বলের বদলে গ্রেনেড (৫ম পর্ব)

আগের পর্বগুলোঃ

৯।

জ্বর এবং চাচার কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে পরবর্তী কয়েকদিন অনিকের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। অবশ্য, কিছুটা দেরি হলেও খুলনা এবং দেশের প্রায় এলাকার খবর ঠিকই জানতে পারছিল। কেননা, রেডিও বা পত্রিকা তো ছিলই, এর পাশাপাশি ওর বন্ধুদের মধ্যে প্রায় প্রতি বেলাতেই কেউ না কেউ আসত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকা: পর্ব সাত

নিলুফার ম্যাডাম

ধবধবে ফর্সা, ঈষৎ পৃথুলা নিলুফার ম্যাডাম প্রায়শঃ নীল শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আমাদের ইংরেজী পড়াতে আসতেন। ম্যাডাম আমাদের পার্ট টাইম শিক্ষক। তিনি ময়মনসিংহের স্হানীয় বাসিন্দা। আমাদের কলেজের শিক্ষকেরা প্রায় সকলেই বড় বেশী সাদামাটা সাজপোশাক করতেন, ঠোঁটে আলতো লিপস্টিক কি চোখে কাজলের সামান্য রেখা ছাড়া কেউ বাড়তি কোন প্রসাধন করতেন না। নিলুফার ম্যাডাম আমাদের একঘেয়ে কলেজ জীবনে ঝলমলে গ্ল্যামার নিয়ে এলেন!

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৪র্থ পর্ব)

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

৭।

আজকের সকালটা কেমন বিষণ্ণ! অনিক মনে মনে ভাবল। সকালে নাস্তা করার পর সেই কখন থেকে টেবিলে বসে পড়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছে না।

গতকাল গোপালগঞ্জ থেকে চিঠি এসেছে। এবার অনেকদিন পর বাবা-মা’র কাছ থেকে চিঠি এল। অবশ্য শুধু বাবার কথা বলাই ভাল,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- ছয়

কাল রাতে ভরা জ্যোৎস্না অন্ধকার করে মেঘ জমলো;
জমাট মেঘ নিমিষেই গড়ে তুললো
এক অস্বস্তিকর অমাবশ্যা।
চাঁদ কি মুখ লুকোল না ডুবে গেল?
নীলা –
কাল রাতে আমি কি একাই বৃষ্টিতে ভিজেছি?
তুমি কি বুকের উত্তাপে তোমার চুল শুকাওনি?

এখনতো তুমি এত দূরে নও নীলা:
রাতের বৃষ্টিতেতে আমি একাই ভিজবো
আর তুমি বিদেশ বিভূইয়ে
সাদা রোদ্দুরে চুল খুলে হাসবে;

বিস্তারিত»

আজ “বিশ্ব বই দিবস”

আজ ২৩ শে এপ্রিল। প্রতি বৎসর এই দিনটিকে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” বা সংক্ষেপে “বিশ্ব বই দিবস” হিসেবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে বই এর পঠন, প্রকাশন এবং কপিরাইট প্রতিষ্ঠার উন্নয়নের লক্ষ্যে। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো সিদ্ধান্ত নেয় যে ২৩ শে এপ্রিল উদযাপিত হবে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” হিসেবে, কারণ এই তারিখটি ইংরেজ কবি, সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম শেক্সপীয়ারসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের আরও অনেক প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিকদের জন্ম অথবা প্রয়াণ দিবস।

বিস্তারিত»

ভালবাসার আশা

ভালবাসায় রেখো আমায়,
শাস্তিতে নয় কভু,
ভুলের পথে পা বাড়ালে
শুধরে দিও প্রভু।

তুমি যাদের ভালবাসো
ফেরেশতারাও আকছার
ডাকে তাদের সসম্মানে
মানুষ তো কোন ছার!

প্রতিপালক একাই তুমি,
স্রষ্টা আমার, মানি
সৃষ্টিরা সব বেঁচে থাকে
তোমার দয়ায়, জানি।

ভুলের পাহাড় মাথায় নিয়ে
পথ চলেছি যত,
ভুলের বোঝা বেড়েই গেছে
হিসেব নেই কত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৬

‘ফালা দাও’ সমাচার

শাজাহান আলী স্যার ক্লাসে এসেই বললেন,
‘ক্যাডেটস্, তোমরা এখন এখনই বর্ষণমুখর সন্ধ্যা নিয়ে একটা রচনা লিখে ফালা দাও দেখি।’
স্যারের ‘ফালা দাও’টি একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের মাঝে খানিক আলোড়ন সৃষ্টি করলো। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে কী যেন বলাবলি করে নিল। স্যার ক্যাডেটদের দুষ্টুমি অনুধাবন করতে পারলেন বলে মনে হলো না। তিনি সময় কাটানোর জন্য চেয়ারখানা টেনে একটা বই নিয়ে বসলেন।

বিস্তারিত»

একজন রোজ আপু

তখনকার দিনে ক্যাডেট কলেজে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ছিল না। বদ্ধ ঘরের ঘুলঘুলির মধ্য দিয়ে কালেভদ্রে বসন্ত বাতাস ঢোকার মত ক্যাডেটদের জীবনে খুশির হাওয়া বয়ে আনত হলুদ খামে ভরা এক একটি চিঠি। আর সে চিঠি যদি আসত অপ্রত্যাশিত কারো কাছ থেকে তাহলে তো কথাই নেই। ফোনে বলা কথাগুলো বার বার শোনা যায় না, কিন্তু চিঠির এক একটি লাইনের দিকে তাকিয়ে অবলীলায় পার করে দেয়া যায় শত শত প্রেপ টাইম।

বিস্তারিত»

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

আমার একটা কাঁথা আছে; তিনটা শাড়ির লেয়ার দিয়ে বানানো। তিনটা শাড়িই ছিল এম্ব্রয়ডারিতে ভরা সুতি শাড়ি। অনেক স্মৃতিবিজড়িত এই কাঁথাটা। এটার মূল্য আমার কাছে অনেক। জড়িয়ে নিয়ে থাকি, ঘ্রাণ নেই। অন্যরকমের একটা ছোঁয়া পাই। বাইরের দিকের শাড়ি দুটো আমার স্ত্রীর, যেগুলো আমি তাকে আমাদের বিয়ের সময় দিয়েছিলাম। ভেতরের লেয়ারে যে শাড়িটা আছে সেটা সবচেয়ে স্মৃতিবিজড়িত। আমার মায়ের অনেক শখের একটা শাড়ি ছিল সেটা।

বিস্তারিত»

কর্ণফুলীর মুহূর্তেরা

ফিরে যদি যেতেই হয়
তবে আজ আর দীর্ঘশ্বাস নয়;
আজ শুধু মেনে নেয়ার পালা।
যুদ্ধ করতে করতে সবগুলি তারা খসে গেছে
দূরত্ব ক্রমশ হয়েছে সমুদ্রের মত
তবুও একটি মুহূর্ত কোথাও উল্লেখিত হয়নি।

তুষারে কি ঢাকা পড়েছে তোমাদের শহর?
মধ্য রাতের নীল রঙ দেখার ইচ্ছায় কি রাত জাগা হয়?
চাঁদের সাথে মেঘেদের লুকোচুরি
আঙ্গুস এবং জুলিয়াস্টোনের গান এখনো কি বাজে?

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৫

রনজিৎ কুমার বণিক স্যার ক্লাসে এসে বললেন, ক্যাভিয়ার চিনো নাকি তোমরা? আমরা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে এর ওর মুখের দিকে তাকাই, ক্যাভিয়ার চিনবো কি; ক্যাভিয়ারের নামই তো শুনি নাই জীবনে! বণিক স্যার ঈষৎ বরিশালের টানে আমাদের ইংরেজী সাহিত্য পড়ান। তাঁর কপালের উত্তরে সুস্পষ্ট টাক, শ্যাম বর্ণ গায়ে বেশ একটা তেল চকচকে আভা। মধ্য তিরিশের বণিক স্যার ক্লাসে নানা উপায়ে আমাদের বিনোদিত করেন। ক্যাভিয়ার শব্দটির মাঝে বেশ একটা বিলাত বিলাত গন্ধ আছে,

বিস্তারিত»

#ক্যাডেট_জীবন ১

ক্যাডেট কলেজের এক বড় ভাইয়ের কলেজে থাকাকালীন গল্প জানলাম সেদিন। নাম না বলি। ধরুন তিনি জয় ভাই। তাঁরা যখন অষ্টম শ্রেনীতে, বাংলার এক শিক্ষক এলেন কলেজে। বয়ষে তরুণ; পড়ান খুব ভাল।

জয় ভাইয়েরই এক বড় ভাই, নবম শ্রেনীর, তাঁকে জানালেন যে সেই শিক্ষক বিশ্ববদ্যালয়ে পড়াকালীন এক তরুণীর প্রেমে পড়ে বিতাড়িত হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে ক্যাডেট কলেজে এসে বনবাস নিয়েছেন। জয় ভাই অত্যন্ত পুলকিত হলেন।

বিস্তারিত»

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া ক্রিকেটকে বাঁচানো সম্ভব না!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমরা সবাই আপনাকে ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে জানি। আমরা শুনেছি শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি বাংলাদেশের খেলাধুলার খবর রাখেন। এমনকি মাঝে মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখার জন্য আপনি স্টেডিয়ামেও ছুটে যান, দলের সাফল্যে আর দশটা সাধারণ মানুষের মত খুশিতে হাততালি দিয়ে ওঠেন!

কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যে অস্থিরতা, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা চলছে তা কি আপনি দেখতে পান?

এক সময়ের দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবল আজ মৃতপ্রায়!

বিস্তারিত»

নগরের কাল বৈশাখী

নগরের কাল বৈশাখী

“বৈকালের দিকটা হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার করিয়া কালবৈশাখীর ঝড় উঠিল। অপু-দুর্গা দুজনেই সোনামুখী তলায় আম কুড়াতে ছুটছিল। ঝড়ের শব্দে আম পড়ার শব্দ শুনিতে পাওয়া যায় না, যদি বা শোনা যায় ঠিক কোন জায়গা বরাবর শব্দ, হইল—তাহা ধরিতে পারা যায় না। দুর্গা আট-নয়টি আম পেলেও ছোটাছুটির পর অপু পেলে মাত্র দুটি। একটু পরেই চারদিক ধোয়াকার করে মুষলধারে বৃষ্টি নামিল। হঠাৎ ঝটিকাসুদ্ধ অন্ধকারে আকাশের এ প্রান্ত হইতে লকলকে আলো জিহ্বা মেলিয়া বিকট অট্টহাসির রোল তুলিয়া এক লহমায় ও প্রান্তের দিকে ছুটিয়া গেল ক্কড় ক্কড় কড়াও শব্দে বাজ পড়ল।

বিস্তারিত»

জুলি

দুই বছর বয়সী জুলিকে নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটায় ইউসুফ মোল্যা। ওর জন্য সারাদিনের অন্য সকল কাজকে বিসর্জন দিয়েছে সে। সমস্যা হল বাচ্চাটা কিছুই খেতে চায় না। না খেলে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে এই চিন্তাই সারা রাত ইউসুফের চোখে অনিদ্রার বীজ বোনে। জুলির অসুস্থতার কথা সে কল্পনাই করতে পারে না। ওর জন্য সব কিছু করতে রাজি আছে সে। তার এই প্রবাস জীবনের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জুলি।

বিস্তারিত»