যার যায়, সেই বোঝে…!!!

[ কোন ক্ষোভের বশে লেখা নয়, কারো বিবেককে জাগাবার জন্যও এটি নয়…কারো মতবাদ-ধারণাকে আমূল বদলে দেবার প্রচেষ্টা তো অবশ্যই নয়…এটি গল্পচ্ছলে বলা একটি রূঢ় বাস্তবতা!! ]

মফস্বল শহর। দুপুর গড়িয়ে মাত্র বিকেল হওয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ৮/১০ জনের একদল কিশোর ক্রিকেট খেলার জন্য বের হয়ে পড়েছে। এদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৬ এর মধ্যে। সবার সামনে যাকে দেখা যাচ্ছে বল হাতে, ওর নাম বাবলু।

বিস্তারিত»

মাজহার আমাকে তুই মাফ করে দিস রে ভাই…

মাজহার,

আমার দোয়া নিস। আশা করি জান্নাতে ভাল আছিস। ২৪ তারিখের প্যারেডের সময় তোর সাথে শেষ দেখা হবার পর থেকে মনটা কেমন জানি করে। তোর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে রে ভাই। প্যারেডের পেছনের দর্শক সারি থেকে পালিয়ে আমি, তুই, জুনায়েদ আর জাহাঙ্গীর গেলাম সিগারেট খেতে। ওখানে আমার কোরের নন-স্মোকার আসাদও আসল। ওর সাথে মনের সুখে ঠিকমতো কথা বলতে পারলাম না তোদেরই জন্য।

তোকে জিজ্ঞেস করলাম,

বিস্তারিত»

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি আর ফুল নিয়ে আমরা দাঁড়াবো বিডিআর ফটকে

মনের আগুন জ্বালো

কর্মসূচি : হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো
কবে-কখন : মঙ্গলবার, ৩ মার্চ; সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা
কোথায় : বিডিআর গেইটের পাশে রাইফেলস স্কয়ারের সামনে
কি করবো : ঘুচাবো কালো জ্বালবো আলো
কারা আসবেন : যারা মানুষ ভালোবাসেন এবং হিংসার অবসান চান

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরে এক শ্রেনীর জওয়ানদের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞে নিশ্চিতভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২ নারীসহ ৬৩ জন।

বিস্তারিত»

‘শিরোনাম নিষ্প্রয়োজন’

জনসমুদ্রে তখন কোন জোয়ার ভাটা নেই,
হাহাকার আর কান্নায় বাতাস থেমে গেছে।
প্রতিটি চেহারা যেন ফ্যাকাসে –
অসহায় – ভাবলেশহীন!
বুকে ঢিপঢিপ;
মুখে কথা বা চোখে দৃষ্টি নেই।
অতি ব্যস্ততায় উঠে আসছে অনেকে;
কেউ কেউ হুরমুর করে নেমে যাচ্ছে ।

বিস্তারিত»

সামিয়া… তোমার জন্যে

সামিয়া, আমার প্রিয় বোন,

তোমার কষ্ট সেভাবে আমরা কেউই হয়তো উপলব্ধি করতে পারছি না, যে হারায় শুধু সেই বুঝে। আমি যে কি বলে তোমাকে সান্তনা দিব আপু আমি বুঝতে পারছিনা… তুমি ভেঙ্গে পড়ো না, তুমি ভেঙ্গে পড়লে তোমার পরিবারের বাকি মানুষজনদেরকে কে দেখবে? মানুষের জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে — এই তিনটি জিনিস আল্লাহ তা’আলা আগেই ঠিক করে রাখেন; এখানে কারো কোন হাত নেই।

বিস্তারিত»

বন্ধু…তোকে মনে পড়ে – ১

গত কদিন ধরে অনেকবার সিসিবিতে এসেছি, কমেন্ট করতে অথবা কিছু লিখতে… কিন্তু পারিনি। আমার হাত চলেনি… মন টানেনি। নিজের সাথে যুদ্ধ করে পরাস্ত হয়ে বার বার ফিরে গিয়েছি… যতবার সিসিবিতে আসি বারবার চোখ ভিজে উঠে, মনিটর ঝাপসা হয়ে আসে… লিখতে না পেরে উঠে চলে যাই… আবার আসি, পড়ি, আবার ঝাপসা দেখি…বারবার ভাবি লিখব কিন্তু লেখা আর হয়ে উঠেনা…

এ কদিন অনেক কেঁদেছি…অনেক…। আমি কোনদিনও এভাবে কাঁদিনি,

বিস্তারিত»

একটি মোমবাতি কি জালানো যেত না কিংবা দেওয়া যেতনা কি একটি ফুল?

গত ২৫শে ফেব্রুয়ারির ঘটনার পরে বের হয়ে এইমাত্র প্রথম বারের মত নিজের রুমে ফিরলাম, মাঝখানের এই দিন গুলি যেভাবে অতিবাহিত করেছি, যে সকল দৃশ্য দেখেছি সে সকল অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই…

বিস্তারিত»

ওয়েক আপ, ক্যাডেটস! …এখন শোক কে শক্তিতে পরিণত করার সময়

ক’দিন ধরে কিছুই ঠিকমত ভাবতে পারছিনা। সবকিছু শুধুই ঝাপসা হয়ে আসছে। তারপরেও জীবন ত থেমে থাকে না, থামতে দেওয়াও যায় না।

এখন আমাদের আরো কিছু দায়িত্ব বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েদের পড়ার ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

বিস্তারিত»

মানুষ বনাম বাংগালী

বিশ কোটি জনতার হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাংগালী করে মানুষ করনি

এত গুলো মানুষ যখন মারা গেল তখন আমরা সেটা যায়েয করার চেষ্টা করছি এই বলে যে তারা তাদের দুর্নীতির কর্ম ফল ভোগ করেছে। আমরা কি মানুষ?

শু**** বাচ্চা গুলো পালিয়ে গেল নাকি পালিয়ে যেতে দেওয়া হল?

৭১ এ আমাদের বাবারা যুদ্ধ করার আগে কি তাদের গণতন্ত্র ও জাতীয় স্থিতিশিলতার কথা চিন্তা করা উচিত ছিল?

বিস্তারিত»

রহস্যের গন্ধ

আমি বেশি কিছু লিখব না। খুব ভাবগম্ভীর কথার দিকে যাচ্ছিনা; নিজেও নানা পেরেশানির মধ্যে আছি। ভাল লাগছে না।

১০টার দিকে টিভিতে একটা সাক্ষাতকার দেখছিলাম, অনেক সিনিয়র এক রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারের। নাম মনে পড়ছে না। উনি একবার জেসিসি ভিসিটে গিয়েছিলেন কোন একটা অকেশনে স্পেশাল গেস্ট হিসেবে, তখন আমার বাবা আনোয়ারুল হক তারিক সেখানে অধ্যায়নরত। ডাইনিং হল প্রিফেক্ট হিসেবে তাঁর পাশে আব্বুর বসার সুযোগ হয়েছিল গ্র্যান্ড ডিনারে।

বিস্তারিত»

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সেটা ছিল আশির দশক, আমার ছাত্রজীবনের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। গণসংগীত আর গণনাট্য ছিল সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।

রূপেশ বড়ুয়া উদীচীর প্রাণ ছিল। অসাধারণ তবলা বাজাতো। সব অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহড়া, আড্ডায় তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রূপেশ জীবিকার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে একটা পোশাকের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো।

বিস্তারিত»

একটি চিঠি ও এক বুক কান্না……

প্রিয় হায়দার ভাইয়া এবং মাজহার ভাইয়া,
আমি আপনাদের অনেক ছোট……কলেজে কোন দিন আপনাদের পাইনি….দেখিনি…কিন্তু তার পরও…আমি গত ৩ দিন আমার বুকের ভেতর এর চাপা ব্যাথা…আটকে রাখতে পারি নি…কেদেছি….অনেক….নীরবে…..হয়ত কেউ বিশ্বাস করবে না…..কিন্তু আমি জানি….

বিস্তারিত»

ও ক্যাপ্টেন…..মাই ক্যাপ্টেন

২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মাজহার শেষবারের মতোন ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করেছে এইভাবে, “Mazharul is back from tour”. ভাবীকে নিয়ে ট্যুরটা ওর জন্য কাজের ব্যস্ততার মধ্যে একটা রিলিফ হয়ে এসেছিল। ২১, ২২, ২৩ এই তিনদিন ওকে অনেকটা ইনএ্যাকটিভ দেখে ২৪ তারিখে তাসফিক জিজ্ঞেস করেছিল, “কিরে অবস্থা কি? গায়েব কেন? বৌয়ের সাথে নাকি? দ্যাট উইল এক্সপ্লেইন ইট…হাহ হা”।

এরপরই ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ভয়ঙ্কর সব সম্ভাবনায় উদ্ধিগ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীরা লিখেছে:
“ভাইয়া,

বিস্তারিত»

মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……

মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……

উনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের ক্যাডেট। আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার অনেক প্রেরণার মাঝে একজন। উনার ডাক নাম ছিল পিকো। ছোটবেলা থেকে সবসময় উনাকে পিকো ভাইয়া বলে ডাকতাম। অনেক বড় হওয়ার পরেও পিকো ভাইয়া বলেই নাম জানতাম, শাহনেওয়াজ নামটা মনে আসত না কখনো।

পিকো ভাইয়া আর্মির সিনিয়র মেজরদের ভেতর একজন। রিটায়ারমেন্টের খুব বেশি বাকি ছিল না, বড়জোড় ১ বা ২ বছর ছিল হয়ত।

বিস্তারিত»

আমি কেন পিলখানায় থাকতে পারলাম না?

আমরা অনেকগুলো ভাইবোন, আমি সবার ছোট।

আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল আমি সেনাবাহিনীতে যাই, আমার সবচেয়ে বড় ভাই যিনি, তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তখন, আছেন এখনো। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি বাবা কেন চাইতেন বারবার, আমাকে চাপ দিতেন সেনাবাহিনীতে যেতে। এমন না যে তার আর্থিক নিরাপত্তা ছিল অনেক, কিন্তু ছেলেকে পড়ানো মত সামর্থ্য তার ছিল, তিনি জানতেন আর্মিতে গেলে আমি সংসারে তার হাতে টাকা দিতে পারব না,

বিস্তারিত»