তাজহাট জমিদার বাড়ি – রংপুর

দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন তখন মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রী) অধীন। তার শাসনামলে শিখ সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি পাঞ্জাব শহরে মোঘলদের সাথে শিখদের সংঘাত বেঁধে যায়। তুমুল লড়াই হয়, শহর পরিনত হয় ধ্বংসস্তুপে, অধিকার রক্ষায় আত্মবির্সজন দেয় অগনিত শিখ। বাংলায় তখন মুর্শিদকুলি খাঁ (১৭০৭-২৭ খ্রীঃ) দাপটের সাথে মোঘল প্রতিনিধিত্ব করছে। এমনই এক উত্তাল সময়ে নিজ ভূমি পাঞ্জাব শহর ত্যাগ করে মান্না লাল রায় ও রতন লাল রায় নিজেদেরকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় বাংলায় আগমন করে।

বিস্তারিত»

‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন

প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার জ্যাকী কবীরের ছোট গল্পের প্রথম সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ২৯ জানুয়ারী।

রাজধানীর ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে বইটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম, ইন্ডিপেনন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসাদ মরতুজা, সানবীমস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক নুসরাত হক।

জ্যাকী কবিরের লেখা ১৫টি ছোট গল্পের সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’ প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ১৩

সেলফোনটা ঘুমিয়ে পড়ছিলো। অবশ হয়ে ওর পাশে আমিও শুয়ে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। চোখ মেলে দেখি বারান্দার আলো ঘরের ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বললেই এক দৌড়ে চার্জারটা এনে দেবে, ভেতরের ঘর থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে।

দু’দিন আগে পৃ বলছিল এই দৃশ্যের কথা – আগাম। ছুটির দিন সারা দুপুর এঁটো হাতে বসে রইলো — অনেকক্ষণ আমাকে দেখতেই পাচ্ছিল না যেন। আমি টিভিতে একটা অখাদ্য নাটকের সুখাদ্য নায়িকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখিয়েও ওর ধ্যান ভাঙাতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

কুয়াশার-চাদরে আবৃত কান্না

রাত আনুমানিক ২টা বাজে। বাস থেকে নেমে প্রায় ১ কিঃমিঃ যাওয়ার পর আমার বাড়ী। এত রাতে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মেইন রাস্তা থেকে কিছুটা পথ হেটে আমার বাড়ীর যাওয়ার রাস্তায় পা দিতেই কিছু সময়ের জন্য একটু থমকে গেলাম। কুয়াশার চাদরের আবরণ এতই যে এক হাত দূরের কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক অনেক দিন পর আজকে এই রকম কুয়াশা দেখলাম। যাকে বলে “কুয়াশার-চাদর”।

বিস্তারিত»

আমার কথা ছাড়ুন

আমার কথা ছাড়ুন,
আপনি অনেক বিখ্যাত হয়েছেন শুনে খুশী হলাম,
তবে ভাবছি, কোন একদিন আপনিও কি আমার মত মাটি হবেন?
এত এত মানুষকে টপকে এতো উপরে উঠেছেন,
এত এত মানুষের ভালোবাসা আপনার জন্য,
এসব কি একটুও কন্সিডার করা হবে না, ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
আপনার জন্য কি একটু বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতো না?
এ ধরুন, মাটি না হয়ে অন্য কোন মহামূল্যবান খনিজ হবেন।

বিস্তারিত»

কবিতার পেছনে

কেউ ব্যথা পেয়ে কবি হয়,
কেউ শখ করে কবি হয়ে ব্যথা পায়।
কারো কবিতা মাঝপথে থেমে যায়, তখন
ফলহীন বৃক্ষের ন্যায় কবি শুধু দাঁড়িয়ে রয়।
আবার কারো কারো কবিতা ফল্গুধারার মত
অলক্ষ্যে নিশিদিন অন্তরে অন্তরে বয়ে যায়।

প্রেমের অনুভব ছাড়া কবি হওয়া যায়না,
ব্যথার দহনে পরিশুদ্ধ হয় কবির যাচনা।
কারো দু’টি মায়াবী চোখের অনন্য দৃষ্টি,
নীরবে করে যায় কত শত কবিতার সৃষ্টি!

বিস্তারিত»

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬। অন্যান্য দিনের মতই সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরেও একটা ঘুম ঘুম আমেজ নিয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে র’লো রুখসানা। বিছানায় শুয়ে শুয়েই স্মৃতির যাবর কাটতে থাকে। একদিন কত ব্যস্ত ছিল তার দিন! সেই সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, বাচ্চাদেরকে স্কুলের জন্য তৈরী করা, স্বামী অফিস যাওয়ার আগে তার নাস্তাটা টেবিলে পরিবেশন করা, তারপর একে একে সবাই বেরিয়ে গেলে নিজের ঘর সংসারের কাজে মন দেয়া।

বিস্তারিত»

লতাগুল্মের গালগল্প

আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম।

বিস্তারিত»

এক সম্পাদকের গল্প

বেশ কিছুদিন আগে এক সন্ধ্যায় আমার সাথে এক হৃদরোগ ডাক্তারের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তিনি এক নামকরা হৃদরোগ হাসপাতালের হার্টের চিকিৎসক। তাঁর বন্ধু আমার পরিচিত। বন্ধুর সাথে এসেছিলেন আমাদের ক্লাবে। অনেক কথা হল তাঁর সাথে। আমি আগে সাংবাদিকতা করতাম জেনে তিনি এক পর্যায়ে একটা বিজ্ নেস কার্ড এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমিও কিন্তু একজন সম্পাদক’। চোখ বড়-বড় করে কার্ডটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে লেখা আছে তিনি এক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।

বিস্তারিত»

এক বালকের যুদ্ধ-স্মৃতি

স্মৃতির পাতা থেকে বলছি। এটি এমন সময়ের স্মৃতি যা আমার মনে থাকার কথা নয়। এটি এমন সময়ের গল্প যখন বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড়-বড় হেডলাইন তৈরি হচ্ছিল। এই হেডলাইনগুলোর কথা আমি জীবনে আরো অনেক পরে জেনেছি। জেনেছি সেই গৌরব-গাথা যার গল্প মানুষ মনে করবে আরো হাজার বছর ধরে। গৌরবের পাশাপাশি এ এক ব্যর্থতার গাথাও। এই গৌরবকে মনে না নিয়ে, আলোর পথে না এসে কিছু মানুষ মানবতার চেহারায় কালিমা লেপে দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার

এক
সাতদিনের জন্য কেটি এসেছিল আমাদের বাড়ি; চৌদ্দ দিন পুরিয়ে অবশেষে সে ফিরে গেল কানেকটিকাটে। তবু কি যেতে চায়? আমিই প্রায় ঠেলে ধাক্কিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। কেটির বাবা এবছর অবসর গ্রহণ করেছেন। বাবার সূত্রে কন্যা বছরে বিমানে তিনটে ট্রিপ নিতে পারে বিনা টিকিটে। ওর আটলান্টা ট্রিপটা এমনই একটা ফ্রি ট্রিপ ছিল।

চার পুরুষ আগে কেটি আরমানিনির পরিবার ইটালী থেকে এদেশে এসেছিল বসতি গড়তে।

বিস্তারিত»

মিডিয়া নিয়ে আলোচনাটি চলুক

মিডিয়া নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টির গোড়াপত্তন হয়েছে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যখন একটি সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন যে, প্রায় চারশো কোটি টাকার টেলিভিশন বিজ্ঞাপন বিদেশি টেলিভিশনে চলে গেছে এবং দেশি চ্যানেলগুলো এই অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে বাংলাদেশের টেলিভিশনের কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ দর্শকদের কিছু-কিছু মতামত পাওয়া যাচ্ছে। তারা বলছেন যে, আমাদের প্রোগ্রাম খুব মানসম্মত হচ্ছে না এবং সেকারণেই হয়তো বিজ্ঞাপন বিদেশি টেলিভিশনে চলে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক- হর্ন!

বর্তমানে ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হর্ন। জ্যামে আমরা অভ্যস্ত (বাধ্য) হয়ে গেছি। ছিনতাই, রাহাজানি বা দুর্ঘটনা উপরওয়ালার হাতে ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু হর্নের কোন ব্যবস্থাই করা যাচ্ছে না।

অবশ্য, সেটা হবেই বা কিভাবে? আমাদের শ্রবণশক্তি তো আর রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়! গবেষণায় দেখা গেছে শব্দের মাত্রা ২৫ ডেসিবল পর্যন্ত আমাদের শ্রবণযন্ত্রের জন্য স্বাভাবিক। এরচেয়ে বেশি হলেই শুরু হয় ঝামেলা।

কী কী ঝামেলা?

বিস্তারিত»

টলমল জল মোতির মালা দুলিছে ঝালর –পলকে!!!

ফযরের আযান শুনে নীলার ঘুম ভাংলো। উঠি উঠি করেও অভ্যেস বশতঃ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করলো। তারপর গা ঝারা দিয়ে উঠে সে বিছানার পাশে দখিনের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকলো। দুই একজন মসজিদমুখী মুসল্লীর হেঁটে যাওয়া নির্বিকারভাবে তাকিয়ে দেখলো। জানালার কাঁচটা কিছুটা সরিয়ে দিয়ে নেটের ফ্রেমটা টেনে দিল। ঝিরঝিরে মৃদু সমীরণ শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছিল। নীলা ওযু করে এসে ফ্যানটা অফ করে দিয়ে নামাযে দাঁড়াল।

বিস্তারিত»

ছদ্ম প্রসন্নতা

14715564_10155447316495550_169904101754384933_o

করোটির ভেতরে রয়েছে এক বিষাদাশ্রম,
সেখানে গুমরে কাঁদে কত সব বিষাদের ছায়া।
অথচ মুখে আঁকা থাকে প্রসন্নতার সৌম্য ছবি
নিরন্তর বেদনার মাঝেও জ্বলে হাসির রবি।

এ কেমন বৈপরীত্য, হায়!
হৃদয়-করোটি জুড়ে থাকা এসব বিষন্নতা
বাহ্যিক হাসির আড়ালে সব ঢাকা পড়ে রয়!
বিষাদ বিভ্রমগুলো ক’জনাই বা দেখতে পায়?

কারো মুখে হাসি থাকা মানেই প্রসন্নতা নয়।

বিস্তারিত»