[প্রাক-কথন: ২০০৬ এ বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলাম ভারতের রাজস্থান প্রদেশটিতে। সেখানকার জয়সলমীর অঞ্চলটির নাম নিশ্চয়ই অনেকেরই জানা।
সত্যজিত রায় খ্যাত সোনার কেল্লা এখানেই অবস্থিত। তো জয়সলমীর থেকে প্রায় কুড়ি কি.মি. পশ্চিমে রয়েছে কূলধারা নামে একটি পরিত্যক্ত জনপদ। প্রায় দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কেউ থাকেনা, অথচ এক-ইটের আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘর দাঁড়িয়ে আছে মাথা তুলে। প্রচলিত ইতিহাস বলে,পঁচাশিটি গ্রাম জুড়ে এখানে বাস করতেন কৃষিজীবী ব্রাহ্মণদের একটি গোষ্ঠী।
হাইকু জগতে আমি : প্রথম পর্ব
আলিমুজ্জামান ভাই (জেসিসি) এর কল্যাণে হাইকুর সাথে দেখলাম সিসিবির পরিচয় হয়েছে। তাই আমার কিছু হাইকু শেয়ার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছি। 😕 আরেকটা ব্যাপার হল নেটে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারার কোনো চান্স (পড়ুন ইমো) নাই। :grr:
যেভাবে শুরু
তখন নিউ এজ সবে প্রকাশিত হয়েছে, লিটেরারী এডিটর নিয়াজ জামান ম্যাডাম। আমি তখনো ফার্স্ট ইয়ার এর গন্ডি পেরোই নি। একদিন ডিপার্টমেন্টের নোটিশ বোর্ডে দেখলাম নিউ এজ এবং জাপানীজ দূতাবাস একটা হাইকু প্রতিযোগিতার জন্যে হাইকু চেয়েছে।
বিস্তারিত»রক্তাক্ত উল্লাস (রক্তাক্ত সুখ-এর ২য় পত্র)
গীর্জাটি এখনো পড়ে আছে
নির্জন,স্পন্দনহীন কোন স্থানে
পরিচর্যার কেউ নেই
ছোঁয়াও হয় না বাইবেলটি
দেয়ালে আশ্রয় নিয়েছে গাছ
আগাছা আগলে রেখেছে পথটি।
সারপ্রাইজ
“স্যার,আজকে আর পড়ব না।”-মাথার দুইপাশে বেণী দুটো দুলিয়ে রিনরিনে গলায় বলে ওঠে তিশা।
রোহান তখন গোবেচারার মত তাকিয়ে বলে,” কিন্তু আরেকটা সরল যে বাকি ছিল।”
“ওটা আজকে থাক স্যার প্লিইইইজ।”
এবার হার মানল রোহান।ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দিল।উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল।বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছে না। আন্টি আবার কি মনে করে।ওর চেহারা দেখে স্মার্ট ছাত্রী বলে উঠল, “স্যার কি কিছু বলবেন?”
বাচ্চা ভয়ংকর…..কাচ্চা ভয়ংকর…..(২)
মান্নান ভাই এর বাচ্চা ভয়ংকর…..কাচ্চা ভয়ংকর….. পড়ে আমারও এক বাচ্চার কাহিনী মনে পড়ে গেলো।
তার নাম ছিলো আবীর।সে আমার এক সিসিআর এর ফ্রেন্ডের মামাতো ভাই।আমরা যখন ১১ এ পড়ি তখনকার গল্প।
তো একবার সবাই ঈদের কানাকাটা করতে গেলো।সাথে আবীরও।কিন্তু কিছুক্ষন পরে দেখা গেলো যে তাকে কেউ খুঁজ়ে পাচ্ছে না।শেষে তাকে পাওয়া গেলো এক দোকানে সেখানে সে দোকানীর সাথে বেশ জমিয়ে কথা বলছে।পরে দোকানী যা জানালো তা হলো দোকানে রাখা একটা ছেলে ডলের জিপার খুলে সে বলছে “আঙ্কেল আঙ্কেল এই ভাইয়ের নু*টা কোথায়??”
পরে আর একবার বন্ধুর এক মামার বিয়ে।তো সবাই বউ নিয়ে কথা বলছে।তো আবীর কি মনে করে তারই এক কাজিন(মেয়ে) কে বলে ফেললো “তোমাকে আমি বিয়ে করবো!!!!কিন্তু তোমাকে আগে তুমি কাপড় খুলো তোমাকে দেখি।তুমি অনেক সুন্দর!!”
এইবার কিন্তু আবীর মায়ের কাছে চরম মাইর খাইলো।কিন্তু সে কি আর লাইনে আসে?
নীলা-৩য় পত্র
আবার শালা জ্যাম! শালার ঢাকা শহরের কবে যে উন্নতি হবে! ৩০ মিনিট ধরে নিউমার্কেটের জ্যামে আটকা আছি। হেঁটে গেলে এতক্ষণ ৪ বার টিএসসি যাওয়া-আসা করা যেত! পারলে যেতাম। কিন্তু রিকশায় ওর পাশে বসা হবে না। গতরাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। হঠাৎ ফোন,ভাইব্রেশনে শুধু ফোন না,আশেপাশের সবকিছুই যেন ভাইব্রেট করছে! রাশেদ ফোন দিল নাতো! ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলাম।
বিস্তারিত»আবার সংবাদপত্র কিংবা প্রেসকি
সংবাদে ছিলাম দীর্ঘ সময়, ৬ বছর। আমার প্রথম চাকরি। আহমদুল কবির তখন সম্পাদক, আর তার ছেলে মিশু ভাই (আলতামাস কবির) নির্বাহী পরিচালক। জীবনে অনেক বস দেখেছি, তবে আহমদুল কবির একদিক থেকে ব্যতিক্রম। তিনি তর্ক পছন্দ করতেন। যে রিপোর্টার তার সঙ্গে তর্ক করতো, তাকে তিনি বেশি পছন্দ করতেন। জনকণ্ঠের তোয়াব ভাই তো পাল্টা কিছু বললেই বলেন, আমার সঙ্গে তর্ক করবে না। আর আহমদুল কবির সাহেব ভাবতেন,
বিস্তারিত»ছোট কবিতা – ২
উৎসর্গ: ফয়েজ (৮৭-৯৩) এর সর্বশেষ ব্লগ।
১.
কই সব,
শৈশবের
সই সব?
২.
সই ছি!
সখ করে এত
নিপীড়ন সইছি?
ম্যাজিক বয় – ০২
ম্যাজিক বয় – ০১
২.
রতনের কাকা রফিকুর রহমান বললেন, ভাত বন্ধ করে দিলেই হয়।
রফিকুর রহমান বিশ্বাস করেন যে কোনো সমস্যার সবচেয়ে বড় সমাধান, যে কোনো পাপের সবচেয়ে কার্যকর শাস্তি হলো ভাত বন্ধ করে দেয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের ছাত্র ছিলেন, সে হিসেবে তার চরিত্রে দার্শনিকতা প্রচুর ছিল, তিনি জুতো-প্যান্টের সঙ্গে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন।
বিস্তারিত»আমাদের আরো দু’জন…..
আজ আমাদের একজন সিনিয়র অফিসার, যশোর এর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জি ও সি মেজর জেনারেল মো: রফিকুল ইসলাম ও লে: কর্ণেল মো: শহীদুল ইসলাম, আর্টিলারী এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
শহীদ ভাই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ১৫ ইনটেকের একজন ক্যাডেট ছিলেন।
আল্লাহ এই দুজন শহীদকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।
বিস্তারিত»ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৩
তার একটা নাম দেয়া দরকার, দিলে ভাল হয়।
রংপুরে যে এলাকায় আমরা থাকতাম, সেই এলাকার নামের আগে “মিস” বসিয়ে আমার মহা রাশভারী বাবা তাকে ডাকতেন। সত্তর দশকের শেষের দিকের কথা বলছি। “মিস ওয়ার্ল্ড” তখন একটা অবাক করা অনুষ্ঠান বড়দের কাছে, আর আমরা কি ছাই তখন বুঝি এতসব।
আমাদের বাসার যতটুকু অংশে ঘর-দোর-উঠোন করেছিলেন বাবা, তার চেয়ে অনেক বেশি অংশই ছিল গাছে ভরা।
বিস্তারিত»জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা
একসময় ছিল ক্যাডেট কলেজ মানেই পুরুষরাজ্য। শিক্ষার্থী পুরুষ, শিক্ষক পুরুষ- যেদিকে চোখ যায় শুধুই পুরুষ, সে বালক হোক, যুবক হোক বা প্রবীণ। আমরা ছিলাম সেই যুগের।
তারপর এরকম একটি-একাধিক নারীরাজ্যও তৈরি হলো। তবে তারা কিছু পুরুষ শিক্ষক, কর্মকর্তা ওই রাজ্য পেত। আর পুরুষরাজ্যেও শিক্ষক হিসাবে কিছু নারীর অনুপ্রবেশ ঘটলো সময়ের দাবিতে। এই যুগের প্রডাক্ট হলো সিসিবির অধিকাংশ ব্লগাররা।
ফলে ক্যাডেট কলেজে নারী দিবস মানে কলেজের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে শিক্ষকদের স্ত্রী-কন্যাদের চকিত দেখা আর পেরেন্টস ডে’গুলো।
বিস্তারিত»মানুষ আমি আমার কেন এনালগ ম…ও…ও…ন…!!!
একটা সময় ছিল যখন খুব উৎসাহের সাথে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখতাম। ইত্যাদিতে কোন সেলিব্রেটি আসলে তাকে করা কমন প্রশ্ন থাকত ‘আপনার জীবনের এমন কোন ঘটনা বলুন, যা মনে পড়লে আপনি এখনো নিজের অজান্তেই হেসে ফেলেন…’ যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত তারা বোরিং কোন ঘটনার কথা বলতেন, তারপরও এটা ঠিক আমাদের সবার জীবনেই এরকম প্রচুর ঘটনা রয়েছে…ক্যাডেটদের সার্বিকভাবে এমন ঘটনা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি থাকার কথা!
বিস্তারিত»মহাবিশ্বে জেগে ওঠা
সবাইকে আমার বিশাল ধন্যবাদ জানানোর আছে। বিবিসিতে বিডিআর ম্যুটিনির সংবাদ দেখে আমি ইন্টারনেটে বসার শক্তি হারিয়ে ফেলি, কেননা আমি জানতাম এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনব। ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যু নিয়ে আমি অভিযোগ করার কিছু পাইনা, মৃত্যু সাম্যবাদী এবং টু স্টুপিড টু ডিসক্রিমিনেইট। আমার অভিযোগ ছিল জীবন নিয়ে। আমার ভাবতে সঙ্কোচ হচ্ছিল সেই মৃতদের জীবিত কাছের মানুষদের কথা, তাদের মা বাবা বন্ধু,সন্তানদের কথা। এ কারণেই আমাকে ইন্টারনেট এ বসতে হয়।
বিস্তারিত»মাজহারের স্মরণে… ফটোব্লগ
বেশ কিছুদিন ধরে সিসিবিতে কিছু লিখব ভাবছি। কিন্তু ভিতর থেকে কোন লেখা আসছে না। বারবার ঘুরেফিরে মাজহারের স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে ভেসে উঠে…
ক্যাম্পে একা থাকি, গল্প করার মানুষও নাই। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারছিনা। স্মৃতিগুলো তাই কুড়ে কুড়ে খায় আমাকে…
ক্লাস সেভেনের মাজহার
বিস্তারিত»