দেশের ভাবমূর্তিঃ অধিনায়ক নয়, বিসিবি প্রধানেরই দায় বেশি!

”অস্ট্রেলিয়ায় তখন চলছে ২০১৫ বিশ্বকাপ। ব্রিসবেনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দিচ্ছিল স্থানীয় বাঙালিরা। নিজের বক্তৃতায় দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান রসভরা কণ্ঠে বললেন, “আমাদের ‘বুম বুম তামিম’ তো এখন ‘ঘুম ঘুম তামিম’ হয়ে গেছে!’’
পুরো হলরুমে হাসির হুল্লোড় উঠল। ক্রিকেটাররা সবাই স্তব্ধ। তামিম ইকবাল চেষ্টা করেছেন স্বাভাবিক থাকতে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। সেদিন রাতে হোটেলে ফিরে হাউমাউ করে কেঁদেছেন তামিম।

বিস্তারিত»

কাগজের চিঠি

আমাদের যখন ১২ বছর বয়স, বাবা-মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম অনেক দূর। ক্যাডেট কলেজে পড়তে গিয়েছিলাম। আমাদের সেই অভিভাবকহীন দিনগুলোতে কলেজের শিক্ষকরাই ছিলেন বাবা-মা। তাঁরা আমাদের যতই ভালোবাসুন না কেন, বাবার-মায়ের অভাব পূরণ করতে কখনোই পারতেন না। ক্যাডেট কলেজের কঠোর জীবনের মাঝে, প্রায় সব ক্যাডেটই তাদের পিতা-মাতাকে চিঠি লিখতো, সারা সপ্তাহ সবাই অপেক্ষা করতো বাবা কিংবা মায়ের কাছ থেকে চিঠি পাবে বলে।
আমার জন্য অবশ্য ব্যাপারটি অন্যরকম ছিল।

বিস্তারিত»

একটি উচ্ছ্বল প্রাণের ঊর্ধ্বারোহণঃ

Friends at a funeral

আমার বন্ধু জামান, অনেক প্রতিভা ও গুণের অধিকারী। ওর সব গুণের চেয়ে আমার বিবেচনায় সবচেয়ে বড় যে গুণটি সেটি হলো শত প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও ধীর স্থির এবং প্রতিক্রিয়াহীন থাকার সক্ষমতা। গত কয়েক বছর ধরে জানি যে ক্রমাগতভাবে ওর উপর দিয়ে নানা রকমের ঝড় ঝঞ্ঝা বয়ে চলেছে। প্রথমে ওর বড়ভাই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে কয়েকবার সিঙ্গাপুরে যাওয়া আসা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিস্তারিত»

এক ফোঁটা জল

এক ফোঁটা জল,
সেটাও হতে পারে এক সমুদ্র অতল,
যদি সেটা ঝুলে কোন আঁখির পাতায়
হৃদয় মথিত কোন সূক্ষ্ম ব্যথায়।

কবিতা,স্বপ্ন, গান,ঝর্না বহমান,
নিভৃতে বিরহী হৃদয় রোরুদ্যমান,
সব কিছু মূর্ত হয় এক ফোঁটা জলে,
ইতিহাস ভেসে উঠে কত কথা বলে!

ইনানী সৈকত, কক্সবাজার
০৪ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

কুমিল্লা

প্রাচীন বাঙলা রাষ্ট্রের অখন্ড সীমানা নির্ণয় করা দুস্কর – এ যেমন সত্য, তেমনি প্রাচীন বাঙলা যে ১৬ টি জনপদ নিয়ে গঠিত হয়েছিল আর সমতট যে এর মধ্যে অন্যতম এও সত্য। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাঙলায় ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনা ও বাঙলার মধ্যাঞ্চল বিশেষ করে মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের সমতল নিম্নভূমি যা বঙ্গ ও সমতট নামে পরিচিত ছিল তা ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, যেশোহর, বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনী ও সমগ্র কুমিল্লা এবং ভারতের ২৪ পরগনা ও ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহৎ অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল।

বিস্তারিত»

পয়েন্ট

এই নিয়েছে ঐ নিল যাহ্‌ ! পয়েন্ট নিয়েছে কেড়ে,
লাগলে ধরব জীবন বাজি, পয়েন্ট দেব না ছেড়ে।
কাজের পিছে ছুটি আমি, ভেঙে পায়ের জয়েন্ট,
লাফিয়ে পড়ে ধরতে হবে মাটিতে পড়া পয়েন্ট।
কাজের মাঝে কাজের চেয়ে হিসেব করি যত,
বছর শেষে কার ঝুলিতে জমল পয়েন্ট কত।
না বাড়লে নিজের পয়েন্ট, মারি জোরে ল্যাং
নিচে থেকে জাপ্টে ধরি ঊর্ধগামীর ঠ্যাং।

বিস্তারিত»

The Land of the Thunder dragon…Travel to a sacred country

ভ্রমন সময়কাল অক্টোবর ২০১৬

পরিচিত কয়েকজনের ভূটান ভ্রমনের ছবি দেখে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে এবার ছেলেমেয়েদের স্কুলের পূজার ছুটির সময় ভূটানে যাবো। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। গতবছর এক আত্মীয় ভূটান যেতে চাইলো কিন্তু বিমানের টিকেট না পাবার কারনে তারা শেষ পর্যন্ত যেতে পারে নি। এজেন্টের বক্তব্য – আগামী একমাস পর্যন্ত সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

কেউ কেউ রয়ে যায়

রেলগাড়ির ভেতরে বসে সাঁই-সাঁই করে পার হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলোর নামফলক পড়া আমার একটি নেশার মতো। সব পড়া যায় না, অনেকটি যায়। কিছু ফলক এতই পুরনো যে, পড়তে কষ্ট হয়। দিনের বেলা খুব একটা আনন্দদায়ক না হলেও, রাতের ট্রেনে যাওয়ার সময় ফলক চেনার পাশাপাশি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলোও দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। অপেক্ষাকৃত নিশ্চুপ শহরের স্টেশন আমায় আরও বেশি টানে। স্বল্প-রাতে নিবুনিবু হলদে আলোয় দোকানিরা তাদের শেষ ক্রেতার কাছে সদাই বিক্রি করছে।

বিস্তারিত»

সৈয়দ হককে মনে পড়ে

খবরটি শুনেই মনে হয়েছিল একসাথে হাজার তারার আগুন বুকের ভেতর ছুরি হয়ে বিঁধেছে। নিজেকে আকাশের মতো একা মনে হলো, মানুষ জন্মের আগে পৃথিবী যেমন একা ছিল, তেমনই একা মনে হয়েছিল। তিনি চলে গেছেন এ বাস্তবতাটি মেনে নেয়া আমার জন্য কঠিন ছিল। জানি না কেন। আমরা সবাই জানতাম তিনি চলে যাচ্ছেন; ডাক্তাররা তাই-ই বলেছিলেন। বললেই বা কী! ওনাকে কীভাবে যেতে দেই? এমন মানুষকে যেতে দেয়া যায় না।

বিস্তারিত»

অসুখের ছবি-

এবারে একেবারে জমকালো ঠাণ্ডা পড়েছে মেলবোর্নে।
এইটুকু লিখে মনে হলো, প্রতি বছরই কি এরকমই লিখি? নাকি এবারের ঠাণ্ডা আসলেই অনেক বেশি?
প্রতি বছরই মনে মনে প্রস্তুত থাকি, বছরে এক সপ্তাহ সর্দি-কাশি লাগিয়ে বসে থাকবো বাসায়। রুটিনের মত করেই। এবং ব্যস, ওই একবারই। তারপরেই আবার পুরো বছরের জন্যে মুক্তি।
কিন্তু এবারের ঠাণ্ডা আমাকে ভালোই বাগে পেয়েছে। মাসখানেক আগে সোনামুখ করে সপ্তাহখানেক সর্দি জ্বরে ভুগলাম,

বিস্তারিত»

লিয়েরি কনস্ট্যানটাইনঃ দাসের নাতি থেকে ব্যারন হয়েছিলেন যিনি!

[ব্যারন লিয়েরি নিকোলাস কনস্ট্যানটাইন ছিলেন বিধ্বংসী বোলার, বিদ্যুৎগতি সম্পন্ন ফিল্ডার এবং মারকুটে ও নির্দয় ব্যাটসম্যান! তাঁর টেস্ট পরিসংখ্যান তেমন সমৃদ্ধ নয় (১৯ গড়ে ৬৩৫ রান এবং ৩০ গড়ে ৫৮ উইকেট) যতখানি তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার (২৪ গড়ে ৪৪৭৫ রান এবং ২০ গড়ে ৪৩৯ উইকেট)। কিন্তু তাঁর অর্জন এবং অবদান শুধুমাত্র সবুজ মাঠের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ছিল!

বিস্তারিত»

মুক্তচিন্তা, চিন্তার মুক্তি নাকি মুক্তমন?

আমার বন্ধুদের ভাইবারে একটি গ্রুপ আছে। চব্বিশ ঘণ্টা আড্ডা চলে সেখানে। রাতে ঘুমানোর সময় নোটিফিকেশন বন্ধ করে করে রাখতে হয়। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বন্ধুরা। দেশে আমরা যখন ঘুমাচ্ছি, আমেরিকা-কানাডার বন্ধুরা তখন অফিসে যাচ্ছে; অথবা কেবল ঘুম থেকে উঠেছে। বেশিরভাগই ঠাট্টা-মশকরা ও কৌতুক লিখে পাঠায় সবাই। অনেক গুরুগম্ভীর জ্ঞানের আলোচনাও চলে হরদম। অনেকে আবার সে নিজে কত জানে তাও জাহির করতে চায়।
মাঝে-মাঝেই কেউ-কেউ ধর্ম নিয়ে কথা বলে বসে।

বিস্তারিত»

~ কথার ভাঁজে উপহার অপেক্ষমান সেই ছুরি ~

[ অল্প কবিতা অল্প গল্প ~ একটি ‘অকল্প’ ]

অনেক দিন কথা হয় না।
আট দিন এগারো ঘন্টা। একে কি অনেক বলে !
সব খবর ভালো তো ?
যেমন হয় আর কি।
অভিমান নাকি রাগ !
বলেছি !
রাগ তো বিশ্বের সুলভতম বিষয়টি বৈ অন্য কিছু নয়।
সেজন্যেই তো ওসব করা ছেড়েছি।
মন অবশ্য মানুষের সব দিন এক রকম থাকেনা।

বিস্তারিত»

জিদান – কিং অফ লিজেন্ডস

আচ্ছা সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? সবাই মারামারি শুরু করে দিবেন কে বড় তা নিয়ে। পেলে নাকি ম্যারাডোনা? কিন্তু যারা অন্ধ নয়, যাদের চোখ খোলা, তারা এই দুইজনের সাথে আরেকটা নাম নিশ্চিন্তেই যোগ করবেন- জিনেদান জিদান। বিংশ শতাব্দীর অবিসংবাদিত ফুটবল যুবরাজ।

আলজেরিয়ান দরিদ্র পরিবারে জন্মানো জিদান এর ক্যারিয়ার এর মূল পর্বটা শুরু যখন তার উপর চোখ পড়ে এ এস ক্যানসের ভ্যারার্ডের।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে জিদান যখন Bordeaux ক্লাবে,

বিস্তারিত»

একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে

যতই অনিচ্ছা থাক,
একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে।
চলে যেতেই হবে, অমোঘ নিয়মে,
এক অনন্ত যাত্রাপথে, আদেশভুক্ত যাত্রী হয়ে।

কেউ যেতে চায় না, তবু যেতে হয়।
চিরনিদ্রায় শুয়ে থাকতে সেই রেখাঙ্কিত সারিতে,
যেখানে ঘুমিয়ে থাকবে আরো অজানা অনেকে,
তবে কার পাশে কে ঘুমোবে, তা অজানাই রবে।

সব কিছুই থেকে যাবে। খোলা ধূলিমাখা ল্যাপটপ,
অগোছালো টেবিল,

বিস্তারিত»