টিএসসি তে বসে আছি। আমি, মিম (সিসিসি) আর জ্যোতি (সেমিক্যাডেট)। মিম, জ্যোতির পরীক্ষা শেষ [মিম আর জ্যোতি আই.ইউ.টি তে পড়ে]। অনেকক্ষন আড্ডা দেবার পর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে এলাম। রাতে থাকার কথা ওখানে। ৩০৬ নং রুমে ঢুকে দেখি মর্তুজা যথারীতি ফিফা খেলতে বসেছে। একটু পর ডিনার করতে বের হলাম। দেখি মিম তার জিনিস গুছিয়ে নিয়ে বের হচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই বলল এমনি। এমনি এমনি যে কেউ রাতের খাবার খেতে চাংখারপুল যাবার সময় “ক্রনিকেলস অব নার্নিয়া” মুভির ডিভিডি নিয়ে বের হয় না সেটা বুঝতে বুয়েটে পরা লাগেনা। বুঝাই যাচ্ছে ওর মুড ভাল নেই বলে আজকে আর হলে থাকতে চাইছেনা এবং নিঃসন্দেহে সে বাসায় ফিরে যাবার পায়তারা করছে। কিন্তু মুড খারাপ এর কোন কারন খুঁজে বের করতে আমরা ব্যর্থ হলাম।
একটু পর আমি জ্যোতি রিফাত (এমসিসি) আর ডিভিডি হাতে মিম বের হলাম। জ্যোতি আর আমি রিকশায় উঠে মোটামুটি একটা ষড়যন্ত্র পাকিয়ে ফেললাম। মিতালী তে বসে খাবার সময় মিম কে আন্ডারট্রিক এ ফেললাম- “মিম, তুই আজকে রাতে যেখানেই যাবি আমরা বাকি তিনজন তোর সাথে সাথে যাব। তুই যদি তোর বাসায় যাস, আমরাও সেখানে যাব; রাস্তায় সারারাত হাটাহাটি করলে আমরাও তাই করব। আর যদি হলে থাকতে চাস তাইলে তো কথাই নেই।” মিম অতিরিক্ত স্মার্ট হয়ে বলল, “আমি যদি বলি কক্সবাজার যাব, তাইলেও যাবি?”আমরা তারও অধিক স্মার্ট হয়ে সমস্বরে বলে উঠলাম,“যাব!!!!”। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১০টা বাজে। ঠিক করলাম কমলাপুর থেকে ট্রেনে যাব। খাওয়া চুলোয় গেল। আমরা সবাই উত্তেজিত। অদৃশ্য এক চ্যালেঞ্জ। রিফাত আর জ্যোতি তাড়াতাড়ি হলে গেল মর্তুজা রানা কে জানাতে আর মতুর্জার কাছ থেকে হাজার চার পাঁচ টাকা নিয়ে আসতে। আমি আর মিম রওয়ানা দিলাম মিমের বাসায়। মিম কেডস ছেড়ে স্যান্ডেল পরবে। রিকশায় উঠার পর শহীদুল্লাহ হলের সামনে আসতেই মনে পড়ল ‘মালা’ র কথা। এতক্ষনে মনে পড়ল বলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। মালা নামের সাইক্লোন বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দিয়েছে এবং কক্সবাজারে ৪নং বিপদ সংকেত চলছে। মেজাজটাই খিঁচড়ে গেল। সমুদ্র দেখতে পাবোনা ভেবে পুরো ব্যাপারটাই কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে ঠেকতে লাগল। তবু জ্যোতি রিফাত কে ফোন করলাম। ওদের জানাতে ওরা বলল যে তাইলে সিলেট যাই। আর আমাদের জানাল যে মতুর্জা এবং রানা যাবেনা। ওদেরকে তাড়াতাড়ি কমলাপুর চলে আসতে বলে মিমের বাসায় না গিয়ে সোজা গেলাম কমলাপুর। গিয়ে দেখলাম সিলেটের সব ট্রেন হাওয়া। একমাত্র ট্রেন আছে তুর্ণা নিশিথা, রাত ১১টায়, চট্টগ্রাম যাবে। তারও আবার সব টিকেট শেষ।
আমি আর মিম স্টেশনের বাইরের বারান্দায় বসে আছি। মাইকে ঘোষনা দিল। তুর্ণা নিশিথা কমলাপুর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ঠিক একমিনিট পর জ্যোতি আর রিফাত হন্তদন্ত হয়ে হাজির। ট্রেন বৃত্তান্ত ওদের জানাতেই সবার মন খারাপ হয়ে গেল। কারন চারজনের কেউই বাস জার্নিতে অতটা রোমন্টিসিজম(!) খুঁজে পাইনা। যাহোক এবার রিফাতের উদ্যোগে তড়িৎ গতিতে একটা ট্যাঙি ক্যাব জোগাড় করে তাতে চড়ে বসলাম। না, উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম নয়… … এয়ারপোর্ট রেল স্টেশন। ট্যাক্সি ক্যাব ড্রাইভারের মাঝে আমাদের উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে কোন সময়ই লাগল না। ব্যাটা এমন ঝড়ের বেগে চলল যে মনে হল আমরা ট্রেন মিস করলে ভয়ানকভাবে তার প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে যাবে। মাঝের সময়টুকুতে আমরা খুব বেশী টেনশানে থাকতে পারলাম না যেহেতু মতুর্জার সাথে ফোনে আমাদের কিছু তপ্ত বাক্য বিনিময় হল যা আমাদের চারজনকেই দান করল সরল আনন্দ। আমাদের এভাবে “উড়নচন্ডীর” মতন উড়তে যাওয়াটা ওর একদমই পছন্দ হচ্ছে না। যেখানে আমার আর রিফাতের একটা রিপোর্ট লেখা বাকি যেটা পরদিন জমা দিতে হবে আর সাথে বোনাস হিসেবে আছে একটা সেশনালের ফাইনাল কুইজ।
আমি যাব খাবার আর পানি কিনতে, রিফাত যাবে টিকেট কাটতে, জ্যোতি যাবে ট্রেনে-আমাদের একটু দেরী হলে চেইন টেনে ট্রেন থামাবে আর মিম ক্যাবের ভাড়া দিবে- এমন ই ঠিক হয়েছিল। স্টেশনে পৌছেই অনভব করতে পারলাম ট্রেন আসেনি। শ্রমবন্টনকে কলা দেখিয়ে চারটে মাথাই এক হল টিকেট কাউন্টারে। ওপাশে বসে থাকা মানুষটিকে ভীষন নিষ্ঠুর মনে হল যখন সে বলল সব টিকেট শেষ। এমনকি শোভনেরও কোন টিকেট নেই। আমরা চারজন একে অন্যের দিকে তাকালাম। সবার মনেই ভেসে উঠল এখান থেকে ফিরে যাবার পর মতুর্জা ঝিলকে ওঠা খুশিতে চকচকে চোখের ছবি। পাশ থেকে হঠাৎ দেবদূতের মতন আগমন ঘটল রেলের গার্ড। সুবিশাল ‘সিস্টেমবাজ’ এই লোকটি আমাদের কথা দিল কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবার।
ট্রেন লাইনের উপর দুপা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ট্রেন আসছে। আলো দেখা যাচ্ছে। আমার উদ্দেশ্য আশেপাশে মেয়ে থাকলে তাদের ইমপ্রেস করার জন্য একটু ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর ট্রেনটা কাছে আসার আগ মুহুর্তে প্লাটফর্মে উঠে পড়ে একটা উত্তেজনা তৈরীর চেষ্টা করা। কিন্তু ঐ গার্ড ব্যাটার ধমক খেয়ে আমার সমস্ত ভাব কর্পূরের মতন উবে গেল। পুরোপুরি হিরো টু জিরো (ভাগ্যিস কেই দেখেনি!)। যাহোক ট্রেন থামতেই আমাদের আরেক জনের হাতে তুলে দেয়া হল সেই বিশেষ ব্যবস্থার জন্য। যেহেতু আমরা আলাদা বসতে রাজি নই তাই আমাদের কে শোভনের দরজার একপাশে বিছানা পেতে “বিশেষ ব্যবস্থা” করা হল। আমাদের দেয়া ভাড়াটারও বিভিন্ন খাতে বিশেষ ব্যবহার হতে দেখা গেল।
১ মে রাত,২০০৬।রাত ১২.০২। ট্রেন হেলতে দুলতে যাত্রা শুরু করল। আমরা চারজন বসে আছি বিছানায়। আমাদের সামনে লাস্ট সিটে বসে আছে এক সুন্দরী ললনা ( তার শুধু পিছনটাই দেখা যাচ্ছে- সে যে তখন কেমন করে সুন্দরী হয়ে উঠল তা আমরা জানিনা)। সেই ললনা আবার জ্যোতির মতে একজন তরুনী, রিফাতের মতে একজন কিশোরী আর আমার মতে একজন বালিকা। মিমের মতামতটা জানা গেলনা কারন ও একদৃষ্টিতে সেই দুসিটের ফাঁক দিয়ে ………….।
আমাদের কাছে কোন কার্ডসেট নেই সেটা আবিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আগেই। আমাদের ব্যবস্থাদাতাকে তাই বলে রাখলাম যেভাবেই হোক একটা কার্ডসেট ব্যবস্থা করে দেবার জন্য। সেটা জোগাড় করার আগে জমজমাট আড্ডা চলল। আড্ডা না বলে পাগলামী বলাই ভাল। মাঝরাতের সেন্স অব হিউমারের সাথে যারা পরিচিত তারা ব্যাপারটা ভালই উপলব্ধি করতে পারবে। কিছুক্ষন পর রিফাতের বিভিন্ন ক্যারিক্যাচার পর আমরা ট্রেনের দরজা খুলে ফেলতে সক্ষম হলাম। ব্যস…. ট্রেনে আমার ভীষন প্রিয়…দরজায় পা ঝুলিয়ে আমি আর রিফাত বসলাম। রাতের চারপাশের দৃশ্যপট খুব দু্রত সরে যেত লাগল। এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ বিকট শব্দের ভিতর নিজেদের আবিষ্কার করলাম। মাথা বের করে নিচের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম। একি!!! আমরা ভাসছি!!! প্রথমটা এমনই অনুভুতি হল। নিচে ভৈরব নদীর পানি চিক চিক করছে। যতক্ষন লাগল নদীটা পার হতে ততক্ষনের সময়টুকু আমাকে দিয়ে গেল শ্রেষ্ঠ ট্রেন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা। অসাধারন এক অনুভুতি। বাজি ধরে বলতে পারি, আমার চেয়ে অন্যদের আরো বেশী ভাল লাগবে (আমার ভীষন হাইট ফোবিয়া আছে)। একটুপর বেরসিক গার্ড এসে বলল রাতের ট্রেনে দরজা খুলে রাখার নিয়ম নেই।(ব্যাটা মহাচাঁপাবাজ!! ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী যাবার পথে আমরা ঠিক এইভাবে গিয়েছিলাম। তখন ছিলাম- আমি জ্যোতি মিম মর্তুজা) সেই ব্যাটা দরজাটা বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে রেখে গেল। ভাগ্যিস একটু পর ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় চলে এলাম। কার্ডসেটের ব্যবস্থা হয়ে গেল। বাকি রাত কার্ড খেলে, সিট দখলের লড়াইয়ে চান্স পেয়ে বাকি তিনজনকে ফাঁকি দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে, তরুনী-কিশোরী-বালিকা বিষয়ক তর্ক করে,পাশের সিটের ঘুমন্ত যাত্রীর বিভিন্ন ভঙ্গিমা অভিনয় করে, শেষ রাতের দিকে চারজন ছোট জায়গাটায় চারটে ‘দ’ তৈরী করে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম।
চট্টগ্রামে এসে ট্রেন থামল সকাল পৌনে সাতটায়। এখানে আমাদের দায়িত্ব পেলেন এক পুলিশ। তার কাজ হল আমাদেরকে টিকেট চেক না করিয়ে অন্য আরেকটা পথে বের করে দেয়া। আমরা রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে এলাম। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। ভরপেটে নাস্তা করে আর চট্টগ্রামের বিখ্যাত নোনতা চা খেতে খেতে ঠিক করতে লাগলাম পরবর্তি করনীয়। আমাদের সবারই সমুদ্রের প্রতি আলাদা আকর্ষন আছে। কিন্তু পতেঙ্গা আমাদের কারোরই একদমই পছন্দনা। চট্টগ্রামে আরেকটা বিচের নাম শুনেছিলাম। কিন্তু নামটাম কিছুই জানিনা। বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে নাম পাওয়া গেল- “পারকী বিচ”। এবার সেটা সর্ম্পকে তথ্য জোগাড় করার পালা। এব্যাপারে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা বেশ ভালই থাকায় পর্যাপ্ত জরিপ শেষে সব তথ্য মিলিয়ে (এসকল তথ্যের মধ্যে একটা তথ্য ছিল-বিচটার নাম পারকী নয়… পালকি বিচ!!) মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়া গেল।
রিকশা করে নতুন ব্রীজে এলাম। সেখানে জীপ ছাড়ে তাতে চড়ে বসলাম। অনেকটা পার্বত্য অঞ্চলের চাঁদের গাড়ির মতন। আমি আর রিফাত বসলাম ছাদে। মিম আর জ্যোতি ঘুমাবে বলে ভিতরে বসল। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর জীপ গাড়ি চড়া শুরু করল। ততক্ষনে মানুষে ভরে গেছে গাড়ি। গুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম। এতটুকু একটা জীপ গাড়িতে ৪৭ জন!!!! আশেপাশের চমৎকার দৃশ্য দেখতে এতই ভাল লাগল যে কড়া রোদের ঝাঝটাও সয়ে গেল। একটা রাস্তা পেলাম যার পাশে অনেকগুলো কৃষ্ণচূড়া গাছ। পুরো রাস্তা জুড়ে লাল হয়ে আছে।
জীপ থেকে নেমে স্কুটারে চড়ে বসলাম। এবার সরাসরি পারকী বিচ। রাস্তা থেকে অনেকদুর থেকে ঝাউবন দেখা যায়। রাস্তা আর ঝাউবনের মাঝে ছোট ছোট জলাশয়। অনেক বড় বড় বক দেখলাম। ধ্যানমগ্ন। জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর।
পারকী বিচটা আমার কাছে প্রায় কুয়াকাটা বিচের মতন ই লেগেছে। তবে অসংখ্য লাল কাঁকড়ার দেখা মিলল। দুরে অনেক জাহাজ নোঙর করে আছে। আরেকটু কাছ দিয়ে পাল তোলা নৌকাগুলো লাইন ধরে যাচ্ছে। চমৎকার হাওয়া দিচ্ছে। মিম ঝাউগাছের ছায়ায় বসল। ওর কাছে জমা যাবতীয় জিনিস জমা রেখে আমি জ্যোতি আর রিফাত নেমে পরলাম সমুদ্রস্নানে। মাঝের পিকনিক পার্টির বেরসিকের মতন হিন্দি গান পুরো পরিবেশটাই নষ্ট করে দিতে চাইল। যাহোক, স্রোত খুব একটা বড় না। ঢাল ও অত ঢালু না। তবু অচেনা সমুদ্রে জ্যোতি আর রিফাত কে বেশী দুরে যেতে মানা করলাম। পানি ভীষন তেতো এবং বালি ভর্তি।
এক শরীর ভর্তি বালি নিয়ে ফিরে এলাম। রিফাত আর জ্যোতি এল তারও পরে। শরীরটা শুকিয়ে বিচেই কার্ড নিয়ে বসলাম। খুব একটা সুবিধে করতে পারলাম না। ভীষন বাতাস। কিছুক্ষন চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিলাম। ফিরতে হবে তাড়াতাড়ি। মিম আর রিফাত গেল বোতল ভরে সমুদ্রের পানি আনতে। রিফাত সেটা তুলি আপুকে (আমার বড় বোন তুলি আপুর আজকে জন্মদিন) বার্থডে গিফট দিবে। এমন অনাকাঙ্খিত আর অপরিচিত গিফট পেয়ে ও যে যারপরনাই খুশি হবে তা বলাই বাহুল্য। ওরা ফিরে আসতেই আমরা রওয়ানা দিলাম। আসার পথে জ্যোতিকে তার একটা কৃতকর্মের (!) জন্য শাস্তি স্বরূপ ধাক্কা মেরে পাশের কাদামাখা জলাশয়ে ফেলে দিলাম। জ্যোতি ভীষন ক্ষেপে গেল। আমাকে এমন কিছু (রহভধপঃ আমার বউকে) করবে বলে শাসাল যেটা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখলাম। এতেই শান্ত না হয়ে কাদা হাতে আমার পিছন পিছন দৌড়ে কাদা মাখাবার বৃথা চেস্টা করল কিছুক্ষন।
চট্টগ্রাম শহরে এসেই মিম আর রিফাত চলে গেল বাসের টিকেট কাটতে। ট্রেন নাই। আমি আর জ্যোতি গেলাম লাঞ্চের অর্ডার দিতে। ২টার সময় টিকেট করা হল। আমরা ঝটপট লাঞ্চ সেরে নিলাম। বাসে উঠে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে জম্পেশ একটা ঘুম দিলাম।
ঢাকায় এসে পৌছুলাম ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪০এ। তাড়াতাড়ি রিকশা করে বাসায় এলাম। আপুকে রিফাত গিফট দিল। আমাদের shortest tour ever ও শেষ হল। মতুর্জার সাথে তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে ওকে বলেছিলাম, “সবসময় বড় ইচ্ছে গুলো পূরন করতে নেই। মাঝে মাঝে সেগুলো বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু ছোট ইচ্ছে গুলো কখনো বিসর্জন দিতে হয়না।” এটা আসলেই আমাদের একটা খুব ছোট্ট একটা ইচ্ছা ছিল।
পুরান লেখা। প্রথম বার যখন আমাকে দিয়েছিলি পড়তে তখন এতটা ভাল লাগেনি কারণ খুবই হিংসা হচ্ছিল। জানিনা দেশে থাকলে আমিও যেতে পারতাম কিনা কিন্তু বিদেশে বসে বসে মনে হয়েছিল ইশশ কত কিছু মিস করছি। আজ পড়ে খুবই ভাল লাগল।
খুবই চমতকার লেখা। আমি তো কল্পনা তে দেখতে পাচ্ছিলাম পড়ার সময়। অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমে ভাবছিলাম। লেখাটা ক্যাডেটদের ব্লগে দেবার অনুপযুক্ত কিনা। কিন্তু একটা ব্যাপার চিন্তা করলাম যে ক্যাডটে ছিলাম বলেই তো এটা সম্ভব হয়েছিল। তাই দিয়েই দিলাম। আরেকটা কথা, এখানে যে রিফাতের কথা বলেছি সে হল আমাদের ব্যাচের এম সি সি র। আর সেমিক্যাডেট এর definition হল যেসব সিভিল পোলাপানদের বৈশিষ্ট্য ক্যাডেটদের মতন।
শুধু ক্যাডেট কলেজ নিয়েই লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। সবাই এমন লেখা লিখবেন যেখানে ক্যাডেটদের উপস্থিতি আছে। সেদিক থেকে এই লেখাটা একদম পারফেক্ট। কয়েকজন এক্স-ক্যাডেটের ছোট্ট একটা ইচ্ছা পূরণের কথা।
খুব ভাল লাগলো।
ভাল লাগল...
খালি ক্যাডেট কলেজ স্মৃতি মিয়েই যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। এটা ক্যাডেটদের জন্য একটা ব্লগিং প্লাটফরম...যে কোন কিছু নিয়েই লেখা যাবে...
শামস ভাই,
আপনার লেখার কলমটাতো চমৎকার!!
কি দিয়া লিখেন, ইকোনো নাকি?? 😉
ei na hole cadet.........
mim vai ti shaznus vai....but joty vai ta k???
লেখাই আছে জ্যোতি হল সেমি ক্যাডেট। ক্যাডেট দের সাথে থাকতে থাকতে সেমি হয়ে গেছে। আরেকজন আছে অ এখন রাখাল স্যারের গল্প অনেকের চেয়ে ভাল বলতে পারে। রানা নাম। ও ও সেমি ক্যাডেট।
মজা পাইলাম।
কেয়া ফিনিশিং ডায়লগ হ্যায়,মামু....মর্তুজা ভাইর পাল্টা কোন ডায়লগ নাই??
ফাটাফাটি হইছে শামস ভাই..
জোট্টিইল..:D
অসাধারণ!!!