ঘুম -ময়মনসিংহ পর্ব

ক্লাস নাইনে থাকতে একদিন সকাল বেলায় ঘুম থেইকা উঠার মিনিট পাঁচেকের মাঝে সেইরকম একখান থাবড়া খাইসিলাম।আমার জানের জান রুমমেট লুনা মারসিল।কারণ কিন্তু কিছুই না, তারে ঘুম থেকে উঠার জন্য অনেক্ষন ঘ্যানঘ্যান করতেসিলাম। B-)   আমার ক্লাসমেট দের একজন আবার ক্লাস সেভেন এ ৭ দিনের টার্ম এ গাইড আপা ঘুম থেকে ডাকছিল দেখে হেব্বি ঝাড়ি মেরে হাত দিয়ে ধাক্কা দিসিল,কিন্তু ব্যাড লাকের কপাল খারাপ দেখে ওই আপা ছিল অতিশয় টিংটিঙে …..ফলাফল আপা বাড়ি খাইসিল লকারের দরজায়,পরের কাহিনী আর নাটকএর পাত্র পাত্রী ……থাক, আপাতত অফ যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ।

সামিয়া ঘুম নিয়ে একটা মিনি সাইজ এর পোস্টে মনে হয় ওর ঘুমের সুখ্যাতি করসিল,আমি এবার চান্স পাইসি,আবার করি। সামিয়া আর সামিয়ার যোগ্য রুমমেট ফারানার ঘুমের কারনে আমরা যারা ওদের পাশের রুম এ থাকতাম,প্রায় ই প্যারেড এ গিয়ে খেয়াল করতাম,২-৩ বার করে ওদের ডেকেও শেষ পর্যন্ত আর গ্রাউন্ড এ নামেনি, তখন জিকির করতাম যে আল্লাহ এবারের মত ছাড়ান দাও,আজ যেন অ্যাডজুটেন্ট কাউন্ট করে ঝামেলা না করে। যাই হোক, টেস্ট এর ফিজিক্স পরীক্ষার আগের রাতে সামিয়া অনেক দেরিতে ঘুমাইছে,সকালে লুনা ডাকতে গেসে, সামিয়া রাজ্যের যত বিরক্তি নিয়ে বলে কি, “উম উম…যাও ……যাও…..সব শেষ ।ফিনিশিং টাচ দিচ্ছি”

গার্হস্থ্য পরীক্ষা গুলা যে কি পরিমাণ অসহ্য বোরিং ছিল,এখন  মনে পড়লেই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিই। তখন ক্লাস সেভেন এর ফাইনাল পরীক্ষা, সোনিয়া ম্যাডাম গার্ড । এক ক্লাসমেট কখন যে ঘুমায়ে গেসে,আমরা কেও খেয়াল করিনি,সব চুপচাপ, হঠাৎ জোরে সাউন্ড “ঘোৎ ফরররর” … :)) আমরা  সবাই একযোগে তাকায়ে দেখি _____ ঘুমাচ্ছে শান্তি তে আর পাশ ফিরতে গিয়ে বেকায়দায় নাক ডেকে ফেলসে…

থার্ড প্রেপ এর লাস্ট এর আধাঘণ্টা ছিল ঘুমের পিক আওয়ার… যতই প্রেপ গার্ড আপা বারবার চোখে পানি দিতে পাঠাক না কেন আমরা গোটা পাঁচেক তাও ঢুলতাম শেষ পর্যন্ত  ,একদিন প্রেপ গার্ড আপা একটু বাইরে গেসে কি জন্য যেন,সেই ফাঁকে সবাই চিল্লাপাল্লা করে জুনিওর ব্লক মাথায় তুলে ফেলসে, কিছুক্ষন পর ওই আপা ফিরে এসেই হুঙ্কার,ক্লাস নাইন,সবাই ডেস্কের নিচে মাথা ঢুকায়ে দাঁড়ায়ে থাক বেল পড়া পর্যন্ত ।বেচারা তিশা ঘুমাইতেছিল,কিসু শুনেনাই…চেয়ার টানার আওয়াজে ঘুম ভাঙছে, হুড়মুড় করে দাঁড়ায়ে কি করবে বুঝতে পারেনাই, ডেস্কের ডালা তুলে তার মাঝে মাথা ঢুকায়ে দিসে,ওর পিছনে আমরা যারা এই কাহিনী দেখে হাসি চাপাইতে পারিনাই,তারা আবার হাউসে গিয়ে পাঙ্গানি 😕

একবার সেঁজুতি গ্রাউন্ড থেকে এসে ঘুমাইছে,হুইসেল এর সাউন্ড এ ঢুলতে ঢুলতে নিচে নামছে,সামনে  ডিউটি মাষ্টার স্যার, জামালী স্যার ওরে থামাইছে,জিজ্ঞেস করে,মা এই ড্রেসে কোথায় যাচ্ছ? সেঁজুতি চোখ ডলতে ডলতে বলে,স্যার গ্রাউন্ড এ।স্যার অবাক হয়ে বলে কি, এখন তো ব্রেকফাস্ট .. আমরা ও ততক্ষনে নিচে নামছি, অবাক হয়ে দেখি সেঁজুতি নাইট ড্রেস এর সাথে অক্সফোর্ড পায়ে নেমে গেছে……

আরেক ক্লাসমেট  প্রেপ এ অতি শৈল্পিক ভাবে ঘুমাত, ঘুম কাটানোর জন্য চোখ এ পানি দিয়ে আসার সর্বোচ্চ বিশ মিনিটের মাথায় সরল ছন্দিত স্পন্দনে ঢুলা শুরু করত, কিছুক্ষন পরপর মাথা সোজা হত আর তারপর ই ঘাড়  ঝুলে পড়ত…তাই ওর নামই  হয়ে গেসিল সরল দোলক ,কোন ক্লাসমেট এইডা আর না কই,  ;))   আমার ঘাড়ে  তো একটি মাত্রই  মাথা

জামি বসতো আমার পাশে, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যাই হোক, প্রেপ এ ঘুমাবেই। যদি কোন জাঁদরেল টিচার প্রেপ ডিউটি তে থাকত। তো জানালা দিয়ে উনাদের মুখ দেখামাত্রই আমি জামি রে খোঁচা মারতাম, খোঁচা খেয়েই জামি আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে একখান কেলানি দিত,তারপর কইত,ঘুমাচ্ছিলাম না রে সুষম,তারপর গভীর মনোযোগে পা দুলাইতে থাকত ,আর কিছুক্ষন পর আবার ঘুম :((

ইতিহাসের হাসিনা ম্যাডাম দেখতে যত টা সুন্দরী, উনার ভয়েস ছিল সমানুপাতিক হারে বাজখাই ।আমি সেদিন প্রেপ গার্ড গেসি ক্লাস সেভেন এ ।এক মিনিপ্যাকেট সাইজের পিচ্চি অনেক্ষন ধরে ঘুমাচ্ছিল,দুইবার তাকে ডেকে আমি হাল ছেড়ে দিসি,কিছুক্ষন পর হাসিনা ম্যাডাম রাউন্ডে আসছে, ফর্ম এ ঢুকে উনি ওই পিচ্চির ডেস্কের সামনে গিয়ে বাজখাই একটা চিৎকার দিসে,অই পিচ্চি কি ঘুম যে ঘুমাইতেসিল আল্লাহ মালুম,বাকি সবাই চমকে উঠছে,আর ওই স্লিপিং বিউটি বিড়বিড় করে ডেস্ক থেকে মাথা না তুলেই বলে- “হাসিনা,দুর হ চোখের সামনে থেকে,জালাতন করবি না”…আমরা সবাই থ… ম্যাডাম কি বলবে বুঝতে না পেরে ওই মেয়ে কে  সাথে করে কই জানি নিয়ে গেল……… পরে কাহিনী জানা গেল,ওই পিচ্চির বাসায় একটা মেয়ে কাজ করত, যার নাম হাসিনা, ওই পিচ্চি কে ঘুম থেকে উঠানোর মহান দায়িত্ব হাসিনাই পালন করত।

ক্লাসে ক্যাডেট রা যেই হারে ঘুমায়,এটা শিল্পের পর্যায়ে  চলে গেসে…কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথম প্রথম ঘুমাইতে গিয়ে ক্লাস এ বেকুব হইতাম । ভার্সিটি তে ফার্স্ট সেমিস্টার এ  ক্লাস এ ব্যাপক আরামে ঢুলতেসি।হঠাৎ দেখি সব চুপ, স্যার শুদ্ধা ক্লাসের সবাই আমার দিকে হা করে তাকায়ে আছে, আমি কোনরকম লাজুক হাসি দিয়ে ঘটনা চাপা মারার ট্রাই নিলাম,  B-)   ওমা দেখি কয়েকজন আমার দিকে চিড়িয়া দৃষ্টি তে তাকায়ে আছে…কালের বিবর্তনে বেশিরভাগ ই  অবশ্য এই মহৎ গুণ টা কয়েক টার্ম পরেই আয়ত্ত করে ফেলসিল… আফটার অল, ইস্টুডেন্ট বলে কথা……

 

৪,৪৮২ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “ঘুম -ময়মনসিংহ পর্ব”

  1. শরিফ (০৩-০৯)

    ভার্সিটিতে আমার রোল নং ১তাই প্রথম কমেন্ট টা আমিই করলাম । 😀
    হেব্বি লিখছেন । :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:

    “হাসিনা,দুর হ চোখের সামনে থেকে,জালাতন করবি না”

    :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
    আপনার এই লেখা দেখে আমার ঘুম পাচ্ছে । :guitar: :guitar:
    :just: এই রকম লেখা ধরে রাখবেন । আবার দিবেন ।
    :hatsoff:

    জবাব দিন
  2. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    আফটার অল, ইস্টুডেন্ট বলে কথা……

    অতি খাটি কথা। আমি গত ১ বছর যাবত, অলমোস্ট প্রতিটা সেন্ট্রাল ক্লাশে-ই ঘুমাইতেছি...। আহা... সে কি আরাম এই সব ঘুমে... বয়স, অবস্থান যাই হোক না কেন, সুষমার সাথে আমিও এক মত।

    সুষমা,
    লেখা সুন্দর হইছে। সামিয়ার ঘুমের গল্প মনে হয় আমি মিস করছিলাম... বিস্তারিত জানা যায় কেমনে?

    জবাব দিন
  3. রেজা শাওন (০১-০৭)

    ডিসিপ্লিনের এই হাল ছিল কলেজে? ক্যাডেট ফলিন বাদ দিয়া হাউসে ঘুম...!!

    একজন প্রাক্তন ডিসিপ্লিনড ক্যাডেট হিসেবে, এই পোস্ট দেখার পর যারপনাই মর্মাহত বোধ করছি...!! 😛 😛

    জবাব দিন
  4. ওয়াসিম

    আপু,
    আপনাদের এই হাসিনাতুল জান্নাত পরে আমাদের সিলেট আসছে।
    আমরা তিন জন ছিলাম arts ।
    এর মাঝেও ঘুমাইয়া স্বপ্ন দেখতাম।
    ব্যাপক পেইন দিসে আমাদেরকে।
    আপনার লেখাটা পড়ে কলেজের ঘুমের কথা মনে পরে গেল :boss:


    Mr. Nobody.

    জবাব দিন
  5. নাজমুস সাকিব অনিক (০৩-০৯)

    এইসব ছিঁচকে ঘুমে কাজ নাই...প্রেপে ঘুম আসলে সোজা গ্যালারীর লাস্ট বেঞ্চে গিয়ে টেস্ট পেপার মাথার নিচে দিয়ে ঘুম... আহা...সেইসব দিন... :dreamy:

    অনেক সুন্দর হয়েছে আপু...নিজে বসে বসে বেশি একটা ঘুমাতে পারতাম না...কিন্তু ফ্রেন্ডদের অনেক কাহিনী মনে পড়ে গেল... :thumbup:

    জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আহ ঘুম.........।।

    ক্যাডেট, ইউনি পার করে এখন আমি অফিসের ডেস্কে বসে ঘুমাই,

    চেয়ারে বসলেই আমার চোখ দুটো ঢুলে ঢুলে আসে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    কমেন্ট করার ইচ্ছা থাকলেও কিছু করার নাই ঘুম আইতাছে যাই ঘুমাই :-B


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  8. মোর্শেদ (৯৮-০৪প.ক.ক)

    এক আফটারনুন প্রেপ শুরুর বেল দেয়ার আগেই ডেস্কে মাথা রাইখা ঘুমাইয়া গেলাম। বায়োলজী ডিপার্টমেণ্টে মোশাররফ হোসেন স্যার দেখে ডাক দিল। বলল একটা মোটা বই নাও। ফর্মের চেয়ার শেষ হওয়ার পর পেছনের ফাকা জায়গায় বলল বইটাকে বালিশ বানাইয়া শুইয়া ঘুমাও। আমি কিছুক্ষন গাইগুই করলাম।স্যার ঝাড়ি মাইরা শোয়াইয়া দিল। বলল পুরা প্রেপ এভাবেই থাকবা। আমি বাধ্য ছেলের মত শুইয়া পড়লাম। কিছুক্ষন পর ঘুমাইয়াও পড়লাম। স্যারের আর আমার আরাম টা সহ্য হইল না। অনেকক্ষন পিটাইলেন। 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁


    মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ

    জবাব দিন
  9. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আহা! কত কথা মনে পইরা গেল, সুষমা... তবে আমি ছিলাম স্নুজ মোডের অ্যালার্ম ক্লক... কাউরো ঘুম ভাঙ্গানোর কাজটা অতি দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতাম 😀


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  10. সামিয়া (৯৯-০৫)

    দিদি, হাসতে হাসতে পেট খারাপ হয়ে গেলো। মনে আছে, ডিনার প্লাস প্রেপে যাই নাই আমি আর ফারানা...কি বকাটা খাইসিলাম... 😛 বাপ্রে বাপ...
    ইসশশ... নয়টা পঞ্চান্ন নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলা যায়...

    জবাব দিন
  11. আমাদের ইংরেজীর মোস্তাফিজ স্যার অতিশয় ভালো মানুষ ছিলেন। খালি একটু আধটু....ছিল। যাইহোক উনি আবার ক্যাডেটদের কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। দরদ উতলায় পড়ত। প্রেপে যারা ঘুমাতো, উনি তাদেরকে গভীর ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলতেন “বাবা ঘুমাচ্ছিলি?” যদি উত্তর আসত “হ্যা”। তাহলে তিনি আবার বলতেন “বাবা তাহলে ঘুমা।”

    একবার আমার রুমমেট +ব্যাচমেট মশি এমন ঘুম দিছিল যে, সে কখন খাট থেকে পড়ে গিয়ে খাটের নিচে অবস্থান করছিল। তা বেমালুম টের পায় নাই। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সে খাটে নাই। অনেকক্ষন পর টের পেলাম খাটের নিচ থেকে আওয়াজ আসছে। চেয়ে দেখি মশি খাটের তলা থেকে খাট ঠেলছে। ব্যাপার কি? মশি কে টেনে বের করলাম। মশি ঘুম ঘুম চোখে বলছে “শালার আকাশ এতো নিচে নামলো কেমনে? এতো ঠেলি তবুও উপরে উঠে না”

    জবাব দিন
  12. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পোস্ট পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম।

    টেস্ট পরীক্ষার সময় নাক ডাকা ঘুম দিয়া আমাদের রেজওয়ান সবাইরে হতবাক করছিলো। টের পাইলাম দলে সে একা না।

    ঘুম রে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছিলাম আমি। এইখানেও ক্লাশে ঘুমাইছি সেই শিল্প দিয়াই। পরে টের পাইছি মজা। কারণ ঐটা আমার সুপারের ক্লাশ আর আমার সুপার হইলো এফসিসির নূপুরদার ব্যাচমেট। উনি সবই টের পাইছে। 🙂

    জবাব দিন
  13. রিদওয়ান (২০০২-২০০৮)

    পোস্টটা আমার দারুন লেগেছে। ক্লাস সেভেনে আমাদের ইনটেকে আমি সবচাইতে বেশি টিজ খাইছি ফর্মে ঘুমানর জন্য। 😛 ইভিনিং প্রেপ(থার্ড প্রেপ) এও আর কেউ না ঘুমাক আমি ঘুমাইতাম। শেষে কোন প্রেপ গাইড আমাকে ডাকত না।

    জবাব দিন
  14. ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০)

    দুঃখের কথা আর কী বলবো, আমি হইলাম সেই বিরল ক্যাডেটদের একজন যে বিছানা ছাড়া অন্য কোথাও ঘুমাইতে পারেনাই :(( :(( :((
    প্রেপ, ক্লাস, অডিটোরিয়াম, মসজিদ............ কোত্থাও না......... ~x( ~x( ~x(


    যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

    জবাব দিন
  15. নাবিলা (৯৯-০৫)

    "......খোঁচা খেয়েই জামি আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে একখান কেলানি দিত,তারপর কইত,ঘুমাচ্ছিলাম না রে সুষম,তারপর গভীর মনোযোগে পা দুলাইতে থাকত ,আর কিছুক্ষন পর আবার ঘুম...."..প্রতিদিনের ঘটনা ছিল... কে জানি ঘুমের মধ্যে চেয়ার উল্টায় পড়ে গেসিল! মনে পরতেসেনা

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।