বোঝাই যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর তিনি অনেক রেগে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “সাংবাদিকরা পৃথিবীর সবচেয়ে ‘অসৎ মানুষদের’ শ্রেণিভুক্ত”। শুধু তিনিই নন, হোয়াইট হাউসের প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের দোষ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে তার বৈরিতার সম্পর্ক। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার শপথ নেওয়ার দিন ওয়াশিংটনে যোগ দেওয়া লোকসংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে সব সংবাদমাধ্যম। শুধু শপথ নেওয়ার পর নয়,
বিস্তারিত»তুমি চলে গেলে তুমি একা, আমি চলে গেলেও তুমি একা
আমরা অনেকেই ছোটবেলায় ইংরেজ কবি জন ডানের মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা পড়েছিলাম – ‘ডেথ্, বি নট প্রাউড’। কবিতার শেষ দু’টি লাইন ছিল এমন – ‘একটা ছোট্ট ঘুমের পর যখন আমরা চিরকালের জন্য জাগবো / মৃত্যু, তুমি তখন থাকবে না; তোমারই তখন মৃত্যু হবে।‘
কবিতাটি আমাদের অনেকের মনেই বেশ গভীর চিহ্ন রেখে গিয়েছিল। কৈশর থেকে তারুণ্যে বেড়ে ওঠার জোয়ারে এবং জীবনের চাঞ্চল্যে ডুব দেয়ার সাথে-সাথে ছোটবেলার এই কবিতা অনেকেরই মনে থাকে নি।
জীবনের খসড়া খাতায়
ইচ্ছে হলেই সব কথা বলা যায় না। তবে না বললেও-
কিছু কিছু মনের কথা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে,
না বলা কথাগুলো মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে চোখে মুখে।
যার শোনার, সে শুধু শুনেই যায়, মুখে কিছু বলে না।
যার দেখার, সে দেখে শুধু মনে মনে ছবি এঁকে যায়।
এ জীবনে অনেক কথা শুধু কল্পনায় বলা হয়ে থাকে।
অনেক কথা আমৃত্যু না বলাই থেকে যায় মনের মাঝে।
বইমেলার টুকিটাকি-৩
বই মেলার টুকিটাকি-৩
গতকাল ছিল “অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭” এর শেষ দিন। বেলা একটার দিকে বন্ধু লুৎফুল কবীর মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলো, আমি তো তোমার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে, কিন্তু তুমি কোথায়? আমি ততক্ষণে কাছাকাছি চলে এসেছি, শাহবাগ মোড়ে। বললাম, আর দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাব। কবীর এর আগে একদিন এসে আমার বই “প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই” এর একটি কপি কিনে নিয়ে গিয়েছিল। সে আমার অন লাইন লেখালেখির একজন আগ্রহী পাঠক।
বিস্তারিত»কোথায় লুকাবো….. আমি
সাধারণত নতুন কারোর সাথে পরিচয়ে- আমি হাতটা বাড়িয়ে দেই নিজের নামটা বলার বা পরিচয় দেয়ার জন্য কিন্তু যার মাধ্যমে বা যে ব্যক্তি/বন্ধু আমাকে নিয়ে এসেছে তারা পরিচয় করিয়ে দেয়-
: আমার বন্ধু …………। ওই যে বিডিআর বিদ্রোহতে অল্প কয়েকজন …… বেঁচে গিয়েছিল তাদের মধ্যে ও একজন।
মেজাজটা খারাপ কার উপর করব। কতবার বলেছি আমি আমার পরিচয়ের সাথে এই বিশেষ তকমা ব্যবহার না করতে।
দেউল – সম্মৃদ্ধ জনপদ ও বৌদ্ধ ধর্মকেন্দ্র
দেউল অর্থ দেবালয়। স্বর্গের দেবতারা স্ব-শরীরে আদৌ মর্ত্যে নেমে এসেছিলেন কিনা আমার জানা নেই…কিন্তু একটু সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দেবতাদের অর্ঘ্য দানে মানুষ কি না করেছে!! দেবতাদের নিশ্চয় স্বর্গে নিজস্ব আবাস রয়েছে। তারপরও ভক্তকুলের আকুল আবেদনে সাড়া দিতে মাঝে মাঝে মর্ত্যে তো আসতেই হয়। দেউলেও নিশ্চয় আসতেন যেমন তারা আসেন ভাটিক্যান নগরের হর্ম্য-প্রাসাদে, জেরুজালেমের মরুভূমিতে, গ্রীসের পর্বত চূড়ায় কিংবা মেসোডোনিয়ার তটরেখায়। পার্বতীপুর উপজেলার একটি গ্রামের নাম দেউল – এক সময়ের জন কোলাহলময় সভ্য নগরীর পানে দেবতাদের আজ কেন যে এহেন বিমুখতা…!!!
বিস্তারিত»চট্টগ্রাম কি আসলেই বাণিজ্যিক রাজধানী?
একজন ‘চাঁটগাইয়া’র কাছে যদি জানতে চান, ‘চট্টগ্রামে আহামরি এমন কী আছে?’ উত্তরে সে পাল্টা প্রশ্ন করবে, ‘কী নেই বলুন?’ তারা আপনাকে জানাবেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের অন্যতম বন্দরগুলোর একটি, ভৌগলিকভাবে চট্টগ্রাম এ অঞ্চলে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রয়েছে, একটি গভীর সমুদ্র বন্দর যদি করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই! চট্টগ্রাম নদীবিধৌত অঞ্চল, সবধরনের শিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। শুধু পর্যটন নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।
বিস্তারিত»হারানো মসজিদ – লালমনিরহাট
বাংলাদেশের আর দশটা সাধারন গ্রামের মতই রামদাস গ্রামটির ভূমি বিন্যাস সমতল। ফোঁড়ার মত জেগে উঠা টিলাটি তাই স্বাভাবিকভাবেই কেমন যেন বেক্ষ্যাপ্পা লাগে। জায়গাটি আবার জঙ্গলে পরিপূর্ণ। চারিদিকের গায়ে গা ঘেষে থাকা বৃক্ষরাজির মাঝে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূতুড়ে পরিবেশ ও তার সাথে নানা জীবজন্তুর ক্ষনে ক্ষনে নির্জনতা ভঙ্গ – কেমন যেন থমথমে ভাব। মানুষ অন্ধকার ভয় পায় কিন্তু তাতে লুকিয়ে থাকা রহস্যকে বড্ড ভালবাসে। ‘লালসালু’র মজিদের মাযারের মত তাই সহজাত কারনেই টিলার পাদদেশে মোমবাতি-আগরবাতি-ধুপ-ধুনো পড়তে থাকে।
বিস্তারিত»~ অযুত নিযুত জীবনের অপার আনন্দ – জীবনানন্দ ~
[ প্রিয় কবির ১১৮তম জন্ম দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ]
কুসুমকুমারী দাশ যখন লিখেছিলেন – “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?” তখন নিশ্চিত তাঁর জানা ছিল না আপন গর্ভে তিনি কত বড় মাপের একজন মানুষকে, বাংলা ভাষার একজন প্রধান কবিকে ধারণ করবার মহিমা অর্জন করবেন।
পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশাল গিয়ে আবাস গড়েন।
বিস্তারিত»বাংলা নামের নদী
ফেব্রুয়ারি এলেই আমাদের দেশের গণমাধ্যমে অনেকের মধ্যে কিছু বিদেশিদের দেখা যায়। এরা খুব ভালো বাংলা জানেন, অনর্গল বাংলায় কথা বলেন, ক্যামেরার সামনে বাংলা গান শোনান, বাংলা ভাষা নিয়ে তাদের গবেষণার কথা শোনান আর আমাদের বাংলা নিয়ে বাঙালিদের উপদেশ দেন। আমরা নাকি আজকাল ঠিক মতো বাংলা বলি না, উচ্চারণ করতে পারি না ইত্যাদি। এদেরকে আমার বাঙালির চেয়েও বেশি বাঙালি মনে হয়। আমাদের দেশেও কিছু মানুষ আছেন না,
বিস্তারিত»অক্ষর
অক্ষরগুলো ফিকে হওয়া থেকে
বাঁচাতে পারেনি কোন হিমাগার,
সময়ের ট্রানজিসনে কালো থেকে ধূসর-
ধূসর থেকে ধূসরতর।
মাঝের সময়ে হারিয়েছে তুলি
অক্ষর জমাট বাঁধতে না পারলেও
জমাট বেঁধেছে রঙ
ইচ্ছেও হারিয়ে ফেলেছে রঙ তুলির কবি।
নিজের অজান্তে যে অক্ষর লেখা হয়েছিল
ফিকে হচ্ছিল একেবারে প্রত্যক্ষে।
ফিকে হতে হতে আজ অপরিচিত প্রায় সে অক্ষর;
সে অক্ষর –
~ কফিপেয়ালায় পরিত্যাক্ত স্মৃতি ~
চুম্বনে নি:শেষিত কফিকাপ
জানুদেশে ফেনার চাদর গায়
ফ্যাকাশে টেবিলে উৎকীর্ণ
প্লেসম্যাট জুড়ে শুয়ে আছে –
ক্লান্ত, শ্রান্ত, অবসাদ প্লাবিত;
পাকা শিল্পীর তুলিতে আঁকা
জলজ্যান্ত স্টিললাইফ
তেলরঙ মাতানো ক্যানভাস;
চিনি দুধের ব্যবহৃত
ছেঁড়াখোঁড়া শ্যাশে,
সাবাড় করা কুকির গুঁড়ো আভাস
এইসব দৃশ্যপটে সেজে,
এলায়ে আছে সে আজো
নাজুক মনের নকশাকাটা আঙ্গিনায়;
গ্লোরিয়া জিনসের ওয়েটার,
সিন্দুরমতি দিঘী
‘‘আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,
ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছান নিয়া ক্যান অন্য ধানখ্যাত রোয়?
তিনটে অণু কবিতা
চোখের সমুদ্র
তুমি একদিন সমুদ্র দেখতে চেয়েছিলে।
আমি বলেছিলাম, সে তো আমার চোখেই আছে।
তুমি বলেছিলে….
তোমার চোখ তো শুকনো, জল কই?
আমি বলেছিলাম….
চোখের সমুদ্র মনের দুরবীন দিয়ে দেখতে হয়!
ঢাকা
১৩ জানুয়ারী ২০১৭
কবি ও কবিতা
সে বলেছিল, সে কবি হতে চায়।
তুমি বলেছিলে, অন্তরে তুমি চাও
তার কবিতা হতে,
প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনার কথা
প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনা- আমার চিরদিনের প্রিয় বিষয়, ছোটবেলা থেকেই। প্রশ্ন আসতে পারে, ছোটবেলায় আবার প্রেমের কী বুঝতাম? তখন প্রেম বলতে বুঝতাম স্নেহ, আদর, ভালবাসা। মা যখন শীত আসার আগেই উলের বল আর উল বুননের কাঁটা যোগাড় করে রাখতেন, আর তাঁর স্বল্প অবসরে দিনের পর দিন ধরে উল বুনে আমাদের জন্য সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি বানিয়ে দিতেন, বুঝতাম সেটা ভালবাসা। গোসলের পর মাথা না আঁচড়িয়ে থাকতাম।
বিস্তারিত»