~ এই শীতে, অবশেষে … ~

অকস্মাৎ সরিসৃপ হেঁটে গেলো দেহময়,
অস্থি-মজ্জার কেন্দ্র ও কুরুশে

মেঘের নিরাপদ আবাস থেকে
মিহিদানা জলকনা
দেরাজে তুলে রাখা লংকোট
ও মাফলারে চালালো হানা।

পারদের স্থবিরতা কাটাতে
নাভিমূল সাজালো আজ
উষ্ণতার অভয়ারণ্যে আঁকা
শিল্পের সুষম ভাঁজ।

সোনালী শিশির সুখ পানে
সুশোভন সময়ের যুবরাজ।
অনাবিল আহলাদে তুলে আনে
কম্পমান যুগল পায়ের কারুকাজ।

বিস্তারিত»

যতিতে পূরবী

ক.
যতিতে পূরবী;ছড়াও নাগরিক ছোঁয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে জেগে উঠা দাবী
জোছনা-জোছনা চায়,আর ছাদঘরে
পুঞ্জীভূত মেঘ হয় উর্বর নাভী

নাভীমূলে গোলাপের চাষ
কৃষিবিদ শীতঘুম ভেঙে
রোদে বসে লিখবে থিসিস
:নেপিয়ারে ধূর্ত দোঁ-আশ

খ.
রাখি বলে ছেড়ে দিয়ে ফোন
বই খুলে তর্জমা খোঁজে
এলোমেলো জ্যামিতিক কোণ
মাপজোকে প্রেম ভুল বোঝে

গ.

বিস্তারিত»

রিইউনিয়নঃ সুন্দর তুমি চক্ষু ভরিয়া এনেছো অশ্রুজল

স্মৃতিরা হলো ঝুলিতে রাখা আহ্লাদী বেড়ালছানার মত; এমনিতে গুটিসুঁটি মেরে সুবোধ বালিকার মত চুপচাপ থাকে কিন্তু একটু নড়াচড়া করলেই আলতো করে সে মাথা উঁচিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে বলে, মিঁয়াও মিঁয়াও! তারপর সেই মিঁয়াও ধ্বনির সাথে সকরুণ বিল্লি পিটপিট চোখে এমন করে তাকায় যে তখন সংসার সন্তান সব ফেলে তার মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে মন চায়! আমাদের কলেজের রিইউনিয়নের আলোচনা শুরু হতে আমার সেই তুলতুলে সাদা বেড়ালবাচ্চার কথাই মনে পড়লো!

বিস্তারিত»

অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা কি আমাদের জাতিগত সমস্যা?

ক্যাডেট কলেজগুলো মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার পরও মুক্তিযুদ্ধের পরপরই তা বন্ধের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা থেকেই একটা প্রশ্নই মাথায় ঘুরপাঁক খায়….// অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা আমাদের জাতিগত সমস্যা কিনা?//

ক্যাডেট কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা ভাবনা বা উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর পর তো বটেই এখনও অনেকে আছেন যারা এ ব্যাপারে একেবারেই আপোসহীন। যদিও ক্যাডেট কলেজের বিকল্প (ক্যাডেট কলেজ বন্ধ করে দেয়ার পর) কি হতে পারে বা তার চেয়েও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা ব্যবস্হা কি হতে পারে সে ব্যাপারে তারা আম-জনতাকে অন্ধকারে রাখতেই পছন্দ করেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৭

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মোঃ আব্দুল গফুর
গফুর স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। তিনি অতি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন, কথাবার্তায় স্পষ্টভাষী ছিলেন, নিয়মনীতি পালনে ও রক্ষায় কঠোর ছিলেন। হোমওয়ার্ক নিয়মিতভাবে দিতেন এবং নিয়মিত ভাবে তা পরীক্ষাও করতেন। ল্যাবেও বেশ সিরিয়াস ছিলেন, কোন ফাঁকিজুকি পহন্দ করতেন না। তিনি ক্লাসে কদাচিৎ হাসতেন, আর একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। বাহ্যিকভাবে তিনি খুব কঠোর থাকলেও অন্তরে তিনি ক্যাডেটদের প্রতি স্নেহপ্রবণ ছিলেন।

বিস্তারিত»

মায়াবতী

আজ থেকে ঠিক নয় মাস আট দিন আগে সিসিবিতে আমার প্রথম প্রবেশ ঘটেছিলো। এরই মধ্যে এখানে অনেক বন্ধু, হিতাকাঙ্খী, শুভার্থী এবং বোদ্ধা সমালোচক পেয়ে গেছি। মতের মিল অমিল বড় কথা নয়, দিনশেষে মন খুলে কথা বলার একটা জায়গা খুঁজে পাওয়াটাই বড় কথা। সিসিবি’র যেসব পাঠক আমার লেখাগুলো পড়েছেন, সময় করে মন্তব্য লিখেছেন কিংবা আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন, আপনাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা।

বিস্তারিত»

পাতা ঝরার গান-০২

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মিলিটারি একাডেমিতে গেলাম। ছেলে হিসেবে আমার মধ্যে হোম সিকনেস ব্যাপারটা খুব কম। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে নিজের কলেজের বন্ধু ছাড়াও বাকি নয় কলেজের আরও অনেক পরিচিত মুখ পেয়েছিলাম ওখানে। প্রথমদিনেই মনে করে নিলাম যে আগামী দুটো বছর যা ই হোক আমার একার সাথে তো আর হবে না। যা হবে সবাইকেই ভাগ করে নিতে হবে। কেউ যদি ভেবে বসেন যে ক্যাডেট কলেজে পড়েছি বলে হোম সিকনেস নেই,

বিস্তারিত»

মানুষ লুবনার বিজুলি

লুবনার ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম দেখে বুঝতে পারি ঢাকা শহরে শীত পড়তে শুরু করেছে। লুবনার ব্যক্তিগত একজন দর্জি আছেন, নাম তার ইকবাল হোসেন। ইকবালের বৌ মাফিয়া খাতুন পৌষ মাস আসতে না আসতে চাল কুটতে বসে; ডাক্তার আপামণি ভাপা পিঠা খেতে বড় ভালবাসে, পিঠা বানাতে হবে যে! ইকবালের নানীর কোমড়ে ব্যথা, লুবনা আপার ‘অষুদ’ ছাড়া তার চলবে কেনো? মাফিয়ার মায়ের শ্বাসকষ্টে ইনহেলার কিনে দেবে কে, লুবনা ছাড়া?

বিস্তারিত»

সাংহাইয়ের পথে পথে-১

ইউয়ুন গার্ডেনের সম্মুখ ভাগআপনি যদি ঘুরতে ঘুরতে কখনো সাংহাই চলে আসেন তবে প্রথমে কোথায় যাবেন? চোখবন্ধ করে চলে যান ইউয়ন গার্ডেন (ইউ গার্ডেন)। আধুনিক রমরমা এত আকর্ষণ থাকতে কেন আমি আপনাকে প্রথমেই একটি ক্ল্যাসিকাল বাগানবাড়ির কথা বলছি তার অবশ্য কারণ আছে।
‘ইউ গার্ডেন দ্যা ফরবিডেন সিটি’ ওল্ড সাংহাইয়ের উত্তর-পূর্বের অ্যানরেন ঝিতে অবস্থিত। তদানিন্তন মীং সম্রাজ্যের সরকারী কর্মকর্তা প্যান ইউনডন বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৬

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ

আমরা যখন প্রথম কলেজে যোগদান করি, তার মাত্র কয়েক মাস আগে জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া একজন তরুণ শিক্ষক। তাঁর বাড়ী ছিল রাজশাহী এলাকায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অঙ্ক শাস্ত্রে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে আমাদের কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন,

বিস্তারিত»

যখন কবিতা লিখি

আমি যখন কবিতা লিখি,
তখন মনে আমার কোন প্রিয় গানের সুর বাজতে থাকে।
ঊর্ধ্বাকাশ থেকে নেমে আসে যেন কোন আলোকচ্ছটা,
যা মন খারাপ করা বিমর্ষ আঁধারকে আলোকিত করে,
জাগতিক পঙ্কিলতার ঊর্ধ্বে উঠে
আমি বিশুদ্ধতায় অবগাহন করতে থাকি,
আর ক্রমে ক্রমে নিজেকে নিষ্কলুষ বোধ করতে থাকি।

কবিতা লিখার সময়
কিছু বিশুদ্ধ ভালোবাসার কথা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে।

বিস্তারিত»

আমি হাম দেখেঙ্গে’র দলে

১। খুশবন্ত সিং এর “জোকস” নামক বইটায় (স্মৃতিশক্তি খুব বেশি প্রতারণা না করলে) সিনেমা নিয়ে একটা গল্প আছে এইরকমঃ

অমিতাভ বচ্চন, তনুজা আর রাজীব গান্ধী বসেছেন একটা মিটিং এ। বিষয় – ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল বাজেটের একটা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবার মতোন সিনেমা তৈরী করা হবে। তনুজা বললেন তিনি এই মুভিটা পরিচালনা করে দেবেন, কোন পারিশ্রমিক নেবেন না। অমিতাভ বচ্চন বললেন তিনি বিনা পয়সায় অভিনয় করে দেবেন।

বিস্তারিত»

টুকরো টুকরো গল্পেরা…

জীবন এই মতো

তুমি শুটকি ভালোবাসো জানিয়েছিলে একদিন। আমি সমুদ্র উপকূলের মানুষ। শুটকি খেতে অভ্যস্ত নই। তবুও বাজার তালিকায় শুটকি রাখলাম। আমি বললাম, শুটকি খাওয়া অমানবিক। কিভাবে মাছের লাশগুলোকে রোদে পোড়া হয়েছে দেখেছ। তুমি বললে, মৃত মাছের আবার কি অনুভূতি? তুমি যে আস্ত কই তেলে ভেজে খাও। কই মাছের ছটফটানি দেখে দুঃখ জাগে না?
আমি আর কথায় পারলাম কই। বললাম, শুটকি কখনো রাঁধতে দেখিনি মা কে।

বিস্তারিত»

স্মৃতি প্রতারক

আমার পাপ করলেও তোমাকে মনে পড়ে
আমার পূণ্য করলেও তোমাকে মনে পড়ে
পাপ করলে মনে হয়,এসে দ্যাখো,কী খারাপ হয়ে গেছি তুমিহীনতায়
পূণ্য করলে মনে হয় কাকে তুমি ছেড়ে গেছো জানলে না
এতটা দু:খ কষ্ট চেপে অত মমতাহীন কিংবা এত দয়াবতী কেবল তোমার পৃথক মুখোশ
ভিখারিকে আধুলি দিলে ফিরিয়ে দিবে,
পেশেন্টদের অসুখ সারবে না,
তোমার ছাত্ররাও মুখ টিপে হাসবে ক্লাসময়
তারচেয়ে বরং ফিরে আসো তুমি,অসুস্থ হও,নত হও
কেউ জানবে না গোপন সন্ধি,জানলে বলে দিও
অথবা মুখভর্তি বমি হবে তোমার,নাকের দাগ আড়ো বেড়ে যাবে,

বিস্তারিত»

কমোডে বসে লেখা

হাগলে আরামবোধ হয়, যেমন ফরাসী পতাকায়
কিংবা কুরবানীর গরুর জন্য ব্যথিত হৃদয়ের
উহু আহা শুনলে; আরো ভালো লাগে অতিকায়
মস্তকের রঙধনু প্রীতি; অথবা লোমশ ভাতৃদ্বয়ের
রগরগে গল্পে পুলকিত হই। ‘পাদ’ শব্দটি
অশ্লীল বলে মেনে নিয়েছে রাষ্ট্র, যদিও সানি লিওন
কখনো নয়।হঠাৎ জেগে ওঠা যৌন উত্তেজনার মতো স্থায়ী প্রতিটি
বিপ্লব বা আন্দোলন আমাদের, তাই বীর্যস্খলন শেষেই নিওন
আলোর মধ্যেই আরামসে ঘুমিয়ে পড়ি।

বিস্তারিত»