অল্প ক’জন ক্যাডেটের সান্নিধ্যে জন্ম নেয়া সিসিবি প্রাঙ্গন আজ অনেক বড়, অনেক বিকশিত। হয়তো বলবেন এখনো শতভাগ পূর্ণাঙ্গতা আসেনি, তবুও মেনে নিতে হবেই সিসিবি প্লাটফর্মের বর্তমান অবস্থান ঈর্ষনীয় এবং প্রশংসার দাবীদার। শুধু স্মৃতিচারণের গন্ডীতেই নিজেদের আটকে না রেখে চিরতরুণ ক্যাডেটদের (এক্স-ক্যাডেট বলবো না, কারণ অন্তরে তারা আজো সেই পুরনো ক্যাডেটই রয়ে গিয়েছেন) বিচরণ ছড়িয়েছে বহুদূর। আজ এর সদস্য প্রায় হাজারের পথে এগুচ্ছে, আর পোষ্টের সংখ্যা তো বেশ আগেই দু’হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিস্তারিত»হয়ত ১০০, অবশেষে ১০০
রাজশাহীর পোস্ট যখন ৭ টি মাত্র তখন আমি সিসিবিতে প্রথম আসি। আজ সেই পোস্ট সংখ্যা ১০০ তে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি অন্যান্য কলেজের তুলনায় এই সংখ্যা তেমন কিছুই না, কিন্তু আমার কাছে এর মূল্য অনেক বেশি। কারণ মধ্যে এমন সময় গিয়েছিল যখন আমি ছাড়া রাজশাহীর আর কেউই ব্লগে উপস্থিত ছিলেন না। আমি যখন ব্লগে আসি তখন সামি ভাই, তৌহিদ ভাই ব্লগে বেশ নিয়মিত ছিলেন। তৌহিদ ভাই হঠাৎ যেন হারিয়ে গেলেন।
বিস্তারিত»আমার আমি
আমি সবসময়ই একটা পদ্ধতি অনুসরণ করি, যখন আমার মন খারাপ থাকে। একটু মজা করি, কারও সাথে খুনসুটি করি বা খুব জোড়ে কিছু মেটাল বা র্যাপ গান শুনি। জানি না কেন, কিন্তু এসব করতে আমার ভালো লাগে। কাল থেকে আমার মন খুব বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। সকালে উঠেই তুহিনের খবরটা পেলাম। তারপর আমার কলেজের বন্ধু আহাদের হাতে অপারেশনের খবর(এখন আশঙ্কামুক্ত)। তার আগের দিন আবার জানতে পারলাম যে আমার নাকি পা ভেঙে গেছে।
বিস্তারিত»মসজিদে মোবাইল বন্ধ রাখুন
১ম পর্ব
মাগরিবের নামাজের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই । হতদন্ত হয়ে অজু করে মসজিদে ঢুকেই দেখি মুসুল্লীরা ততক্ষণে রুকুতে চলে গেছেন । আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শরীক হলাম জামাআতে । সিজদায় গিয়ে হঠাৎ মনে হল “মোবাইলটা কি সুইচ অফ করেছি?”
আমি ঘামতে শুরু করলাম কারণ রিংটোন দেয়া ছিল হাই ভলিয়ম “তেরে নাম”
আমার তো নামাজ থেকে মন উঠে গেল ।
বিস্তারিত»বার্তা
তোমাদের বলছি,
যারা রাতের পর রাত কাটিয়েছ নির্ধূম
পাহারা দিয়েছ মজুতদারের পাপ,
পেঁচা আর বাঁদুরের হুঙ্কার হেঁকেছে গলা।
তোমাদের চোখে ধুলো দেবো শীঘ্রই,
ভাঙবো পাপের বদ্ধ তালা।
কিছু স্মৃতি কিছু গান …
অনেক দিন পর আজ উইনিং এর ‘ওই দূর পাহাড়ের ধারে’ গানটি শুনছিলাম। এই গানটি প্রথমবার শুনি আমি তখন ক্লাস এইটে, কলেজে রিউনিয়ন চলছে, শেষ দিন কনসার্ট করতে ঢাকা থেকে আসল অবসকিওর। আমাদের মাঝে সারাদিন কি উত্তেজনা! কিন্তু হঠাৎ শুনলাম খবর খারাপ, ঢাকা থেকে আসার পথে বাসের ছাদে রাখা অবসকিওরের ড্রামসেট ফুটা হয়ে গেছে এখন তাঁরা কনসার্ট নাও করতে পারে। আমাদের মন বেশ খারাপ। দুপুর থেকে আমাদের অডিটরিয়াম অবসকিওর দখল করে নিল,
বিস্তারিত»এক্সট্রা ড্রিল
ব্লগের শুরুতেই ডিসক্লেইমার দেওয়ার স্টাইলটা জমে উঠেছে আর তাই আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না
সতর্কীকরণঃ ক্যাডেট কলেজ লাইফে কেউ যদি কোন দিন এক্সট্রা ড্রিল না খেয়ে থাকেন তাহলে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বলার দরকার নাই কেননা তাতে প্রোপার ক্যাডেট হিসেবে টিজ খাওয়ার সম্ভাবনা আছে
আমি তখন সবেমাত্র ক্লাস টেনে উঠেছি :-B
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ যথেষ্ঠ মেঘলা ছিল ।
ফেল রেকর্ড
“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(
ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,
ফরমান
স্থাণুবৎ হয়ে অবাক পৃথিবী দেখে
মানুষের রক্তচাটা মানুষ,
নীলকুঠীর পুনরাবৃত্তি
তাই, এই বিশ্ব পুনরায় দেখবে জানি
শাসকের লেলিহান চিতা।
ধ্বংসের প্রতিপত্তি।
টগ্বগে রক্তের উত্তাপে
ধারালো হচ্ছে যুদ্ধের তরবারি,
বেদ কিংবা কোরানের শ্লোক তুলেও
রক্ষে হবে না তোমার খবরদারি।
সেই রাজবল্লভ তুমি
যতই হও না কেন নিভৃতচারী।
রক্তের তৃষ্ণা মেটাবো তোমার বিলক্ষণ
তোমারই রক্তকণায়,
প্রলাপ
এস. এস. সি. পরীক্ষার পর ছুটিতে বাসায় অনেক বই পড়েছিলাম। সেই সময় পড়া একটি বই, “আমি সুভাষ বলছি”। এই বইটার তিনটি খন্ডই পড়েছিলাম। মাথায় তখন শুধু বিপ্লবী চিন্তা গিজ্গিজ্ করে। কারো সাথে এই নিয়ে কথা বলতে লজ্জা লাগত। আর লেখালিখির অভ্যাস আমার কখনও ছিল না, তাই সেই চিন্তা তখনও করি নি। ধীরে ধীরে আমি অস্থির হয়ে উঠেছিলাম এই ধরনের ভাবনায়। তখন আমার দুলাভাই আমাকে বলেছিলেন বেশি চিন্তা করে মস্তিস্কের উপর অতিরিক্ত চাপ দেয়া ঠিক না।
বিস্তারিত»ক্যাডেট আইডি কার্ডের ফায়দা
আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল স্টেডিয়ামে গিয়ে লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখব :dreamy:
কলেজ থেকে ভ্যাকেশনে বাসায় এলে সাধারণত খেলা থাকত না, আর থাকলেও সময় সুযোগ বের করা কিছুটা কষ্টকর ছিল :bash:
ছয় বছরে ক্যাডেটের আইডি কার্ড দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে পারি নাই, না সিএমএইচ, না ছাত্র ভাড়া, না অন্য কোন ডিসকাউন্ট :frontroll:
অথচ ক্লাস সেভেনে যখন আমাদের প্রথম আইডি কার্ড দেয়া হল তখন কার না মনে হয়েছিল এই কার্ড দিয়ে বিশ্ব জয় করা যাবে :just:
১১ অক্টোবর ২০০৮
বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ১০-১২ জন বন্ধু মিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলাম বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ২য় ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য :-B
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল আর সেজন্যই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ছিল সবার চোখে :gulti:
স্টেডিয়ামে দর্শকদের একটা বাড়তি চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো কারণ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ আমাদের :clap:
যেহেতু ঢাকায় ছিলাম সেহেতু ম্যাচটি দেখার লোভ সামলাতে পারি নাই :no:
অগ্রিম টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কাজ হল না ।
বাসে একদিন
ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:
মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।
বিস্তারিত»আশার কাছে খোলা চিঠি
দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B
আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।
বিস্তারিত»দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:
দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।
বিস্তারিত»জন্মদিনে আমার ক্ষুদ্রতম পোষ্ট…
আজ থেকে তের বছর আগে কিছু নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরীর পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দশটি বিশেষ কারাগার।
১৯৯৬-২০০২ ইনটেকের সকল পাপীদেরকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন।
:awesome: :awesome: :awesome:
বিস্তারিত»