[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
আগের পর্ব
এগারোঃ
অল্প কটা খেয়েই টেবিল থেকে সামিয়ার উঠে যাওয়া দেখে রেহানার মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।তাদের এতো হাসিখুশি মেয়েটার এমন পরিবর্তন বাসার কেউই মেনে নিতে পারছেনা।সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে রাতুলের।বাইরে খুব একটা বন্ধু নেই রাতুলের..তাই আপুর কাছেই সব আবদার।এই আপুটাই ওর সব।আল্লাহ যেন ওর আপুটার মন খুব ভালো করে দেয়…মনে মনে আল্লাহর কাছে চায় রাতুল।আপু জানিস আজকে না টিভিতে খুব সুন্দর একটা রান্নার অনুষ্ঠান দেখাবে….দেখ্বিনা? কথা বলে সামিয়ার মনটা হাল্কা করতে চাইলো রাতুল।রাতুলের কথার কোন উত্তর না দিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো সামিয়া।
সামিয়ার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে,দুপুরের ঘটনাটা কিছুতেই ভুলতে পারছেনা ও….
ওর প্রিয় স্কুলটাতে যে ওর আর ঠাঁই নেই এতদিনে সামিয়া বুঝে গিয়েছে ..তারপরেও সকালে স্কুল থেকে আসার সময় আগের স্কুলের জন্য খুব মন খারাপ হচ্ছিলো,আগের বন্ধুদের সাথে খুব দেখা করতে মন চাচ্ছিলো ওর।সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললো ও যেমন করেই হোক আজকে সবার সাথে দেখা
করবেই,চুরি করেই স্কুলে ঢুকতে হবে তাকে।অংকুরের সামনে এসেই সামিয়ার বুকটা হুহু করে কেঁদে উঠলো,সাত বছরের সব স্মৃতি এসে ভীড় করতে লাগলো।চোখের পানি আটকানোর কোনো চেষ্টা করলো না ও। চারপাশে তাকিয়ে দেওয়ালটা টপকে স্কুল্টার ভেতর ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেলো,এত সুন্দর সবুজ মাঠ।মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে একাডেমি বিল্ডিংয়ের সামনে আসতেই একটা আওয়াজ শুনে সামিয়া থেমে গেলো।তাকিয়ে দেখে রাকিব স্যার আর তার সাথে পুলিশের মতন ড্রেস পরা রুক্ষ একজন লোক।তারা এদিকেই আসছে, চিৎকারটা তার দিকে তাকিয়েই করে।
-বুঝলেন এডজুট্যান্ট ভাই আপনাকে আমি এই মেয়েটার কথাই বলেছিলাম..এক্কেবারে বদ।স্কুলে থাকতে তো আমাদের সবাইকে জ্বালিয়ে গেছে এখন আবার চোরের মত ঢুকে গেছে।
অবাক হয়ে রাকিব স্যারের কথা শুনছিলো সামিয়া।মানুষ এত খারাপ কি করে হয়?ভালোবাসা,আবেগের কি কোনোই দাম নেই?
-আজকে এই বদমাস মেয়েকে একটা শিহ্মা দিয়েই ছাড়বো।এই মেয়ে, তুমি আবার এইখানে কি করো ?এই বলে রাকিব স্যার সামিয়ার কান টেনে রাস্তায় নিয়ে এলো।
সামিয়া কিছু বুঝতে পারছিলো না।মুখ দিয়ে কোনো কথাও বের হচ্ছিলো না। শুধু বুঝলো সে খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে।
-কি কথা শুনতে পাও না?আমি তোমাকে কান ধরে ১০ বার উঠা নামা করতে বলেছি।
রাকিব স্যারের কথায় হুশ ফিরে পেলো সামিয়া।হঠাৎ খেয়াল হলো চারদিকে অনেক ছেলেপেলে।সবাই পুলিশের ড্রেস পরা,এত ছেলের মাঝে সামিয়া খুঁজে পেলোনা তার প্রিয় বন্ধুগুলো কে।
সব ক্যাডেটরা খুব মজা করে দেখতে লাগলো। খুব সুন্দর একটা মেয়ে কান ধরে ওঠাবসা করছে।এরা কেউই খেয়াল করলো না তাদের পাশেই পিয়াল তমালদের চোখ যে পানিতে ভরে আছে।।
দুপুরের কথা চিন্তা করতে করতে কখন যে বিছানাটা চোখের জলে ভিজে গেছে টের পায়নি সামিয়া।হ্যা,সিদ্ধান্তটা ও নিয়েই ফেলেছে।চিঠি লিখতে বসে গেলো ও।
বারোঃ
রাকিব স্যার,
আপনাকে আমি এই শেষ বারের মতন বিরক্ত করছি।এই চিঠিটা যখন আপনি পাবেন তখন আমি আপনার,আপনাদের সবাই কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যাব।আমাকে শাস্তি না, অনেক অনেক ভালোবাসতে চাইলেও আপনি আমাকে খুঁজে পাবেন না।যাবার আগে আপনাকে শুধু কিছু কথা বলে যেতে চাই।
স্যার, এই অঙ্কুর স্কুলটা যে আমার কাছে কি জিনিস আপনাদের কাউকে আমি তা বোঝাতে পারবোনা।গত সাতটা বছর কত ঘটনা,কত আবেগ আর কত ভালোবাসায় এর সাথে আমার যেই সম্পর্ক হয়েছে তা কি আপনাদের একটামাত্র কথায় আমি ভুলে যেতে পারি?।আজ দুপুরে আমি শুধু কিছুক্ষনের জন্যে আমার পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।দেখতে গিয়েছিলাম সাত বছর ধরে আমি যেই ডেস্কটাতে বসে পড়তাম সেই ডেস্কটাকে।কি হাসছেন??আমি জানি আমি আর সবার মত নই,চোখের আড়াল হয়ে গেলেই সব কিছু আমার মনের আড়াল হয়ে যায় না ।জড় বস্তুর জন্যে ভালোবাসাও আমার কাছে অনেক ,অনেক বড় একটা ব্যাপার যা কিনা জীবন্ত মানুষের জন্যেও আপনাদের মতন লোকদের নেই।তাইতো এত সহজ করে এত কঠিন কঠিন শাস্তি দিতে পারেন ।শেষে শুধু একটা কথাই বলে,মানুষের আবেগের মূল্য দিতে শিখবেন,নিয়ম-নীতি থেকে এটা অনেক অনেক বড় একটা জিনিস।
– ওই শালা চাপাবাজি করার আর জায়গা পাস না?ক্লাস নাইনের ব্লকে বসে সবাই এতোক্ষন মহিবের কথা মন্ত্রের মত্ শুনছিলো,হঠাৎ মাহফুজের কথায়
সবার ঘোর কাটলো।
-বিশ্বাস কর দোস্ত আমি একটুও চাপাবাজি করি নাই।এটা একবারে সত্যি কাহিনী…আর তারপর থেকেই সামিয়া আপুকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।কেউ
জানে না উনি কোথায় গেছেন।
-ওই শালা সামিয়া আপু কিরে ,খালাম্মা বল।পাশ থেকে বলে উঠে ফাহিম।
ফাহিমের কথায় কেউ হাসলো না,বিরক্ত হলো খুব।কেন যেন ওই হারিয়ে যাওয়া আপুটার জন্যে সবারই খুব মন খারাপ হতে লাগলো।
-আর সেই থেকেই আমাদের এই কলেজের ভিপি স্যার, যারা একটু বদ হয় তাদের কিছু না কিছু হয়,বুঝলি…..এই বলে উঠে দাড়ালো মহিব।।
খাইছে... ঘটনা দেখি আরো পেচাঁইতেছে!
ও খালাম্মা ও খালাম্মা...তুমি কোথাআআআআ.....য়"
কাহিনী ট্রাকে চইলা আইছে মামারা...
লেইখ্যা ফালাও কেউ...কুইক
কনক ভাই...জটিল
এই পর্বটাও খুব ভালো লাগলো। কাহিনী সোজা রাস্তায় নিয়ে আসা যাবে সহজেই। আর তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। উপন্যাস বলে কথা। অনেক অনেক দিন চলবে এটা।
"চোখের আড়াল হয়ে গেলেই সব কিছু আমার মনের আড়াল হয়ে যায় না।"
এই লাইনটা ভালো লাগলো।
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব চাই। কেউ হাত তুলুন।
মুহাম্মদের এই লাইন ভাল লাগার মানে কি?? ব্যাপার টা তো সুবিধার মনে হইতেসেনা 😉
৫১৮ র পোলাপান মুহাম্মদ রে একটু দেইখা দেইখা রাখিস।কখন কি হয়া যায়...
আমার তো উল্টা!!
মনের আড়াল হইলে হোক..মাগার চোখের আড়াল হইলে...খবর আছে কিন্তু!!!
shabbash kanak....durdanto!
আরি!!!! কেউ হাত তুলে না কেন?
শামস ভাই,আমি তো আপনার আশায় আছি।সুপার ডুপার ঔপন্যাসিক হিসেবে ব্লগিং স্টার্ট করেন আমাগো লগে।নইলে খেলুম না। 😛
শামস ভাই কইতে লইজ্জা পাইতেছে
ওকে শামস ভাই..ক্যারি অণ ম্যান...
জোস একটা লেখা পবার অপেক্ষায় আছি...
শামস ভাইয়া,আপনি এবার হাত দেন।।
ও আচ্ছা আমি চান্স পেয়ে সামিয়াকে একটু কান ধরে উঠবস করায় নিলাম..হাহা..
কনক ভাই ,নিজের পায়ে কুড়াল মারলেন ক্যান ভাই???
আপনে তো লিখ্যা ফালাইসেন....
সামিয়া লিখলে তো এরপর আপনারে ১০ টা ইডি ইস্যু কইরা দিব
হাহাহা হাহাহ হাহাহ..আমিতো ছোটখাট একটা প্রিফাক্ট ছিলাম ..তাই ইডি না দিয়ে
রেস্ট্রিকসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি...হাহাহা
তা না কইরা প্রিফেক্টশিপ সিজ করলে কেমন হয়???হি হি হি...ভাব শ্যাশ।
এরপর ধুমায়া পাংগা....
এইনা হলে ক্যাডেট!!! কইলাম কেউ হাত তুলে না কেন...আর কয় আমি নাকি লজ্জা পাইতেসি। আরে ব্যাটা... হাত তুলবার শক্তি থাকলে ডরাইতাম নাকি? যেই পেচগি লাগসে..ওইটা ছাড়াইতে যাওয়ার চেয়ে "কম্বল প্যারেড" করা অনেক ভাল। শালার ক্যাডেটরা আর মানুষ হইলনা!!!
যাই হোক আর নাই হোক আর যেটাই হোক কিংবা সেটাই হোক...
এরপরের লেখা দিবে শামস ভাই।
এই ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকলে উনাকে কিন্তু এই গল্পের ক্যারেকটার বানায়া দেওয়া হইবে।
সো....সাধু সাবধান....
আরে আপনারে পেচগি ছাড়াইতে কে কইসে। আপনে পারলে আরো পেচগি লাগায়া দেন।কুন সমস্যা নাই। পরের পর্ব যে লিখবো সেটা সে বুঝবো।
কান কথাঃ তয় একটু কম ই লাগাইয়েন পেচগি।পরের দিকের লাইনে আমিও আসি 😉
হুম ক্যাডেটে সব পারে। সো শামস ভাই এরও লেখনী শক্তি আছে। আপনি পারবেন......যদি লক্ষ্য থাকে অটুট......... আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
কোন মডারেটর কি এখানে একটু ব্যবস্থা করবে যেন প্রথম পর্ব আর গত পর্বের লিংক্টা প্লাস একদম শুরুতে অন্য তিন পর্বের শুরুতে যেই কথাটা ছিল ওইটা লাগিয়ে দিবে? আর ৩ নং এর পর্বের শেষে আর ২ নং এর শেষে তার পরেরটার লিংক।
অসাধারণ টুডি পাওয়ার ইনফিনিটি... ভাষা হারিয়ে ফেলছি...
ককখনো আমি ইডি দিবোনা, এইটা তো পরী, আমি ভাই মাটির মানুষ...
কনক ভাই, ইচ্ছা মত কান ধরে উঠবস করান, কোনো সমস্যা নাই। তবে খেয়াল রাইখেন পরীটা যেন রাতের বেলা গলা চিপে না ধরে...:D
সুন্দর হইসে আসলেই। নেক্সট কে লিখবে? তাড়াতাড়ি লিখেন।
কেউ এখনো হাত তুলল না দেখি। ব্যাপার কি ধারাবাহিক সব গুলা থেমে আছে। অবশ্য এত তাড়াতাড়ি লিখতে হবে এমন কোন কথা নাই কিন্তু হাত তুলে রাখুক। তবে পরামর্শ হাত তুললেই কিন্তু ঘুম বরবাদ হয়ে যাবে।
হাত তুল্লাম। এবং লেখা দিলাম।