সময়ে বিলীন (অনুবাদ কবিতা)

আমি অবিরাম কেঁদে যেতে পারতাম,
সারারাত ধরে,
কেউ সত্যি কোন পরোয়া করতো না,
কিংবা কাছেও আসতো না,
অনুভূতিটুকু বুঝতে।
জীবনটা দ্রুত চলে গেল,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
তোমার শুধু চিহ্নটুকুই পেলাম,
তোমার আলিঙ্গন নয়।
এখন আর সময় নেই নতুন কিছু খোঁজার,
এ সময় ভালবাসাহীন, প্রেমের মুক্ত দুয়ার রুদ্ধ।

মূলঃ Sandra Feldman
অনুবাদঃ খায়রুল আহসান

কবি পরিচিতিঃ Sandra Feldman একজন আমেরিকান কবি।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার সাতকাহন

ভালোবাসার সাতকাহনে বেঁধে জীবন
তোমার মনের কোণে নিয়েছি আশ্রয়
প্রেমের বহ্নিশিখা পুড়ে চলে হৃদয় মোর
তবুও আরো ভালোবাসতে সাধ হয়।

ভীরু মন কাপে অনাগত মিলনের অপেক্ষায়
বাড়ে হৃদস্পন্দন, ধমনী ওঠে ফুলে
প্রেমের স্বর্গীয় সুধাপানে মগ্ন এ হৃদয়
যেন লজ্জাবতী হয়ে ফুটেছে শতদলে।

ভালোবাসি, ভালোবাসি তৃষিত হৃদয়ের আর্তনাদে
পারেনা বোঝাতে কতটা সে ভালোবাসা
দু:খ ছাড়িয়ে সুখ আলিংগনে পড়বে বাঁধা তোমাতেই
আর কিছু নেই ছোট্ট মনের গহীনে কোন আশা।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৮

পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ

প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ির পেছনে ছিল জাম গাছটা। পাখিরা পাকা জাম ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে বিচি ফেলতো এদিক ওদিক। কপাল ভাল থাকলে বেইসবল গ্রাউন্ডে দুটো চারটে আস্ত জামও পাওয়া যেতো। দেলোয়ারা ক’দিন ধরেই ভাবছিল প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ এড়িয়ে কি করে জামগুলো সাবাড় করা যায়। জাম বেশী দিন গাছে থাকে না, তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। সমস্যা হলো,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে – সাত

এখন যদি বৃষ্টি নামে, নামুক, আমি ভিজবো, নীলা।

সমস্ত শরীর ভিজবো, ভিজে চুপসে যাবো
ঠিক যখনই বৃষ্টি থামবে, তোমায় ডাকবো;
আমায় একটু শুকিয়ে দিয়ে যাবে, নীলা?

তোমার বুকের উত্তাপে আমায় শুকাতে দাও
নীলা, আমাকে শুকানোর জন্য ভেজাতে
সুখের কোন বৃষ্টি এ নয়, তুমিতো তা জানোই।

নীলা, তুমি নেই সে কথা বারে বারে মনে করানোর কি প্রয়োজন?

বিস্তারিত»

তুমিময় আমি

পরম মমতায় জড়িয়ে থাকা
তুমিময় কম্বলের উষ্ণতা সারারাত,
দেয়ালে ঝুলানো আরশিতে মুখ দেখা
যেন তোমার দু’চোখ বলে সুপ্রভাত।
টিক টিক করে চলছে হাতঘড়ি
যেন তোমারই হৃদস্পন্দন,
জানিয়ে দেয় তোমার উপস্থিতি
সারাদিন আর প্রতিটি ক্ষণ।
ভেংগে পড়োনা- এই তো আছি
শক্ত করে রাখো শিরদাঁড়া,
কোমরবন্দখানি নিরাশ করেনি
বুঝিইনি আমি তুমি ছাড়া।
পাঞ্জাবীটা আলমারীতে
ভাজে ভাজে তার প্রতীক্ষা,

বিস্তারিত»

একদিন সব বাঁধন শিথিল হয়ে যায়

আটপৌরে এ জীবনের কত হিসেব নিকেশ,
কত ভালবাসা, কত স্বপ্নের আশা-নিরাশা
মনের অগোচরে কোথায় বিলীন হয়ে যায়!
হায়! একদিন সব বন্ধন শিথিল হয়ে যায়।
একদিন মুঠোয় বাঁধা হাত ছেড়ে দিতে হয়,
পৃথিবীর বুক চিরে নতুন নতুন পথ সৃষ্টি হয়,
সে পথ বেয়ে ভালবাসার মানুষেরা চলে যায়।
একদিন আর কোন বাঁধন থাকেনা, অথবা
কোন আকুল আশাও থাকে না,

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৫ম পর্ব)

আগের পর্বগুলোঃ

৯।

জ্বর এবং চাচার কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে পরবর্তী কয়েকদিন অনিকের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। অবশ্য, কিছুটা দেরি হলেও খুলনা এবং দেশের প্রায় এলাকার খবর ঠিকই জানতে পারছিল। কেননা, রেডিও বা পত্রিকা তো ছিলই, এর পাশাপাশি ওর বন্ধুদের মধ্যে প্রায় প্রতি বেলাতেই কেউ না কেউ আসত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকা: পর্ব সাত

নিলুফার ম্যাডাম

ধবধবে ফর্সা, ঈষৎ পৃথুলা নিলুফার ম্যাডাম প্রায়শঃ নীল শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আমাদের ইংরেজী পড়াতে আসতেন। ম্যাডাম আমাদের পার্ট টাইম শিক্ষক। তিনি ময়মনসিংহের স্হানীয় বাসিন্দা। আমাদের কলেজের শিক্ষকেরা প্রায় সকলেই বড় বেশী সাদামাটা সাজপোশাক করতেন, ঠোঁটে আলতো লিপস্টিক কি চোখে কাজলের সামান্য রেখা ছাড়া কেউ বাড়তি কোন প্রসাধন করতেন না। নিলুফার ম্যাডাম আমাদের একঘেয়ে কলেজ জীবনে ঝলমলে গ্ল্যামার নিয়ে এলেন!

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৪র্থ পর্ব)

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

৭।

আজকের সকালটা কেমন বিষণ্ণ! অনিক মনে মনে ভাবল। সকালে নাস্তা করার পর সেই কখন থেকে টেবিলে বসে পড়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছে না।

গতকাল গোপালগঞ্জ থেকে চিঠি এসেছে। এবার অনেকদিন পর বাবা-মা’র কাছ থেকে চিঠি এল। অবশ্য শুধু বাবার কথা বলাই ভাল,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- ছয়

কাল রাতে ভরা জ্যোৎস্না অন্ধকার করে মেঘ জমলো;
জমাট মেঘ নিমিষেই গড়ে তুললো
এক অস্বস্তিকর অমাবশ্যা।
চাঁদ কি মুখ লুকোল না ডুবে গেল?
নীলা –
কাল রাতে আমি কি একাই বৃষ্টিতে ভিজেছি?
তুমি কি বুকের উত্তাপে তোমার চুল শুকাওনি?

এখনতো তুমি এত দূরে নও নীলা:
রাতের বৃষ্টিতেতে আমি একাই ভিজবো
আর তুমি বিদেশ বিভূইয়ে
সাদা রোদ্দুরে চুল খুলে হাসবে;

বিস্তারিত»

আজ “বিশ্ব বই দিবস”

আজ ২৩ শে এপ্রিল। প্রতি বৎসর এই দিনটিকে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” বা সংক্ষেপে “বিশ্ব বই দিবস” হিসেবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে বই এর পঠন, প্রকাশন এবং কপিরাইট প্রতিষ্ঠার উন্নয়নের লক্ষ্যে। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো সিদ্ধান্ত নেয় যে ২৩ শে এপ্রিল উদযাপিত হবে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” হিসেবে, কারণ এই তারিখটি ইংরেজ কবি, সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম শেক্সপীয়ারসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের আরও অনেক প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিকদের জন্ম অথবা প্রয়াণ দিবস।

বিস্তারিত»

ভালবাসার আশা

ভালবাসায় রেখো আমায়,
শাস্তিতে নয় কভু,
ভুলের পথে পা বাড়ালে
শুধরে দিও প্রভু।

তুমি যাদের ভালবাসো
ফেরেশতারাও আকছার
ডাকে তাদের সসম্মানে
মানুষ তো কোন ছার!

প্রতিপালক একাই তুমি,
স্রষ্টা আমার, মানি
সৃষ্টিরা সব বেঁচে থাকে
তোমার দয়ায়, জানি।

ভুলের পাহাড় মাথায় নিয়ে
পথ চলেছি যত,
ভুলের বোঝা বেড়েই গেছে
হিসেব নেই কত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৬

‘ফালা দাও’ সমাচার

শাজাহান আলী স্যার ক্লাসে এসেই বললেন,
‘ক্যাডেটস্, তোমরা এখন এখনই বর্ষণমুখর সন্ধ্যা নিয়ে একটা রচনা লিখে ফালা দাও দেখি।’
স্যারের ‘ফালা দাও’টি একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের মাঝে খানিক আলোড়ন সৃষ্টি করলো। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে কী যেন বলাবলি করে নিল। স্যার ক্যাডেটদের দুষ্টুমি অনুধাবন করতে পারলেন বলে মনে হলো না। তিনি সময় কাটানোর জন্য চেয়ারখানা টেনে একটা বই নিয়ে বসলেন।

বিস্তারিত»

একজন রোজ আপু

তখনকার দিনে ক্যাডেট কলেজে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ছিল না। বদ্ধ ঘরের ঘুলঘুলির মধ্য দিয়ে কালেভদ্রে বসন্ত বাতাস ঢোকার মত ক্যাডেটদের জীবনে খুশির হাওয়া বয়ে আনত হলুদ খামে ভরা এক একটি চিঠি। আর সে চিঠি যদি আসত অপ্রত্যাশিত কারো কাছ থেকে তাহলে তো কথাই নেই। ফোনে বলা কথাগুলো বার বার শোনা যায় না, কিন্তু চিঠির এক একটি লাইনের দিকে তাকিয়ে অবলীলায় পার করে দেয়া যায় শত শত প্রেপ টাইম।

বিস্তারিত»

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

অনুকথন স্মৃতিচারণঃ নকশীকাঁথার মাঠ

আমার একটা কাঁথা আছে; তিনটা শাড়ির লেয়ার দিয়ে বানানো। তিনটা শাড়িই ছিল এম্ব্রয়ডারিতে ভরা সুতি শাড়ি। অনেক স্মৃতিবিজড়িত এই কাঁথাটা। এটার মূল্য আমার কাছে অনেক। জড়িয়ে নিয়ে থাকি, ঘ্রাণ নেই। অন্যরকমের একটা ছোঁয়া পাই। বাইরের দিকের শাড়ি দুটো আমার স্ত্রীর, যেগুলো আমি তাকে আমাদের বিয়ের সময় দিয়েছিলাম। ভেতরের লেয়ারে যে শাড়িটা আছে সেটা সবচেয়ে স্মৃতিবিজড়িত। আমার মায়ের অনেক শখের একটা শাড়ি ছিল সেটা।

বিস্তারিত»