সোশ্যাল মিডিয়া কতখানি সোশ্যাল

“পুরানা যদিও কেচ্ছা তবু বর্বকত / সমঝাইয়া দিবে নয়া হাল হকিকত”
— সৈয়দ মুজতবা আলী, “গুরবে কুশতন শব ই আওয়াল” (মার্জার নিধন কাব্য), পঞ্চতন্ত্র

[ডিসক্লেইমারঃ এটা কোন গবেষণালব্ধ লেখা নয়; ব্যাপক পড়াশুনা করে ডেভলাপ করা কোন ড্রাফটও নয়। নিজের দেখা এবং অনুভব করা কিছু অভিজ্ঞতাকেই এখানে সাজানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। আসলে দুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পারিবারিকভাবে বেশ ঘনিষ্ট এবং যথেষ্ট স্নেহভাজন একজনের ক্রমাগত “মন খারাপ করা” ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেণ্টের ঘরে কিছু কথা লিখতে গিয়ে তার সাথে ভার্চুয়াল কমিউনিকেশনেই কিছুটা বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

নতুন বই নিয়ে আলোচনাঃ বসন্তদিন

বই পরিচিতিঃ
বই এর নামঃ বসন্তদিন
বই এর ধরণঃ পত্রালাপে গল্প
লেখকের নামঃ বরুণা ও প্রতিফলন
প্রকাশকের নামঃ তারিকুল ইসলাম
এক্সেপশন পাবলিকেশন্স,
ডন প্লাজা, ১০ম তলা
৯, বঙ্গবন্ধু এভিন্যু, ঢাকা-১০০০
প্রচ্ছদঃ শায়মা হক
উৎসর্গঃ “বসন্তপ্রেমী মানুষগুলোকে”
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
মূল্য: ১৭৫.০০ টাকা

অন্তর্জালের সুবাদে পৃথিবী আজ মানুষের শুধু হাতের মুঠোতেই নয়,

বিস্তারিত»

যা কিছু রচেছি প্রফুল্ল হিয়ায়

প্রভু,
উদরে উনুন জ্বালিয়ে রাখোনি,
মনে রাখোনি কোন জ্বালা,
করোটিতে নেই স্নায়বিক চাপ
শিরোপরি নেই ক্ষুব্ধ প্রতাপ
সাধ বশে তাই
সদা রচে যাই
প্রেমের পংক্তিমালা।

সকল প্রেমের উৎস তুমি,
সব কবিতার একই পটভূমি।
মনোসরোবরে যত ফুল ফোটে
জ্যোৎস্না কিংবা আঁধার রাতে
পদ্যে পদ্যে সেসব কথায়
হৃদয় কমল বিকশিত হয়।
যা কিছু রচেছি প্রফুল্ল হিয়ায়
পেয়েছি সবই তোমার দয়ায়।

বিস্তারিত»

জানা হতো না

ক্যাডেট কলেজে না গেলে হয়তো ওই ছোট বয়সে ১ হাজার সূর্যোদয়ের দেখা পেতাম না। টেবিল সাজানোর জন্য ফল ইন ভেঙ্গে উসাইন বোল্ট হওয়ার ইচ্ছাও মনে যে জাগতে পারে তা ভাবনার মাঝে আসতো না। মাথা নিচু করে হাঁটতে হবে, টেবিলে দাঁড়ালে গ্লাসের নিচের অংশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, সবসময় সালামের উপর থাকতে হবে, টাচ লাগলে সাবধান হয়ে সরি বলতে হবে,সবার জন্য চা ঢেলে সবচেয়ে বড় কাপ সবচাইতে সিনিওরকে দিতে হবে এরকম হাজারও নিয়মের মাঝে যে মজার ঘটনা ঘটতে পারে তা জানা হত না।

বিস্তারিত»

ঈমান আলীর হজযাত্রা

ঈমান আলী যেদিন তার স্ত্রী রাহেলার সাথে বসে হজ করার জন্য মক্কা-মদিনায় যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে জানাল, সেদিন থেকে তার চারপাশের মানুষগুলো দিন-থেকে-রাত হওয়ার মতো বদলে গেল। তার বন্ধু-স্বজন—সবার ব্যবহারে অজ্ঞাত এক পরিবর্তন লক্ষ করল সে। তার প্রতি সবার আচার-আচরণ বদলে গেল। এ সিদ্ধান্তে তার স্ত্রী নিজেও কিছুটা অবাক হলেও, নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে স্বামী যেন তার ইচ্ছে পূরণ করতে পারে সে ব্যপারে মনোযোগী হলো। স্বামীকে দীক্ষা দেয়ার সাহস নেই—তবে তার মনের গতি-প্রকৃতি বুঝে,

বিস্তারিত»

অনুকথনঃ আরিশা-বচন

মেয়েঃ (রাত ১০টা … রিডিং রুমে বাবাকে খুঁজে না পেয়ে …) মা, পাপা কোথায়?

মাঃ বাবা নিচে গেছে।

মেয়েঃ নিচে কোথায়? দাদুর ওখানে? নাকি গ্যারেজে?

মাঃ বাবা গ্যারেজে গেছে।

মেয়েঃ আমি পাপার কাছে যাব।

মেঃ বাবা তো কাজে গেছে। তুমি যাবে কেন?

মেয়েঃ (বেশ আশ্চর্য হয়ে …) আমি আমার ভালবাসার কাছে যাব না!!

বিস্তারিত»

ভয় পাই

ইদানীং আমি ভয় পাই-
যানজটকে, কারণ স্থবির যানে আমার নিঃশাস বন্ধ হয়ে আসে।
ভয় পাই অসময়ে আমার বাড়ীর কাছে রিক্সায় ঘোরা
কোন আগন্তুকের মাইকে উচ্চারিত নির্লিপ্ত ঘোষণাকে,
কারণ অনেক চেনা মুখের চিরপ্রস্থান আমাকে ব্যাথিত করে।

আমি আরো ভয় পাই-
যখন প্রবাসী কোন স্বজনের দেশে ফেরার কথা শুনি,
কারণ, ইদানীং পর পর কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, যখন
পরিচিত প্রবাসীর লাগেজ এসেছে,

বিস্তারিত»

মুমিনুল হক- আরেকটি আক্ষেপের নাম??

বাংলাদেশ হারুক…
মিডল অর্ডার কলাপ্স করবে…
গো হারা হারার পর কোচ-সিলেক্টর শিক্ষা পাবে…

উপরের কথাগুলো অনলাইন বা অফলাইনে অনেকেই বলছেন। কেউ কি খেয়াল করেছেন কথাগুলোর মধ্যে কত বিশাল একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়ে যাচ্ছে?

কী হবে যদি বাংলাদেশ জিতে যায়?
কী হবে যদি মিডল অর্ডার কলাপ্স না করে?
কী হবে যদি আমরা গো হারা না হারি?

তখন কি এটাই প্রমাণিত হবে না (আপনাদের যুক্তি অনুযায়ী) যে মুমিনুলের বাদ পড়াটা যৌক্তিক ছিল?

বিস্তারিত»

সারাহার ভিন্নমাত্রাঃ “আঁই অন কিত্তাম”

ফেসবুকের সারাহা নিয়ে আমার আগের ব্লগটা লেখার পরে বেশ মজার কিছু অভিজ্ঞতা হলো। সোশাল মিডিয়ায় অধিকাংশ মন্তব্য এলো পুরোনো ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে, যাদের অন্তত হারানোর কোন ভয় নেই, অর্থাৎ পেনালাইজড হবার প্যানিক নেই। একজন তো পরামর্শ দিয়েই দিল, যাতে আমিও একটা সারাহা একাউণ্ট খুলে ফেলি; এটাও গ্যারাণ্টি দিল যে আমি নাকি পাঞ্চাশোর্ধ মন্তব্য পাব, যার মধ্যে কুড়িটার মত থাকবে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের জমে থাকা আক্ষেপের ঢালাও বাক্যবাণ,

বিস্তারিত»

ছবি কেবলই ছবি

কোন কোন ছবি বেশ অবলীলায়
একশ’ একটা গল্প বলে যায়।
তবু, ছবি শুধুই ছবি।
ছবিকে নির্নিমেষ দেখা যায়,
পরখ করা যায়,
স্পর্শ করা যায়,
ছবিকে নিয়ে অনুক্ষণ ভাবাও যায়
তবে ছবির সাথে গল্প করা যায় না!

বিস্তারিত»

সূর্য উঠিবে কবে ?

লালনের কথাগুলো একটু সময় নিয়ে বুঝবে কে ??

ফেসবুকে কেউ শিখতে আসে কি ? বিনোদনের জায়গা এটা ।
কেমন বিনোদন? দুনিয়ার মত ।

“আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,

বিস্তারিত»

পাখির কথা

পাখি তোমার আঁখি কেন করছে ছলোছল?
কোথায় গেল তোমার ঠোটের হাসিটা নির্মল?
তোমার ঘরে তারা এনে দূর আকাশের ঐ,
পাখি তোমার মানিক রতন সঙ্গী গেলো কই?

রূপার বরণ পালক তোমার সোনার বরণ ঠোঁট,
কন্ঠে তোমার যাদুর বাঁশী, চক্ষে মেঘের জোট।
পাখি তোমায় আধার দেবার মানুষ গেল কই?
নিজের আধার, ছানার আধার খুঁজতে কী কষ্টই!

বিস্তারিত»

না ভারত; না পাকিস্তান

আমরা বাঙালিরা ক্রিকেটের জন্য পাগল। আর আমাদের সেই পাগলামির মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন আমাদের ছেলেরা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। আমাদের আবেগ তখন সব ধরনের যৌক্তিকতার সীমানা পেরিয়ে যায়। আমরা চাই প্রতিটি খেলাতেই যেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা জিতে যায়। মাঝে-মাঝে মনে হয়, বোধহয় খেলা নয়, আমরা আমাদের দেশ বাংলাদেশের জন্য আবেগ প্রকাশ করি; খেলার সঙ্গে দেশাত্মবোধকে এক করে দিই। আমার দেশ জিতবেই; বাঙালি সবসময়ই জিতবে।

বিস্তারিত»

পিছু ফিরে দেখাঃ “কামিজ কা বাটন টুটেঁ হ্যায়”….

১৯৭৫ সালের শেষের ক’টা দিন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সদ্য কমিশন লাভ করে ঢাকার একটা ইউনিটে যোগদান করেছি। পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসারদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে তখন আবাসন সংকট চলছিল। জরুরী ভিত্তিতে আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য তখন সেনানিবাসের এখানে সেখানে “রূপসা” প্রকল্পের অধীনে কিছু ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়ার্টার্স (বিওকিউ) তৈরী করা হয়েছিল। সদ্য বিবাহিত কিংবা ছোট পরিবারের জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট কিছু ম্যারেড অফিসার্স কোয়ার্টার্সও নির্মিত হয়েছিল। ইটের হাল্কা গাঁথুনী,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে- তিন

মাঝরাতে একা হাটতে গিয়ে পুরনো পথে দেখা হলো।
“নীলা তুমি এখানে কেনো, এখন কেনো, একা কেনো?
সারাদিন তোমায় খুঁজি, কোথায় হারিয়ে গেছো?
একা সময় কাটে না, বসেই আছি কখন তোমায় দেখবো।”

নীলার সেই তীক্ষ্ণ চাহনী, যা বুকে তীরের মতো লাগে
হেসে ফেললো, “আমি কি আর সবার মাঝে আছি?
তুমি খোঁজ, একা খোঁজ, তোমার কাছে ধরা দেবার জন্য
এই পথে,

বিস্তারিত»