কলেজে আমাদের ব্যাচে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত কিছু ডায়লগ ছিল । ডায়লগ গুলির নাম আবেগ হয়ে যায় বাক্যগুলোর উচ্চারনে ক্যাডেটিয় ঢং এবং নাটকীয় সুরের জন্য । পুরো বিষয়টি আমদের অসীম হাস্যোজ্জল বিক্রিয়ায় উচুমানের প্রভাবক হিসেবে কাজ করত । কিছু পরিস্থিতি ও আবেগ নিচে উল্লেখ করছি , আমি নিশ্চিত পাঠকগন নিজ অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বলে যথাযথ সুর ও ঢং সংযোগ করে নিতে পারবেন ।
০১। ছুটি শেষে দেখা হলে কেমন আছিস দোস্ত জিজ্ঞেস করলে
ইইহ…লুংগির আবার চেইন , এই আছি গিট্টু মাইরা ।
০২। আস্চর্যজনক কিছু হঠাৎ সামনে আসলে
ও খালা…… এডো কি ।
০৩। দুর্বোধ্য সমস্যার আচমকা সমাধান এলে
তাইতো কই , মুরগি পানি খায় মুতে না ক্যান ।
০৪। কঠিন কোনো বিষয় কে কেউ সহজ বলে চালানোর অপচেস্টা করলে তাকে ব্যাঙ্গ করে
ঘনই এত ফাক, ফাক না জানি কত ফাক ( এই উক্তির মুল স্রস্টা জনৈক স্টাফ ) ।
০৫। আচমকা অতি উদ্দমী কারো উদ্যমের কারন জানতে চাইলে
ওর কারেন্ট বেশি হয়া বালে বালে স্পার্ক করতাছে ( বোধহয় হাল্কা স্ল্যাং হয়ে গেল ) ।
০৬। অতিরিক্ত লেট করে শেষ মুহুর্তে শাস্তি ছাড়া জয়েন করার পর বুক ফুলিয়ে
তগো কইছি না , বেশি লেট লেট না…।
০৭। অসময়ে অপ্রোয়জনীয় কঠিন কাজ শুরু করলে
হুহ , ভাত পায়না আবার চা খায় ( এটা সত্যি প্রচলিত কোন প্রবাদ হতে পারে ) ।
এই মুহুর্তে আর মনে পরছেনা……।
=)) চরম হইছে মামা
আবারো ধন্নবাদ
তৌহিদ ভাই, সেইরকম হইছে।
অফ টপিকঃ ভার্সিটিতে এই ডায়ালগ গুলা প্রচলিত করার সর্বস্বত্ত পাওয়া যায় কেমনে এট্টু কয়া দিয়েন।সর্বাধিকারী মাইন্ড না খাইলে বড়ই প্রীত হইতাম। এই উক্তিগুলা গ্রাম বাংলাস শাশ্বত সম্পদ,অনাদরে জীর্ণ এ সম্পদগুলো তথাকথিত "ইয়ো ম্যান ওয়াসসাপ" অথবা "হোলি কাউ" ধরণের আজাংরা সংলাপের পরিবর্তে ব্যভার করে দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষার আবেদন জানাই।
“হোলি কাউ”
এইডা কেমুন কতা...। :)) =))
মুনে কর তুই প্যারেডে লেট কইরা গেছস,যেহেতু এডজুট্যান্ট নতুন বিয়া করছে তাই তোর ধারণা ছিল সে প্যারেড গ্রাউন্ডে দেরী কইরা আসবে,কিন্তু কেম্নে কি!গিয়া দেখস সে আগেই আইসা বইসা আছে-তুই পাশ কাটাইতে গিয়া ডায়রেক্ট খপ্পরে পইড়া গেছস।তখন তুই কবি(মনে মনে)-"হোলি কাউ,স্যার আপনের না এখন বাসায় থাকনের কথা?এত তাড়াতাড়ি আইলেন কেমনে?"
এই হইল হোলি কাই বৃত্তান্ত 😀
ওওওও বুঝছি হোলি কাউ মানে এডজুটেন্টের সমস্যা 😉 আছে...। :))
ছি ছি জিহাদ তোরে নিয়া কুকথা কইতাছে হাসনাইন... 😀
আপনের কি আবার কাশেম হওনের খায়েশ হইসে? B-)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:)) :)) :)) =)) =)) =)) =))
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
আর পারতাছিনা...পেট ফাইট্টা যাইতাছে হাসতে হাসতে...
মাসরুফ, তুমি জেনে খুশি হবে যে তোমার বড় ভাইয়েরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান, তাই তো তারা বাক্যালাপকালে 'পবিত্র গাভী', 'পবিত্র হাগু', 'গভীর হাগু', চোষক ইত্যাদি ব্যবহার করে... 😉 😉
সত্যি কথা বলতে কি-কাউকে '..বাচ্চা', '...বাচ্চা' এইসব বলে যে মানসিক প্রশান্তি আছে তা আর পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় সম্ভব না... 😀
বাংলা ভাষা জিন্দাবাদ!!!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমার ব্যক্তিগত প্রিয় হল "বোকা**","**র ভাই" এবং "*ৎ*রানী" ।
আমার চায়নিজ বন্ধুদের শিখিয়ে দিয়েছি-ওরাও দেখি আজকাল একে অন্যকে এসব মধুর নামে ডাকে 😀
আ মরি বাংলা ভাষা। 🙂
"গভির হাগু" !!!!!! =)) =)) =)) =)) =))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আবেদন মঞ্জুর...।।
ও ভাইরে...। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতাছি। :)) =)) =)) =))
গরা গরি না দিইয়া উচিত জবাব দাও । 😀
পুরা ঠা ঠা...... :gulli:
তৌহিদ,
ভাই এ তুমি কি দেখাইলা? এ তো ভানুমতির খেল, এ তো ইন্দ্রজাল.... :)) ।
হাসতে হাসতে খুন কইরা ফালাবা নাকি =)) =)) ?
খুব ভালো হইছে :clap: । চালায়া যাও।
পুনশ্চ: স্টাফদের (কলেজ+বিএমএ) কথাবার্তা নিয়ে রীতিমত আলাদা ভলিউম বের করা সম্ভব।
Life is Mad.
ভাইজান আপনাদের গুলা ছারেন না কেন ?
আপিশে বইসা ঈদটা আলোকিত হয়া গেল। বাকি দিনটা মনে লয় ভালই যাইব।
মরতুজা ভাই,ক্ষুদ্র-নরমে ঈদের ছুটি নাই?বিল গেটস হালারে মুসল্মানি করায় দেওন দরকার x-(
বাঙ্গালি এক ঈদে যত ছুটি খায় আমরা মনে হয় সারা বছর সেই ছুটি পাই। আইজকা ছুটি নিবার পারতাম, মাগার সামনের হপ্তায় একদিন ছুটি নিয়া কানাডা যাইতাছি (ম্যানেজার রে কই নাই যে আরেক দিন সিক থাকুম, আগে ভাগে সিক কইলে তো আর ফাকি মারা যায় না)। সো আইজকা মেলা কাম 😀 ~x(
সিরাম হইছে। একদম সিরা--ম।
সিরাম কি মামা? 😀
=)) =)) =)) =)) =))
আগে গুল্লি মাইরা লই। তারপর কমেন্ট দিমু। :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli:
হাসতে হাসতে কেলেঙ্কারি কইরা ফালাইছি। ফোনে কথা বলতেছিলাম আর লেখাটা পড়তেছিলাম।ওই পাশে ছিল এক মেয়ে(গার্লফ্রেন্ড না)। অরে বইলা ফালাইছি-ঘনই এত ফাক, ফাক না জানি কত ফাক।
এখন আমার কি হবে?
কি আর হবে ... রহস্য ভাইঙ্গা কইয়া দেন , মুরগি পানি খায় মুতে না ক্যান 😀 😀 😀
কি আর হইব,"ফাক" নিয়া গবেষণা চলতে থাকবো 😀
ভাল ছিল। মন খুলে হাসছি্ ।লেখাটা খুবই ভাল ছিল
অসাধারন ... =))
ডায়ালগগুলাকে বাংলা সিনামায় use করা উচিত =)) কেউ ১জন ক্যাডেটদের নিয়ে সিনামা বানায় ফেলেন...
বাংলা সিনেমায় !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
একটু কেমন লাগলো যেন ,
আমার কাছে এর চেয়ে মনো্মুগ্ধকর একটা কল্পনা হছ্ছে , আমি ঢাকার কোন এক ডাস্টবিনে বসে লাঞ্চ করছি । মনে কিঞ্চিত ব্যাথা পাইলাম...... 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
আরে না ভাইয়া, এসব ডায়ালগগুলাকে somehow সংরক্ষন করা দরকার, আর বাংলা সিনেমার মাধ্যমে তা সাধারন জনগনের কাছে পৌছে যাবে!
রুমে একা একা লেখাটা পড়লাম। কঠিন মজা পাইছি...। এরপরে কমেন্টগুলো পড়া শুরু করলাম। একেকটা কমেন্ট পড়ি আর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি...। আশে পাশের রুম থাইক্কা লোকজন দৌড়াইয়া আসলো...। তাগোরেও পড়াইলাম...। এইবার তো পুরা মেস উইড়া যাওনের মত অবস্থা হাসির দমকে...।
উফফফফফফসসসসসস...তোমরা মিয়া একেকজন কঠিন জিনিয়াস...।
তৌহিদ,
অসাধারণ হইছে লেখাটা...। চালাইয়া যাও...।