যারা কারো কথা ভেবে নীরবে এখানে ওখানে
দু’এক ফোঁটা অশ্রু ফেলে গোপনে গোপনে,
আবার চকিতে চোখ মুছে মুখে ম্লান হাসি হাসে,
আমি তাদের ব্যথার ভাষাটা বুঝি।
যে নারী রসুইঘরে পঞ্চব্যঞ্জন রাঁধতে রাঁধতে
প্রবাসী সন্তান কিংবা অন্য কারো কথা ভেবে,
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার রান্নায় মনোযোগী হন,
আমি তার দীর্ঘশ্বাসের কারণটার কথা জানি।
যে কিশোরী রাফ খাতায় অঙ্ক কষতে কষতে
হঠাৎ একটি মুখ এঁকে ফেলে, তারপর সেটাকে
একটা বর্ণিল ঘুড়ির মত মনের আকাশে উড়ায়,
আমি সে কিশোরীর রঙিন স্বপ্নের কথাটা জানি।
যে ডানপিটে কিশোরের দস্যিপনায়
পাড়াপড়শিরা সবসময় অতিষ্ঠ থাকে,
হঠাৎ কোন গুরুর মন্ত্রে সে দার্শনিক বনে যায়, আর
কাহলিল জিব্রানের কবিতা আওড়ায়, তা আমি জানি।
যে পুরুষ সাত সকালে উঠে ত্রস্ত ব্যস্ত হয়ে তৈরী হয়,
শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে হঠাৎ হারিয়ে যায়
কোন একান্ত চিন্তায়, আবার পরক্ষণে সম্বিত ফিরে পায়,
তারও এ খেয়ালি বিরামের কারণটা আমার অজানা নয়।
ঢাকা
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
দারুণ কবিতা ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।