প্রাগৈতিহাসিক যুগের দোয়াঁশ মাটির ভূমি দ্বারা গঠিত বরিশাল বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন স্থান। সে সময় গঙ্গার মোহনায় মোদকলিঙ্গ নামের যে দ্বীপ ছিল পন্ডিতরা মনে করেন বরিশালের আদি নামের অস্তিত্ব এই মোদকলিঙ্গ দ্বীপ-এর মধ্যে নিহিত। বর্তমানে গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল গ্রাম আর মোদকলিঙ্গ দ্বীপ অভিন্ন – এমনটাই ধারনা বিশেষজ্ঞদের। আামরা দেখা পাই, ৩২৬ খ্রীঃপূঃ ম্যাসিডনের আর্গিয়াদ রাজবংশের ৩য় আলেকজান্ডার যখন ভারত অভিযান করেন তখনও বরিশাল একটি জনপদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।
বিস্তারিত»জিজিনহোঃ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বিস্মৃত কিংবদন্তী
নান্দনিক ও ঐতিহ্যময় ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় পেলেকে যিনি মহানায়ক হবার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি হলেন জিজিনহো। আর এটা তাঁরই গল্প!
“জিজিনহো হয়ত পেলের চেয়ে শ্রেয়তর ছিল না, তবে খুব বেশি পিছিয়েও ছিল না!”
-ফ্ল্যাবিও কস্তা, ব্রাজিল কোচ, ১৯৫০ বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের কথা উচ্চারিত হলে প্রথমেই আমাদের মনে হয় ফুটবলের কথা, এরপর তাদের ফুটবল পাগল ভক্তদের কথা যারা প্রতিটি ম্যাচ ঘিরেই উৎসবের আবহ তৈরি করে ফেলে এবং মনে পড়ে দেশটির সোনার ছেলেদের কথা,
বিস্তারিত»ভাল থেকো
ভাল থেকো শীতে হেমন্তে,
ভাল থেকো বর্ষায়, বসন্তে।
ভাল থেকো গ্রীষ্মে, খরায়,
ভাল থেকো ধূলির এ ধরায়।
ভাল থেকো তুমি অঘ্রাণে শরতে,
ভাল থেকো এ শুভ্র তুষারপাতে।
ভাল থেকো জ্যোৎস্নায় অমাবস্যায়,
নিশীথে ও দিবসে, প্রাতে ও সন্ধ্যায়।
(আনায়াকে মনে পড়ে)
ঢাকা
০৬ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
~ ‘প্লেটো থেকে পাওলি দাম’ পড়তে পড়তে কবিকে প্রণাম ~
[ গ্রন্থপাঠ প্রতিক্রিয়া বা গ্রন্থ সমালোচনা ]
নেশাগ্রস্ত হতে হয়, বুঁদ হতে হয়। পাঠের অলিগলি ঘুরে যেনো শব্দে শব্দে উন্মোচিত হয় এক চুম্বকাকর্ষী কামার্ত শরীর। না প্রেম নয় নারী নয় তার উপজীব্য। খুব লাগসই আর নির্ভুল কথাটুকুন কাভারের ফ্ল্যাপেই অনবদ্য শব্দমালায় গাঁথা আছে।
[ ‘আমি প্রেমের কবিতা লিখতে পারি না, হাঁটু কাঁপে’ – একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সুবোধ। প্লেটো থেকে পাওলি দাম (বইটাতে) এমন একটা দীর্ঘ সময়ের কথা ধরে আছেন এখানে যেখানে ‘সিস্টেম’ হয়ে ওঠে সুবোধের লক্ষ্য।
বিস্তারিত»রমজানের স্মৃতি – ১
ঠিক কত বছর বয়সে রমজানের প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম, তা আজ সঠিক মনে নেই। অনুমান করি, ৬/৭ বছর হবে। আরো আগে থেকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী ছিলাম, কিন্তু আম্মা রাখতে দেন নি। মনে আছে এখনকার মত বড় দিনেই প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম। দুপুর পর্যন্ত ভালই ছিলাম, তার পর থেকে দিন আর কাটছিল না। ঘড়ি দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি ইফতারের সময় আসন্ন। সাথে সাথেই প্রসন্ন বোধ করতে শুরু করলাম,
বিস্তারিত»রেডিও সাইলেন্স -২
২৬তম – ২৮তম ঘন্টা ০৯০০ – ১২০০
বুধবার সকালের প্রথম ক্লাস ম্যানেজেরিয়াল ফিন্যান্স। আজ ক্লাসে আজ সবাই প্রেজেন্ট। স্যার ডিক্লেয়ার করলেন – ইমপ্রমচু কুইজ। সবাই নড়ে চড়ে বসলো। আকাশ অনড় বসে রইলো; শুধু ওর শক্ত চোয়াল দেখে বোঝা যাবে সে মহা বিরক্ত। কারন, ঐ রেডিও সাইলেন্স এর পাল্লায় পড়ে ও এখন মোবাইল বিহীন বীরপুরুষ। আর মোবাইলে ডাউনলোড করা ফিনান্সিয়াল ক্যালকুলেটর এর অ্যাপস ছাড়া কুইজ হবে সিমপ্লি ফাল্তু।
ওদের কথা
হ্রদের পাড় ঘেঁষে পায়ে চলা পথ ধরে
হেঁটে যায় আত্মমগ্ন কিছু বেভুল পথিক।
কেউ কেউ প্রেমিক যুগল, কেউ শুধুই
আনমনে হেঁটে যাওয়া কোন মুগ্ধ কবি,
আহত হয়েও যে মনে মনে রচে যায়
অবিনাশী প্রেমের পংক্তিমালা। ওদের
কথায় কান পেতে রয় শান্ত দিঘীর জল,
নির্বাক ল্যাম্প পোস্ট, কিছু ঝরা পাতা,
আর কিছু পর্ণমোচী উদাসী ডালপালা।
রেডিও সাইলেন্স – ১
মঙ্গলবার সকাল, এখন সময় সকাল ৭;৫৫।
ভার্সিটির ক্যাফে’তে আকাশের সামনে দুজন ভদ্র লোক বসা; একজন কোট টাই পড়া আরেক জন ক্যাজুয়াল শার্ট। আকাশ একটা কনট্র্যাক্ট পেপারে সাইন করে নিজের মোবাইলটা সুইচ অফ করে শার্ট পড়া লোকটাকে দিয়ে দিল। সাথে সাথে স্টপ ওয়াচ এ টাইম ধরলেন টাই পড়া লোকটা।
নেক্সট ৪৮ ঘন্টা আকাশকে কোন ধরনের মোবাইল ব্যবহার না করে তার রুটিন অনুযায়ী যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
বিস্তারিত»ন্যূনতা
পা জোড়া তো ঠিকই আছে;
হাঁটলামও অনেক।
বিশ্বের এ অনন্ত চরাচরে
কত ঘুরে বেড়ালাম,
কিন্তু কোথাও কোন পদচিহ্ন
রেখে আসতে পারলাম না।
হাত দুটো তো ঠিকই আছে;
লেখালেখিও করেছি অনেক।
থিতু মনের খেরোখাতায়
কত কিছুই তো লিখলাম!
কিন্তু কোথাও কোন স্বাক্ষর
রেখে আসতে পারলাম না।
চোখ দুটো তো ঠিকই আছে।
দেখলামও অনেক।
রবীন্দ্র কমপ্লেক্স – দক্ষিণডিহি, খুলনা
রবীন্দ্রনাথ, বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ এক নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ… আজ রবীন্দ্রনাথের ১৫৭তম জম্মদিবস। বিশ্বকবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় নিবেদিত…
অনিবার্য কারণ বশতঃ আমার আজকের কর্মসূচীর পূর্ব পরিকল্পনা গত রাতেই বাতিল করতে হয়েছিল। অকস্মাৎ হাতে বেশ খানিকটা সময় ‘মেঘ না চাইতেই জল’র মতো চলে এলো। তাই বলে তো শুয়ে-বসে দিনটি আর পার করা যায় না! অযথা দেরী না করে ঘর থেকে তাই বের হয়ে এলাম।
বিস্তারিত»বাহাদুরাবাদ থেকে বালাসী ঘাটঃ হারিয়ে যাওয়া রেল ফেরীর গল্প

সবসময় ট্রাভেলিং নিয়ে লিখি, তাই স্মৃতি কথন কেমন হবে তা বলতে পারছি না। তবে এখানে স্মৃতির পাশা পাশি ভ্রমণের গল্পও থাকবে…
ভিডিও দেখতে পারেন ঃ https://youtu.be/bunvsPlTJ-0
২০০২ বা ২০০৩ এর ঘটনা, আমার একমাত্র খালা তার কর্মক্ষেত্রের কারনে সৈয়দপুর থাকেন। আর আমার বাড়ি বা নানা বাড়িও জামাল্পুর। সেসময় যমুনা সেতু সচল হলেও রেইল ফেরী বন্ধ হয়ে যায় নি।
বিস্তারিত»মহেশ্বরপাশা জোড়বাংলা মন্দির – দৌলতপুর
বহু দিন ধরে’ বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুইপা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।।
৭ই পৌষ ১৩৩৬
শান্তিনিকেতন শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সত্যজিৎ রায়’র খাতায় লিখে দেওয়া বিশ্বকবির এই কালজয়ী বাণী সবার মতো আমিও পড়েছি বহুবার,
বিস্তারিত»মরিচীকা সুখ।
মরিচীকা সুখ
মো ও খা ও।
কারো কারো মনে এত সুখ, সুখ ফেরি করে
বচনেে সুখ বসনে সুখ মুখেতে সুখের খই উড়ে
আসনে সুখ বাসনে সুখ, সুখেই নিদ্রা হরে
সুখী ভেবে সুখ খুজে বসত সুখের অন্ধকারে ।
বৈশাখে নামে নাই পথে বজ্রনিনাদ শুনতে পাবে
আষাঢ়ে ভিজে নাই দিন পঙ্কে কদম পিছলে যাবে,
হাত দিয়ে খায়নি খাবার সোনর চামচ ছিল মুখে
মায়ের বুকেতে হয়নিতো ঘুম এখনো নির্ঘুম চোখে।
বই নিয়ে আলোচনাঃ “সুপ্ত স্মৃতি”
বই পরিচিতিঃ
বই এর নামঃ ‘সুপ্ত স্মৃতি’
বই এর ধরণঃ আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা
লেখকের নামঃ অধ্যাপক গোলাম রহমান খান
প্রকাশকের নামঃ শ্রাবন প্রকাশনী
১৩২, আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা),
শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
প্রচ্ছদঃ দিদারুল দিপু
উৎসর্গঃ “আকরামের জাগ্রত স্মৃতির উদ্দেশ্যে”
গ্রন্থস্বত্বঃ ডাঃ সেলিনা খান
প্রথম প্রকাশঃ জুন ১৯৯৩, দ্বিতীয় মুদ্রণ সেপ্টেম্বর ২০১৪
পৃষ্ঠা-১০৪,