আ বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা কতবার যে দেখেছি! নোবেল বিজয়ী গনিতজ্ঞ জন ন্যাশের জীবন অবলম্বনে বানানো এই মুভিটি আমার অল টাইম ফেভারিট। এখনো কানে বাজে এলিশিয়া (মিসেস ন্যাশ) বলছেন, গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?
নোবেল পাওয়ার বহু আগে থেকেই জন ন্যাশ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়মুখ ছিলেন। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে তিনি যেচে পড়ে কারো সাথে কথা বলতেন না বটে, কিন্তু কেউ এগিয়ে এসে গল্প জুড়ে দিলে নিজের ভাবনা গুলো বলতে ভালবাসতেন। লাল একজোড়া স্নিকারস ছিল তাঁর খুব প্রিয়, তিনি সেই স্নিকারস পরে ক্যাম্পাস জুড়ে ঘুরে বেড়াতেন একা একা। মাঝেমধ্যে ফাঁকা কোন ক্লাসরুম পেলে জন ন্যাশ চক হাতে ব্ল্যাকবোর্ডে একা একাই জটিল সব অংক কষতেন। তিনি নিজের মনে লেকচার দিতেন, নিজেই তাঁর শ্রোতাও ছিলেন। প্রিন্সটনে তাঁর পরিচিতি ছিল ‘ফ্যান্টম অব ফাইন হল’ নামে।
বহুদিন পর ডঃ সামিরা আহমেদের সাথে দুটি দিন কাটাবার সুযোগ হলো টেনেসিতে। তিনি বিশিষ্ট পন্ডিত মানুষ। কথা বলেন মেপে, হাসেন তো আরো কম। তাঁর কপালে দুটো চারটে ভাঁজ পরা মুভি থিয়েটারে পপকর্ণ খাওয়ার মতই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। আমি নিতান্তই ছোটবেলার বন্ধু তাই আমার সাথে সামিরার সহজ একটি সম্পর্ক আছে। নইলে জগত সংসার নিয়ে তাঁর হিসেব নিকেশের অন্ত নাই। লেবার ডে উইকেন্ডে আমি তাঁকে চ্যাটাহুচি নদীর তীরে বারবিকিউ করার আমন্ত্রণ জানালে তিনি বলেন, ক’টি মুরগী তোমার চাই, বলো? আমি দেশী মশলায় ম্যারিনেট করে রাখব; তোমার সাহেবী মুরগী খাওয়া যাবে না হে! ভুট্টা, জুকিনি, পেঁয়াজ ছাড়া আর কি চাই তোমার ইমেইল করে জানিও তুমি। তারা কি স্প্রাইট খায় নাকি ওর জন্য আইস টি নিয়ে আসবো?
সাহেবী কেতায় ঠিক বারোটায় ধূসর রঙের একটি স্কার্ট স্যুট পরে আমি ওর অফিসে হাজির হলাম। আমাদের দু’জনের বাড়িই ময়মনসিংহ।’আইছুইন আফনে’ বলে হাত বাড়িয়ে দেয় সে। আমি বুকে জড়িয়ে তাঁকে বিড়বিড় করে বলতে থাকি, কি সোন্দর লাগতাসে তুমারে সামু! এক্কেরে মেমসাব দেহি তুমি!
অফিস থেকে ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির এলামনাই হলের দিকে হাঁটতে থাকি ব্যাম্বু বিস্ট্রোতে যাবো বলে। ঢুকতেই দেখি সাদা ছোট একখানি ড্রাই ইরেজ বোর্ডে লেখা, আই এম নট স্পেশাল, আই এম জাস্ট লিমিটেড এডিশন! বোর্ডে চোখ পড়তেই আমরা দু’জনেই হেসে উঠি এক সাথে। এশিয়ান খাবারের স্বাদ নিতে আমাদের ব্যাম্বু বিস্ট্রোতে আসা। এখানে ভারতীয় খাবার মেলে লাঞ্চে। এদের সারভিং সাইজ বড় দেখছি। আমরা বিফ ফ্রাইড রাইস, কারি পাতায় ভাজা চিকেন সিক্সটি ফাইভ আর মাঞ্চুরিয়ান বিফ অর্ডার করি। শুরুতেই এপিটাইজারে দুটো গরম সিঙ্গারা দিয়ে গেল কেউ একজন। সাথে পুদিনা পাতার একটা চাটনি আর রায়তার মত কিছু একটা। সামিরা উঠে গিয়ে টিস্যু পেপার, ছুরি, কাটা আর সোডা নিয়ে এলো। আমি কোকাকোলার দেশের মানুষ তাই কোক ছাড়া অন্য কিছু রোচেনা মুখে, সামিরা নিজের জন্য একটি কানাডা ড্রাই নিল।
ঝাল ঝাল চিকেন সিক্সটি ফাইভ আমাদের দুজনেরই সবিশেষ পছন্দের ডিশ। খেতে খেতে আমরা আমাদের পুরনো প্রেমিক থেকে শুরু করে আমার তারা আর সামিরার দীপের গল্প করি। হাসান স্যারের দুমাদুম কিল অথবা নাগবাবু স্যারের কথাও বাদ যায় না। ময়ময়সিংহের বন্ধুদের খবরাখবর নিই।
আমি যদি পুরোদস্তুর বাঙ্গাল হই তবে আমার বন্ধু সামিরা পুরোদস্তুর মুমিসিঙ্গা। বহিরাবরণে পাশ্চাত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও আমাদের ভেতরকার পূর্বের মন ঝর্ণাধারার মতই সতত মুখর! বাসন্তী রঙা শাড়ির আঁচল উড়িয়ে বাজুবন্দ আর সোনার এংকলেটে মুগ্ধতা ঝরে পড়ে এখনো; চিত্রাংগদায় স্থিতধি চোখ, ছেলেবেলায় পড়া হৈমন্তীর প্রেমে টানটান উত্তেজনা এখনো।
আমাদের মা-মেয়ের খাবারে পশ্চিমের আগ্রাসন প্রকট। এভোক্যাডো পেলে আমি মুহূর্তেই তাজা লেবুর রস, টমেটো, আর শ্যালটের মিশেলে গ্রিডিরন গোয়াকামোলে খেতে ভালবাসি নাচোর সাথে। অন্যদিকে, সামিরা এভোক্যাডো কাটার আগেই ওভেনে শুকনো মরিচ টোস্ট করে নেবে। যত্ন করে লাল পেঁয়াজ কেটে নেবে মিহি করে, সাথে ধনে পাতার ঝুরিও। সর্ষের তেলে বিট লবণ, পেঁয়াজ মরিচ চটকে এভোক্যাডো মাখিয়ে সে এমন একটা ভর্তা করবে যে নাক উঁচা বাঙালও হাত চেটেপুটে খাবে। সাদা ভাতের সাথে আমি এই ভর্তা খেয়ে দেখছি, অমৃত বললেও কম বলা হবে সত্যি।
প্রতি শুক্রবারে সামিরা অফিস শেষে বাড়ি ফিরে বিলাসী একটা গোসল সেরে ধীর লয়ের কোন বাজনা শোনে। মোমবাতি টাতি জ্বালানোর মত মানুষ সে নয়। খানিক সময় পাওয়া গেছে এই ফাঁকে রেফ্রিজারেটর গুছিয়ে নেয় চট করে। একবেলা ভাত নইলে চলে না। এখন পেটে ক্ষুধা আছে বটে কিন্তু অসময়ে ভাত খেতে চায়না সে। মুরগির চারটে নাগেট ভেজে সেটাই খেয়ে নিল কাঁচা মরিচের সসে।
এখানে সন্ধ্যা হতে হতে প্রায় ন’টা বেজে যায়। রাত ঠিক পৌনে দশটায় সামিরা কালো স্ল্যাক্সের সাথে অফ হোয়াইটের সাদামাটা একটা টপ পরে পিগিজের দিকে রওনা দেয় একা। পিগি’জ হলো ওদের ছোট্ট শহরের ততোধিক ছোট্ট একখানা পাব। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বাইরে বলে এখানে লোকজনের আনাগোনা কম। সামিরা বোধকরি সেটিই চান। তিনি হুল্লোড় এড়িয়ে প্রতি শুক্রবার কাউন্টার থেকে দূরে কোণার টেবিলটিতে বসেন। কোমড়ে সাদা এপ্রন ঝুলানো ছেলেটা ফিচেল একটা হাসি দিয়ে খবরের কাগজটি রেখে দিয়ে যায় টেবিলে। দুটো ল্যাম্ব চপ, পিচ ক্যাপ্রিস সালাদ আর একটা বিয়ারের অর্ডার দিয়ে খবরের কাগজে মন দেন সামিরা।
পিগি’জে প্রতি শুক্রবার রাতে লাইভ গান বাজনা হয়। ক্লান্ত নগরবাসী সপ্তাহ শেষে ভাবনাহীন থাকেন। সামিরা কথা বলেন না কারো সাথেই। তার টেবিলে কখনো কেউ এসে বসেওনা। বাইরে বেশ ক’টি চেয়ার টেবিল পাতা আছে। গ্রীষ্মের জমজমাট সন্ধ্যা উপভোগ করছে সবাই। ম্যাক্সিকান একটি দম্পতি ছোট এই পাবটি চালান। একদিন পিগি’জ এর মালকিন খুব কাছে এসে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আর ইউ আ কপ, ম্যাম?
পদার্থ বিজ্ঞানে হুলুস্থুল টাইপের ডিগ্রি আছে সামিরার। ও যে পিএইচডি করেছে সেটি আমার জানা ছিলনা, বলেওনি কোনদিনও। খটরমটর বিষয়ের ওপর পাবলিকেশন যে আছে সেগুলোর কথা ভুলেও উচ্চারণ করে নাই কখনো। একদিন কথাচ্ছলে জিজ্ঞেস করেছিলাম, অই যে অমুক বছরে অমুক সময়ে তুমি কোথায় ছিলে হে? সে মিনমিন করে অনুচ্চ কন্ঠে বল্লো, অই সময়ে আমি একটু পিএইচডি করছিলাম আরকি। এবার দুই ভুরুতে ভাঁজ ফেলে আমি বলি, তার মানে সংসারের গ্যাড়াকলে পড়ে তোমার আর ডক্টরেট করা হয়নি? হয়েছিল একটু! এই হলো ডঃ সামিরা আহমেদ, যার সব কিছুর উত্তরই ‘একটু’ দিয়ে শেষ হয়।
চলে আসবার সময়ে সামিরা আমাদের ব্যাগটি গুছিয়ে দেয় আদর করে। সাথে ওর রান্না করা খাবার। টুপারওয়ারে আমার পছন্দের বাদাম, মুড়ি। কুলারে জলের বোতল, তারার জন্য আইস টি আর আমার জন্য কোকাকোলাও!
গাড়িতে উঠে জিপিএসে হোম বোতামে ক্লিক করি। সামিরা শেষবারের মত জড়িয়ে ধরে বলে, আবার কবে আইবাইন? তারা বেচারী মা খালাদের কিচিরমিচির শুনতে শুনতে খানিক দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। গাড়িতে বসে তার প্রাণ এলো যেন। বিলবোর্ডের টপ গান ক্যান্ট ফিল মাই ফেইস বাজছে রেডিওতে।
আমার কানে বাজছে এলিশিয়ার কথা, গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?
কী দারুন!
কী দারুন!!
এক নিশ্বাসে পড়ে গেলাম আর মনে হলো, "ইস! ফুরিয়ে গেল?"
ডঃ সামিরার সাথে পরিচয় হয়ে দারুন লাগলো।
তোমার মাধ্যমে এরকম আরো অনেকের সাথে পরিচিত হবার অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
তুমি সিসিবিতে ফিরে এসেছো দেখে ভাল লাগছে। এই ব্লগ বাড়িটি আমাদের সবার। এপথ ওপথ ঘুরে মেঘের বিকেল শেষে ঘুরেফিরে তাই আপনজনদের কাছে ফিরে আসা আমাদের। তুমি এবার নিয়মিত হও ব্লগে। জলদি লেখা নিয়ে এসো, প্লীজ!
আমিতো ভাবছিলাম, আমার সিসিবির বন্ধুদের নিয়ে লিখবো এবার। সিসিবির পাঠকরাই যদি লেখার মূল চরিত্র হয়ে আসেন কেমন হয়, বলো?
তোমার প্রশংসাপত্রে আমার অহংকারের ঝুলিটি ক্রমাগত স্ফীত হচ্ছে। পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।
নাক উঁচা বাঙালও হাত চেটেপুটে খাবে
পদার্থ বিজ্ঞানে হুলুস্থুল টাইপের ডিগ্রি আছে সামিরার
খটরমটর বিষয়ের ওপর পাবলিকেশন যে আছে সেগুলোর কথা ভুলেও উচ্চারণ করে নাই কখনো
- উপরের বাক্য তিনটি পড়ে লেখকের নাম না দেখলেও বুঝতে পারতাম ওগুলো কার লেখা। এত সাবলীল লেখা পড়তে খুবই ভালো লাগে।
কনভার্সেশন, রেসিপি, কনক্লুশন, সব কিছুতেই শিল্পের ছোঁয়া আছে।
ন্যাশ মশাই এর চরিত্রটা ভাল লাগলো, মিসেস ন্যাশের কথাটাও।
আর তোমার মুমিসিঙ্গা বন্ধু ডঃ সামিরা আহমেদ এর সাফল্যের কথা জেনে বাংলাদেশী হিসেবে গর্ববোধ করছি। তিনিও কি এক্স ক্যাডেট? হয়ে থাকলে ফেলো এক্স ক্যাডেট হিসেবে গর্বের মাত্রাটা "একটু" বেশীই হবে।
🙂 🙂 🙂 🙂
যদিত্ত ডঃ সামিরা আহমেদ ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেন নাই তবুত্ত তাঁকে নিয়ে আমরা অহংকার করতেই পারি। ক্যাডেট কলেজের বাইরেও আমার অনেক বন্ধুরা আছেন যাঁরা পাশ্চাত্যে থেকেও পূবর্ের মানুষ। বিদেশে আমরা এক একজন স্বদেশের এম্বাসেডর বৈ অন্য কিছু নই।
পড়বার জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। এত্ত এত্ত প্রশংসা পাবার যোগ্যতা আমার হয়নি জানি; তবু আপনাদের এমন স্নেহমাখা প্রশ্রয় আমাকে উদ্বেলিত করে, আবেগপ্রবণ করে!
'' গড মাস্ট বি আ পেইন্টার। হোয়াই এলস উড উই হ্যাভ সো ম্যানি কালারস?''
আপু খুব সুন্দর লিখেছ। আরও সুন্দর দিন আসুক, আরও সুন্দর হোক দিনলিপি। আমারও এলিশিয়ার কথাটা মনে হচ্ছে আর একসেপ্ট করি যা কিছু আমার বেলায় ঘটেছে। ভালো থেকো। :clap: :clap:
🙂 🙂 🙂 🙂
In our life there is a single color, as on an artist's palette, which provides the meaning of life and art.
It is the color of love.
ভাল থেকো, ভাইয়া। মাচ লাভ!
Dinlipi na bole khabarlipi bolai sreo...apne majh rateo khida lagan ekhn blog e o khida lagaitesen....boraborer mtn lekhata fuchkar mtn hoise...???? Ki jibhe jol esese Ki??? Ponditer sathe ponditer Porichoi hoy,jmn Amr sathe fokinnir...:p onek onk shuvokamona roilo...notun likbar opokkhay thklaam.....?
নোটঃ দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন তথা ব্লগের নিয়ম মেনে চলুন। পরবর্তীতে এইভাবে রোমান হরফে লেখা বাংলা মন্তব্য প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না। - ব্লগ এ্যাডজুট্যান্ট
Life is a learning process...n itz a continuous process.....??????
🙂 🙂 🙂 🙂
খাবার টেবিলে চুপচাপ খাবার খেতে শেখানো হয়েছিল ছোটবেলায়। খাওয়ার সময়ে কথা বলা যাবেনা। ক্যাডেট কলেজেও সেই একই ধারাবাহিকতা। এদেশে এসে মনেহলো আমি যেন উল্টো রাজার দেশে এলাম। আলোর সুইচটি থেকে গাড়ির ড্রাইভারের সিট সবই উল্টো, রাস্তার উল্টোদিকে ড্রাইভ করি আমরা। ডিনার টেবিলে দিনশেষে পারিবারিক আড্ডাটি হয়। ছুরি কাটার টুংটাঙের সাথে দিনের ফিরিস্তির বয়ান চলে। জগতজুড়ে আমাদের নিত্যদিনের অনুসঙ্গে তাই খাবার আসে ঘুরেফিরে।
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য, তাসমিয়া।
😉 😉 😉 😉 :boss: :boss: :boss: :boss: B-) B-) 😀 😀 😀 😀
Life is a learning process...n itz a continuous process.....??????
যথারীতি দারুণ!
ফেভারিট মুভ্যি কমন পড়েছে 🙂
মমিসিঙ মিস করলাম, খুব। যদিও আমার ডায়ালেক্ট খানিকটা আলাদা, জামালপুইর্যা......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
🙂 🙂 🙂 🙂
একটি বিয়েতে জামালপুরে গিয়েছিলাম অনেকদিন আগে। আমলাপাড়া মনেহয় জায়গাটার নাম। সেই প্রথম শুনি মুমিসিং এর সাথে জামালপুইরাগো মহা ক্যাচাল নাকি। এরা ওদের ত্যাদর বলছে তো ওরা ডাকাইত! কথায় কথায় বিতন্ডা প্রায় লাগি লাগি ভাব। বিয়েশাদীর মত আনন্দ উৎসবেও দুই পক্ষ বেশ খিঁচে আছে।
তিনজন বাঙালী এক হলে দুটো দলে ভাগ হয়ে যেতে সময় লাগেনা।
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য, ভাইয়া।
আপু দারুণ! পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম। যখনই অবশ্য একটু বেশি পাশ্চাত্য ঢুকে পড়েছে তখনই লেখার টাইটেল টা মনে করেছি। কি দারুণ সুখপাঠ্য!
🙂 🙂 🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ, জিয়া।
খুব সুন্দর, মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ঘটছে সব কিছু
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
🙂 🙂 🙂 🙂
ধন্যবাদ, ভাইয়া!
আইছুন, আফা? 😀
🙂 🙂 🙂 🙂
আফা সিসিবিতে থাকই; তুমার দেখা পাইনা!
😀 😀
একেবারে পুদিনা পাতার চাটনীই পুরোটা ...