এই বোশেখের চাওয়া

এই বোশেখের চাওয়া

এই বোশেখে আর কিছু নয় চাওয়া-
জানালাগুলো একটু খোলা রেখো।
দখিনপানের মাতাল প্রেমিক হাওয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গালে দেখো;
মেঘপুকুরে চাঁদ দিয়েছে ডুব,
বিজলী আঁধার ভাঙছে ক্ষণে ক্ষণে।
হাস্নুহেনা ঘ্রাণ ছড়ালে খুব
আমার কথাই পড়ুক তোমার মনে।
আকাশ হতে নীল গিয়েছে চলে,
দিঘীর জলেও তার ছায়াটি নেই;
মেঘমেয়েদের ওড়নাগুলোর তলে
নীল তারাটি জ্বলছে তবু সেই।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি ও বিভ্রম

বৃষ্টি ও বিভ্রম

বাস ফেরিতে ওঠার পর পরই লাবন্য আর বাদল ফেরিতে নেমে পড়েছিল । নদীতে তখন বৃষ্টি ঝরছে। কখনও জোরে কখনও থেমে থেমে, বাতাসে একেকবার তেরসা হয়ে ফেরির ভেতর ঢুকে পড়ছে, বৃষ্টির ছাঁট।সেই বৃষ্টির ঝাপ্টা খারাপ লাগছিল না বাদলের। সে বলল, “মনে হচ্ছে ছোট বেলার মত ছোঁয়া ছুঁয়ি খেলি। কত দিন পর এমন বৃষ্টিতে তোকে পেলাম”।

লাবন্য বলল, “বেশি ছুঁতে এসোনা,

বিস্তারিত»

হাজী খাজা শাহবাজ মসজিদ ও সমাধি -ঢাকা

হাজী খাজা শাহবাজ

হাজী খাজা শাহবাজ মুঘল আমলে ভারতের কাশ্মীর থেকে বনিক হিসাবে বাঙলায় আগমন করেন। একজন সফল সওদাগর হিসাবে অচিরেই তিনি ঢাকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলে তিনি ‘মালিক-ই-তুজ্জার’ বা ‘ব্যবসায়ীদের চূড়ামনি/সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী’ উপাধি ও ঢাকার টাইকুন হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী শহরতলী টঙ্গী এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। বাঙলায় যখন মুঘল নৃপতি আওরঙ্গজেবের (রাজত্বকালঃ ১৬৫৮-১৭০৭ খ্রীঃ) ৩য় পুত্র সুবাহদার শাহজাদা মুহম্মদ আযমের শাসন (১৬৭৮-৭৯ খ্রীঃ) চলছিল সেই সময় ১৬৭৯ খ্রীঃ তিনি একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

বিস্তারিত»

শেষ বিকেলের রোদে কিছু হাঁটাহাঁটি…. শুরু হতে না হতেই ফুরিয়ে এলো নিমেষে!

এখন অগ্রহায়ণ মাসের শেষ ক’টা দিন চলছে। এসব দিনে বিকেল বলতে কিছু থাকেনা। মধ্যাহ্নভোজের পর এটা সেটা করতে করতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। বিকেলটা কখন হারিয়ে যায়, টেরই পাওয়া যায় না। এসব দিনের হ্রস্বতার কারণে দৈনন্দিন অনেক কাজই আমি সময় মত সমাপ্ত করতে পারিনা, ফলে কেমন যেন একটু অস্থিরতায় থাকি। এ নিয়ে একটি কবিতাও লিখেছিলাম, বছর তিনেক আগেঃ
হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা


Radiant …..

বিস্তারিত»

টেঙ্গা মসজিদ – শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

বঙ্গের বীরপুত্র, বাংলার বারভূইয়ার অগ্রগণ্য, যশোরাধিপতি মহারাজা প্রতাপাদিত্যের (রাজত্বকাল ১৫৮৪ খ্রীঃ – ১৬০৯ খ্রীঃ) নৌ-বাহিনী প্রধান খোজা কমল/খাজা কামাল রাজধানী ঈশ্বরীপুরে একটি ‘টেঙ্গা’ প্রতিষ্ঠা করেন। টেঙ্গা ফার্সী শব্দ যার অর্থ ‘সেনাছাউনি/ছাউনি’। ছাউনি থেকে আধা কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে যাওয়া কদমতলী নদীর পাশে এবং নিকটবর্তী ধুমঘাট নৌ-দূর্গের সৈনিকদের জন্য এই ছাউনি গড়ে তোলা হয়েছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। তার বাহিনীতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধর্মাবল্বীদের মধ্যে মুসলমান সৈনিকরাও ছিল।

বিস্তারিত»

সে জানতো…

পাকা ফল হয়ে সে ঝুলে ছিলো।
যে কোন সময়ে…
টুপ করে ঝরে পড়ার অপেক্ষায়।
কতটুকু কাঁপুনি হলে সে ঝরে পড়বে-
তা মাপার জন্য কোন রিখটার স্কেলের প্রয়োজন নেই,
সে জানতো…

শুধু একটু শিরশিরে বাতাস…
কিংবা একটি ক্ষুদ্র পাখির চঞ্চুচুম্বন,
ব্যস, এটুকুতেই সে ঝরে পড়তে পারে-
সে জানতো।
অন্তঃসারশূন্য, কীটাক্রান্ত ফল মাটি ছাড়া কেউ খায় না,

বিস্তারিত»

“লাভ কঙ্কারেথ অল”

সমসাময়িক কিছু ঘটনায় খণ্ড-খণ্ড চিন্তাপ্রসূত নিচের পয়েণ্টগুলোকে আর কম্পাইল করতে ইচ্ছে হলো না।

১. ছাত্রদের নকল ধরার চেয়ে পরীক্ষার হলে একজন শিক্ষকের উপস্থিতি এমন হওয়া উচিত যাতে করে কেউ নকল করতেই না পারে।

২. নকল বা নকলের প্রমান বা যথেষ্ট সন্দেহ জাগায় এমন মুহূর্তে এক্সপালশন ছাড়াও নানা পন্থায় শাস্তি দেয়া যেতে পারে। যেমন, একটা দীর্ঘ সময় খাতা আটকে রাখা, মূল খাতার পুরোটা কেটে দেয়া &

বিস্তারিত»

গল্পঃ ব্যতিক্রমী ঘুষ

তাজুল হক আর নূরুল হক এক পাড়ায় থাকতো। বয়সে নূরুল হক ওরফে নূর ভাই তাজুলের চেয়ে কয়েক বছরের বড়। বয়সের ঐটুকু পার্থক্য তখন কোন ব্যাপার ছিল না। ৫/৬ বছরের ব্যবধানের মধ্যে পাড়ার ছেলেপুলেরা একসাথেই ঘোরাফিরা করতো, খেলাধুলা করতো, পাখি ধরতো, লাট্টূ-ডাংগুলি খেলতো, আবার দুষ্টামিও করতো। এমনকি ঐ পার্থক্য সত্তেও তাদের সবার মাঝে তুই তুকারি সম্পর্কও ছিল। ওরা সবাই নিম্ন মধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে ছিল, তবে আর্থিক স্বচ্ছলতার দিক দিয়ে তাজুলদের অবস্থা অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশীই খারাপ ছিল।

বিস্তারিত»

খাজা আম্বর মসজিদ –ঢাকা

শূরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতবর্ষের সম্রাট শেরশাহ শূর (১৫৪০ খ্রীঃ – ১৫৪৫ খ্রীঃ) সুলতানী বাঙলার রাজধানী সোনারগাঁও থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুলতান পর্যন্ত ৪,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘সড়ক-ই-আযম’ বা ‘গ্র্যান্ড ট্রাক রোড’ নামে এক মহাসড়ক নির্মাণ করেছিল। আমরা সবাই জানি, তিনিই প্রথম ঘোড়ার ডাকের ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্রূত সংবাদ আদান-প্রদান, পথচারীদের নিরাপত্তা ও রাত্রিযাপন, সংবাদবাহকের ঘোড়া বদল ইত্যাদি কারণে এই সড়কে কিছু দূর পর পর তার প্রশাসন নিরপত্তা চৌকি ও তৎ-সংলগ্ন সরাইখানা স্থাপন করেছিল।

বিস্তারিত»

আপন কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান জ্যোতিষ্ক

মহাশূন্যের অনন্ত অন্তরীক্ষে আমরা সবাই
একেকটি ঘূর্ণায়মান জ্যোতিষ্ক।
জন্মাবধি আপন কক্ষপথ ধরে ঘুরছি সবাই;
কখনো একাকী, কখনো যুগলবন্দী, আবার
কখনো গুচ্ছদলে আবদ্ধ গ্রহানুপুঞ্জের মত
হাত ধরাধরি করে। একবার হাত ছুটে গেলে
ছিটকে চলে যাই বহু দূরে, দূর হতে দূরান্তরে,
নতুন কোন কক্ষপথ বেয়ে।

আমাদের পথ হয়ে যায় ভিন্ন। ভিন্ন পথগুলো
ঘুরতে ঘুরতে যদিওবা কখনো
খুব কাছাকাছি চলে আসে,

বিস্তারিত»

বন্ধুপর্ব-১

আচ্ছা, ভদ্রলোকের সংজ্ঞা কি? এই জাতীয় মানুষদের কি আসলে কখনো সংজ্ঞায়িত করা যায়? মনে হয়, তা কখনোই করা যায় না। তবে হ্যা, আমরা প্রায়ই বলে থাকি, সে/তিনি একজন ভদ্রলোক। মনে তো কত প্রশ্নই আসে। ভদ্রলোকেরা কি পাব্লিসিটিতে নামেন? নাকি নীরবে নিভৃতেই কাজ করে যান? আমার তো মনে হয়, সময়ই তা বলে দেয়। ডানপিটে স্বভাবের মানুষের দ্বারা যেমন প্রকাশ্য প্রতিবাদ কিংবা সরব আন্দোলনে পরিবর্তন হয়, আবার অপর পক্ষে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাওয়া এই মানুষদের ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যাওয়ার মধ্য দিয়েই কিন্তু আসে বাস্তব মানের পরিকল্পনা এবং তা/সেগুলো বাস্তবায়নের পথনির্দেশনা।

বিস্তারিত»

উয়িহ, ইমরান এবং বাংলাদেশের মাশরাফী!

জর্জ উয়িহ’র লাইবেরিয়া, ইমরান খানের পাকিস্তান এবং মাশরাফীর বাংলাদেশের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

উয়িহ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন লাইবেরিয়ার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ (Second Liberian Civil War) সমাপ্ত হবার পর। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত এবং তুমুল জনপ্রিয় একজন ফুটবলারের পক্ষে সফলতার সাথে নতুন দল গঠন করা যতটা সহজ, একটি স্ট্যাবল দেশে সেটি মোটেও সহজ নয়। সত্যি কথা বলতে এটি প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।

একই কথা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

বিস্তারিত»

গান নয়, প্রেমের চিঠি

প্রেয়সী,

কেমন আছো? আমি ভালই আছি, বললে ভুল বলা হবে। আমি যেনো কেমন পাথরের মত নির্লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি। মগজের ভিতরের সুক্ষ অনুভূতিগুলো কেমন যেনো শ্যাওলা জমা ছত্রাকের মত নিথর হয়ে পরেছে। আমি জানিনা কোন ঠিকানায় এই চিঠি পাঠাবো, কিন্তু লিখতেতো কোনো অসুবিধা নাই। তাই না? হৃদয়ের অলিন্দ নামক স্থানে আনকোরা এক অনুভূতি আজকাল বোধ হচ্ছে। সেখানে কোনো আশার আলো আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন ফ্যান্টাসি । পর্ব ১ : “অন্তর্ধান”

পুরো কলেজে থমথমে অবস্থা। পিটির ফলইন, পিটি হচ্ছে না। এমনটা না যে বৃষ্টি পড়ছে, অথবা ওয়াকিং দেওয়া হয়েছে। জাস্ট পিটি হচ্ছে না। কলেজের ৩০০ জন ক্যাডেট পিটির ফলইনে এই ভোর ৫ টায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে জবুথবু ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কারন, ক্লাস সেভেনের একটা ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এই শীতেও স্টাফদের শরীর ঘামে ভিজে গেছে। সিএসএম স্টাফ এডজুটেন্ড স্যারের সামনে তোতলাচ্ছেন। বাকি স্টাফরা নজরুল হাউসের ফলইনের সামনে দাঁড়িয়ে।

বিস্তারিত»

দত্তক

আমি অনেক ছোট । আমার বয়স তিন বছর। কিন্তু আমার মাথায় অনেক বুদ্ধি। আমরা থাকি শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি বহুতল ভবনের তিন তলায়। শহরে থাকলেও আমাদের পরিবার কিন্তু যৌথ পরিবার। সকালের আলো ফুটতেই কাজিনরা সবাই চলে আসে বড় হলরুমটাতে। বসে খেলাধুলা আর চিৎকার চেঁচামেচির আসর। রীতা খালামনিই আমাদের সবচেয়ে বেশী আদর করে। আমাদের খাইয়ে দেয়, ঘুম পাড়ায় আবার শাসনও করে। সারাটা দিন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে কেটে যায়।

বিস্তারিত»