(১) কাস্টডিয়াল সার্ভিসের সহকর্মীরা একজন বাদে সবাই মার্কিনি। বয়সের হিসেবে ওরা সবাই বেশ ছোট বলা চলে। ১৯৯৪ সালে গায়ে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে যখন প্রথমবারের মত ব্রাজিল-ইতালীর ফাইনালে “অনেকগুলো পেনাল্টি” দেখছি তখন ওদের অনেকেই হয়তো মায়ের কোলে হাস্যোজ্জ্বল ১৬-১৮ মাসের শিশু। প্রতিদিন আমার খাবারে গন্ধ শুঁকে বায়না ধরলো কিছু একটা বানিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কষ্ট করে হলেও কাবাব বানালাম। বাসাবাড়িতে মায়েরা সেদ্ধ মাংসের যেই কাবাব বানায় সেটি। পানির পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অব্যর্থ স্বাদ। কিন্তু নিয়ে যাবার পরে হঠাৎ কেউ ধরতে চায় না। বাজে তখন সন্ধা সাড়ে সাতটা। কেউ “পেট ভরা,” “একটু আগে কিছু খেলাম,” ইত্যাদি বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। দুইজন দোনামোনা করে নিয়ে মুখে দিলো। একজন বললো, “hmm, its good. Tastes like potato salad.” শুনে ছোটখাট বিষম খেলাম। জোরপূর্বক হেসে দিয়ে বললাম, “its beef and a type of lentil.” “Really!?” চোখেমুখে স্পষ্ট বিস্ময়। “Its good, hmm…its good.” পছন্দ হয় নাই। নিরামিষাশী বাদে কাবাব পছন্দ হয় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে ধারণা করিনি।
উপলব্ধিঃ যদি শিক্ষার মানদন্ডে ভাগ করে ফেলি, তবে স্নাতক পর্যায়ের মার্কিনিরা খাবারের ব্যাপারে গন্ডীর বাইরে যেতে চায় না। বিশেষ করে স্থানীয় যারা। যারা জীবনে খোদ আমেরিকার তৃতীয় কিংবা চতুর্থ কোন রাজ্যে গিয়ে দেখেনি, তাদের ভীনদেশী খাবারে দুঃসাহস দেখানোর সম্ভাবনা কম। অপরদিকে স্নাতোকত্তর পর্যায়ের ছাত্র, শিক্ষক নির্বিশেষে সবাই এ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। কারণটাও ধারণা করছি একই। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মার্কিনিরা যারা পড়তে আসছে তাদের বেশীরভাগই ভিন্ন রাজ্যের। চাকুরী কিংবা ব্যবসাসূত্রে দেখে নিয়েছে জীবনের বেশ কিছু অলিগলি। আর শিক্ষকেরা ইতমধ্যেই সাতঘাটের জল খাওয়া। এছাড়া ছোট ডিপার্টমেন্টগুলোতে সাধারণত প্রচুর পটলাকের আয়োজন হয়ে থাকে যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন দেশের বা বিভিন্ন রাজ্যের খাবার উপস্থিত থাকে। গতমাসে ১২টি কাবাব বানিয়ে ডিপার্টমেন্টের ফ্রন্ট ডেস্কে রেখে দিয়েছিলাম নোটে লিখে, “beef kebab by moka” লাঞ্চের পরে এসে ভাবলাম বাকি যা থাকবে নিয়ে যাব। গিয়ে দেখি খালি বাক্সের উপর নোটে “thanks moka!!” লিখা। রন্ধনশিল্পের কিছুই জানি না কিন্তু গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আত্মবিশ্বাস বেশ চড়ায় ছিল। বেশ দুঃখ নিয়ে গতকাল বাসায় কাবাবগুলো ফেরত নিয়ে এলাম।
(২) আলবেনিয়ার বান্ধবী ইয়েজেরসার শেয়ার করা পোস্টে খোঁজ পেলাম এই লিংকটির। সাথে সাথে মনে ধরে গেল ইতমধ্যেই আসন্ন (ও চলমান) শীতের সুরক্ষাসরূপ দাড়িগোঁফ ও চুলের জঙ্গল বেড়ে উঠছে। এছাড়া নভেম্বরকে পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতার মাস হিসেবে একমাস দাড়িগোফ না কাটিয়ে মোভেম্বর পালন করাতো ছিলই সাথে। যদিও অফিশিয়াল নিয়মে অগ্রীম গোঁফ দাড়ি রাখা যাবে না কিন্তু কে শোনে কার কথা। স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে, অসহনীয় শীতে উষ্ণ থাকতে হবে, এদুটোই মূল লক্ষ্য। যা বলছিলাম, সিদ্ধান্ত নিলাম যে কয়দিন এই মার্কিন মূল্লুকে আছি (সম্ভবত মাস তিনেকের কিছু কম) শেষ দিন পর্যন্ত বড় করে যাব চুল, দাড়ি, গোঁফ। আগামী তিন মাসে আসা করা যায় খোঁপা করার মত বড় হয়ে উঠবে চুল। ম্যান বান (man bun) বলতে যা বোঝায় সেটাকে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও স্টাইল হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। সর্বশেষ লক্ষ্যঃ প্রায় আড়াই বছর পর “ভাদাইম্যা পোলার” চেহারাটা দেখার পর মায়ের চমকানো উপভোগ করা।
(৩) শহরের একমাত্র তারকা চিহ্নিত হোটেলের গাড়িবারান্দায় চকচকে নীল রঙের অডি স্পোর্টস কারের দরজা খুলে বের হয়ে আসা স্যুট-টাই পরা অসহনীয় পর্যায়ের সুদর্শন পুরুষের দিকে তাকিয়ে শীস বাজানো নারী ও পুরুষের সমান অধিকার। শীসটি গাড়িটি দেখে বাজিয়েছি এই বেনেফিট অফ ডাউটে অপ্রস্তুত মূহুর্ত এড়ানো গেলো।
(৪) গত কয়দিনের আন্তর্জাতিক ভালবাসার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজকে সকালে কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর দ্বিতীয়বারের মত পতাকা বৈঠক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আসুন সবাই বলিঃ সব্বে সত্তা সুখিতা হন্তু।
পরথম :awesome: :awesome: :awesome:
এইবার পড়ে আসি। 😀
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:dreamy:
পতাকা বৈঠক আজীবন চলতে থাকুক 😀
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
হেহেহেহেহ। দেশে হইলে এতক্ষণে ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে আমারে পাওয়া যাইতো! 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
"নিরামিষাশী বাদে কাবাব পছন্দ হয় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে ধারণা করিনি।" 🙂
আমার চারপাশে এদেশী লোকজন আমাদের দেশী খাবার পেলে বর্তে যায়, জানো! কত কায়দা করে বলবে, ঐ যে তান্দুরী রোটি আর বীফ বটি খেয়েছিলাম এখনো লেগে আছে মুখে। ফ্রি পেলে কী যে সোনামুখ করে ওরা খায়! 😛
মোকা উইথ আ ম্যান বান?? ডর লাগছে ভারী! B-)
"অসহনীয় পর্যায়ের সুদর্শন পুরুষের দিকে তাকিয়ে শীস বাজানো নারী ও পুরুষের সমান অধিকার।"
সহমত 😛
চমৎকার লেখা... ভাল লাগলো পড়ে! 🙂
মজার ব্যাপার কি জানেন আপা, ঐখানে একমাত্র ভারতীয় সহকর্মী একজন নিরামিষাশী। গরম করার পরে সে পর্যন্ত বলে উঠলো, বাহ চমৎকার গন্ধ বের হয়েছে তো!
তাও তো ভাল ইনিয়ে বিনিয়ে বলে। এইখানের আন্তর্জাতিক বন্ধুসমাজ তো নির্লজ্জ। মুখের উপর বলবে, অমুক তারিখে পটলাক আছে। মোকা তোমার ঐ খাবারটা বানাইতে হবে। নো এক্সকিউজ! 😕 এমন না যে ভাল লাগে না। খাইয়ে মানুষকে খুশী করার যে মজা এটা নিজে রান্না না করলে আর ঐ তৃপ্তির হাসিটা না দেখলে বোঝানো বড় কঠিন! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমার ইউনিভার্সিটি অথবা তারার স্কুলে আমার কাচ্চি বিরিয়ানি অথবা ডেকোরেটিভ পেপার কাপে সাজানো লাড্ডু বরাবরই সুপার হিট, জানো! 🙂 খাবারের পাশে ছোট একটা বাংলাদেশী পতাকার পাশে লিখে রাখি বাংলাদেশী এরোমা! নিজেও শাড়ী পরতে পছন্দ করি উৎসবে পার্বণে... সব মিলিয়ে খাবারের সাথে সাথে হাতভরা চুড়িওয়ালি রাঁধুনিও হিট! 😛
এখানে বাঙলাদেশের মেয়েটা আছে আমার সাথে পড়ে সে শাড়ি পড়ে না। কত করে বলি। ও নাকি শাড়িও নিয়ে আসেনি, বাকি যারা আছেন তারা মূলত ভাবী পর্যায়ের। যোগাযোগ পরিচয় কিঞ্চিত কম আছে। কাচ্চি বিড়িয়ানি যদি রান্না করতে পারতাম এখানে খাদ্য বিপ্লব ঘটানো যেত! 😛 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমাদের এখানেও দেখি বাঙালী মেয়েরা অনেকেই শাড়ী পরতে সচ্ছন্দবোধ করেন না। আমাদের নিত্যদিনের স্ল্যাক্স অথবা স্যুটের ভিড়ে আমি কিন্তু শাড়ীতেই সবার মনোযোগ কেড়ে নেই! 😛 কত যে কমপ্লিমেন্টস পাই এই সাজপোশাকের জন্য! 🙂
শাড়িতে সব মেয়েকেই দারুণ সুন্দর লাগে 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কতকিছুই যে জানি না: ১) ম্যান বান ২) মুভেম্বর .........
ভাল লাগলো পড়ে
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
লম্বা চুলের মাথায় ঐ ছোট খোঁপাটিকে যে ম্যান বান বলে এটা আমি জানলাম ঐ বান্ধবীর লিংক থেকে। মোভেম্বর জেনেছি ২০১২ সালে প্রথম এখানে আসার পর। সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইজগুলোতে ফটো কন্টেস্ট হয়। প্রস্টেট ক্যানসারের সাথে দাঁড়ি গোফ বড় করার সম্পর্ক কোথায় সেটা গুঁতাতে গিয়ে দেখি বেশ বড় ব্যাপার!
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
"গত কয়দিনের আন্তর্জাতিক ভালবাসার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।"
নাগালের ভেতরে থাকা কালে ঘটা মন কষাকষি গুলাতে সন্ধির পর "সেলিব্রেশনের" সুযোগ থাকে। তাই বেশী বেশী ঝগড়া-ঝাটির সাথে বেশী বেশী ভালবাসাবাসির একটা রিলেশন থাকে।
নাগালের বাইরে থাকা কালের মন কষাকষি গুলা অল্পতেই খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তা ছাড়া সেইভাবে "সেলিব্রেশনে"-রও সুযোগ থাকে না।
তাই যথা সম্ভব বর্জনীয়।
(মুরুব্বী বার্তা)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মুরুব্বী বার্তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ব্যাপারটি কিছুটা চিন্তা করছিলাম। তবে শুধু ভাবছিলাম দেশে থাকলে ব্যাপারটা সহজ হতো। ক্লিয়ার করে দিলেন কিভাবে ব্যাপারটা সহজ হয়। যদিও গত আড়াই বছরের তুলনায় এই শেষ ক'টা দিনের ঝাঁকি আমরা দুই পক্ষই মেনে নিচ্ছি। দুইদিকেই পড়াশোনা বিষয়ক চাপ প্রবল। এরমাঝে যে চুল ছেড়াছেড়ি পর্যায়ের ঝগড়া হচ্ছে না এটাই বেশী।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সবাইকে তো ভাবীর হাতে রান্না খাবার জন্য বুকিং দেই, তোমাকে তোমার নিজের হাতের রান্নারই বুকিং দিলাম 😛
মোভেম্বর ট্রেডিশনটা আমাদের এখানে থাকলে দারুন হতো, নিতান্ত্য বাধ্য না হলে শেভ করা হয় না যদিও প্রায় প্রতিদিনই বাধ্য হতে হয় 🙁 আমার জন্য তাই সকল প্রকার ছুটিতেই মোভেম্বার।
ঐ সুদর্শনের একটা অরিয়েন্টেশন ভিন্ন হলে কিন্তু বিশেষ ধরনের অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে পারতে 😉
ওম শান্তি! ওম শান্তি! ওম শান্তি!
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আড্ডার আয়োজন হইলে সেখানে রান্না কইরা খাওয়াইতে আমি সাবধান পজিশনে রেডি! 😀
চিন্তা করে দেখেন বিদেশী সংস্কৃতিতো এমনেই আসছে। সম্প্রতি এগুলো নিয়ে চুলকানিরও শেষ নাই। অথচ এই মজার কিন্তু সচেতনতামূলক প্র্যাকটিসটা দেশে চালু করা গেলে কতটা ভাল হবে। প্রতি বছর বিশেষ দুটো বা তিনটে রোগকে ফোকাস করে এই মাসটা পালন করলে মানুষজনের মাঝে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে যদিও বাঙলায় আকর্ষণীয় ট্যাগলাইন বানানোটা মনে হয় কিঞ্চিত কঠিন কিন্তু করা যাবে। আমাদের তো হুজুগ ভাল চলে। স্নোবলটাকে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সাথে কিছু বড় পর্যায়ের কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং!
সুদর্শনের অরিয়েন্টেশান ভিন্ন হলেও সমস্যা ছিলো না। অন্তত আমার এই ছোট শহরে প্রশংসা খুব স্পোর্টিংলি নেয় সবাই! যদিও দামী স্পোর্টস কারের সেই সুদর্শন যুবক এই শহরের হবার সম্ভাবনা কম! 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না,
গুলিও ছুঁড়িয়া দেয় 😛দূরেও ঠেলিয়াগৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
দূর থেকে রকেট হামলা চালায় ভাই। পাল্টা হামলা চালাইতে গেলে বলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশান ব্রেক হইতেসে! কি ঝামেলা! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
দ্যাশে আসেন।
কাবাব খামু...... 😀 :awesome: :awesome:
সবাই আপনারে খাওয়াতে চাইবে। আমিই খালি আপনের কাছে খেতে চাই । 😛
মুভেম্বর এ যোগ দিবো নাকি ভাবতেছি।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
যোগ দিয়া ফালাও। দেশে বিদেশী কালচার ঢুকে। সেটা নিয়া মানুষের চুলকানিও উঠে। কিন্তু কাজের বিদেশী কালচার ঢুকে না। ট্রেন্ড শুরু করে দিলে, ফেইসবুকে বিখ্যাত হয়ে গেলেই বাকিটা স্নোবল ইফেক্ট! 😀
আমি রান্না কইরা খাওয়ানোর জন্য সবসময় রাজি! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এতোদিনে কি কি রান্না শিখলে, মোকা? আমাদের না খাইয়েই চলে যাবে দেশে?
আমিও কিন্তু ফাটাফাটি রাঁধি... নিমন্ত্রণ রইল তোমার! যাবার আগে আমাদের সাউথে বেড়িয়ে যেও!
রান্না বলতে জীবনধারণ টাইপের আপা। আসার আগে দুই মাস মায়ের বাধ্যতামূলক শিক্ষানবিস ছিলাম। শেষের এক মাস প্রায় নিয়মিত বাসার জন্য রান্না করেছি। ফলাফলঃ এসে নাকের জল চোখের জল এক করতে করতে রান্না শিখতে হয়নি। জানি কি খাব, কিভাবে খাব, কখন খাব। মাছ, মুরগী, সবজী, ডাল, আলু এই ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে চালিয়ে নিয়েছি। 😛
আপনি থাকেন কোন রাজ্যের কোন শহরে?
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মাছ, মুরগী, সবজী, ডাল, আলু? আর বাকী রইল কিগো? তোমার সিলেবাস তো কমপ্লিট হয়ে গেছেরে! 😛
এখানে হাজার রকমের বিনস পাওয়া যায়, মোকা! যেমন স্বাস্থ্যসম্মত তেমনি খেতে মজা। বিনস নিয়ে একটু কারিগরি করো মন চাইলে। বিন বারিটো, ক্যায়সেডিয়া, অথবা সালাডে বিনস অতুলনীয়! আশা করি খেয়ে তোমার ভাল লেগেছে। 🙂
আমি আটলান্টাতে থাকি। জর্জিয়া স্টেট! থ্যাংকসগিভিংডে কড়া নাড়ছে দুয়ারে... তুমি এলে টার্কিটা ধরি! 😛
স্বাস্থ্য সম্মত খাবার নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছি গত দুই বছর। গত একমাস কাউনসেলিং সার্ভিসে গিয়েছিলাম। নার্স প্র্যাকটিশনার আমার ফুড হ্যাবিট শুনে বলে, "আমার পেশাগত জীবনে এই প্রথম কোন ছাত্র পেলাম যে এরকম হিসেব করে স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলে!" 😀 মাঝে প্রচুর বিনস খাওয়া হয়েছে। একটাই সমস্যা পেটে গ্যাস হয়। 😕 আমি যেটা করি বিভিন্ন পদের ডাল খাই। রমজানের সময় করা ছোলা বুট আর মুড়ি ছিল অনেকদিন। হাহাহাহাহা! স্টিল কাট ওটমিল আরেক পছন্দের নাস্তা। আর ব্রকলি, গাজর পেলেই জাবর কাটা শুরু করি! 😛 মাছের মাঝে পছন্দ কড আর লেক সুপিরিয়রের হোয়াইট ফিশ। আহা! 😛
আমিতো আপা জগতে ওপারে থাকি। গাড়িতে ১৮ ঘন্টা, উড়োজাহাজও নিবে চার ঘন্টা চল্লিশ মিনিটের মত! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
স্টিল কাট ওটস যে খায় তাকে আমি শোনাই বিনসের কাহানী? আমি টোটালি ইম্প্রেসড, মোকা! বাঙ্গালীরা গ্রিটস অথবা ওটস ধরতে পারে না সহজে... গুরু! গুরু!! 😀
তোমার ম্যাপ দেখে মাথাই ঘুরে গেল রে... 🙁
এইটার পেছনে মা জননীর হাত আছে। ছোট বেলায় মা বিকালে প্রায় সময়ই নাস্তা দিত দুধে সেদ্ধ কোয়েকার ওটমিল। এই দেশে এসে দেখি ওমা এতো ওটমিলের স্বর্গরাজ্য! এরপর বাকিটা ইতিহাস! রাতে জ্বাল দেয়া ওটমিল সকালে ফ্রিজ থেকে বের করে খেতে যেই মজা! 😛
আমরা যেই এলাকাটায় থাকি তার নাম আপার-পেনিনসুলা। এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করলে এলাকাটিকে চেনানোর জন্য বাম হাতের করতল ম্যাপের মত সামনে মেলে ধরে রেখে বুড়ো আঙ্গুলের ডগায় দেখিয়ে বলে, "that's us!" 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমরা মা মেয়ে মজা করে ওটস খাই সকালবেলা, সাথে গ্রিক দই আর ফ্রুটস থাকে। যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মজার! 🙂
বলতেই হবে যে, তোমার আম্মু খুব ভাল একটা বাচ্চা বানিয়েছেন!
জাতির অন্যান্য ইস্যু নিয়ে তো আগেই আলোচনা হয়ে গেছে... :-B
এখন শুধু সীমান্তজনিত সমস্যা নিয়ে কথা বলি- আমরা আর কোন ফেলানী বা কারগিল দেখতে চাই না... O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ ভাই। দরকার হলে এই গান গাইতে গাইতে দেশে চলে যাব তবু ফেলানি কিংবা কারগিলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না মাননীয় স্পীকার! 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এ কড়চাগুলোর জন্যে সিসিবি এতো ভালো লাগে। কিন্তু তোমরা লেখো বেশ বিরতি দিয়ে দিয়ে।
এখন আমরা একই রাজ্যের বাসিন্দা, কিন্তু ঠিক দুই পারের ব্যবধান।
ধন্যবাদ নূপুরদা। দৈনন্দিন করচাগুলো খেজুরের রসের মত। তাও যদি একরাতে জমতো। 😕
মিশিগান সম্ভবত আমেরিকার একমাত্র রাজ্য যেটার নিজের মাঝে যাতায়াত করা বেশী ঝামেলার। আপার পেনিনসুলা থেকে শিকাগো, দুলুথ, মিনেসোটা, ইন্ডিয়ানাপোলিস যাওয়া সহজ কিন্তু এ্যান আরবোর যাওয়া অপেক্ষাকৃত সময়সাপেক্ষ ও কঠিন! হাহাহাহাহাহা!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
তোমাকে মোচ ছাড়া মানায় না- মোচা মোকাব্বির 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কিন্তু ভাই এবারে চুল বড় করতেই হবে। দেশে গেলে মা ঘ্যাচ করে কেটে দিবে কেচি দিয়ে! 🙁 দাড়ি-মোঁচ আগেও বড় করেছি। ফ্যাসিনেশান নাই!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আহারে বড় চুল। আমার সব পড়ে যাচ্ছে দেখে কলেজ স্টাইলে ছোট রাখি চুল 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নেক্সট টাইম বিফের বদলে টুনা দিয়া করিস। ক্যান টুনা। খুব ভালো কাবাব হয়। গরু দিয়া করাটা ঝামেলা। আর ঝামেলা এড়াতে চাইলে আলাদা করে আবার মিনস গরু কেনা লাগে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সিরিয়াল, বেকড বিনে অভ্যস্ত হইতে পারলাম না। তবে আধাকাচা সবজি খাইতে পারি। খারাপ লাগে না। বিলাতিদের মতো হালকা লবণ আর গুল মরিচের গুড়া দিয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ