১।
লোকটা মুচী না হয়ে, কোনো মাসাজ পার্লারেও কাজ করতে পারতেন! এমন সুনিপুণ হাতে জুতার উপর ব্রাশ ঘষছেন যে, আরামে জুতা যখন তখনই ঘুমিয়ে যেতে পারে। মুচী জনার্দন হলের কাছের ক্যাম্পাসের এ পাশটায় বেশ পরিচিত মুখ। তার হাতে পালিশ করা জুতা পরে, কত পদযুগলের মালিক আজ সমাজে উঁচু পদে অসিন হয়েছেন!
আজও যেমন একজনের ইন্টার্ভিউ। তার কাছেই জুতা পালিশ করাচ্ছে।
জনার্দনের বুট পালিশের সুগন্ধে একটা মাছি সেই তখন থেকেই পেরেক ঠোকার হাতুড়িটার উপর বসার চেষ্টা করছে।
‘আপনার সন্তানকে ক্যাডেটে দেবেননা’ শীর্ষক ব্লগের প্রতিক্রিয়া
১।
এবার বিশ্বকাপে জার্মানি প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ায় আমরা বেশিরভাগই উল্লসিত হয়েছি। আর্জেন্টিনা (’৯০ ও ২০১৪ ফাইনালে পরাজয়) বা ব্রাজিলের (২০১৪ সালের কুখ্যাত ১-৭ পরাজয়) সমর্থকের তাও কিছুটা কারণ আছে, অন্যান্য দেশের সমর্থকদের উল্লসিত হবার কারণ কী? পরবর্তী রাউন্ডে সহজ প্রতিপক্ষ পাবে এই ভেবে? হ্যাঁ, এটি একটি যুক্তি। কিন্তু যুক্তিটি তেমন জোরালো নয়।
মূল কারণ হচ্ছে Schadenfreude, পরিহাসের মত শোনালেও শব্দটি জার্মান।
বিস্তারিত»পৃথিবীর সেরা শার্ট!
বাবা যখন বাক্স থেকে বের করলেন সেই মুহূর্তেই আমি আর আমার ছোট ভাই ঠিক করেছিলাম-একবার পড়তে পারলে হয়, এই জিনিস আর গা থেকে খুলছি না!
বাবা যখন বাক্স থেকে বের করলেন সেই মুহূর্তেই আমি আর আমার ভাই ঠিক করেছিলাম-একবার পড়তে পারলে হয়, এই জিনিস আর গা থেকে খুলছি না!
অবশ্য, বাক্সটা যেদিন আমাদের সুইজারল্যান্ডের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছল সেদিন কিছু বুঝতে পারি নি।
বিস্তারিত»সহমর্মিতা, শিষ্টাচার এবং ভব্যতার নান্দনিক দৃষ্টান্তঃ
গতরাতে ইংল্যান্ড আর কলাম্বিয়ার খেলাটা টান টান উত্তেজনা নিয়ে ১-১ গোলে শেষ হলো। ঘরোয়া আলোচনায় কেউ কেউ রেফারীর বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনছিলেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের পক্ষে দেয়া ঐ পেনাল্টি কিকের বৈধতা নিয়ে। আবার কেউ কেউ কলাম্বিয়ার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অত্যধিক ফাউল করে খেলার অভিযোগ আনছিলেন। এসব আলোচনা সমালোচনার মাঝেই পেনাল্টি শুট আউট শুরু হলো। প্রথম মিসটা অবশ্য একজন ইংলিশ খেলোয়াড়ই করলেন। তারপরে একই অকাজ করলেন কলাম্বিয়ার দু’জন খেলোয়াড়।
বিস্তারিত»আত্মকথনঃ শখের তোলা আশি টাকা
লেখাটা গত রাতে লিখেছি; রাত বারটার পরে এখানে পোস্ট করা হলো।
১. শুরুতেই সঙ্গীত শিল্পী/বোদ্ধা এবং শচিন-ভক্তদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
২. বেশ খানিকটা ধৃষ্টতা হয়ে গেল। একালে শচিন দেব বর্মনের যে কয়জন ভক্ত বর্তমান, আমার জানামতে তাদের মধ্যে আমার বাবা (বাপিমনি) এক নম্বরে, আর দ্বিতীয়টা মনে হয় আমি। ভাগ্যিস বাপিমনি ফেসবুকে নেই; থাকলে আমার “গর্দান চলে যেত”
বিস্তারিত»ব্রাজিল প্রি-ম্যাচ প্রিভিউঃ ব্রাজিল বনাম মেক্সিকোঃ রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮:
ব্রাজিল প্রি-ম্যাচ প্রিভিউঃ ব্রাজিল বনাম মেক্সিকোঃ রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮:
==================================================================
রাউন্ড অফ সিক্সটিন (নক-আউট) পর্বে আজ বাংলাদেশ সময় ০২ জুলাই ২০১৮ (সোমবার), রাত ৮টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো।
ব্রাজিলের যেরকম আক্রমণ ভাগ তাতে খুব সম্ভবত ৪-১-২-৩ এই খেলা শুরু করবে। তার মানে দাড়াচ্ছে বাম দিক থেকে শুরু করলে
৪-
(মার্সেলো- থিয়েগো সিলভা- মার্কুইনহোস- দানিলো)-
১ –
ভালবাসার উহ্য ভাষাঃ
“আজ সকালে Delights & Shadows কবিতার জন্য ২০০৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৯ বছর বয়স্ক আমেরিকান কবি Ted Kooser এর Porch Swing in September কবিতাটি পড়ছিলাম। কবিতাটি পড়ে কবি সম্বন্ধে জানতে তার ‘সংক্ষিপ্ত পরিচিতি’ তে গেলাম। সেখানে এক জায়গায় তার পরিবার সম্বন্ধে লেখা আছেঃ
He lives near the town of Garland, Nebraska, with his wife, Kathleen Rutledge, and their dogs, Alice and Howard. He also has a son,
বিস্তারিত»নেইমার এর ফলস ডাইভ বা অতি ডাইভ আর ম্যানেজার তিতের মেনে নেয়া – ব্রাজিল প্রিভিউ বিফোর রাউন্ড অফ সিক্সটিন (রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮)
এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল এর নম্বর টেন নেইমার এর ফলস ডাইভ বা অতি ডাইভের এর অতি প্রবণতা আজকাল অনেকেরই বিরক্তির কারণ হচ্ছে (এমনকি বেশির ভাগ সময় সামান্য ট্যাকেলও তিনি নিজের ভারসাম্যও রক্ষা করতে পারছেন না)। দলের ম্যানেজমেন্ট থেকেও এ ব্যাপারে তেমন কোন নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছেনা। এবং নেইমার ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার ইংগিত দিলেও অতি ডাইভ দেয়াটা মাঝেই মাঝেই প্রয়োগ করছেন। অনেক সমালোচনাও হচ্ছে (আমি নিজেও বিরক্ত,
বিস্তারিত»শিথিল ভাবনা
মুঠোভরা সর্ষেদানা মুঠোয় ধরে রাখা যায় না।
সুরসুর করে একসময় সব পড়ে যায়,
মুঠো খালি হয়ে যায়।
কবির ভাবনাগুলোও যেন ঠিক তেমনি—
কবি যতই মাথায় ভরে রাখেন না কেন,
সুরসুর করে একসময় ওরা সবাই
কোথায় যেন হারিয়ে যায়! আবার-
শূন্য মাথায় নতুন ভাবনা এসে অকাতরে জড়ো হয়।
ঘাস বিচালি যা কিছুই মুঠোয় আঁকড়ানো হোক না কেন,
বিস্তারিত»প্রথম প্রেম
প্রথম প্রেম
আমার প্রেমিকার সাথে আমার কথা হত ঠিক রাত বারোটায়,
শুরুতেই বলতাম, ইশ! কি কষ্ট সারাদিন দেখিনি।
কিভাবে পারে লোকে, এতো দূরে থাকতে!
একই পৃথিবীর নিচে তবু চলে অবলীলায় মিথ্যে শব্দচয়ন,
শুরু হত প্রেমালাপ, লোকের ভাষায় ছাইপাশ রসালাপ,
বিন্দু থেকে সিন্ধু, চলে যেত সময়। ভালোবাসা সস্তা খেলা
সেখান থেকেই হল জানা।
বিস্তারিত»লক্ষ দার্শনিক
ফেসবুকের কল্যাণে আজ আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ দার্শনিক ! আমি না হয় দর্শক হয়ে এভাবেই দার্শনিকদের কাছ থেকে ক-খ শিখলাম ।
প্রবাদবিশ্বকোষকে ছাড়িয়ে যাওয়া আমার গুরুবিশেষ এহসান ভাই অশ্রুতপূর্ব একটি বিশেষ উক্তি দিয়েছিলেন যা আমার মনে মহামন্ত্র হয়ে আছে । সেটা না বললে সামনের এত কথা পাঠকের মাথার বহু ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ হয়ে উড়ে যাবে ।
কথাটা মনের বুকপকেটে রেখে দিয়েন –
বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন
কোন পীর আউলিয়ার নামে নয়,
যেমন জালালাবাদ, জামালপুর।
কোন সাহসী নারীর নামে নয়,
যেমন চৌধুরাণী বা ভবানীপুর।
তবু করি সেই অখ্যাত নাম স্মরণ,
বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন!
বুকে ধরা ছিলো চারটে প্লাটফর্ম।
স্লিপার বসানো, পাথর বিছানো
সমান্তরালে আঁকাবাকা রেলপথে
দিনে রাতে ট্রেনগুলো ছয়দিকে
আনমনে আনাগোনা করতো দ্রুত।
বসত ভিটেয় কাঁপুনি লাগিয়ে যেত।
যমুনার ভাঙ্গনে তিস্তামুখ ঘাট
স্থান বদলাতো প্রায় হঠাৎ হঠাৎ।
একদিন এমনই হবে
একদিন সন্ধ্যা নামার আগেই,
আকাশের মেঘ ফুঁড়ে ঝিলমিল তারারা বেরিয়ে আসবে,
শুক্লা তিথির চাঁদের সাথে ওরা প্রতিযোগিতায় নামবে-
কে তোমার নজরে আগে আসতে পারে!
তোমার দৃষ্টি থাকবে দূরান্তের ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রটির ওপর,
দেখবে, সেও দূর থেকে বিচ্ছুরিত আলোর রশ্মি ছড়িয়ে
তোমাকেই ডাকছে। সেদিন তুমি বুঝে যাবে-
সত্যকে যারা বুকে বেঁধে রাখে, তাদের চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
সবাই কুর্ণিশ করে পথ দেখায়।
সাতাশ বছর পরে – সাত
সেদিন ছিলো ভালোবাসা দিবস
আগেই পৌছে গেছি, মনে হলো
কিছু একটা ভুলে গেছি, সিঁড়ি দিয়ে
তাড়াহুড়া করে নামছি। এক ডজন
লাল গোলাপ আনতে। একটু পরে
থমকে গেলাম, সামনে নীলা সিঁড়ি
দিয়ে উপরে আসছে। ধ্যৎতেরিকি।
দুই হাত পিছনে লুকোলাম, ভাবটা
এমন হাতে কিছু ধরা আছে, বললাম
“নীলা তুমি বসো, আমি একটু আসছি।”
তাড়াহুড়ো করে গিয়েও লাভ হলো না।
বিস্তারিত»Disgrace of Gijón
আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের তৃতীয় লেগের খেলা। আগের দুটি লেগের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে এবার একই গ্রুপের দুটি খেলা একই সময়ে শুরু হবে। কিন্তু কেন এই নিয়ম?! আসলে একটি ছোট বাচ্চাও এর উত্তর দিতে পারবে-ফিফা এই নিয়ম করেছে যাতে এক খেলার ফল দেখে অন্য খেলার দুই দল নিজেদের খেলায় কোন কৌশল বা কারচুপি করতে না পারে। যাতে করে কোন দুটি দল পরের পর্বে যাচ্ছে,
বিস্তারিত»