দূরত্বের নাম নেই, শহর কিংবা গ্রামে আমাদের দূরত্ব নিয়ম মেনেই বাড়ে-
স্থবির চোখ মেলে নিমেষব্যাপী আমরা দুঃখ থেকে দূরগামী হই
দুঃখ সিঁড়ি বেয়ে সাপের মত উঠে আসে সন্তর্পণে হৃদয়ের কাছে
ধাতব রেলিঙে যাবতীয় অনুসর্গ ছেড়ে আসা সাপের চোখে আমি কাতরতা পাই
শহরে কিংবা গ্রামে, এই প্রাপ্তি আমাকে সুখ দেয়
আমার চেয়েও অধিক কাতর দুঃখের অবয়ব আমার স্বভাবজাত অহমিকায়
পরশ বুলায় সাপের মায়ায় সিঁড়িঘরে একটি বাগান তৈরি করি
বাগানে বিষের ফুল ফুটে উঠবে একদিন, এমন প্রত্যাশায় শিখে নিই যাবতীয় কৃষি
মাটির গন্ধে সিড়িঘরে সাপেরা ঘুমিয়ে পড়ে, অপরিচিত ডাকপিয়ন
চিলেকোঠার কড়া নেড়ে বিভিন্ন হলুদ খাম রেখে গেছে, প্রত্যাগত আহ্বান
মাটি থেকে দূরে ধাতবের কাছে ডাকে উন্মাদ স্বরে, মাদকের ঘ্রাণ
আমার মগজে ডাকপিয়নের নাম লিখে রাখে সকলে, স্মৃতির অধিক কালিতে
আঁচড়সমূহ ব্যাপ্ত করে দেয় আমাদের আকাশে মুখের দাগের জ্যামিতি
দূরত্বের নিয়মে আমি দৈনন্দিন পথ সিঁড়িঘরে জমা রাখি।
***
৩.৭.৯
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:clap:
ভাবী কি আজকে অনলাইনে নাই নাকি! ;;;
ভাইয়া রা আজকে অবশ্য দৌড়ের উপর আসি।
আকাশ ভাইয়াকে অভিনন্দন। না, তোমার কাছেই থাক।
আমিও আগে বলেছি, এখনও বলছি, " আমরা আমরাই তো " ... 😛
আকাশ ভাইয়া, তুমি কিন্তু ১ম লিখো নাই, তাহলে আমিই ১ম, না কি বলো?
😛
আপনার ফর্ম দেখি খারাপ যাচ্ছে ভাবি...আপনি ১ম দাবি করলে আমি ছেড়ে দিতে পারি, সেটা সমস্যা না, তবে ঐ যে একটা ডায়লগ আছে না, বোল্ড আউট হলে আর আপিলের দরকার হয় না B-)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:khekz:
আন্দামান থুক্কু আন্দালিব ভাইয়াকে হাসলে'তো দেখি সৌন্দর্য লাগে। 😉
আপনার চোখ টিপ মোটেই সুন্দর না! 😛
আরে দারুণ লাগছে কবিতাটা। এন্টেনা ফেন্টেনা কিছুর কথা না বলে নিজের মত করে ভেবে নিলাম। অনেক ভালো লাগলো অনুভূতিগুলোকে।
ধন্যবাদ তোকে।
লেখাটা এখনও আমি নিজেই পড়ছি, কারণ প্রচুর এডিট করতে হবে বলেই মনে হচ্ছে।
এভাবে আমি অনেকদিন লিখি নাই মাঝে। কবিতায় এই ভাষা বা অ্যাপ্রোচ কমিয়েছি মাঝে। আজকে আবার ফিরতে ইচ্ছে হলো। তোর ভালোলাগা বলছে সেখানে আমার লেখাটা কিছুটা হলেও যেতে পারছে।
লাইনে দাঁড়ি কমা উল্টা পাল্টা লাগলো। এই লাইনটাই বেশি টানল বলে আমার মত করে কমা চেঙ্জ করে নিলাম। এডিট করে দিস।
এই লাইনের ভঙ্গি বার বার এডিট করছি মনে মনে। এখন পাল্টে দিলাম কিছুটা পড়ে দেখ তো... 🙂
এখন তো কবিতাটা অনেক খানি অন্যরকম হয়ে গেছে। হুম আমি যেমন করে ভেবে নিয়েছিলাম তার চাইতে সুন্দর। ভালো লাগছে এখন।
কবিতা আমার খুব প্রিয় না,
আন্দালিব ভাইয়া, তোমাকে কি মন্তব্য দিব? তোমার লিখা সবসময় ভাল লাগে, মাঝে মাঝে যদিও মাথার উপর দিয়েও যায়।
অফটপিকঃ আজকে নাম ঠিক আছেতো? লেখকের নাম কি আবারো ভুল করে ফেলেছি? 😕
কবিতা প্রিয় না কেন?
কবিতা বুঝতে এন্টেনা যেটা লাগে, আমার তা নাইতো তাই। 🙁
ভাবি, কবিতা বুঝার জন্য কোন এন্টেনার দরকার নাই। এসব দুর্মুখেরা বলে। কবিতাকে আমি দেখি অনেকটা প্রেমিকার মত। মোহনীয়, রহস্যময় এবং তীব্র আকর্ষণ ধরে রাখে এমন কিছু। এখন চিন্তা করেন, যদি প্রেমিকাকে ঠিক মত সময় দেয়া না হয়, বা তার জন্য একটু মনোযোগ, একটু প্রশ্রয় না রাখা হয়, তাহলে কি সে আর মুখ ফিরিয়ে চাইবে।
কবিতাও তেমনি। গড়পড়তা যেমনটি ঘটে, তার চেয়ে একটু বেশি মনোযোগ দাবি করে। আমরা যখন তাড়াহুড়ায় থাকি, তখন এজন্যেই কবিতা মগজে ঢুকে না, ধোঁয়াশা মনে হয়, অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
কবিতার স্তবকে স্তবকে একটা চিত্রকর্মের চেয়েও সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। একটু সময় দিয়েই দেখেন, সেই অপরূপ দৃশ্য, উপমা আর সুন্দরের জগৎ আপনার কাছে ধরা দিবে।
আন্দালিব ভাইয়া, সময় দিয়ে চেষ্টা করে দেখব। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রেমিকাকে আপনার মোহনীয় লাগে বুঝলাম, কিন্তু " রহস্যময় " কেন লাগে? 😕
দেবতাও জানেন না, আর সেখানে আমি কোন ছার।
জোক্স এপার্ট, আমরা কি নিজেরাই নিজেদের পুরো বুঝে উঠতে পারি? নিজেই মাঝে মাঝে নিজের কাজকর্মে অবাক হই। সেখানে আরেকজন মানুষ (তা সে যতই আপন হোক)। সেই রহস্যের সমাধান কি আর হয়! 🙂
আপনি কবিতার জন্যে কিছুটা সময় দিয়ে দেখেন, নেশার মত রক্তে কবিতার সুর ঢুকে যাবে! 🙂
হলুদ খাম- ডাকপিয়ন- সিঁড়িঘরে জমানো পথ।
ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার শব্দভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধ। 🙂
অনেক ধন্যবাদ মুহিব। যে শব্দগুলোর কথা বলছো, সেগুলো কৈশোর, শৈশবের সময়েই আমার মগজে কোন না কোনভাবে একটা ভিজ্যুয়াল চিত্র হয়ে গেঁথে গেছে। প্রতিটা শব্দই কিন্তু সে-রকমের, খেয়াল করো মজার ব্যাপারটা। এজন্য এগুলো বার বার ঘুরেফিরে আসে আমার লেখায়।
শৈশব কৈশোরের মত নির্লজ্জ জোঁক আর নাই। ছাড়ে না।
এটা তো খুব দারুণ বলেছ। অনেকটা প্রবচন হয়ে গেছে তোমার কথাটা। বাহ!
যথারীতি সুন্দর হয়েছে
রাইত কইরা আইলি, আর আমি দিলাম ঘুম। এত রাত জাগিস কেন রে?
তোর লেখা পড়া হয় না অনেকদিন। একটা পোস্ট দে।
কেমন আছিস?
পঙ্গতিগুলো মনে ধরেছে ভাইয়া।
একটা জিজ্ঞাসা, কবিতা সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম। দীনেশ স্যারের মুখে গদ্য কবিতার কথা শুনেছিলাম, দূরত্ববোধক- কি গদ্য কবিতা?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মনে ধরার মত সংযোজক থাকলে আর কী লাগে! ভালো লাগলো রকিব।
দীনেশ স্যারের কথা বলে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলে। স্যারই সম্ভবত প্রথম মানুষ যিনি আমাকে কবিতার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছিলেন।
গদ্য কবিতার শরীরটাই গদ্যের ধাঁচের। আমরা যেমন লাইন ব্রেকিং দিয়ে কবিতা লিখি, তেমন নয়। তবে কবিতার অন্যান্য উপাদান, যেমন, উপমা, অলঙ্কার, চিত্রকল্প, ছন্দ, মাত্রা এসব মোটামুটি রক্ষা করা হয়। সেক্ষেত্রে সার্থক বা উল্লেখযোগ্য গদ্যকবিতা প্রথম এসেছে শার্ল বোদলেয়ারের কবিতায় । তারপরে অনেকেই এভাবে লিখেছেন। আমার নিজস্ব চিন্তায় কোন কোন কবিতা গদ্য ফরম্যাটেই বেশি মানানসই, আবার কোনটা বা পুরনো ধাঁচে। সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব ভাবনা থেকেই এর প্রয়োগ।
আমার কিছু টুকটাক নিরীক্ষা ছিল সেরকমের। সামনে শেয়ার করবো না'হয়! 🙂
ভাল্লাগছে :clap: :clap: :clap: তবে অর্থ বুঝি নাই ~x( ~x( ~x( ~x(
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
মুসতাকীম, যেভাবে মাথার চুল ছেঁড়ার ইমো দেখালে তাতে আমিই ব্যস্ত হয়ে উঠতেছি। এত টেনশনের কিছু নাই। কবিতার সবকিছু বুঝে উঠতে হবেই- এমন কোন কথা নাই। বোধের প্রশ্ন, বা বুঝে ওঠার বিষয়টা বেশি আসে যেখানে যৌক্তিক কোন প্রস্তাবনা থাকে। কবিতা অনেকটা চিত্রকর্মের মত, পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভবত কবির নিজের পক্ষেই সম্ভব না।
পড়ে ভালো লাগলে, সময় পেলে আবারো পড়ে দেখ। ভালো লাগার শেষ হবে না। 🙂
আসলে সব বুঝে ফেললে বোধহয় ভালো লাগা শেষ হয়ে যায়।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সব বুঝে ফেলার ব্যাপারটাও তো অসম্ভব বলে মনে হয়! এখনকার কবিতা তো "সোনার তরী" বা "পাঞ্জেরী" কবিতার মত শিক্ষামূলক বা মতবাদ-ধর্মী হয় না, সেকারণেই মানুষের জীবন-যাপনের মতই, কবিতাও জটিল ও বহুমুখী ধারণার হয়ে উঠছে।
এতে অবশ্য ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। মানুষ সম্ভবত সবচেয়ে জটিল ও অযৌক্তিক প্রাণী। কবিতা সেটারই সবচে' ভালো প্রমাণ! 😉
ভালো লাগল আন্দালিব।
ধন্যবাদ তানভীর ভাই। আমারও ভাল লাগলো!
ভাল বলেছিস তো, দুঃখ থেকে আর দূরে যেতে পারলাম কোথায়? এক দুঃখ থেকে আরেক দুঃখের কাছে যাই । কবিতা ভাল লাগলেও তারা দিলাম না, আমি আবার তারায় বিশ্বাসী না 😀
হ্যাঁ, চোখের দেখায়, উপরে উপরে আমরা দুঃখ থেকে দূরে যেতে পারলেও, আমাদের অন্তরের গহীন দুঃখেরা আমাদের ছেড়ে যায় না। আপনার কবিতাপাঠে আমিও সবসময় কিছু না কিছু শিখি। থ্যাঙ্কস আদনান ভাই।
বলিস কি? বিরাট লজ্জা দিলিরে ভাই । আমি তোর কবিতাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি । শুধু খুব ভাল হয়েছে বলতে ভাল লাগেনা । কেন ভাল লেগেছে সেটাও জানিয়ে যেতে চাই ।
লজ্জার কি আছে, ভাই? কবিতা লেখার পরে, আমি নিজেও সেটা অনেকবার পড়ি। কিন্তু আমার মনের চোখ, পড়ার পরে চিন্তা করার মন তো একটাই। তাই অন্যদের অনুভূতি বা চিন্তা জানলে আমার লেখাটাকে আরো ঠিক ঠাক করার রসদ পাই। ভালো লাগা জানলে খুশি লাগে (প্রশংসা কার-ই বা খারাপ লাগে!), তবে কাজে কাজ হলো অনুভূতিটা। সেটা খারাপও হতে পারে, কোন জায়গা বেখাপ্পা বা কেমন কেমন লাগতে পারে (উপরে আমিনের যেটা লেগেছে, ওকে ধন্যবাদ)। সেটাই আমার কাছে বেশি জরুরি।