সবাইকে আমার বিশাল ধন্যবাদ জানানোর আছে। বিবিসিতে বিডিআর ম্যুটিনির সংবাদ দেখে আমি ইন্টারনেটে বসার শক্তি হারিয়ে ফেলি, কেননা আমি জানতাম এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনব। ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যু নিয়ে আমি অভিযোগ করার কিছু পাইনা, মৃত্যু সাম্যবাদী এবং টু স্টুপিড টু ডিসক্রিমিনেইট। আমার অভিযোগ ছিল জীবন নিয়ে। আমার ভাবতে সঙ্কোচ হচ্ছিল সেই মৃতদের জীবিত কাছের মানুষদের কথা, তাদের মা বাবা বন্ধু,সন্তানদের কথা। এ কারণেই আমাকে ইন্টারনেট এ বসতে হয়। তখন আমি এ সাইট টির সন্ধান পাই। তার পরের ঘটনা ততটা ইতিবাচক না কেননা আমার বিগত তিন-চারদিনের একটা বিশাল অংশ এই সাইটে ব্যয় এবং অ্যালিগেইডলি অপব্যয় হয়েছে। আর লাভ হয়েছে এটা যে আমি বাংলা লেখা শিখে যাচ্ছি। সম্ভবত আগামী ১ বা ২ সপ্তাহের জন্য এটা আমার শেষ পোষ্ট। আমি কমেন্টের উত্তর দিব যদিও। ইষ্টারের ছুটিতে আবার লিখব।
আমি বলছিলাম ধন্যবাদের কথা। আমি আগেই দাবী করেছি সাধারণের ইন্সটিঙ্কট্ আর ক্যাডেট ইন্সটিঙ্কটে একটা পার্থক্য আছে, তা হল সাধারণের ইন্সটিঙ্কট্ যেখানে দুর্বোধ্যতা আর জটিলতা এডিয়ে সস্তা সাধারণ বিনোদন চায়- ক্যাডেট ইন্সটিঙ্কট সেখানে আকর্ষিত হয় দুর্বোধ্যতা আর জটিলতার দিকে। এটা সম্ভবত এই কারণে যে, যা দুর্বোধ্য তা যতক্ষণ আমরা না বুঝি ততক্ষণ বোধহয় আমরা নিজেদের অযোগ্যই মনে করি। এবং উপরোক্ত দাবী সমর্থিত এই এভিডেন্স দ্বারা যে, আমার দুটো পোষ্ট যাদের দুটোই কিনা মোটামুটি টেকনিকল এই পর্যন্ত হিট পেয়েছে প্রায় সাড়ে আটশো এবং কমেন্ট পেয়েছে দেড়শো। এবং এর সবগুলাই বিগত ৪ দিনের ঘটনা। আমার ধন্যবাদ এই জন্যে না যে আপনারা আমার পোষ্ট পড়েছেন বরং এইজন্যে যে ক্যাডেট এবং এক্স-ক্যাডেট নিয়ে আমি যেই উচ্চাশা পোষণ করতাম আপনাদের দ্বারা তা ভঙ্গ হয়নি।
এবার আসি কেন এই অ্যাকটিভিটি। ক্যাডেট যারা কিনা চিরুনী-বাছাই করা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে যোগ্য, সবচেয়ে কমপিট্যান্ট নাগরিক তাদের ব্লগে এসে আমি আবিস্কার করি এখানে পর্যাপ্ত প্রফেশনাল লেভেলের পোষ্ট নাই। অথচ এই ছেলেগুলো সবাই প্যাশনেইট। আর প্যাশন্ তখনই সফল যখন কিনা তা সংক্রমিত। আমার প্যাশন বায়োকেমিষ্ট্রি আমি কতজনের মধ্যে সংক্রমিত করতে পারলাম তাই টেস্টিফাই করবে কতটা সফল এবং যোগ্য আমি। যাদের প্যাশন ম্যাথ,ফিজিক্স,কবিতা,রাজনীতি,মানবাধিকার,দর্শন তারাও একই কাজ করলে আমরা উপকৃত হই।
প্যাশন জিনিষটা বোধহয় স্পার্ক থেকে শুরু হওয়া বনফায়ারের মত। আমার মনে পড়ে দেড় বছর আগে আমি একদিন হঠাত কিয়েইসিন (kinesin) নামক এক বায়োমলিকিউল যা কিনা এখনও আমার সবচেয়ে প্রিয় মলিকিউল, এর সম্মুখীন হই। আমি দেখি এই সাইটোস্কেলিটাল মোটর প্রোটিন ডায়ামর তার ছোট ছোট দুইটা পা দিয়ে এটিপি হাইড্রোলাইজ করে করে বাচ্চাদের হাঁটার মত করে আমাদের মাইক্রোট্রিবিউল পলিমারের উপর দিয়ে তার আয়তনের চেয়ে কয়েকশ গুন বড় অর্গানেল বহন করে হেঁটে যাওয়ার মত করে এগিয়ে যাচ্ছে। মুগ্ধতায় আমি বলে উঠি “if that is not not beauty i dont know what beauty is”। এর পর আমার আর পিছে তাকাতে হয়নি, আমি অনুধাবন করি বায়োকেম না জানলে আমি মারা যাব, আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। এই কথা যখনকার তখনও কেমিষ্ট্রিতে আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এই জেনে চলার ধারা এখনও অব্যহত আছে।
সবার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে আমরা কি কখনও ভেবেছি কতটা ভাগ্যবান আমরা মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহন করে। পুরো পৃথিবীর মাত্র ১% অরগানিক মলিকিউল, তার মধ্যেও বায়োমলিকিউলের হার কত কম। আর বায়ো হলেও আমরা হতে পারতাম একটা স্পন্জ বা একটা কচ্ছপ। বা আমরা যদি হায়ার অর্গানিজমও হতাম যা নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করতে পারে তাহলে দেখা যায় চিতাবাঘ দৌড়ানর জন্য শ্রেষ্ঠ, হাঙ্গর সাঁতারের জন্য, হাতী আকারে শ্রেষ্ঠ এখানে ভাবার জন্য শ্রেষ্ঠ অর্গানিজম হিসেবে জন্মগ্রহন করতে পারাটা কি সৌভাগ্য নয়? তারপর ও ভাবনার সব অ্যাসপ্যাক্টে আমরা শ্রেষ্ঠ নই। গুনন করুন দুটি সংখ্যা ৩৭১০৫৯৮ ও ৪৪৩৮২৫০, যদি আপনারা ১ সেকেন্ডে তা পারেন এবং পুরো পৃথিবীর এনটায়ার ৬.৭ বিলিয়ন পপুলেইশনই যদি এতটা অ্যারিথমেটিকলি কেপাইবল হয় তারপরও আমাদের সবার সম্মিলিত ক্ষমতা যেই কম্পিউটারে বসে আপনি এই পোস্ট দেখছেন তারচেয়ে কম।কতটা ভাগ্যবান আমরা যে এই মহাবিশ্বের রহস্য আমাদের বোঝার ক্ষমতা রয়েছে, তারপরও সেই ক্ষমতা যদি আমরা এই খাতে ব্যয় না করি অবশ্যই সেটা হবে অপব্যয়।
বা এটাও কি মজার না যে এই ঘটনার সম্ভবনা কত যে আমার শরীর যার প্রায় পুরোটাই হাইড্রোজেন, এর একটি হাইড্রোজেন পরমানু ছিল ৬৫ মিলিয়ন বছর আগের একটা ডাইনোসরের শরীরের হাইড্রোজেন পরমানু এবং যেই ডাইনোসরের বংশধর পাখির কিচির-মিচির এই মুহুর্তে ভেষে আসছে আপনার জানালা দিয়ে। এখানেই বিজ্ঞানের মজা, যে বিজ্ঞান আমাদের শেখায় কিভাবে আমার আমিত্ব পুরো মহাবিশ্বের সাথে জড়িত। এটা বলা বাহুল্য যে আমাদের জীবনের প্রতিটা পিকোসেকেন্ড আমরা বিজ্ঞানের কাছে ঋণী। তবে বিঙ্জ্ঞান শুধু জীবন বাঁচায়ই না জীবন ভালবাসতেও শেখায়। আমি একে বলি the great green vivace of life.
তবে আমি জানি একজন ইনডিভিজ্যুয়ল, একদিন আমি মারা যাব, তবে এই চরম ও অভিনবভাবে সফল মানুষের এই বিপুল জনসংখ্যা টিকে থাকবে, তারা টিকে থাকবে অনন্ত সময়, এমনকি সূর্য সুপারনোভা হয়ে গেলে বা কোন এক অযাচিত প্ল্যানেটারি ডিজাস্টারে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে মুভ করবে অন্য কোন গ্রহে, আমার বিশ্বাস এমনকি মহাবিশ্বের বিগ-ক্রাঞ্চ না ঘটতে দেয়ার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে তারা টিকে থাকবে অনন্ত অসীম সময়। সবকিছুই থাকবে শুধু আমিই থাকব না, যেমন আমার জন্মের আগে আমি ছিলাম না।
আমার জন্মের ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে ঘটে যাওয়া “রেপিড এক্সপ্যানশন আফ স্পেইস টাইম” বা জনপ্রিয় ভাষায় বিগ ব্যাঙের মাধ্যমে বিশ্বজগতের সৃষ্টি, ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগত ও পৃথিবীর সৃষ্টি, ৪ থেকে ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সায়ানো-ব্যাক্টেরিয়া রূপে প্রথম প্রটোসেলের বিকাশ, ৫৩০ মিলিয়ন বছর আগে ঘটে যাওয়া ক্যাম্ব্রিয়ান এক্সপ্লোশনের মধ্য দিয়ে অ্যানিম্যালিয়া কিংডম এবং প্রথম বহুকোষী অর্গানিজমের বিকাশ এবং ২০০ হাজার বছর আগে মানুষের উৎপত্তি- কত বড়, বিশাল ব্যাপক ঘটনা এরা এক-একটা।
ম্যাথম্যাটিক্স ফিজিক্সে, ফিজিক্স কেমিষ্ট্রিতে, কেমিষ্ট্রি জিওলজি ও বায়োলজিতে অতপর বায়োলজি ইকনমিক্স, ফিলসফি,কমার্স,পলিটক্সে বিকাশ পাওয়া কত বড় ঘটনা এরা এক-একটা। এদের একটা ঘটনার সাক্ষীও আমি হতে পারিনি কেননা আমার জন্ম তখনও হয়নি। একইভাবে ভবিষ্যতেও এরকম ঘটনা যা ঘটবে যেমন ইন্টাস্টেলর ভয়্যাইজ, ইন্টাগ্যাল্যাক্টিক ভয়্যাইজ, ওয়র্মহোল স্ট্যাবিলাইজেইশন, গ্রাভিটেইশনাল ওয়েইভ, থিওরি অফ অ্যাভরিথিং, এক্সট্রা-সেলুলর ডেফিনেইশন অফ লাইফ, ব্রেইন থিওরি, সিনথেটিক লাইফ এইসবের কোনটাও আমি দেখব না। কারণ আমি মারা যাব।
আমি মারা যাওয়ার পর হয়ত আমার মৃতদেহ ডিকম্পোজড্ হবে বা ক্রিমেইটেড হবে, বা আমার মৃতদেহের প্লাসটিনেইটেড স্লাইসড্ ডাইসেকশন্ ব্যবহ্রিত হবে পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি লেকচার হলে, আমার চোখ আরেকজনের দেখার কাজে লাগবে, আমার হার্ট পাম্প করবে অন্য কোন চেষ্ট-ক্যাভিটিতে, ইতিমধ্যে যেহেতু সফল লিম্বস ট্রান্সপ্লান্ট হয়ে গেছে আমার পা হয়ত কারো হাঁটার কাজে আসবে- যেটাই হোক সেটা আমার আমার জানার কোন উপায় থাকবে না যেহেতু আমিই থাকব না।
তারপরও হয়ত কোন এক সময় মানুষ মৃত্য- অন্যান্য সব বায়োলজিকাল ঘটনার মতই যেটা একটা ঘটনা এবং অবশ্যই যা কিনা বায়োকেমিষ্ট্ররই একটা অনাবিষ্কৃত অধ্যায় এবং এখনও পর্যন্ত যেটা সম্পর্কে সে পর্যাপ্ত জানে না- কে জয় করবে, যেই কেমিষ্ট্র জীবনের সূচনা করে সেই কেমিষ্ট্রির সাহায্যেই সে মৃত্যুকে চিরতরে বা কোন বিশাল এক সময়ের জন্য ঠেকিয়ে দিবে।
তার আগ পর্যন্ত আমি মনে করি আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত এই একটি জীবন সফলভাবে, সুখীভাবে এবং পুরোপুরিভাবে বাঁচা।
১ম :guitar: :guitar:
"তার আগ পর্যন্ত আমি মনে করি আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত এই একটি জীবন সফলভাবে, সুখীভাবে এবং পুরোপুরিভাবে বাঁচা। "
আমি মনে করি তার আগ পর্যন্ত নয় বরং তার পরও মানুষের একই দায়িত্ব থাকা উচিত...
একমত।
মহাবিশ্বের তুলনায় আমি, আমরা কত ক্ষুদ্র- এই চিন্তা করলেই তো কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে... :(( :(( :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
লগ-ইন না করে থেকে গেলো না।
আগে রেটিং, তারপর প্রিয়তে, তারপর এই মন্তব্য।
আমার ধারনা, তোমার লেখা অলরেডী সংক্রমন শুরু করে দিয়েছে। আর, এই ক্ষেত্রে আমার মতে উপস্থাপনাটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তোমার এই লিখাটা সবাইকে আকর্ষণ করার মতোই। আশা করি, এভাবেই চালিয়ে যাবে।
তোমার মনস্কামনা পুর্ণ হোক, আমাদেরও জানার একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হোক।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনাকে ধন্যবাদ আপনি হয়েছেন সত্যি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
" এবার আসি কেন এই অ্যাকটিভিটি। ক্যাডেট যারা কিনা চিরুনী-বাছাই করা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে যোগ্য, সবচেয়ে কমপিট্যান্ট নাগরিক তাদের ব্লগে এসে আমি আবিস্কার করি এখানে পর্যাপ্ত প্রফেশনাল লেভেলের পোষ্ট নাই। "
এখানে তো প্রফেশনাল লেভেল এর পোস্ট থাকারও কথা না। আমার জানামতে এখানে অনেকে আছেন যারা ওয়ার্ল্ড এর একদম শুরুর ইউনিভার্সিটিগূলোতে পি এইচ ডি করছেন। অর্থাৎ তারা তাদের নিজেদের জগতে অবশ্যই প্রফেশনাল।
" আমি মারা যাওয়ার পর হয়ত আমার মৃতদেহ ডিকম্পোজড্ হবে বা ক্রিমেইটেড হবে, বা আমার মৃতদেহের প্লাসটিনেইটেড স্লাইসড্ ডাইসেকশন্ ব্যবহ্রিত হবে পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি লেকচার হলে, আমার চোখ আরেকজনের দেখার কাজে লাগবে, আমার হার্ট পাম্প করবে অন্য কোন চেষ্ট-ক্যাভিটিতে, ইতিমধ্যে যেহেতু সফল লিম্বস ট্রান্সপ্লান্ট হয়ে গেছে আমার পা হয়ত কারো হাঁটার কাজে আসবে- যেটাই হোক সেটা আমার আমার জানার কোন উপায় থাকবে না যেহেতু আমিই থাকব না। "
কি অদ্ভূত তাইনা? এমন হয়ত কখনো হবে যখন আমার শরীরের সবকিছুই আরেকজন ব্যবহার করতে পারবে। তাহলে এই আমিটা কে??
হুম এই প্রশ্ন বোধহয় সর্বকালের সর্বালোচিত। তবে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে বোধহয় বলা যেতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে বিজ্ঞান ই, আর বিজ্ঞান যদি না দেয় তবে আর কেউ দিতে পারবে না। তবে নিঃসন্দেহে এই প্রশ্ন জটিল, দেখাই যাচ্ছে যদি বলা হয় আমি হচ্ছি একটি নিদৃষ্ট সীমানার মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া এটা সব প্রশ্নের উত্তর দেয় না। হয়ত বা কোন একসময় দিবে যখন কিনা আমরা এই সবগুলো বিক্রিয়াই বুঝতে পারব সুষ্ঠভাবে। তার আগ পর্যন্ত হয়ত বা আমাদের ধোঁয়াতেই থাকতে হবে।
চমতকার লেখা :clap: :boss:
:boss: :boss: :boss:
:clap: :clap: :clap:
আয়নার সামনে গিয়ে দাড়া। বল আমি হচ্ছি তুমি । চোখ বন্ধ করে চিন্তা কর।
দেখ কত অদ্ভুত লাগে। আমি বিশশাস করি সত্যিকারের আমিটাকে আসলে দেহের মতো সীমিতো কোন গন্ডীর মাঝে বেধে রাখা যায়না। এমনকি সে কখনো মারাও যায়না। আমাদের কোন আত্মা নাই, আমরাই আত্মা; কিন্তু আমদের একটা দেহ আছে। আর কেমিস্ট্রি এর কাজ সেই দেহটাকে নিয়েই।
" এই প্রশ্নের উত্তর দিবে বিজ্ঞান ই, আর বিজ্ঞান যদি না দেয় তবে আর কেউ দিতে পারবে না। "
এইটা ভাবতে বেশ ভাল লাগে। কিন্তূ একটা বিষয় কি জানিস? এই যে আমরা এত কিছু ভাবছি করছি তার সবই ওই ৫টা অনুভুতি দিয়ে। একটা অনুভুতি কম থাকলে আমরা কি করতে পারতাম না সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু একটা যদি বেশি থাকতো সেটা কি রকম হতো তার বিন্দুমাত্র ধারনাও আমরা করতে পারিনা। আর এখানেই আসে বিশশাশ। আরো অনেক কথা বলা যায়, লিখতে ইচ্ছা করছেনা।
" তাহলে এই আমিটা কে?? "
শুধু এইটা না আরো একটা প্রশ্ন মানুষকে বহূকাল আগে থেকে ভাবায়, আজও ভাবাচ্ছে। কোন একটা সময় একটা কিছু নিশ্চই শূণ্য থেকে স্রিষ্টি হয়েছিল। তাহলে এই শূণ্য কি থেকে আসলো? বড়ই আজিব প্রশ্ন...।
😮 😮 😮
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইরে ব্লগে আসি আড্ডা মুডে, এইখানেই রসহীন জিনিস নিয়া প্যাচাল পাড়ুম। আমি পাইত্তাম না, সুরি।
তবে তোমার লেখায় একটা অন্য রকম ধার আছে, অন্য রকম ভালো লাগা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারণ একটা লেখা।
অনেক ব্যাপারে কথা বলেছেন অল্প পরিসরে। একদম পরিষ্কার আপনার চিন্তা- ভাবনা। তাছাড়া আপনার লেখার মাঝে এমন একটা কিছু আছে, মুগ্ধ হয়ে পড়তে হয়।
পোস্ট প্রিয়তে...
লেখাটা খুব ভাল লাগল।
কয়েক বছর ধরে যে প্রশ্নগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশী ভাবছি, যে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশী উৎসাহ পাচ্ছি সেগুলোই এই লেখায় দেখতে পেলাম।
সোফির জগৎ পড়ার পর প্রথমবারের মত সিরিয়াসলি "আমি কে?"- প্রশ্নটি করেছিলাম। তবে এখন সেটা নিয়ে খুব বেশী দার্শনিক আলোচনায় যাই না, তার চেয়ে আমি আছি- এটা মেনেই সন্তুষ্ট থাকি।
অস্তিত্ব এবং অস্তিত্বের এসেন্স দুটা নিয়েই চিন্তা করি: কিন্তু এসেন্সের চেয়ে অনেক বেশী উৎসাহ পাই অস্তিত্বতে। বিজ্ঞানের মাধ্যমেই বুঝতে পারি নিজের অস্তিত্ব, বোঝার জন্য এর চেয়ে ভাল কোন কিছুর সন্ধান পাইনি।
পড়লাম, বিজ্ঞানই সব প্রশ্নের উত্তর দেবে। বিজ্ঞানকে একচ্ছত্র মনে করে আমি সাইন্টিজম প্রচার করছি না, কিন্তু আমরা দেখতেই পারছি: প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানের চেয়ে ভাল এবং শুভ কোন প্রক্রিয়া আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। সুতরাং অন্য কিছুকে প্রাধান্য দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অনেকে মনে করেন, ইন্দ্রিয়াতীত অনেক কিছু আছে যেটা বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। আজকাল সাধারণ্যে দেখি সেই ব্যাখ্যাতীত জিনিসের জনপ্রিয়তাই বেশী।
মাঝেমধ্যে মনে হয় এটাই স্বাভাবিক। জন্মের পর থেকে অজানা বিষয়েই মানুষের আগ্রহ বেশী থাকে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের কাজ অজানাকে জানা, যার ব্যাখ্যা হয়নি তার ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করা; দাড় না করিয়ে যেন-তেন একটাকে ধরে নিলেই সমস্যা হয়। ব্যাখ্যা না পেলে আজীবন চেষ্টা চালিয়েই যাওয়া উচিত...
আসলে লেখাটা অনেক ভাল লেগেছে, তাই মনে যা আসল লিখে ফেললাম। পরিশেষে বলি: আমি বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে আপনার সব লেখাই মনোযোগ দিয়ে পড়বো। জ্যোতির্বিজ্ঞানেই আমার আগ্রহ বেশী। আর জ্যোতিঃজীববিজ্ঞান (Astrochemistry) এর জন্য তো বায়োকেমিস্ট্রি জানা আবশ্যক। তাই আমাকে নিয়মিত পাঠক হিসেবে পাবেন...
:thumbup: :thumbup:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইরে, তুমি আসলেই বস...
সারাজীবন প্রিয় খাবার, প্রিয় ফল, প্রিয় ফুল, প্রিয় পাখি, প্রিয় খেলা, প্রিয় সিনেমা, এমনকি প্রিয় একাডেমিক সাবজেক্ট পর্যন্ত শুনছি...
কিন্তু 'প্রিয় মলিকিউল' এই প্রথম শুনলাম 😮 ...তোমাকে :salute:
সিসিবির লেখায় মুহাম্মদ ও অন্য আরো কয়েকজন নিষ্ঠাবানের মতই ভিন্নমাত্রা যোগ করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ...কন্টেন্ট অঙ্কে কিছুই বুঝিনা, কিন্তু লেখার অন্যরকম ধারটা চমকে দেয়...
তাড়াতাড়ি ফিরা আইসো...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
অঙ্কে :bash:
পড়ুন...অনেক
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
" অনেকে মনে করেন, ইন্দ্রিয়াতীত অনেক কিছু আছে যেটা বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। আজকাল সাধারণ্যে দেখি সেই ব্যাখ্যাতীত জিনিসের জনপ্রিয়তাই বেশী। "
সীকার করতে দোষ নেই আমি সাধারন এর ঘরে। সাধারন এর সংগা যদি এটা হয় তবে নিউটন, আইন্সটাইন রাও সে ঘরেই পড়বেন।
আমি আসলে সেটা বোঝাতে চাইনি। আমি শুধু বলেছি যেগুলোর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে সেগুলোর তুলনায় ব্যাখ্যাতীত জিনিসের জনপ্রিয়তা বেশী। এই জনপ্রিয়তা আসলে সুচিন্তিত না, এমনিতেই সেসব ব্যাখ্যাতীত জিনিসের কথা শুনতে মানুষ পছন্দ করে। এদের সংখ্যা পৃথিবীতে চিন্তাশীলদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী বলেই আমি "সাধারণ্যে" শব্দটি ব্যবহার করেছি।
তার মানে এটা বুঝাইনি যে, ব্যাখ্যাতীত জিনিস নিয়ে চিন্তা সাধারণেরাই করে। চিন্তা তো আসলে দশের মধ্যে একজনই করে। আমার ভাষায় সেটা ঠিকমতো প্রকাশ পায়নি বলে সরি.....
ঠিক আছে।
সেটা আমিও বলি। লেখায় কিছু একটা আছে। পড়তে পড়তে ধারটা টের পাওয়া যায় 🙂
আশা করি খুব শিগগিরি আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে। ততদিন ভাল থাকুন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ঐ
arnob vai,
ami anik!!!……ami ccb te chilam na…..bt apnar sate contact korar r kono way i chilo na…….please contact koren……ami nipu vai k diye apnar sate contact korar try korsi, yahoo te knock korsi fb te msg disi, youtube e commentz disi, bt apni kono reply i koren nai…….amar dos kothay vai??? apni jokhon amar kase help chaisilen tokhon ki bolsilen j airokom vabe amak criminal convection e fasaben???? r akhon contact kortesen na……..tk na dile phn kore bole den…….airokom behave apnar kas theke asa kori nai……..last 13 months apni pay koren nai……..vai apni jodi contact na koren ami ki yayah uncle k imfor korbo??? uni apnar sate or apnar ma r sate bose bapar ta solve korbe……..ami kano apnar jonno suffer korbo??? ata aktu chinta kore deikhen please……….apni please contact koren vai……..nahoy ami unader janai……tc vai
আমি তো সংক্রমিত হয়ে গেলাম
"আর প্যাশন্ তখনই সফল যখন কিনা তা সংক্রমিত।" - মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝাই যাচ্ছে, লেখকের প্যাশনগুলো সংক্রমিত হয়েছে।
"আমি একে বলি the great green vivace of life" - এটা একটা চমৎকার, কাব্যিক অভিব্যক্তি।
"যেটাই হোক সেটা আমার আমার জানার কোন উপায় থাকবে না যেহেতু আমিই থাকব না।" - সত্যসন্ধানীর চরম উপলব্ধি!
"তার আগ পর্যন্ত আমি মনে করি আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত এই একটি জীবন সফলভাবে, সুখীভাবে এবং পুরোপুরিভাবে বাঁচা।"- -সব কথার শেষ কথা।
সব মিলিয়ে, একটা চমৎকার লেখা পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। বিজ্ঞান অনুসন্ধানে তোমার সাফল্য কামনা করছি।