রাধার প্রাণে কত ব্যাথা

“তুমি বুঝবে তখন নারীর বেদন
রাধার প্রাণে কত ব্যথা”

ইদানিং “ফেমিনিজম এবং কম্পারেটিভ লিটারেচার” নিয়ে কিছু একাডেমিক রিসার্চের কাজ করছি। মানুষের উপরে তার একাডেমিক চর্চার বেশ প্রভাব পড়ে। রিলেটেড যে কোন জিনিসই বেশ ভাবায়। আর মাথাটাও যেমন! চিন্তাগুলো ঘুরতেই থাকে, ঘুরতেই থাকে। এই যেমন, কিছুক্ষণ আগে আমার এক পুরোনো সিনিয়র ছাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা কবিতা শেয়ার করেছে। (আমি ইদানিং ছাত্র-ছাত্রী সকলকে নির্বিশেষে “ছাত্র” বলেই সম্বোধন করি,

বিস্তারিত»

ইটাখোলা মুড়া – কুমিল্লা

কুমিল্লা-কোটবাড়ি-কালির বাজার রাস্তা ধরে কালির বাজারের দিকে যেতে থাকলে বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (BARD)’র প্রধান গেট অতিক্রম করে হাতের ডানে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ দেখলেই থামুন। কলেজের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে একটি সরু রাস্তা উত্তরে এমনভাবে চলে গেছে যেন পাহাড়ে গিয়ে তা পথ হারিয়ে ফেলেছে। আপনি ঐ পথই ধরবেন, কিন্তু তার আগে উত্তরে আপনার দৃষ্টি প্রসারিত করুন। হ্যাঁ ইটের ভাটার মতো একটি স্থাপত্য দেখা যাচ্ছে নাহ!! সামনে ৫০ মিটার খানিক এগিয়ে চলুন,

বিস্তারিত»

~ শিকড় থেকে শিখর যাত্রার ইতিবৃত্ত ~

পনেরো থেকে আঠারো শতকে বিশ্ব জিডিপির ঊনত্রিশ শতাংশের উৎস ছিল মুঘল সম্রাজ্যের ভারতবর্ষ। সেই ভারতবর্ষের জিডিপির আটষট্টি শতাংশ জোগান দিত বাঙলা। মুঘল সম্রাজ্যের বানিজ্যিক রাজধানী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী বৃহৎ এক শহর ঢাকাকে ঘিরে পূর্ব বাঙলা এমনই প্রণিধানযোগ্য ছিল প্রায় চারশো বছর ধরে।

ঊনিশ শতকে বৃটিশ শাসনাধীন হলো যখন তখনও বিশ্ব জিডিপির বাইশ শতাংশ জোগান দিতো ভারতবর্ষ। অথচ বৃটিশরা যখন ভারতবর্ষ ছেড়ে যায় তখন বিশ্ব জিডিপিতে তাদের ভাগ নেমে আসে দুই শতাংশেরও নীচে।

বিস্তারিত»

ছবি ব্লগঃ জীবনের বৈচিত্র ও বৈপরীত্য (Diversity and contrariety of life)

আজ প্রত্যুষে ফজরের নামায শেষে হাঁটতে বের হই। পথে জীবনের কিছু বৈচিত্র ও বৈপরীত্য চোখে পড়ে। সেলফোনের ক্যামেরায় সেগুলোর কিছু ছবি তুলে রাখি।
শেষের দুটো জোড়া শালিকের ছবি গুগল থেকে নেয়া, বাকীগুলো আমার আইফোন দিয়ে তোলা।

“ঝরা পাতা গো, আমি তোমারি দলে।
অনেক হাসি অনেক অশ্রুজলে
ফাগুন দিল বিদায়মন্ত্র
আমার হিয়াতলে॥”

Oh the fallen leaves,

বিস্তারিত»

একটি হ্যাটের আত্মকাহিনীঃ

আমার নাম হ্যাট। আমার নামটি খুবই ছোট হলেও আমার পরিচিতি বিশাল এবং ব্যাপক, আমার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যও রয়েছে। আমি মানুষের শিরস্ত্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছি সে আজ থেকে নয়, সেই ব্রোঞ্জ যুগ থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে আমার প্রথম পরিচয় হিসেবে জানা যায় যে খৃষ্টপূর্ব ৩৩০০ সালে অস্ট্রিয়া এবং ইটালীর মধ্যবর্তী এক পাহাড়ী অঞ্চলে মাথায় হ্যাট পরিহিত ওজি (Otzi) নামের এক লোককে বরফে হিমায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়,

বিস্তারিত»

রূপবান মুড়া – কুমিল্লা

সে অনেক অনেক অনেক কাল আাগের কথা, বাপ-দাদাদের জম্মেরও মেলা আগে নিরাশপুর নামে যে এক দেশ ছিল, ঐ যে! যে দেশের রাজার নাম একাব্বর বাদশা। সে ছিল আটকুঁড়ে। আটকুঁড়ে বাদশার মুখ দেখলে রাজ্যের অমঙ্গল হয় তাই বাদশা স্বেচ্ছায় বনবাসে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রজা সকলের মঙ্গল কামনা করে যথা সময়ে বাদশা বনে নির্বাসিত হয়। একদিন গভীর বনের মধ্যে নিজের অজান্তেই, অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদশা ধ্যানরত এক সাধুর ধ্যানভঙ্গ করেন।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের মৃত্যু নেই

মানুষের মৃত্যু আছে। শিক্ষকের কি মৃত্যু আছে? মনে হয় না।

একবার আমার এক শিক্ষক আমার বর্তমান কর্মস্থলে শিক্ষক নিয়োগের ইণ্টারভিউ-এ এক্সটার্নাল সাব্জেক্ট এক্সপার্ট হিসেবে এসেছিলেন। রেজিস্ট্রার অফিসে বসেছিলেন। সন্ধ্যার পরে সিলেকশন বোর্ড বসবে। আমি বিকেলে অফিস আওয়ারের পরে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলাম তাঁর সাথে দেখা করতে। কুশালাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি মাহবুব!! পড়াতে টড়াতে পার কিছু?” আমি তো বেশ হতবাক হয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

টেলিভিশনে বিষয়বস্তুর খোঁজে

দু’হাজার দুই কী তিন সালের কথা। গিয়েছি এক বিদেশি রেডিওতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। রেডিওটি খবর-নির্ভর এবং সঠিক খবর দেয় বলে খ্যাতি আছে। ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন দু’জন – একজন বাঙালি এবং একজন পাকিস্তানি। বাঙালি আমার কাছে জানতে চাইলেন আমাকে যদি সেখানে চাকরি দেওয়া হয়, আমি নতুন কী করতে পারবো। আমি উত্তর দিয়েছিলাম, ‘জনমুখী কিছু অনুষ্ঠান চালু করতে হবে এবং সঙ্গীতের একটি প্রোগ্রাম প্রয়োজন।’ তিনি আমার দিকে চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন।

বিস্তারিত»

অনু কবিতাঃ নতুন ত্বক

লোকটার একটা গভীর ক্ষত ছিল।
সেই ক্ষতের উপরে কেউ একজন
এসেছিল নতুন ত্বক হয়ে।
সেই থেকে……
লোকটা খুব ভয়ে ভয়ে থাকতো,
কখন কে এসে ঘষে দিয়ে যায়!

ঢাকা
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

নিজের জন্যে শ্রদ্ধার্ঘ

কি? কি বললেন? নিজের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ লিখবেন। মানে আপনি আপনার জীবন-গাঁথা লিখে রেখে যাবেন আপনার মৃত্যুর পর পত্রিকায় ছাপার জন্য? কি বলছেন এসব? যা-তা, একেবারে! আপনার মাথাটা পুরোটাই গিয়েছে! মরনের ইচ্ছে হয়েছে নাকি আপনার?
ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সবাই আমি যদি বলি আমার মৃত্যু-পরবর্তী শ্রদ্ধার্ঘ আমি নিজেই লিখে রেখে যাব।
চিন্তাটি মাথায় এলো কয়েকদিন আগে যখন আমি আমার মায়ের জন্য একটি শ্রদ্ধার্ঘ লিখতে চাইছিলাম।

বিস্তারিত»

ধারাপাত ভুলে গেছি, পদ্য ভুলিনি

শৈশবে মুখস্ত করা ধারাপাত ভুলে গেছি,
নামতা ভুলে গেছি, পাটিগণিতের আর্য্যা ভুলে গেছি।
তবে মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর নাম এখনো ভুলিনি,
কারণ শৈশব থেকেই কবিতাকে মনে মনে ভালবেসেছি।

মায়ের শেখানো ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি’ কিংবা-
‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো’- এসব স্বপ্নীল পংক্তিমালা
এখনো বিস্মৃতির অতল গর্ভে হারিয়ে যায়নি, এখনো এগুলো
প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছে, কন্ঠে নিত্য আবৃত্ত হয়,

বিস্তারিত»

আজকে বিকাল

আজকে বিকাল
———————-

আজকে বিকাল কেমন জেনো

বিষন্নতায় ভরা,
মেঘলা আমার হিয়ার দেশে
বিষাদের বরষা।।

চিন্তামনির চিন্তা জুড়ে
কুহক কাকাতুয়া,
মোর-ভাবনার আনাচে-কানাচে
বেজায় যন্ত্রণা।।

ছোট খাটো স্মৃতি গুলো
ফুলে ফেঁপে হয় বিশাল,
ভাললাগায় প্রশ্নবোধক
ময়লা রং-এর বিকাল

বাপ্পী খান
২৫/০৮/২০১৭
মগবাজার
(Mustafiz/sb330/7th bcc)

বিস্তারিত»

আর্তনাদ বড় অসময়ে আজ

হাতের ব্যথা এখনও অনুভব করি সগৌরবে ।

REVERSE HOUR – এ এতোগুলা জুনিয়র যদি এত্ত গুলো push up দেওয়ায়, তবে কই যাবো? দুর্বল মানুষ এমনিতেই ।

হে কক্ষ নং ৭ অফ ৪৫তম ব্যাচ অ্যান্ড Monir Hasan ….. have I given you such টাইপ punishment !!!!

কিছু কষ্ট খুবই মধুর !!! খুবই পেতে ইচ্ছে করে ।।

আমি বলবো না- হে আমার ৪৪তম ব্যাচের সুখ- দুঃখের সাথী,,

বিস্তারিত»

এল ক্লাসিকো ও সম্ভাব্য একাদশ [২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ (শনিবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায়), রিয়ালের বার্নাব্যু তে]

এল ক্লাসিকো ও সম্ভাব্য একাদশ [২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ (শনিবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায়), রিয়ালের বার্নাব্যু তে]

=================================================================================

এল ক্লাসিকো । ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ (শনিবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায়), রিয়ালের বার্নাব্যু তে। অথচ চির প্রতিদ্বন্দী বার্সেলোনা এগিয়ে আছে বিশাল ব্যবধানে, ১১ পয়েন্ট (যদিও রিয়াল মাদ্রিদ এক ম্যাচ কম খেলেছে)। বার্সেলোনার জন্য একটা ড্র ই চলবে। আর জয় মানে রিয়াল কে শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে ফেলা,

বিস্তারিত»

“সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে … সহজ কথা যায় না বলা সহজে”

আচ্ছা, “ম্যানার্স” কি জিনিস? খায়? নাকি, মাথায় দেয়? ছোটবেলায় গুড ম্যানার্স, ব্যাড ম্যানার্স বুঝতাম না, শুধু “ম্যানারিজম” কথাটা নানান জায়গায় শুনে তার সাথে পরিচয় হয়েছিল। তাকে চিনেছি আরো পরে যখন জানলাম ম্যানার্স আর ম্যানারিজম এক নয়। আবার এও জানলাম ব্যাড ম্যানার্স আর ম্যানারিজমও নাকি হুবহু একই বিষয় নয়।

যাকগে, বছর বিশেক মাষ্টারি করার পরে নাকি কোর্টে আর স্বাক্ষী নেয় না। আমার হয়েছে পনেরো বছর।

বিস্তারিত»