দোয়েল বৃত্তান্ত ও পাদুকাপুরাণ

তারিক হাউসের সম্মুখের বাগিচায় একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটেরা তাহাদের জুতা ও মোজা শুকাইতে দিত। এই ঐতিহ্য বহুদিনের পুরনো বটে, বিধায় বাগিচার প্রায় ২০ বর্গমিটার ক্ষেত্র ক্যাডেটদের জুতার সুবাসে নির্দয় মৃত্যুভূমিতে পরিণত হইয়াছিল। তাই অত্র এলাকায় বৃক্ষকুলের শ্যামলিমা অনুপস্থিত ছিলো, একটি মাত্র অর্ধমৃত পামট্রি ছাড়া; যে কিনা বিপুল বিক্রমে বাঁচিয়া রহিয়াছিল একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের পাদুকাসুবাস এবং ইত্যকার পারলৌকিক আহবান প্রত্যক্ষ করিয়াও। কিন্তু ২০০৫ সালে ৩৭তম ব্যাচ একাদশ শ্রেণীতে পদার্পণ করিলে বৃক্ষটি ইহলোক ত্যাগ করিয়া যায়;

বিস্তারিত»

সাবধান!!

আমি কিন্তু সব পারি
করতে পারি যে সব।
মুহুর্তে হতে পারে চুরি
তোমার-মনের গুপ্ত-অনুভব।

চিনি আমি সব-ই চিনি
তোমার মনের রাস্তা-ঘাট।

বিস্তারিত»

শাহী ডায়লগস ফ্রম দ্য গেরাম মোক্তারপুর-১

[প্রাককথাঃ
যারা জানেন না,তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,আরসিসি বাংলাদেশের সীমানা ঘেষে রাজশাহী শহর থেকে ২৬ কি.মি. দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত।গ্রামটার নাম মোক্তারপুর।ক্যাডেট কলেজটাকে সবাই চিনেন।তাই গ্রামটাকে পরিচিত করার জন্য আমি টপিকে গ্রামের নাম দিলাম।আরেকটা কথা আমাদের অরকা’র অর্থায়নে এই গ্রামে ”অরকাপল্লী” স্থাপিত হয়েছে,যেখানে দুঃস্থ অনেকেই ঠাঁই পেয়েছে।এই সুযোগে জানিয়ে রাখলাম।।……..
অত্যন্ত পরিতাপের সহিৎ অবলোকন করিলাম যে, ডায়লগস ফ্রম জেসিসি,এমজিসিসি,এসসিসি,সিসিসি এমনকি পিসিসি পাবলিশ হইয়া গেলেও শাহী ক্যাডেট কলেজের ডজার ক্যাডুগুলা ব্লগে প্রবল প্রতাপের সহিৎ ডজ মারিতেছে।আমি এতকাল অপেক্ষা করিতেছিলাম,কোন দায়িত্ববান শাহী ক্যাডেট কলেজের অসংখ্য বাণীচিরন্তনী প্রকাশ করিবেন।কিন্তু আমার আর তর সহিতেছে না।তাই স্মৃতির গলি ঘুপচিতে পলান্টিস খেলতে থাকা ডায়লগগুলো ধরিয়া আনিয়া সিসিবি পরিবারে পেশ করিলাম।আর দেরি করিলে হয়ত,অন্য কেউ কহিয়া দিবেন,এর থেকে ক্রেডিটটা আগে আমিই লইয়া ফেলি,মাঠ ফাঁকা মনে হইতেছে………

বিস্তারিত»

বেঁচে আছি

বেঁচে আছি বলেই তো মনে হয়,
এর চেয়ে বেশি কিছু প্রয়োজন
থাকার কথা তো নয়।

হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া
তারপরে সামলে নেয়া
যেন সে প্রতিদিনেরই ঘটনা।

বিস্তারিত»

নামটা খুঁজে পাচ্ছি না

আমার ঠিক জানা নাই ভালো লেখকরা কোন কিছু লিখার আগেই নামটা দিয়ে দেন কিনা।আমি শুধু এটাই জানি যে আমি দেই।কিন্তু এইটার যে কি নাম দিব খুঁজে পাচ্ছি না।

ছোটবেলায় প্রথমে হতে চেয়েছিলাম কনফেকশনারীর দোকানদার।বিনা পয়সায় পেষ্ট্রী খাওয়াটাই যখন আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষনীয়।তারপর কখন ও ক্রিকেটার,কখন ও জার্নালিষ্ট (স্পোর্টস),কখন ও ফ্যাশন ডিজাইনার আবার কখন ও স্বপ্ন দেখেছি আমি বিরাট এক্সিবিশন করছি বেংগল গ্যালারীতে।কখনোই যেটা চাইনি সেটা হল আর্মি অফিসার হতে।শেষ পর্জ়ন্ত ওটাই হতে হল।তাই স্পোর্টস রিপোর্টার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেটা এই ব্লগেই পুরন করি।

বিস্তারিত»

দুষ্মন্তপুরান-২

রাজা দুষ্মন্ত মধ্যাহ্নভোজন সারিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন। স্বপ্নে দেখিলেন, কাঁচুলি আর কৌপিন পরিহিতা এক পিনোন্নতা গুরুনিতম্বী তাহার চতুর্দিকে নৃত্য করিতেছে। নৃত্য করিতে করিতে এক পর্যায়ে সে রাজার কোলে চড়িয়া বসিল। বসিয়া রাজার চিবুক,ওষ্ঠ্য,ললাট স্বীয় জিহবা দ্বারা লেহন করিতে লাগিল। রাজা উত্তেজনায় শিহরিয়া উঠিলেন। রূপসীকে সুধাইলেন,ওহে অপরূপা, তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে? কি নাম তোমার? সে কহিল,ভৌ।

রাজার ঘুম চটিয়া গেল। তাকাইয়া দেখিলেন,এক সারমেয় সন্তান তাহার কোলে চাপিয়া তাহার সর্বাঙ্গ লেহন করিতেছে।

বিস্তারিত»

আমি আর তুমি…(রাজা আর রাণী)

পূর্ব-কথন:ইহা একটি নব-দাম্পত্যের গান।এখানে নব-দম্পতিদের কিছু অনুভূতি কপি-পেস্ট করা হয়েছে।যাদের এখনো সেই বিশেষ সময়টিতে পৌছাবার সৌভাগ্য(কিংবা দুর্ভাগ্য)হয়নি,তারা চোখ বন্ধ করে কল্পনা করে নিতে পারেন। আর যারা সেই সময়টি পার করে এসেছেন তারা একটু কষ্ট করে স্মৃতিচারণ করে(জাবর কেটে)নিবেন।ধন্যবাদ।

মেঘ-জল বৃষ্টিতে
কিছু অনা-সৃষ্টিতে
কাক-ভেজা চেহারায়
চোখা-চোখি আয়নায়
চলে যাই অতীতে
সাদা-কালো স্মৃতিতে
কোনো চেনা ঠিকানায়
আবার এক হয়ে যাই……..দু-জনায়।

বিস্তারিত»

দুষ্মন্তপুরান (পিজি-১৩)

রাজা দুষ্মন্ত বড়ই চিন্তিত। বিগত দু’দিন যাবৎ শকুন্তলাকে দেখা গিয়াছে মোবাইলে কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে ফাইট দিতে। সে ঘন ঘন ছোট বার্তাও পাঠাইতে থাকে। আবার ফিরতি বার্তা পড়িয়া মুচকি মুচকি হাসে। তাহাকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা সুধাইলে সে বলে, তুমার তাতে কি? ইয়েতে চুল্কাচ্ছে?বেটা বুড়া ভাম! আজকাল রিক্সাওলারা পর্যন্ত মোবাইল ইউস করতেসে। আর তুমি একটা আখাইত্তা,নিজের একটা মোবাইল কেনারও মুরোদ নাই,আবার নাম দিসে রাজা,হেঁহ।

বিস্তারিত»

……….ব্যতিক্রমী বিদায়ী ভাষণ……..

[গল্পটা স্থান-কাল-পাত্রভেদে কাল্পনিক।এটা নিছকই ব্লগারের কল্পনাপ্রসূত।তবে এর প্রেক্ষাপট বাস্তবিক হলেও হতে পারে।কোন ব্যক্তিবিশেষের সাথে বিষয়বস্তু বা বর্ণনার বিন্দুমাত্র মিল থাকলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।এর জন্য ব্লগার দায়ী নন]

*************************

বেলা প্রায় দুপুর ১২টা।৫ম সেমিস্টারের ক্লাসও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল।সময় যে কিভাবে কাটে টেরই পাওয়া যায় না।ক্লাস শেষে অ্যাটেন্ডেন্স নিয়ে স্যার বেরিয়ে গেলেন।সবাই যার যার মত ব্যাগ গুছিয়ে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,মনটা সবারই ফুরফুরে।কারণ,আরো একটা সেমিস্টার শেষ + কয়েকদিনের বিরতি + বিশ্রামের সুযোগ…ইত্যাদি…।কিন্তু একটা ছেলে স্যারের পিছনে পিছনে গিয়ে,

বিস্তারিত»

চিকেন ফ্রাই-২

প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ বিশ্বাস আর অ্যাডজুট্যান্ট শফিউল্লাহ মাস্তান এর শাসনামলে(২০০৪-০৬) আমাদের কলেজ যে এমন একটা দোযখের মধ্য দিয়ে গেল তা আর বলার মত না। আমাদের “শাহী ক্যাডেট”-এর অস্তিত্ত্ব নিয়েও আমরা তখন চিন্তিত। কিন্তু আমাদের ব্যাচের ভাগ্যটা এতোই ভাল যে এস,এস,সি পরীক্ষার সময় প্রিন্সিপাল বদলী হয়ে গেলেন আর ছুটির মধ্যে অ্যাডজুট্যান্ট-ও। আর নতুন যারা এলেন? তারা তো দুইজনই মাটির মানুষ। আমরা কলেজ থেকে আসার আগ পর্যন্ত তাদের ছায়াতলেই কাটিয়ে দিলাম।

বিস্তারিত»

একটি জন্মদিন…এবং কিছু প্রেম কিংবা পাগলামি…

পূর্বকথন: ব্লগে দ্বিতীয় লেখা লিখতে যাচ্ছি।আসলে অনেক দিন থেকেই লেখা শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সদস্য হওয়ার জটিলতা,আমার অজ্ঞতা,আলসেমি আর একটু ভীতির কারণে দেরী হয়ে গেল।ব্লগে ঢুকলাম কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই।দর্শক হিসেবে বসে থাকতে থাকতে মনে হলো মাঠে নেমে পড়ি।ব্লগ লেখার ইচ্ছার পেছনের কারণ,আমার মাথা ও মনে ঘুরপাক খাওয়া কিছু কাহিনী ও প্যাচাল বাইরে নিয়ে আসা-তো এসব আনাড়ি দের কে দিয়ে ওপেনিং করা সম্ভব নয় বলে অনেক দিন আগে লেখা একমাত্র সভ্য কবিতা বা গান[অন্যের সামনে প্রকাশযোগ্য]কে ফেসবুক নোটস থেকে কপি পেস্ট করে কোনমতে বাংলায় রূপান্তর করে পোস্ট করে দিলাম।ওপেনিং দেখে কিছুটা আশার সঞ্চার হলো তাই এবার অন্যদের ও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।

বিস্তারিত»

প্রিফেক্টশীপ নিয়ে প্রহসন

ডিস্ক্লেইমারঃ
টাইটেল দেখে ভাববেন না,ক্ষোভ বা হতাশা থেকে এটা লেখা।আমাদের মিলেনিয়াম ব্যাচটা কলেজে এমন একটা সময় পার করেছে,যে সময়ের মধ্যে কলেজটা অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন এবং ট্রেডিশন-নিষিদ্ধকরণ এর মধ্যে দিয়ে গেছে।আমরা দেখেছি,ক্যাডেটদের বিপদে স্যার-ম্যাডামদের আন্তরিক সহমর্মিতা,আবার একই লোকদের দেখেছি…নতুন প্রিন্সিপালের আমলে পুরাই ক্যাডেটদের বিপক্ষে কথা বলতে!…..
প্রিফেক্টশীপ ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজের একটা বিশেষ আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।যে কোন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন ক্যাডেটই কলেজ জীবনের শুরু থেকে এই বিশেষ ক্ষণটার অপেক্ষায় থাকে।নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ত্বের উপর যার আস্থা আছে,সে মোটামুটি কলেজের প্রভূত প্রতিযোগিতাতে কৃতিত্ব লাভ করেই।প্রিফেক্টশীপ একই সাথে তার প্রতিভা,ব্যক্তিত্ব,নেতৃত্ববোধ ইত্যাদির পুরস্কারস্বরূপ।….

বিস্তারিত»

চিকেন ফ্রাই-১

:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
সিলেটের রাফির কাছে শুনেছিলাম, ব্লগে প্রথম লিখতে হলে আগে দশটা ফ্রন্ট রোল দিতে হয়। আজ্ঞা শিরোধার্য। আমার ব্লগে খুব বেশি ঢোকা হয় না। হালকা পাতলা দুই-একটা পড়া হয়। পড়তে তো জটিল লাগেই। সেদিন আমাদের আছিব ভাইয়ের কক্ষভোজন পড়ে মনে হল আমিও এরকম একটা কিছু লিখে ফেলি।
আমরা তখন ক্লাস XII-এ। রাতে কারেন্ট গেলে অনেক জেগে থাকা হয়।

বিস্তারিত»

ইহাকে কি কবিতা বলা যায়……???

আজ হটাৎ বৃষ্টিতে ভেজা একটা অভিমানী গান …
হিমেল হাওয়ার হু-হু সুরের মাতাল-বেতাল টান….
এই পিচঢালা রাজপথে যান্ত্রিকতার আলোর ছটা….
বৃষ্টি-স্নাত সদ্য-ফোটা সন্ধ্যা বেলার একটি ঘন্টা …
………………দিলাম-তোমায়……………………

এই ব্যস্ত ঢাকার ব্যস্ততা আর মানুষ-বাহন জট…..
বৃষ্টি শেষে হটাৎ পাওয়া এক চিলতে মিষ্টি রোদ……
নীলাকাশের বুকে উড়ন্ত কয়েক টুকরো সাদা মেঘ …..
তোমার-তরে ছুটন্ত পাগল মন-ঘোড়ার দুরন্ত বেগ …

বিস্তারিত»

মেজর আজিজুল হাকীম স্যারকে মনে পড়ে

বিডি আর বিদ্রোহের কথা আমরা ভুলে গেছি। ভুলে যাওয়াটা সহজ, সুবিধা জনক। সরকারও তাই চেয়েছিলো। আমরা ব্লগারাও এখন দৈনন্দিন জীবন, ভালোবাসা দিবস, আস্তিকতা-নাস্তিকতা বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ব্লগ লিখতে ব্যস্ত।

আমি হিসাব করে দেখলাম, সাহসী বাঙ্গালীরা প্রায় সব ৭১ রেই মারা গেছেন। আমরা যারা নতুন প্রজন্মের মানুষ, বেশিরভাগের বাবা-মাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে বেরিয়েছেন। আমরা কাপুরুষের সণ্তান।তাই আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানিনা।

আমরা পালিয়ে বেরাতে বা ভুলে যেতে ভলোবাসি।

বিস্তারিত»