জীবনের পুল পুশ ফ্যাক্টরঃ

জীবনে আমার যেটুকু এগিয়ে যাওয়া, তার অধিকাংশই কোন না কোন পুল-পুশ ফ্যাক্টরের কারণে হয়েছে। কখনো কেউ একটু পুশ করেছে, কখনো কেউ একটু পুল করে নিয়েছে, আর মাঝে মাঝে কোন কিছুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেই সেলফ স্টার্টেড হয়ে সামনে দৌড়িয়েছি। সেখানেও কোন প্রণোদনা হয়তো পুশ করেছে, নয়তো পুল।

৩৩ বছর কলমের খাপটাকে বন্ধ রেখেছিলাম। দূরের বন্ধু (টেনিসি প্রবাসী) ড. হুমায়ুন কবির একবার নিজের লেখা কবিতার একটা লিঙ্ক পাঠিয়ে পড়তে বললেন।

বিস্তারিত»

যা পড়ছি এখন ।। ভাঙো দুর্দশার চক্র

কদিন ধরে পড়ছি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নতুন বই ভাঙো দুর্দশার চক্র । কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরই মনে হলো হতাশাগ্রস্ত লক্ষ্যহীন কিশোর-তরুণ কিংবা কেবল অর্থ উপার্জনের পেছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা বন্ধুটির হাতে এই বইটি পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

চারপাশে বাড়ছে আত্মকেন্দ্রিকতার খোলসে বন্দী মানুষের সংখ্যা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা, পরমত অসিহষ্ণুতা। মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ১

নুসরাত ম্যাডাম পাটভাঙা সুতির শাড়ি পরতেন টানটান করে, সাথে ম্যাচিং লাল রঙের ব্লাউজ। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের রেখা, কপালে উদীয়মান সূর্যের মত একখানা টিপ গোটা মুখটি উজ্জ্বল করে রেখেছে। সাজপোশাক বলতে ঐটুকুনই। কলেজ চলাকালীন সময় ম্যাডামদের লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরবার চল ছিল, অন্য সময়ে তাঁরা সিভিল জামাকাপড় পরতে পারতেন। ছিপছিপে পাতলা গড়নের ম্যাডাম হাঁটতেন ঝড়কে পেছন ফেলে, ঈষৎ ভেজা কন্ঠে তিনি কথা বলতেন স্পষ্ট উচ্চারণে। কাঁধ অব্দি লম্বা চুল টেনে বাঁধতেন পেছনে।

বিস্তারিত»

অত্যাচার

বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এও কি হতে পারে? সম্ভব? তবে তিনি গেছেন। এ সত্যটি জানার পর দুটি বিষয় আমাদের সবার নজরে এল। বাবাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে এই বিষয়টিই এর আগে কারো মনে হয়নি। তাঁর জন্য সবাই কাতর হয়ে পড়লাম। এ ঘটনার আগে তাঁর অনুপস্থিতি আমরা কেউ কখনো টের পাইনি। বাবাকে ভালোবাসি কি-না তা নিয়ে কখনো ভাবিনি, ভাবতে হয়নি আসলে। তিনিই বোধহয় আমাদের ভালোবাসা চাননি।

বিস্তারিত»

যুদ্ধ এবং শৈশব

যুদ্ধ এবং শৈশব

“বালক হিসেবে আপনি যখন যুদ্ধে যাবেন তখন আপনার মধ্যে অমরত্বের মোহ কাজ করবে। অন্যরা নিহত হবে; কিন্তু আপনি নন…” – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

স্বাধিকার বা স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামের অনিবার্য পরিণতিই যুদ্ধ। এটা পৃথিবীর আদিমতম সত্যগুলোর একটি। যুদ্ধের রকমফের যাই হোক না কেন, কোন দেশ বা জাতি বা নৃগোষ্ঠীই এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেনি। নিজেদের লুপ্ত অধিকার পুনঃঅর্জনের জন্য অথবা আপনার ওপরে জবরদস্তি করে চেপে বসা কাউকে প্রতিহত করবার জন্য যুদ্ধে আপনাকে অবতীর্ণ হতেই হয়।

বিস্তারিত»

~ বইমেলা প্রাণের মেলা, তার প্রাণভোমরা সেথায় জোর দেখাক খেলা ~

বইমেলা প্রাণের মেলা। দীর্ঘ একটা মাস ধরে এমন বইমেলা পৃথিবীর কোথাও হয়না। লেখক-কবি-প্রকাশক-পাঠক সবার জন্য এমন একটা মেলা নিঃসন্দেহে দারুন প্রাণসঞ্চারী ভাব বিনিময়, কৃষ্টির চর্চা এবং প্রসারের এক মহামঞ্চ হবারই কথা। তা হবার জন্য এর চেয়ে বড় কোনো আয়োজন-উৎসব এদেশে নেইও। এক সময় বাঙলা একাডেমীর প্রাঙ্গন জুড়ে বসতো এ সৃজনশীলতার মেলা। গোটা প্রাঙ্গনে বইয়ের স্টল নিয়ে প্রকাশকরা সাজিয়ে তুলতেন নতুন পুরোনো সব প্রকাশনার এক আলোকজ্জ্বল গ্রন্থসমাবেশ।

বিস্তারিত»

‘করপোরেট’ ট্রাম্প বনাম করপোরেট মিডিয়া

বোঝাই যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর তিনি অনেক রেগে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “সাংবাদিকরা পৃথিবীর সবচেয়ে ‘অসৎ মানুষদের’ শ্রেণিভুক্ত”। শুধু তিনিই নন, হোয়াইট হাউসের প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের দোষ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে তার বৈরিতার সম্পর্ক। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার শপথ নেওয়ার দিন ওয়াশিংটনে যোগ দেওয়া লোকসংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে সব সংবাদমাধ্যম। শুধু শপথ নেওয়ার পর নয়,

বিস্তারিত»

তুমি চলে গেলে তুমি একা, আমি চলে গেলেও তুমি একা

আমরা অনেকেই ছোটবেলায় ইংরেজ কবি জন ডানের মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা পড়েছিলাম – ‘ডেথ্, বি নট প্রাউড’। কবিতার শেষ দু’টি লাইন ছিল এমন – ‘একটা ছোট্ট ঘুমের পর যখন আমরা চিরকালের জন্য জাগবো / মৃত্যু, তুমি তখন থাকবে না; তোমারই তখন মৃত্যু হবে।‘
কবিতাটি আমাদের অনেকের মনেই বেশ গভীর চিহ্ন রেখে গিয়েছিল। কৈশর থেকে তারুণ্যে বেড়ে ওঠার জোয়ারে এবং জীবনের চাঞ্চল্যে ডুব দেয়ার সাথে-সাথে ছোটবেলার এই কবিতা অনেকেরই মনে থাকে নি।

বিস্তারিত»

জীবনের খসড়া খাতায়

ইচ্ছে হলেই সব কথা বলা যায় না। তবে না বললেও-
কিছু কিছু মনের কথা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে,
না বলা কথাগুলো মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে চোখে মুখে।
যার শোনার, সে শুধু শুনেই যায়, মুখে কিছু বলে না।
যার দেখার, সে দেখে শুধু মনে মনে ছবি এঁকে যায়।

এ জীবনে অনেক কথা শুধু কল্পনায় বলা হয়ে থাকে।
অনেক কথা আমৃত্যু না বলাই থেকে যায় মনের মাঝে।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি-৩

বই মেলার টুকিটাকি-৩

গতকাল ছিল “অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭” এর শেষ দিন। বেলা একটার দিকে বন্ধু লুৎফুল কবীর মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলো, আমি তো তোমার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে, কিন্তু তুমি কোথায়? আমি ততক্ষণে কাছাকাছি চলে এসেছি, শাহবাগ মোড়ে। বললাম, আর দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাব। কবীর এর আগে একদিন এসে আমার বই “প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই” এর একটি কপি কিনে নিয়ে গিয়েছিল। সে আমার অন লাইন লেখালেখির একজন আগ্রহী পাঠক।

বিস্তারিত»

কোথায় লুকাবো….. আমি

সাধারণত নতুন কারোর সাথে পরিচয়ে- আমি হাতটা বাড়িয়ে দেই নিজের নামটা বলার বা পরিচয় দেয়ার জন্য কিন্তু যার মাধ্যমে বা যে ব্যক্তি/বন্ধু আমাকে নিয়ে এসেছে তারা পরিচয় করিয়ে দেয়-
: আমার বন্ধু …………। ওই যে বিডিআর বিদ্রোহতে অল্প কয়েকজন …… বেঁচে গিয়েছিল তাদের মধ্যে ও একজন।
মেজাজটা খারাপ কার উপর করব। কতবার বলেছি আমি আমার পরিচয়ের সাথে এই বিশেষ তকমা ব্যবহার না করতে।

বিস্তারিত»

দেউল – সম্মৃদ্ধ জনপদ ও বৌদ্ধ ধর্মকেন্দ্র

দেউল অর্থ দেবালয়। স্বর্গের দেবতারা স্ব-শরীরে আদৌ মর্ত্যে নেমে এসেছিলেন কিনা আমার জানা নেই…কিন্তু একটু সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দেবতাদের অর্ঘ্য দানে মানুষ কি না করেছে!! দেবতাদের নিশ্চয় স্বর্গে নিজস্ব আবাস রয়েছে। তারপরও ভক্তকুলের আকুল আবেদনে সাড়া দিতে মাঝে মাঝে মর্ত্যে তো আসতেই হয়। দেউলেও নিশ্চয় আসতেন যেমন তারা আসেন ভাটিক্যান নগরের হর্ম্য-প্রাসাদে, জেরুজালেমের মরুভূমিতে, গ্রীসের পর্বত চূড়ায় কিংবা মেসোডোনিয়ার তটরেখায়। পার্বতীপুর উপজেলার একটি গ্রামের নাম দেউল – এক সময়ের জন কোলাহলময় সভ্য নগরীর পানে দেবতাদের আজ কেন যে এহেন বিমুখতা…!!!

বিস্তারিত»

চট্টগ্রাম কি আসলেই বাণিজ্যিক রাজধানী?

একজন ‘চাঁটগাইয়া’র কাছে যদি জানতে চান, ‘চট্টগ্রামে আহামরি এমন কী আছে?’ উত্তরে সে পাল্টা প্রশ্ন করবে, ‘কী নেই বলুন?’ তারা আপনাকে জানাবেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের অন্যতম বন্দরগুলোর একটি, ভৌগলিকভাবে চট্টগ্রাম এ অঞ্চলে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রয়েছে, একটি গভীর সমুদ্র বন্দর যদি করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই! চট্টগ্রাম নদীবিধৌত অঞ্চল, সবধরনের শিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। শুধু পর্যটন নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

বিস্তারিত»

হারানো মসজিদ – লালমনিরহাট

বাংলাদেশের আর দশটা সাধারন গ্রামের মতই রামদাস গ্রামটির ভূমি বিন্যাস সমতল। ফোঁড়ার মত জেগে উঠা টিলাটি তাই স্বাভাবিকভাবেই কেমন যেন বেক্ষ্যাপ্পা লাগে। জায়গাটি আবার জঙ্গলে পরিপূর্ণ। চারিদিকের গায়ে গা ঘেষে থাকা বৃক্ষরাজির মাঝে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূতুড়ে পরিবেশ ও তার সাথে নানা জীবজন্তুর ক্ষনে ক্ষনে নির্জনতা ভঙ্গ – কেমন যেন থমথমে ভাব। মানুষ অন্ধকার ভয় পায় কিন্তু তাতে লুকিয়ে থাকা রহস্যকে বড্ড ভালবাসে। ‘লালসালু’র মজিদের মাযারের মত তাই সহজাত কারনেই টিলার পাদদেশে মোমবাতি-আগরবাতি-ধুপ-ধুনো পড়তে থাকে।

বিস্তারিত»

~ অযুত নিযুত জীবনের অপার আনন্দ – জীবনানন্দ ~

[ প্রিয় কবির ১১৮তম জন্ম দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ]

কুসুমকুমারী দাশ যখন লিখেছিলেন – “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?” তখন নিশ্চিত তাঁর জানা ছিল না আপন গর্ভে তিনি কত বড় মাপের একজন মানুষকে, বাংলা ভাষার একজন প্রধান কবিকে ধারণ করবার মহিমা অর্জন করবেন।

পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশাল গিয়ে আবাস গড়েন।

বিস্তারিত»