উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বাংলাদেশের নানা স্থানে পাট গাছের মতো দেখতে নীল গাছও জম্মাতো। ভারতীয় নীল গাছ থেকে উৎপাদিত নীল ইউরোপের নানা দেশে রপ্তানী হতো বলে ইউরোপীয়রা একে ইন্ডিগো নামে চেনে। বৃটিশ উপনিবেশ আমলে বিশেষ করে কোম্পানী আমলে (১৭৫৭ – ১৮৫৭ খ্রীঃ) সারা বাংলায় (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) নীল চাষের ব্যাপক আবাদ শুরু হয়। ১৭৯৫ খ্রীঃ পরপরই এর মাত্রা তীব্রতর আকার ধারন করে যশোহর, খুলনা, কুষ্টিয়া,
বিস্তারিত»‘বাতাস’ বিক্রির কথা
অনেক মানুষকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় যে মোবাইল কোম্পানীগুলো ‘বাতাস’ বিক্রি করে দেশের সব অর্থ বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যেমন অবলীলায় একথাটি বলে ফেলা যায়, এই ‘বাতাস’ কি করে তৈরী হয় তা বুঝে কথাটি বলা বা ভাবা তেমনই যটিল।
একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এমনটা ভেবে নেয়া খুবই স্বাভাবিক। আমরা যখন এক বোতল পানি কিনি অথবা এক বোতল টমেটো কেচাপ কিনি – তখন কিন্তু একটুও ভাবি না যে “আরে পানি’তো আমাদের দেশে হাটে-মাঠে-ঘাটেই পাওয়া যায়!
বলের বদলে গ্রেনেড (৭ম পর্ব)
১৩।
এপ্রিল, ১৯৭১
অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠনের খবর শুনে অন্যান্য স্থানের মতনই গোপালগঞ্জেও সবার মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা জেগে উঠল। কেননা, সরকার গঠনের মাধ্যমে চলমান স্বাধীনতা যুদ্ধ আনুষ্ঠানিক মর্যাদা পাবে। এতে করে বহির্বিশ্বেও এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের নির্দেশে শিলিগুড়ির অল ইন্ডিয়া রেডিওকে বদলে নাম রাখা হয়েছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
বিস্তারিত»কুড়িগ্রাম ও রাণী সত্যবতীর প্রত্নকীর্তি
কুড়িগ্রাম
মানব সভ্যতার বিস্তৃতির আদি পর্বে বাঙলায় যে সব স্থানে প্রথম বসতি গড়ে উঠেছিল ধরলা নদী তীরের কুড়িগ্রাম তাদের মধ্যে অন্যতম। নেগ্রিটো আর অষ্ট্রিকদের হাত ধরে বাঙলায় মানব সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়। আমাদের আদিতম গর্বিত অনার্য পুরুষদের অন্যতম অষ্ট্রিক ভাষাভাষি ‘কোল’ নৃগোষ্ঠীর সভ্যতার অস্তিত্ব এখানে বিরাজমান। এদেরই একটি ক্ষুদ্র ধারা ‘কিরাত/কুরি’ নামে পরিচিত। অষ্ট্রিক ভাষায় ‘কোর বা কুর’ শব্দের অর্থ ‘মানুষ’। এই কুরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এখনো বসবাস রয়েছে কুড়িগ্রামে।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৯
হুহুন্নারা হারিয়ে গেল কালের চক্রে
ভূপৃষ্ঠ থেকে চৌত্রিশ হাজার ফুট ওপর থেকে এবারের ক্যাডেট কথিকা লিখছি। অস্ট্রেলিয়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি। যেতে যেতে ভাবছি, সাবেকী লোকজন কত সুখেই না ছিল। ছয় বেহারা শতেক বার হুহুন্না বললেই পৌঁছে যাওয়া যেতো বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির ঘাটে। তাদের পাসপোর্ট ভিসা কিংবা বেনজোডায়াজেপিনের দরকার পড়তো না। আধুনিক নাগরিক জীবন বড় জটিল! আমেরিকার দক্ষিন কোণ থেকে পশ্চিম তীরে পৌঁছুতে বিমানে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লেগে গেল।
বিস্তারিত»ভালোবাসার ঘৃণা
বুকের মাঝে ছিলে তুমি
আছো আজো সেখানেই
বাসবো ভালো জনম জনম
থাকবে তুমি যেখানেই।
কষ্ট, দুঃখ, জ্বালা যত
করছি স্বীকার দায় তার
সুখ গুলো সব হোক তোমারই
ভুল গুলো সব হোক আমার।
আমার তরে আর কোনদিন
ভিজবেনা জানি ঐ দু’চোখ
ঘৃণারা সব একজোট আজ
কখন নেবে সকল শোধ।
সুখস্মৃতি আজো কাঁদায় মোরে
তোমায় ভোলা যায়না তো
চাইনা আমি ভুলতে তোমায়
ঘৃণা তুমি করলেও।
বলের বদলে গ্রেনেড (৬ষ্ঠ পর্ব)
রিক্ত
হচ্ছে তৈরী অস্ত্র
বাধছে যত যুদ্ধ
খাদ্য নেই
বাদ্য নেই
নেই’তো কোন বস্ত্র
হচ্ছে অনেক বিবস্ত্র
কাজ নেই
কম্য নেই
নৌকো পাড়ি
কোর্ট কাচারী
সোনার দেশে
যেতেই হবে
হও’না যতই রিক্ত…
সাতাশ বছর পরে
সাতাশ বছর আগে লেখা আটটা কবিতা পেয়েছিলাম। সাতটা পোস্ট করেছি, আট নম্বরটা অনেক বড়, আর লিখবোনা।
মানে, নীলা মারা গেছে। আমার লেখা যে অনেকে পড়ে, যদিও ফ্রেন্ডলিস্ট ছোট, সেটাতে অবাক হয়েছি। তার থেকে বেশী বিব্রত হয়েছি, বড় ভাইরা, বন্ধুরা, প্রাক্তন সহকর্মীরা এবং ছোটভাইরা যখন ফোন করে জিজ্ঞাস করেছে, নীলা কে?
চিন্তায় একটা মানুষ দাঁড় করা, জীবন্ত করা, বোধ এর মাঝে আনা,
বিস্তারিত»সময়ে বিলীন (অনুবাদ কবিতা)
আমি অবিরাম কেঁদে যেতে পারতাম,
সারারাত ধরে,
কেউ সত্যি কোন পরোয়া করতো না,
কিংবা কাছেও আসতো না,
অনুভূতিটুকু বুঝতে।
জীবনটা দ্রুত চলে গেল,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
তোমার শুধু চিহ্নটুকুই পেলাম,
তোমার আলিঙ্গন নয়।
এখন আর সময় নেই নতুন কিছু খোঁজার,
এ সময় ভালবাসাহীন, প্রেমের মুক্ত দুয়ার রুদ্ধ।
মূলঃ Sandra Feldman
অনুবাদঃ খায়রুল আহসান
কবি পরিচিতিঃ Sandra Feldman একজন আমেরিকান কবি।
বিস্তারিত»ভালোবাসার সাতকাহন
ভালোবাসার সাতকাহনে বেঁধে জীবন
তোমার মনের কোণে নিয়েছি আশ্রয়
প্রেমের বহ্নিশিখা পুড়ে চলে হৃদয় মোর
তবুও আরো ভালোবাসতে সাধ হয়।
ভীরু মন কাপে অনাগত মিলনের অপেক্ষায়
বাড়ে হৃদস্পন্দন, ধমনী ওঠে ফুলে
প্রেমের স্বর্গীয় সুধাপানে মগ্ন এ হৃদয়
যেন লজ্জাবতী হয়ে ফুটেছে শতদলে।
ভালোবাসি, ভালোবাসি তৃষিত হৃদয়ের আর্তনাদে
পারেনা বোঝাতে কতটা সে ভালোবাসা
দু:খ ছাড়িয়ে সুখ আলিংগনে পড়বে বাঁধা তোমাতেই
আর কিছু নেই ছোট্ট মনের গহীনে কোন আশা।
ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৮
পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ
প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ির পেছনে ছিল জাম গাছটা। পাখিরা পাকা জাম ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে বিচি ফেলতো এদিক ওদিক। কপাল ভাল থাকলে বেইসবল গ্রাউন্ডে দুটো চারটে আস্ত জামও পাওয়া যেতো। দেলোয়ারা ক’দিন ধরেই ভাবছিল প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ এড়িয়ে কি করে জামগুলো সাবাড় করা যায়। জাম বেশী দিন গাছে থাকে না, তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। সমস্যা হলো,
বিস্তারিত»সাতাশ বছর আগে – সাত
এখন যদি বৃষ্টি নামে, নামুক, আমি ভিজবো, নীলা।
সমস্ত শরীর ভিজবো, ভিজে চুপসে যাবো
ঠিক যখনই বৃষ্টি থামবে, তোমায় ডাকবো;
আমায় একটু শুকিয়ে দিয়ে যাবে, নীলা?
তোমার বুকের উত্তাপে আমায় শুকাতে দাও
নীলা, আমাকে শুকানোর জন্য ভেজাতে
সুখের কোন বৃষ্টি এ নয়, তুমিতো তা জানোই।
নীলা, তুমি নেই সে কথা বারে বারে মনে করানোর কি প্রয়োজন?
বিস্তারিত»তুমিময় আমি
পরম মমতায় জড়িয়ে থাকা
তুমিময় কম্বলের উষ্ণতা সারারাত,
দেয়ালে ঝুলানো আরশিতে মুখ দেখা
যেন তোমার দু’চোখ বলে সুপ্রভাত।
টিক টিক করে চলছে হাতঘড়ি
যেন তোমারই হৃদস্পন্দন,
জানিয়ে দেয় তোমার উপস্থিতি
সারাদিন আর প্রতিটি ক্ষণ।
ভেংগে পড়োনা- এই তো আছি
শক্ত করে রাখো শিরদাঁড়া,
কোমরবন্দখানি নিরাশ করেনি
বুঝিইনি আমি তুমি ছাড়া।
পাঞ্জাবীটা আলমারীতে
ভাজে ভাজে তার প্রতীক্ষা,
একদিন সব বাঁধন শিথিল হয়ে যায়
আটপৌরে এ জীবনের কত হিসেব নিকেশ,
কত ভালবাসা, কত স্বপ্নের আশা-নিরাশা
মনের অগোচরে কোথায় বিলীন হয়ে যায়!
হায়! একদিন সব বন্ধন শিথিল হয়ে যায়।
একদিন মুঠোয় বাঁধা হাত ছেড়ে দিতে হয়,
পৃথিবীর বুক চিরে নতুন নতুন পথ সৃষ্টি হয়,
সে পথ বেয়ে ভালবাসার মানুষেরা চলে যায়।
একদিন আর কোন বাঁধন থাকেনা, অথবা
কোন আকুল আশাও থাকে না,