বোনের আদেশ, “মজার কিছু লিখে ফেলো তো? কমেন্ট করে ভাসিয়ে দেই!”
চাইলেই কি আর মজার কিছু লিখা যায়?
তবুও ভাবলাম, “দেখি না একটা ট্রাই মেরে…”
যে কয়দিন থাইল্যান্ডে ছিলাম, অনেক কিছুই নিবিড় ভাবে পর্য্যবেক্ষন করেছি, যদি তা থেকে লিখার মত কোন কিছু খুঁজে পাই, এই ভেবে। কিন্তু “ভাগ্যটা ঘোলা জলের ঢোবা” খুজে যাও কিছু পাই, তা নিয়ে কি যে লিখা যায়, সেটা আবার খুঁজে পাই না।
শেষে যেটা পেলাম, তা দেখে ছেলেবেলায় পড়া Eleanor Farjeon-এর “Cats Sleep, Anywhere” কবিতাটা মনে পড়ে গেলো……
Cats sleep, anywhere,
Any table, any chair
Top of piano, window-ledge,
In the middle, on the edge,
Open drawer, empty shoe,
Anybody’s lap will do,
Fitted in a cardboard box,
In the cupboard, with your frocks-
Anywhere! They don’t care!
Cats sleep anywhere.
শুধু পার্থক্য হলো “ক্যাটস স্লীপ”এ-র বদলে “পিপল কিস” বসিয়ে দিতে হবে।
চারিদিকে চুম্বনরত যুগলের ওখানে এতটাই ছড়াছড়ি ছিল যে একটা সময় ভাবছিলাম, কোথায় বা কোন সময়টাতে চুমু না খেয়েও থাকা যায়?
নাহ্, খুজে পেলাম না।
পরে ভেবে দেখলাম, এর পিছনে একটা শক্ত কারন আছে।
চুমু হলো এমন এক খাবার যা বানাতে সবচেয়ে কম সময়, উপকরন ও এফর্ট দরকার হয়। অথচ স্বাদে ও গুনে-মানে এটা অতুলনীয়।
এমন একটা উপাদেয় খাদ্য আসলেই তো যত্রতত্র না খাবার তাই কোন কারন নাই…
অন্যসব খাবার খাওয়ার হয় সময় আছে না হয় তো স্থান। সকালে ডিনার করা যায় না। আবার রাতে ব্রেকফাস্ট হয় না। লাঞ্চে ভুড়িভোজ দেয়ার পর আবার খাওয়া যায় না। অথচ চুমুতে কোন মানা নেই যখন তখন সেটা খাওয়া যায়। পেট যতই ভরে থাকুক, আর একটা কেন, একশোটা এলেও টপাটপ খেয়ে নেয়া যায়।
পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বা মলে অনেক কিছুই প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করায় বিধিনিষেধ থাকে। আর তা খুবই যুক্তিসঙ্গত কারনে। এটা নোংরা করা বা পরিবেশ দূষণ এড়াতে করা হয়, বুঝি।
কিন্তু চুমুতে কোথাও কোন বিধি নিষেধ নাই। লিফটে, করিডোরে, বাসে, রাস্তার ফুটপাথে হাটতে হাটতে, রেস্টুরেন্টে খেতে খেতে, বাস ছাউনিতে অপেক্ষা করার সময়, দোকানে কেনাকাটার ফাঁকে, আরও কত কত জায়গায় – যখনই কোথাও একটু বিরতি পাওয়া যায় দেখা যাবে, কেউ না কেউ অন্য কাজ ফেলে চুমু খেতে ব্যাস্ত…
মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, এমন কেন ওরা?
আবার এটাকেই স্বাভাবিক ভেবে নিয়ে নিজেরও যে ইচ্ছা হয় নাই ওরকম করবার, তা না। কিন্তু সেই ইচ্ছাটা জানানোর মত সাহস সঞ্চয় করে ওঠা হয় নাই। পাছে শুনতে হয়,
“মরন! বিদেশ বিভূই-এ এসে বুড়ো বয়সে এই ভীমরতি!!!”
যাক, অনেক ভূমিকা হলো। এবার আসল কথা পাড়ি।
বিদেশ বিভুইয়ে যত্র-তত্র যখন-তখন চুমাচুমির ঘটনা যে ঘটবে, এটা তো আসার আগেই জানা ছিল। তাছাড়া ওরা তো আর আমাদের মতো “অতিসংবেদনশীল” না যে চুমাচুমির অপরাধে বিভিন্নানুভুতিতে আঘাত লাগার বা “পাবলিক ডিসেন্সি” ভঙ্গ হবার অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে ছুটবে? তাই অন্য সবার মতই ব্যাপারগুলো ইগনর করেই যাচ্ছিলাম।
অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, আমার কন্যারাও এসবের সাথে ভালই মানিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু যত ইগনরই করি না কেন, একটা বিষয় কিভাবে যেন “ব্রেনে টাচ” দিয়ে গেল।
(এই ব্রেনে টাচ লাগার বিষয়টা জানতে বন্ধু মাহবুবের লিখা “নবীশী কুচকাওয়াজ” পড়ুন)
হঠাৎ মনে হলো, এত যে চুমাচুমির ঘটনা ঘটছে চারিদিকে, আমি কি কোন পুরুষকে দেখছি চুমু খাবার জন্য আগ বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে? এটা কি চোখের ভুল বা সিলেক্টিভ ভিশন? নাকি চুমু খাবার ইনিশিয়েটিভটা অজ্ঞাত কোন এক কারনে নারীদের জন্যই রিজার্ভড?
ভাবলাম, একটু এম্পিরিকাল স্ট্যাডি করি আগে। তারপর কজ এন্ড ইফেক্ট নিয়ে ভাববো পরে……
ফুকেটে দ্বিতীয় সকাল থেকে চুম্বনোদ্যত যুগলদের “অবজার্ভ” করা শুরু করলাম। দুদিনে ৫০-এর উপরে সাবজেক্ট স্টাডি করে চুড়ান্ত রকমের অবাক হলাম। আমার দেখা শতভাগ যুগলের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই দেখলাম চুমুগুলি ইনিশিয়েট করছে নারী সঙ্গীটি। ইনিশিয়েট অর্থে যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হলো : ১) প্রথমে এগিয়ে যাওয়া, বা নৈকট্য অর্জনে বেশী পথ পাড়ি দেয়া। ২) শুরু করাটা।
দু’এক ক্ষেত্রে যদিও মনে হয়েছে পুরুষ সঙ্গিটা হয়তো একটা চুমু চাইছে, তারপরেও তা পেতে নিজে থেকে কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে না। নিজের অবস্থানে ততক্ষন স্থির হয়ে অপেক্ষা করেছে, যতক্ষন না তার নারী সঙ্গি তা দিতে এগিয়ে না আসছে।
স্টাডিটা ব্যাংকক পৌছুনোর পরেও চালিয়ে গেলাম। এবং স্যাম্পল-সাইজ তিন অংক ছাড়ানোর পরেও যখন সিগনিফিক্যান্ট কোন ভিন্নতা চোখে পড়লো না, তখন সিদ্ধান্তে আসার জন্য মনস্থির করেই ফেললাম যে “যদিও যুগলের জন্য চুম্বন একটি উপাদেয় যৌথ-খাদ্য তবে তার সুচনাটা নারী সঙ্গির কাছ থেকেই ঘটা বাঞ্চনীয়………”
কিউরিয়াস মাইন্ডে এরপরেই যে প্রশ্ন উকিঝুকি দেয়া শুরু করলো, তাহলো এই যে “এমনটা হবার পিছনে কারন কি?”
কারন অনুসন্ধানে এই এক ক্ষেত্রে আমি গুগল করা থেকে বিরত থাকলাম। নিজে নিজেই কিছু অভিমত দাড় করাবার চেষ্টা করলাম। সেগুলা এইরকম:
১) আমার চোখে নর-নারীর সম্পর্কের মধ্যে একটা হোস্ট-গেস্ট পরিস্থিতি থাকে বলেই মনেহয়। নারী যেহেতু হোস্ট, সম্পর্কের সকল বিষয়েই সিদ্ধান্তের মালিক আসলে সে। সভ্যতার সীমারেখা মেনে গেস্ট হিসাবে পুরুষ শুধু ততটাই এগুতে পারবে, যতটা তার হোস্ট অনুমোদন দেবে। চুম্বনেও সেটার ব্যাতিক্রম হবার কথা না।
তবে হ্যাঁ, একজন দায়িত্ববান হোস্ট অবশ্যই তার গেস্টের প্রেফারেন্সের প্রতি সর্বচ্চো সম্মান দেখাবেন। কিন্তু তার মানে তো আর এই না যে গেস্ট হোস্ট হয়ে বসবেন? আবার কে কার গেস্ট হবার উপযুক্ত, সেটাও কিন্তু হোস্টের এখতিয়ার। যে কেউ নিজেকে বড়জোর একজন প্রসপেক্টিভ গেস্ট হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। কিন্তু তার গেস্টের স্বীকৃতি পাওয়াটা নির্ভর করে হোস্টের সিদ্ধান্তের উপরেই, এটা মনে রাখা জরুরী।
২) নারীর আহবানের এমনই এক অর্থ আছে যা উপেক্ষা করাটা যেকোন পুরুষের জন্যই প্রকৃতির বিপরিতে চলার শামিল। অথচ পুরুষের আহবান নারীর জন্য গ্রহন করা বা না করাটা সাধারনতঃ তার স্বেচ্ছাধীন। আর সেটা পুরুষেরা মেনেও নেয়।
এই যখন অবস্থা, পুরুষের জন্য চুম্বন অফার করাটার মধ্যে সাকসেস বা ফেলিওর উভয় সম্ভবনাই লুকিয়ে থাকে। কিন্তু নারীর অফারে থাকে কেবলই সাকসেস। হতে পারে যুগ যুগ এটা দেখে দেখে পুরুষরা এটা মেনে নিয়েছেন যে চুম্বন তার স্বেচ্ছাধীন কোন বিষয় নয়। এটা পাবার একমাত্র উপার হলো সঙ্গিনির কাছ থেকে তা অফারড হওয়া। যতক্ষন সেই অফার আসছে না, “আমার আর চুমু পাওয়াও হবে না…” – এটাই পুরুষের অমোঘ নিয়তি।
সবশেষে একটা গল্প বলে শেষ করি।
এসএসসি ভ্যাকেশনে একদঙ্গল বন্ধু-বান্ধব এলো ঢাকায় বেড়াতে।
সবাই অন্যান্য ঢাকাবাসি বন্ধুদের সাথে এরেঞ্জমেন্ট করে নিলো, কে কার বাসায় উঠবে ও থাকবে। ব্যাতিক্রম একজনই যার বাবা তাঁর এক কলিগের বাসায় পুত্রের থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়ে কঠোর আদেশ জারী করলেন যে ওখানেই যেতে ও থাকতে হবে। আর তা সন্ধ্যার আগেই।
প্রথম রাতে ওর তো মন খুবই খারাপ। অন্য বন্ধুদের ছেড়ে যেতে এক্কেবারেই অনিচ্ছুক। কিন্তু কি আর করার, পিতৃ-আজ্ঞা বলে কথা, সন্ধ্যার পর খুব মন খারাপ করে গেল সেই বাসায় রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে।
অথচ কি এক যাদুমন্ত্রবলে পরদিন থেকেই ঘটনা এক্কেবারে পাল্টে গেল। সন্ধ্যা নামার আগেই গল্প-আড্ডা যাই চলুক না কেন, বাকি বন্ধুদের ছেড়ে সে ঐ বাসায় ফিরতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে।
অন্য বন্ধুদেরকেও ব্যপারটা ভাবায়, “ঘটনা কি?”
ঘটনা এমন কিছু না।
আঙ্কেলের সদ্যবিবাহিতা একমাত্র কন্যাটি একসময় এই ক্ষুদে গেস্টের সহপাঠিনী ছিল। ঘনিষ্টও ছিল। এতদিন পর তাকে এক ছাদের নীচে পেয়েছে। তাই প্রথম রাতেই ছেলেবেলার সাথিকে নিয়ে বারান্দায় বসে চাঁদ দেখতে দেখতে তারা চন্দ্রাহত হয়েছিল।
আর এখন পিতৃ আদেশ পালন না বরং প্রতিরাতে আবারো চন্দ্রাহত হবার ব্যাকুলতায় সন্ধ্যে নামার আগেই ফিরতে চায় সে।
বাকি বন্ধুরা বললো, “এটা কি কথা? এই সম্পর্কের তো কোন ভবিষ্যৎ নাই। ও তোর চেয়ে উপরের ক্লাসে পড়ে এখন। তাছাড়া বিবাহিত। যেকোন সময় প্রবাসী স্বামির সাথে গিয়ে যোগ দেবে। এমন একটা টালমাটাল অবস্থায় এরকম একটা অদ্ভুত সম্পর্কে ঢোকাটা কি ঠিক হচ্ছে?
“আমিও ব্যপারটা অনেক ভেবেছি। ওর সাথে ব্যপারটা নিয়ে কথাও বলেছি। আমরা দুজনেই সব কিছু বুঝি। তারপরেও সে যখন ডাকে, আমি না বলার শক্তি হারিয়ে ফেলি। কেন যেন মনেহয়, নারীর ডাকে না বলার মত কোন শক্তি নিয়ে পুরুষের সৃষ্টিই হয় নাই। যত প্রতিজ্ঞাই করি না কেন ‘এবারই শেষ’,সব ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় ওর এক ভ্রুকুটিতে”।
ওপরে ওপরে পুরুষ যত শক্ত ও শক্তিশালী ভাব নিয়েই থাকুক না কেন, আধিপত্যের আসল ক্ষমতা কিন্তু শেষ পর্যন্ত নারীরই হাতে।
এটা যারা মানে না, বোঝে না, তারা সভ্য নয়………
গবেষণার বিষয় বটে!
তবে যাই হোক, এতদিন পরে তুমি সিসিবি'তে ফিরে আসাতে হয়তোবা সিসিবি কিছুটা গতি পাবে। নিয়মিত ব্লগাররা কেন জানি সব উধাও হয়ে গেলো একসাথে।
খায়রুল ভাই, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সিসিবিতে মাঝে মাঝে কি জানি হয়...
এরকম মড়ক লাগে মাঝে মাঝে।
অবশ্য চিন্তার কিছু নাই। একটা ব্রেক শেষ হলে আবারো সিসিবি আগের মতো জমে উঠবে।
ঠিক ঠিকই.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
fête commence en CCB!
এবার পড়ে আসি। সকাল সকাল চন্দ্রাহতের ঘটনায় না জানি দিনটা কেমন যাবে হে। আপাতত তোমার বোনটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে যাচ্ছি। বি ব্যাক সুন।
মাঝে মাঝে এসব চেপে ধরা ভাই বোনদের পাল্লায় পড়ি বলেই তো আবার লিখালিখি শুরু করতে হয়।
আসলেই অনেক ধন্যবাদ ওকে।
আর তোমার ধন্যবাদটাও জানিয়ে দিলাম......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বন্ধুরা সবাই মিলে ইউনিভার্সিটির এক বান্ধবীর ডর্মে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। ঢুকবার মুখে দেখি ড্রাই ইরেজ বোর্ডে লেখা, ক্যান আই বরো আ কিস? আই প্রমিস আই উইল গিভ ইট ব্যাক!
দারুন তো ব্যাপারটা?
বিয়ের আগে চিন-এ গিয়েছিলাম।
বিয়ের পাত্রী এমনকি দিন তারিখও ঠিক করা।
ফেরার আগে চীনা ইন্সট্রাকটররা জানলো ফিরে গিয়ে সপ্তাহ তিনেকের মধ্যেই বিয়ের অনুষ্ঠান।
ওঁদের রীতি অনুযায়ী ওরা বললো "কনভে মাই কিসেস ফর হার"
শুনে খুবই মজা পেয়েছিলাম...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মেগ রায়ানের ফ্রেন্চ কিস মুভিটা দেখেছো, ভাইয়া?
জ্ঞানতঃ কখনো মেগ রায়ান মিস করি না।
এটা মনেহয় সামনে পড়ে নাই...
খুজে দেখি পেলেই দেখে ফেলবো...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কিছু ভিন্নমত আছে।
তবে এরপর আমি নিজেও খেয়াল করবো।
মনে হয় চুমু টা ছেলে না মেয়ে শুরু করবে এটা সমাজ, জাতিভেদে ভিন্ন হয়।
আর মেয়ের আহবান এড়ানো যায় না কথাটা ঠিক না।
বিয়ে করে দেশে বউ রেখে আসলে সমস্যা হবেই।
সেফ হইলো একটা ক্যাসেট ধরাইয়া দিয়া দেশের বাইরে যাওয়া।
আর আপনার বন্ধুর যে কথাটি বললেন তাকে বলবো যৌবনের স্বাভাবিক চাহিদা।
আপনাদের বাকি বন্ধুরা হয়তো শুনে বলেছে ইস আমি ক্যান এই চান্স পাইলাম না।
তারপরো ভেবে দেখেন সুযোগ পেলেও আপনার সব বন্ধুই কিন্তু সুযোগ টি নিতো না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কিসিং এর বিজ্ঞানটি হচ্ছে ফিলেম্যাটোলজি। চন্দ্রাহতের ব্যাপারটি নিয়ে তোমার গবেষণাধর্মী লেখা পড়ে মনেহলো তুমিও বুঝি থাইল্যান্ডে ফিলেম্যাটোলজিই পড়তে গেছো!
প্র্যাকটিকাল ক্লাস করার সুযোগ থাকলে যেতে শুধু না সারাদিন প্র্যাকটিকাল ক্লাস করতে রাজি আছি।
আর ফিলেম্যাটোলজি-তে পিএইচডি করেও অন্য কোন চাকুরি না, ডেমুনিস্ট্রেটরের চাকুরি নিতে ইচ্ছুক...
আছে নাকি সেরকম কোন ভ্যাকেন্সি???
😛 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ফ্রান্স ট্রান্সের দিকে ট্রাই করে লাভ নেই। ওরা সবাই ফিলেম্যাটোলজি ছাড়াই এক্সপার্ট মনেহয়। ৭৫ পার্সেন্ট ইটালীয়ানস দাবী করে যে ওরা প্যাশোনেটলি চুমু খায় প্রতিদিন। থাইল্যান্ডে ওরা কিসিং মিসিংটি বানিজ্যিক করে ফেলেছে বলতেই হবে। ওদিকে ট্রাই করতে পারো 😛
"৭৫ পার্সেন্ট ইটালীয়ানস দাবী করে যে ওরা প্যাশোনেটলি চুমু খায় প্রতিদিন" - এইটা নিয়েও স্টাডি হয় নাকি?
তাজ্জব ব্যাপার?
কি এক খাদ্য ভেবে দেখো?
রেসিপি জানলে তাৎক্ষনিক ভাবে বানিয়ে ফেলা যায় যখন খুশি তখনই...
পেট না ভরলেও মন ভরে যায়।
যতই খাওয়া যাক, ওজন বাড়ার চিন্তা নাই...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
গবেষণা হয়না মানে! খুব হয়। ওয়েস্ট তো এই নিয়েই আছে! ৫৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন দে রেয়ারলি কিস প্যাশোনেটলি! সি, সেই হিসেবও রয়েছে।
ওজন তো বাড়বেই না বরং চন্দ্রাহতের ঘটনায় ক্যালরি পোড়ে যথেষ্ট 😛
চুম্বন ভালোবাসার সহজাত বহিঃপ্রকাশ।
প্রথম প্রথম চোখে লাগতো। সেটা অবশ্য দুই তিন দিনেই কেটে গেছে।
তবে দুইটা জিনিস এখনো কাটে নাই।
মেয়েদের অনেকের ট্রাউজার নেমে আন্ডার ওয়ার নেম প্রায় পেছনের সবটাই দেখা যায়। (বিরক্ত লাগে)
টিনেজার রা ট্রাউজারের নিচে হাফ প্যান্ট টাইপ পড়ে। ট্রাউজার্স নেমে চার কদম হাটার পরেই, দুইহাতে টেনে তোলে। আবার পাচ কদম পরে। এদের আবার বড় একটা অংশ এক হাত প্যান্টের ভিতর ভরে রাখে। (কুতসিত দৃশ্য)
তবে বাঙালিদের অভ্যাস চেঞ্জ হয় নাই।
আমার পরিচিত অনেকেই সুন্দর কোন মেয়ে দেখলেই বলবে, মাল দেখছেন!!!
(অবাক লাগে, এতোদিনেও চেঞ্জ হয় নাই)
প্রথম যখন সোহোর রাস্তায় সন্ধেবেলা য় ছেলে ছেলে চুমু খেতে দেখছিলাম ভয় পাইছিলাম।
পরে একদিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম ট্রাফালগার স্কয়ার থেকে, বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। মনে হলো সামথিং রঙ এরাউন্ড মি। ঘুরে দেখি, দুই মেয়ে চুমু খাচ্ছে তো খাচ্ছেই।
এক বৃষ্টির দিনে ডি এল আরে করে যাচ্ছি। দুই ছেলে দৌড়ে উঠলো কোন এক স্টেশনে। আমি বই পড়ছিলাম। শব্দে তাকালাম।
দুইজনে আমার সামনে সিটে বসে চুমাচুমি শুরু করলো।
আমি বই পড়ায় মন দিলাম।
নিজের অনেক কথা বলে ফেললাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
"চুম্বন ভালোবাসার সহজাত বহিঃপ্রকাশ" - এই একটি বাক্যই যথেষ্ট!
আমরা দক্ষিণের মানুষেরা অনেক রক্ষণশীল। এখানে রাস্তাঘাটে চুম্বনরত যুগলের দেখা পাওয়া যায় খুব কম। পাবলিক প্লেসে হৃদ্যতা এড়িয়ে চলে সবাই। গে লেসবিয়ান কমু্যনিটির উদ্যোগে অক্টোবরে এখানে প্রাইড প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। একবার আমার লেসবিয়ান বন্ধু লরার সাথে ডাউনটাউনে এই প্যারেড দেখতে গিয়েছিলাম। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে এই প্যারেড দেখতে দেখতে মনেহলো, কত রঙের মানুষ যে আছে পৃথিবীতে! কত বিচিত্র তাদের সাজপোশাক, তাদের উপচে পড়া বর্ণচ্ছটায় প্রাণের প্রাচুর্যই চোখে পড়েছে।
আমাদের উত্তরে চুমুটুমুর মত ঘটনাগুলো খুব মামুলি। কেউ ভুলেও তাকিয়ে দেখেনা। অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পশ্চিমের মানুষের মাথাব্যথা কম। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত!
"আমরা দক্ষিণের মানুষেরা অনেক রক্ষণশীল" - একদেশেই অঞ্চলভেদে কালচারের কত ভিন্নতা?
অবাক কান্ড না?
"প্রাইড প্যারেড"-টা আসলে একধরনের স্বাধীনতা উদযাপন করার মত।
যে যেমন, সেটা সামাজিক ভাবে মেনে নেয়ার সাথে যে ওঁদের মুক্তির আনন্দ পাবার একটা ব্যাপার রয়েছে, এটা অনেকেই বুঝতে পারে না।
অথবা বুঝতে চায় না.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
চুম্বনের স্বাদ
------------ ড রমিত আজাদ
আনত নয়নের তলে মিশে থাকা উদগ্র বাসনা,
তুলে ধরে পানপাত্র নেশাগ্রস্ত অধর মদিরার,
সর্বাঙ্গে গাহিয়া ওঠে গান প্রাচীন ঝর্ণার,
ধরা দিয়ে বাহুডোরে তৃষিত হৃদয় রাখে অধরে অধর।
কঠিন দেহের আলিঙ্গনে দুটি কোমল কুসুম,
হৃদয়ের ব্যকুলতা বাসনা হয়ে মিশেছে অধর মিলনে,
ঘণিভূত কুয়াশা ঝরেছে শিশির হয়ে ওষ্ঠদ্বয়ের স্পর্শরেখায়,
প্রণয়ে লাজ ভেঙে সজল আবেগে হয়েছে বিলীন ঐ চুম্বনের স্বাদে।
দু'টি রাঙা শতদল, অধরে অধর লাগি, বাজি ওঠে যৌবনসঙ্গীত,
কম্পমান মানব-মানবী ভাষাহীন প্রেমের ঘোরে মিটায় চির তৃষা,
অধর মিলনে খুঁজে পায় প্রশান্তি চির পিপাসিত যৌবন অবশেষে,
বক্ষ মাঝে জ্বলে ওঠা বহ্নিশিখা নিভে যায় অধরস্পর্শে।
লতায়ে পড়িছে দেহ, লভিছে আদর, বসন্তের সৌরভে,
অধরের তুলি টানি আঁকিবে রঙিন ছবি অধরের পটে,
কুলুকুলু সুরধ্বনী বাজি উঠে অধরবীণায়, ধরা দিয়ে বাহুপাশ,
কি এক রহস্যের আভাস, মর্তলোকে টেনে আনে স্বর্গের উচ্ছাস।
এ এক এমন সুধা, যেখানে ঘুঁচিছে তৃষা, বিরহ-বেদনা, দুঃখ-বিষাদ,
হোক সে ছলনা, তবুও কামনা, সুখের স্রোতেতে বয়ে যায় চুম্বনের স্বাদ,
বিদ্যুৎ চমক ঝলকিয়া ওঠে, আঁখি চায় আঁখিপাতে, অধরে অধর,
মানব-মানবীর সেই পুরাতন ক্রীড়া, চলিয়াছে, চলিতেছে, চলিবে জীবন ভর।
বিষয় বৈচিত্রে পারভেজ আনবিটেবল!
এই কমেন্ট মিস করলাম ক্যামনে???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:boss:
তোমাকে ধন্যবাদ এটা পড়ার ও এটাতে কমেন্ট করার জন্য।
মাস ছ'য়েক আগে লিখা, কিছু কমেন্ট মিস করে গিয়েছিলাম।
তোমার কমেন্টের কারনে ওগুলো দেখতে পেলাম।
উত্তরও দিলাম।
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.