এক সম্পাদকের গল্প

বেশ কিছুদিন আগে এক সন্ধ্যায় আমার সাথে এক হৃদরোগ ডাক্তারের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তিনি এক নামকরা হৃদরোগ হাসপাতালের হার্টের চিকিৎসক। তাঁর বন্ধু আমার পরিচিত। বন্ধুর সাথে এসেছিলেন আমাদের ক্লাবে। অনেক কথা হল তাঁর সাথে। আমি আগে সাংবাদিকতা করতাম জেনে তিনি এক পর্যায়ে একটা বিজ্ নেস কার্ড এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমিও কিন্তু একজন সম্পাদক’। চোখ বড়-বড় করে কার্ডটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে লেখা আছে তিনি এক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।

বিস্তারিত»

এক বালকের যুদ্ধ-স্মৃতি

স্মৃতির পাতা থেকে বলছি। এটি এমন সময়ের স্মৃতি যা আমার মনে থাকার কথা নয়। এটি এমন সময়ের গল্প যখন বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড়-বড় হেডলাইন তৈরি হচ্ছিল। এই হেডলাইনগুলোর কথা আমি জীবনে আরো অনেক পরে জেনেছি। জেনেছি সেই গৌরব-গাথা যার গল্প মানুষ মনে করবে আরো হাজার বছর ধরে। গৌরবের পাশাপাশি এ এক ব্যর্থতার গাথাও। এই গৌরবকে মনে না নিয়ে, আলোর পথে না এসে কিছু মানুষ মানবতার চেহারায় কালিমা লেপে দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার

এক
সাতদিনের জন্য কেটি এসেছিল আমাদের বাড়ি; চৌদ্দ দিন পুরিয়ে অবশেষে সে ফিরে গেল কানেকটিকাটে। তবু কি যেতে চায়? আমিই প্রায় ঠেলে ধাক্কিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। কেটির বাবা এবছর অবসর গ্রহণ করেছেন। বাবার সূত্রে কন্যা বছরে বিমানে তিনটে ট্রিপ নিতে পারে বিনা টিকিটে। ওর আটলান্টা ট্রিপটা এমনই একটা ফ্রি ট্রিপ ছিল।

চার পুরুষ আগে কেটি আরমানিনির পরিবার ইটালী থেকে এদেশে এসেছিল বসতি গড়তে।

বিস্তারিত»

মিডিয়া নিয়ে আলোচনাটি চলুক

মিডিয়া নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টির গোড়াপত্তন হয়েছে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যখন একটি সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন যে, প্রায় চারশো কোটি টাকার টেলিভিশন বিজ্ঞাপন বিদেশি টেলিভিশনে চলে গেছে এবং দেশি চ্যানেলগুলো এই অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে বাংলাদেশের টেলিভিশনের কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ দর্শকদের কিছু-কিছু মতামত পাওয়া যাচ্ছে। তারা বলছেন যে, আমাদের প্রোগ্রাম খুব মানসম্মত হচ্ছে না এবং সেকারণেই হয়তো বিজ্ঞাপন বিদেশি টেলিভিশনে চলে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক- হর্ন!

বর্তমানে ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হর্ন। জ্যামে আমরা অভ্যস্ত (বাধ্য) হয়ে গেছি। ছিনতাই, রাহাজানি বা দুর্ঘটনা উপরওয়ালার হাতে ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু হর্নের কোন ব্যবস্থাই করা যাচ্ছে না।

অবশ্য, সেটা হবেই বা কিভাবে? আমাদের শ্রবণশক্তি তো আর রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়! গবেষণায় দেখা গেছে শব্দের মাত্রা ২৫ ডেসিবল পর্যন্ত আমাদের শ্রবণযন্ত্রের জন্য স্বাভাবিক। এরচেয়ে বেশি হলেই শুরু হয় ঝামেলা।

কী কী ঝামেলা?

বিস্তারিত»

টলমল জল মোতির মালা দুলিছে ঝালর –পলকে!!!

ফযরের আযান শুনে নীলার ঘুম ভাংলো। উঠি উঠি করেও অভ্যেস বশতঃ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করলো। তারপর গা ঝারা দিয়ে উঠে সে বিছানার পাশে দখিনের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকলো। দুই একজন মসজিদমুখী মুসল্লীর হেঁটে যাওয়া নির্বিকারভাবে তাকিয়ে দেখলো। জানালার কাঁচটা কিছুটা সরিয়ে দিয়ে নেটের ফ্রেমটা টেনে দিল। ঝিরঝিরে মৃদু সমীরণ শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছিল। নীলা ওযু করে এসে ফ্যানটা অফ করে দিয়ে নামাযে দাঁড়াল।

বিস্তারিত»

ছদ্ম প্রসন্নতা

14715564_10155447316495550_169904101754384933_o

করোটির ভেতরে রয়েছে এক বিষাদাশ্রম,
সেখানে গুমরে কাঁদে কত সব বিষাদের ছায়া।
অথচ মুখে আঁকা থাকে প্রসন্নতার সৌম্য ছবি
নিরন্তর বেদনার মাঝেও জ্বলে হাসির রবি।

এ কেমন বৈপরীত্য, হায়!
হৃদয়-করোটি জুড়ে থাকা এসব বিষন্নতা
বাহ্যিক হাসির আড়ালে সব ঢাকা পড়ে রয়!
বিষাদ বিভ্রমগুলো ক’জনাই বা দেখতে পায়?

কারো মুখে হাসি থাকা মানেই প্রসন্নতা নয়।

বিস্তারিত»

মঁ ভেলো -১

মানুষের কতরকম শখ থাকে; কেউ ছবি আঁকে, কেউ গান গায়, কেউ গান শোনে। কেউ জিনিষপত্র জমায়, কেউ কেউ বিলায়ও। কেউ বাড়ি গাড়ি করে, কেউ করে শপিং! আমি ভালবাসি মানুষ, জীবন, গতিময়তা, অভিজ্ঞতা, মুহুর্ত। কংক্রিটের এই জঙ্গলে শুধুমাত্র টিকে থাকতে, টপকে উঠতে মানুষ যখন তার সবটুকু দিয়ে ছুটতে থাকে, আমার সেখানে এই ইঁদুর দৌড় থেকে দূরে, আরো দূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে। আর তাই সুযোগ পেলেই আমি আমার প্রিয় বন্ধুটাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি,

বিস্তারিত»

ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট এ্যান্ড হোয়ার টু ফাইন্ড দেম

বসুন্ধরা সিটির আট তলার ফুড কোর্টে বসে টুকটাক খাচ্ছিলাম আমি ও আমার বান্ধবী। বিভিন্ন কথার মাঝে হাসতে হাসতে জানালো গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহান্তের বাড়ি যাবার সময় এবং আজকে ঢাকা আসবার সময় দুই বারই ট্রেনে ইভ টিজিং এর স্বীকার হয়েছে সে। মোটামুটি দুই বারই উত্তম জবাব দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে দুই পশুকে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ভাল মতন ধরলে না কেন? উত্তরটা আসলে বাস্তব সম্মত। ভিক্টিম ব্লেমিং ও শেমিং করা সমাজে বেশী ধরার চেষ্টা করলে উল্টো বলবে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিস্তারিত»

অজেয়

(উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি রচিত এই কবিতাটা অনুবাদের আগ্রহ জাগে Invictus সিনেমাটি দেখার পর। মূল কবিতার স্বাদ অনুবাদে রইল কতটুকু তা নিয়ে যদিও সন্দিহান। )

কুমেরু থেকে সুমেরু নামছে রাত অবিরাম
সব ছেয়ে যায় নরকের আঁধারে
তারই গহ্বর হতে জপি ঈশ্বরের নাম
যিনি হয়তো দিয়েছেন অজেয় সত্তা আমারে।

দুঃসময়ের ছোবলে আহত হয়েছি বারবার
কিন্তু শিউরে উঠি নি আমি,

বিস্তারিত»

স্মৃতিকথন

 

ক্লাস ফাইভে থাকতে স্কুলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহে দুইটা বই প্রাইজ পেয়েছিলাম।‘শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু’ আর ‘সায়রা সায়েন্টিস্ট’। দুপুরের দিকে বাসায় এসেই সঙ্গে সঙ্গে ‘শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু’ বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম। বই পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাবার মত অবস্থা হয়েছিল। বিকালে মা স্কুল থেকে আসলে দাদু মাকে বলেছিলেন, ‘ওর যেন কি হইছে, একা একা বারান্দায় বসে জোরে জোরে হাসতেছিল’। সেই শুরু।

বিস্তারিত»

শেষ না হওয়ার গল্প

ক্যাডেট কলেজের রাতগুলো নগর জীবনের রাতের চাইতে ভিন্ন ছিল। আমাদের ময়মনসিংহের শহরতলীতে সন্ধ্যা নামতো ঝুপ করে। এমজিসিসির তিন দিকে ছিল ধানক্ষেত, বছরের ছয়মাস জুড়ে সেখানে হাঁটু জল থাকতো। কলেজের দক্ষিণে ধারে কাছে কোথাও শেয়ালকূলের ঘর গেরস্থালি ছিল। সন্ধ্যা হতে না হতে পরিবার পরিজন সহ শতেক শেয়াল একসাথে হুক্কাহুয়া রবে চারদিক কাঁপাতো আর আমাদের শহরবাসী অনভ্যস্ত কান সেই ডাকাডাকিতে ভীত হয়ে পড়তো! শৃগাল সংগীত শুরুর আগে গেমস শেষে হাউসের স্বনামধন্য দৌড়বাজ ক্যাডেটরা বাথরুমের দখলদারিত্ব নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিত।

বিস্তারিত»

কোন এক বজ্রাহত পথিকের প্রতি

ওহে বজ্রাহত পথিক, কান পেতে তুমি শোন,
জীবনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কখনো ছিল না।
তুমি বাক হারিয়েছো? হতচকিত, দিশেহারা?
চক্ষুস্মান হয়েও দৃষ্টিহীন? ওঠো পথিক, ওঠো।
শিরদাঁড়া সোজা কর, ঋজু মনে এগিয়ে যাও।
দৃষ্টি মেলে ধরো সুদূর দিগন্তে আর উচ্চাকাশে।

উঠে দাঁড়াও, সম্মুখে এগিয়ে চলো দৃপ্ত পদযোগে।
শোন, ঝিরিঝিরি দখিনা বাতাস কী বলে তোমায়।
বলে, আমি উত্তরে যাচ্ছি,

বিস্তারিত»

গণমানুষের কবি Maya Angelou

আমেরিকান কবি ও প্রাবন্ধিক Maya Angelou ০৪ এপ্রিল ১৯২৮ তারিখে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিলো Marguerite Ann Johnson। তিনি ছিলেন তার পিতা Bailey Johnson এবং মাতা Vivian (Baxter) Johnson এর দ্বিতীয় সন্তান। তার বাল্যজীবন ছিল সংঘাতময়, মাত্র তিন বছর বয়সে তার পিতামাতার বিবাহ ভেঙ্গে গেলে তার পিতা তাকে তার দাদী Annie Henderson এর কাছে পাঠিয়ে দেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি California Labor School থেকে কলেজ শিক্ষা সমাপন করেন।

বিস্তারিত»

~ প্রবাসে পরবাসে নেই, সাত সকালে বেরিয়েছে সে; বহুকাল পর বাড়ী গেছে ~

বলা হয় কোনো লেখা পড়ে পাঠকের মনে যখন সেই দ্যোতনাটি জেগে ওঠে – আর সে ভাবে, ‘আরে এ যে আমারও কথা’; তখনই সে লেখাটা সার্থক লেখা হয়ে ওঠে। যতো বেশী পাঠকের মনে এমন ধারণার জন্ম দিতে পারে কোনো লেখা, ততো বেশী পাঠকপ্রিয়তা, ততো বেশী জনপ্রিয়তা পাবে তা; পাবে দীর্ঘায়ু। সহজ শাদামাটা ভাবে তাই বলাই যায় যে, বিভিন্ন ভাষার শীর্ষ কবি ও লেখকরা যখন লেখেন, এমনটা ভেবে এরকম কিছুই লেখেন।

বিস্তারিত»