মে বি এম এ তে জয়েন করলাম।অবস্থা আরো খারাপ হল।ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাবে।কিন্তু অনেক টাকা লাগবে।আমার বাইরের ক্লাশমেটরা বিভিন্ন সোর্স থেকে টাকা কালেকশনে বের হল।আমি পড়ে রইলাম বি এম এ তে।কিছুই কি করতে পারবো না?শুরু করলাম বি এম এ তেই আমাদের অন্যান্য কোর্সমেইট দের কাছ থেকে টাকা তোলা।এর মধ্যে যা হয়েছে তাই নিয়েই ওরা রওয়ানা হয়ে গেল।এক্স ক্যাডেট তো বটেই,যারা সিভিল কলেজ থেকে এসেছে,ওরাও টাকা দিল।কতোইবা পেতাম তখন?প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য বি এম এ থেকে ১৬৫০ টাকা।কেউ কেউ বাসা থেকেও কিছু আনতো।তবুও আমি কৃতঞ্জ ওদের কাছে।টাকা তুললাম ঠিকই।কিন্তু সেই টাকা দিয়ে ১টা ট্যাবলেট বা ১টা ইনজেকশন ওকে দেয়া সম্ভব হয়নি।কথা ছিল,বাকি টাকা তুলে একত্রে পাঠানো হবে।কিন্তু সেই সময়টুকু আমরা পাইনি।হলো কুলখানি।ইন্ডিয়া থেকে সাদা কাপড়ে ঢেকে ওকে নিয়ে আসা হল।বি এম এ তে থাকায় ওর লাশটা দেখার ভাগ্যটাও আমার হয়নি।কিন্তু আমি নিশ্চিত,ও হাসছিল,চিরদিনের মতোই।
– কি রে,তুই পি টি করছ না ক্যান?
– ও হাসে।
-ক্লাশ টাইমে বাথরুমে দাঁড়ায়া আছস?
– ও হাসে।
-কি ভাই,তুই গেমস করছ না কেন?এইটা কি রে ভাই??
– ও হাসে।
প্রেপ টাইমে ওর হাসি আমার চরম বিরক্তির উদ্রেক করে।একমনে অর্থনীতি বইয়ের নীচে রেখে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ায় আমার কনসেনট্রেশন ব্রেক হয়েছে।সে হিসামের সংগে গল্প করছে আর হাসছে।

১৬তম ব্যাচের রি ইউনিয়নের একটা ক্রেষ্টে ওর ছবির নীচে কুমিল্লা ওয়ার সিমেট্রি থেকে সংগ্রহ করা এই এপিটাফটা লিখেছিলাম-across the bridge of dreams,in God’s garden,we meet ev e ryday.আসলেই দোস্ত,আমাদের দেখা হয়। we meet everyday Modabbair,we meet everydey………..

আগেই বলেছি এই লিখাটা আগেই লিখে রাখা।কিন্তু যখন লিখেছি তখন কি জানতাম যে মোদাব্বেরের নামের সংগে আমাকে আরো একজনের নাম যোগ করতে হবে?মিশনের ছুটিতে এসে একরকম হঠাত করেই আমার আকদ।গ্রুপে মেইল করলাম।সবার সংগে রাসেল ও এল।ছুটি শেষে ফেরত চলেও গেলাম।মিশন শেষ ও হলো এক সময়।আমি চরম ব্যস্ত।গায়ে হলুদ সহ সব অনুষ্ঠানই নাকি আবার করতে হবে।মেজাজটা ও খারাপ।এর মধ্যে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমার সেল ফোনে মাহমুদ কল দিল।রাসেল সকালে অফিসে গেছে।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে গেছে।আর ফেরত যায়নি।সেল ফোন,ল্যাপটপ,অফিস ব্যাগ-সবই অফিসে।বাসায় ও যায়নি,অফিসেও আর না।কোর্সমেইট যারা RAB এ আছে তাদেরকেও ফোন দিলাম।আমাদের মাসুম চেষ্টা করলো মিডিয়া কাভারেজ এর।কিন্তু কোনো খোঁজ নাই।বাসায় ৩ মাসের বিবাহীতা স্ত্রঈ।আমরা এখনও জানি না ও আছে নাকি নেই।।।

শুরু করেছিলাম আনন্দের কথা দিয়ে।শেষটা জানি কেমন হয়ে গেল।আগেই বলেছি এটা লিখেছিলাম ২০ মে নিয়ে;আমাদের ক্যাডেট কলেজে জয়েনিং ডেট।জীবনে আরো অনেক গুলি গুরুত্তপুর্ন দিন এসেছে।২৭ ডিসেম্বর পাসিং আউট হয়েছে,১২ জানুয়ারী তে বি এম এ কিংবা ইঊনিটে জয়েন করেছি।১৫ ফেব্রুয়ারী বিয়ে।কিন্তু সবসময় মনে হয় এই ২০ মে দিনটার সামনে আসলে বাকী দিনগুলির গুরুত্ত্ব খুবই নগন্য।

তাই ঠিক করেছি এবার মে মাস এলে বউ যখন জিঞ্জেস করবে “আচ্ছা,বাবা-মার গিফটের প্যাকেটে কার নাম লিখব?”
আমি তখন বলবো-“লিখে দাও,১৬তম ব্যাচ,বরিশাল ক্যাডেট কলেজ”।

৬,১০২ বার দেখা হয়েছে

৫৬ টি মন্তব্য : “গিফটের প্যাকেটে কার নাম লিখবো ?”

    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      কি ই বা করার ছিল?ওদের ছাড়া কি আমরা সম্পুর্ণ?


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    রুম্মান ভাই,অসাধারণ স্মৃতিচারণ :boss: খুব ভালো লাগলো ভাইয়া! ইয়ে,প্রথম ব্লগ লিখার পর এই ব্লগে বয়েসে বেশি কিন্তু অন্তরে তরুণ একজন আছেন যিনি পানিশমেন্ট দেন,উনার কাছে সিনিয়র-জুনিয়রে কোনো ভেদাভেদ নাই,খুব সাবধানে থাইকেন বস!আপনের লেখা পইড়া অনেক ভালো লাগছে তাই সাবধান কৈরা দিলাম... 😕

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      না না,এটা তো দ্বিতীয় ব্লগ আমার।জ়া দেয়ার প্রথম টাতে দিয়ে দিলাম তো।গুনে গুনে ১০ ট


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  2. সাজিদ (২০০২-২০০৮)
    আচ্ছা,বাবা-মার গিফটের প্যাকেটে কার নাম লিখব?”
    আমি তখন বলবো-”লিখে দাও,১৬তম ব্যাচ,বরিশাল ক্যাডেট কলেজ”।.

    অসাধারণ ভাইয়া!!! :boss: :boss: তবে শেষে এসে মন খারাপ করায় দিসেন..।

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      ধন্যবাদ।কিন্তু কি করবো?ওদের ছাড়াও তো লিখাটা শেষ করা জ়ায় না।


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    এখনো রাসেলের খবর পাওয়া যায় নি নাকি? আজব তো? একটা ছেলে এইরকম হাওয়া হয়ে যাবে?

    প্রথম পোস্টে মন উজার করে লিখেছো দেখা যাচ্ছে। ভাল লাগলো।

    দাড়ি দেয়ার পরে একটা করে স্পেস দিতে পার তুমি। তাহলে পড়তে আরাম লাগে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      না বস,এখনো কোন খোঁজ নেই। অন্ততঃ আজকে সকাল পর্জ়ন্ত না। কোন ক্লু নেই সেরকমভাবে জ়ে আমরা কোন দিকে আগাবো।
      পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  4. আছিব (২০০০-২০০৬)

    :boss: ভাই,খুব দরদ দিয়ে লিখছেন,খুব ভালো লাগল।মন থেকে চাইছি,রাসেল ভাই যেন যেভাবে উধাও হয়ে গেল সেভাবেই হঠাৎ ফিরে আসে।আরো চাইছি আমাদের কেউ যেন অকালে চলে না যায়

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারন লেখেছেন বস, পড়ার সময় সব পরিচিত মানুষদের মুখ ভেসে উঠছিল। :hatsoff: :hatsoff:

    এডজুটেন্টের সেই some night কোনটা ছিল তা মনে হয় বুঝতে পেরেছি 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      বুঝতে পারছ?মনে আছে?তোমরা তো জুনিয়র ব্লক এ ছিলা। তাও টের পাইছো?


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  6. সামিয়া (৯৯-০৫)

    অসাধারণ করে লিখেছেন ভাইয়া...কিন্তু শেষটায় এসে, কেমন লাগতেসে এখন। ব্যাচমেটকে হারাইতে যেন কারও না হয়। মরলে পঞ্চান্ন জন একসাথেই মরবে। আল্লাহর সাথে এরকম একটা চুক্তি করে নিতে পারলে ভাল হত।

    জবাব দিন
  7. নাজমুল (০২-০৮)

    রুম্মান ভাই খুব ভাল লাগলো পড়ে
    ২ জন ভাইয়ার জন্য আসলেই খারাপ লাগতেসে 🙁
    আপনার সাথে কি আমাদের কাপ্তাই ব্রিগেডে দেখা হয়েছিল???
    মাহ্মুদ ভাই এখন আমার কয়েকটা বাসা পরেই থাকে সেদিন ওনাদের বাসায় খাইতে গেসিলাম 🙂

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      হুম,কাপ্তাই ব্রিগেড এ দেখা হয়েছিল।ধন্যবাদ


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  8. মিল্টন (৯৩-৯৯)

    রাসেল বড়ুয়া কিভাবে যে কোথায় হারাইয়া গেল কিছুই মালুম করতে পারি নাই। বিরল ঘটনা। সারাজীবন এই দুঃখ নিয়া আমাদের বেচে থাকতে হবে মনে হছে। নিজের কাছে নিজেই দায়ী থেকে গেলাম।

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      হা হা হা......। ছিল রে ছিল । আমাদের ক্লাশ ১২ এর ফর্ম মাষ্টার । 😀


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
  9. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    রুম্মান,
    হাসতে হাসতেই একটা বড় ধাক্কা খেলাম।
    মোদাব্বেরের কথা মনে করায় আর রাসেল বড়ুযার কথা জানতে পারায়....... 🙁
    (যে কোন ভাবেই হোক - আমি এটা মিস করেছি)।
    ভালো থেক।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      এখন নিজেদের মধে্য অপরাধবোধ হয়,মোদাব্বেরেরটা নইলে আমাদের হাতে ছিল না,রাসেলের জন্যও তো কিছু করতে পারলাম না 🙁


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      ধন্যবাদ । সিকদার স্যার ইংরেজী এর । রিটায়ারমেন্টে গেছেন তাও অনেকদিন হলো ।


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন
    • রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

      থ্যাংকস বাডি । এ আর এমন কি ? লিখালিখি আসলে আমি পারিনা । এই ব্লগে বস বস রাইটার আছে ।


      আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
      ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
      ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
      সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
      ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
      আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।