পূর্ব প্রকাশের পর………
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
ছোট ছোট ভালো লাগা- মিষ্টি করে ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে থাকে মানব মানবীর দিন। তাদের একজনের দিন শুরু হত অপরকে দেখার সুতীব্র বাসনা নিয়ে, শেষ হত সারাদিনে যাপিত সময়ের মধুর অতল সমুদ্রের তল ছুঁতে ছুঁতে। প্রতিটি দিন তাদের কাছে নতুন হয়ে আসত – একে অপরের আরও কাছে আসত। প্রতিদিন তারা একে অপরের ইছ্ছায় নিজেকে পরিবর্তন করতে লাগলো নিজের অজান্তেই। তাই প্রতিদিন তারা একে অপরের কাছে নতুন সত্ত্বা হয়ে ধরা দিতে লাগলো। তাই একই মানুষের সাথে দীর্ঘসময় শুধুই সময় কাটিয়ে দেয়ার মাঝেও তাদেরকে টানা একঘেয়ে ক্লান্তিকর প্রেমের অভিনয়ে যেতে হয়নি।
তাদের ভালো লাগা ভালোবাসার ধাপগুলো এমন সুবিন্যস্তভাবে প্রলম্বিত হয়েছে যাতে তাদের সম্পর্ক রূপান্তরের দ্রুততায় অপরিপক্কও রয়ে যায়নি আবার শ্লথতা দিয়ে বিরক্তিকর হয়ে উঠেনি। প্রথম দিকে শুধুই যে পারস্পরিক অনুভূতি ছিল তাদের সেতুবন্ধন তা দিনে দিনে আরো তীব্রতা পায় শারীরিক স্পর্শে। নিজেদের অনুভূতির সীমারেখা ভেঙে তারা শুধুই এক সত্তার দিকে দ্রুত পরিবর্তিত হয়। তারা দুই সত্তা ধাবিত হয় সেই পরম সত্তার দিকে। হাতে হাতের ছোয়া কপোলে অধরের চুম্বনে তারা ভীত হয়নি;কিংবা কে বলতে পারে তীব্র আনন্দে চরম প্রাপ্তিকে হারাবার ভয়ে মানব হয়তো একটু হতচকিত হয়েছে – মনের টান আর অস্তিতের সান্নিধ্য ভুলিয়ে দিয়েছে সমাজ সংস্কার ধর্মকে। তারা শুধুই নিজেদেরকে অনুভব করেছে নিজেদের মাঝে।
তারা পারস্পরিক তীব্র সান্নিধ্যে এল কোন এক রোমান্টিক শরৎ পূর্ণিমার ঘোর লাগা সন্ধ্যা। খুব কাছে থেকে পরস্পরকে নতুনভাবে দেখে তারা আবিষ্কার করে পরস্পরের নতুন রূপ। সেই সন্ধ্যাটি তাদের দুইজনের কাছে খুব আলাদা করে শুরু হয়েছিল কিনা তা বলতে পারি না, মানুষের নৈমিত্তিক জঞ্জাল ধারণ করে বিষাক্ত বাতাসে ধূসরিত হওয়া আকাশের বুকে সেদিনও শশী হেসেছিল ঝাপসা হয়ে। পঙ্কিল নগরীর উপকন্ঠে রাসায়নিক আবর্জনা ধারণ করে ক্লান্ত নদীর বুকে তারা সেদিন ভেসেছিল। তাদের প্রেমের সুরভি সেই নদ্যম্বুর দুর্গন্ধময় তরলকে খানিকের জন্য করে তুলেছিল অমৃত সলিল। মানব সেদিন হারিয়েছিল ক্ষণিকের জন্য তার ভাবনাকে। তার চিত্তকে জুড়ে বসে ছিল শুধুই একজন নারী অথবা তাদের সেই পরম সত্ত্বা। সেদিন ঝাপসা চাঁদ সবার কাছে কিভাবে ধঁরা দিয়েছিল জানি না- একজন মানবের মনে একজন মানুষীর উপর সেই চাঁদ রুপালি বৃষ্টির জোছনা হয়েছে ঝরে পড়েছে সকলের অগোচরে।
গল্পটি এভাবে যদি চলে যেত চিরকাল বোধ করি মানব মানবীর আপত্তি থাকত না; অথবা হয়তো থাকত অপরের প্রয়োজনে তাদের মধ্যকার পারস্পরিক বিকাশ থেমে গেলে-এবং তা-ই তাদের শেষ পরিণতি যেন। মানব অবশ্য তারও আগেই পরে গেল দোটানায়। এবং সেই দোটানা ভাবলে সাধারণ মনে যা আসবে ঘটনা তার চেয়ে একটু ভিন্ন। তার সেই দোটানার পিছনে অন্য কোন নারী নেই কিংবা আসারও কোন সুযোগ নেই।
তবে কী? কী তার দ্বন্দ্ব? সমাজ সংস্কার? এই বেলায় সোজা উত্তর দেয়া না গেলেও এটুকু বলা যায় শুধু ভালোবাসার মোহে মানবীর পিছনে ছোটা তার সংস্কার বাঁধা না দিলেও খুব একটা উৎসাহিত করে না তা প্রমাণিত সত্য। তারপরো সমাজকে ধাক্কা দেবার – সমাজের বিরুদ্ধচারী হবার ক্ষমতা তার আছে বলেই বিশ্বাস। কিন্তু তার বড় বাঁধা হয়ে আসল অন্য- সম্পূর্ণই অন্য একটি ব্যাপার। তা হলো ভালোবাসার গ্রাফ। সে রাতের পরও তারা অনেকবারই মিলিত হয়েছে কিন্তু সে হঠাৎ করেই উপলব্দ্ধি করে সে রাতের মত তীব্র আবেগে তারা আর কখনোই সাড়া দেয়নি। তাদের প্রেমের এই ক্ষয়িষ্ণুতা যেন তার কাছে ভালবাসার বার্ধক্য মনে হতে থাকে। বুড়িয়ে যাচ্ছে ভালোবাসা- ছুটে চলেছে তার অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর দিকে।
মানবের মত ভালবাসার মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত না হয়েও মানবী কিছুটা অসহায় বোধ করছিল। সে তার ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরতে চায় আষ্টেপৃষ্টে। কিন্তু পারে না। নারী বিদ্বেষী আমাদের ক্রুদ্ধ সমাজ বিদ্রোহী নারীদের শুধুই রাঙানি দেয় তার রক্তচক্ষু দিয়ে। এই ভয় আর ভালবাসা ধরে রাখার তীব্র চাপে ভালবাসা যেন তার স্বতঃস্ফুর্ততা হারিয়ে যেতে থাকে।
ভালোবাসার মৃত্যুতে বিষণ্ণ ঝাপসা তীব্র রূপালি চাঁদ কিংবা কালো পবিত্র অমৃত সলিলের কান্নার গোঙানি মানব কিংবা মানবী কারো কানেই পৌঁছতে পেরেছিল কিনা বলতে পারি না।
( লেখাটা অনেক আগে শুরু করে ঝুলিয়ে রেখেছিলাম ব্যস্ততা আর অসুস্থতা দুয়ের কারণে শেষ করে ভাল্লাগছে।)
আজকে আমার হইলোটা কি। মা মা.... :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
খালি এইখানে ফাস্ট হইলে হবে না। পোস্ট দাও নতুন। (নাকি দিস গত সপ্তাহে। ছিলাম না তাই জিগাইলাম।)
হাত চালাও কুমিল্লারে ধইরা ফেলছিও প্রায়। মাত্র এক পোস্ট আগে ওরা।
হাত কিভাবে চালায় আমিন? :-/ একটু ব্যাখ্যা করবা? :-B
এক লেখারে খন্ড খন্ড কইরা বহু পর্বে ভাগ করে সিরিজ বানিয়ে পোষ্টের সংখ্যা বাড়ানো যেন এখন মির্জাপুরিয়ানদের ফ্যাশনে পরিনত হইছে B-) । এভাবে অন্যায় ভাবে পোষ্টের সংখ্যা বৃদ্ধির তেব্ব পেতিবাদ জানাচ্ছি 😡
অন টপিকঃ লেখা ভাল হইছে আমিন :thumbup:
সাম্প্রদায়ীক মন্তব্য ... এখন যেন আমার কি চাওয়া উচিৎ ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আসমানি কবিতার চার রকমের চারটা প্যারোডি লিখে কুমিল্লা'কে এগিয়ে রাখার জন্য রহমান'কে অনুরোধ করছি ...
:khekz: :khekz: :khekz:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর, আমি কোয়ান্টিটি না কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী 😛
(তোর ডায়লগ তোরেই দিলাম 😛 )
যানবাহন টাইপ কি জানি!!! ধু্র, ভুইল্যা গেলাম তো! ~x( ~x(
(কলেজের বড় ভাই বইল্যা আসল নামটা কইনাই! আমার তো চরম কলেজ ফিলিংস!) 😀 😀
এত ফিলিংস থাকলে কি আর মাসে একটা কইরা লেখা দিতা 🙁 🙁 🙁
আর কত ডজ মারবা? :-/
লেখা ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। থ্যাঙ্কু 🙂 🙂 রহমান ভাই।
আর ঐটা নিয়া কিছু বললাম না। তাইফুর ভাই বইল্যা দিছে। আমি সুবোধ ছেলে। সিনিয়রদের সাথে ঘাওসামি করি না। 😀 😀 😀 😀
সিল্ভার 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বোরোনজ 🙁
চমৎকার লেখনী তোমার।
:clap:
এবং খুব বাস্তববাদী ভাবনা।
:guitar:
সৈয়দ সাফী
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
আমিন, চমৎকার একটা সিরিজ। বেশ ভালো লাগল।
ফিনিশিংটা এমন করে হবে বুঝিনাই, তবে বাস্তবসম্মত। :thumbup: :thumbup:
এখন সুস্থ্য হইছ?
তানভীর,
'বাস্তবসম্মত' কথাটায় আমার হালকা আপত্তি আছে...
ভালোবাসার গ্রাফের কনসেপ্টটা চমৎকার...তবে সময়ের সাথে সাথে অবশ্যই প্যারামিটারগুলা বদলায়ে যায়, চেষ্টা করে অন্ততঃ সরলরেখার লিনিয়ারিটি ধরে রাখার...নাইলে বছরের পর বছর দুইটা মানুষ নিম্নমুখী গ্রাফ নিয়ে কিভাবে একসাথে জীবনযাপন করে?
আমি অবশ্য সবসময় চেষ্টা করি নতুন নতুন প্যারামিটার যোগ করে গ্রাফটাকে ঊর্ধমুখী করার... 😀
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ভাইয়া, বাস্তবসম্মত বলছি এইজন্য যে, এটা বিয়োগান্তক। আমি নিজে কিন্তু বিয়োগান্তক সমাপ্তি পছন্দ করি না, তারপরও আমিনের লেখাটা পড়ে মনে হল এরকমও হতে পারে।
ভালোবাসা নিয়া আপনার মত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ আর পাইলাম কই? 🙁 😀
নিজে প্ররেমের অভিজ্ঞতা তেমন নাই। তারপরেও আমার নিজস্ব একটা আইডিয়া থেকে লিখা।
আমার বোধটা ছিল প্রকৃত ভালবাসার রূপটা এমনি নিষ্ঠুর। তার মৃত্যু ঘটে।
বছরের পর বছর একত্রে থাকার পিছনে অনেক ব্যাপার আছে। পরিবার বন্ধন আর পারিপার্শ্বিকতায় ভালোবাসা মৃত্যুর পরও মানব মানবীরা রয়ে যায় পাশাপাশি কিন্তু যেহেতু এটা সম্ভাবনা হীন শুধুই প্রেম তাই এর অবশ্যম্ভাবী সার্থকতা তার মৃত্যুতে।
তানভীর ভাই সাকেব ভাই দুজনকেই ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত প্রেমের সিরিজ লেখার পরেও "প্রেমের অভিজ্ঞতা নাই" জাতীয় অবিশ্বাসযোগ্য দাবী করার জন্য আমিনের ব্যান চাই 😡
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
:)) :)) :)) :))
পুরা পাংখা :boss: ...এই লাইন দুইটা লেখার জন্য তোমার হাত সোনা(স্বর্ণ অর্থে :D) দিয়া বান্ধায়া দেওয়া উচিত...
আমিন,
লেখাটা একই সাথে অদ্ভুত সুন্দর আর গভীর হইসে...
এতো কম লেখো কেন? আমরা অবশ্যই তোমার আরো বেশি লেখা পাওয়ার অধিকার রাখি x-( ...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সাকেব ভাই আগেও একজায়গায় বলেছি আমি আপনার ভক্ত কলেজে এক উপস্থিত বক্তৃতায় আপনার যখন সন্ধ্যা নামে এটা শুনে যা আমার মত অডিটরিয়ামের রেগুলার নিদ্রাযাত্রির ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।
আপনার থেকে এমন প্রশংসা পেলে ভালো লাগে আবার কনফি্উসড হই আসলে লেখাটা কী এত ভালো হইলো?
আপনার কমপ্লিমেন্টে অনেক উৎসাহ পেলাম।
আর কম লিকার ব্যাপারটা একটু বলি, সিরিয়াস লেখালেখির চেষ্টা আসলে আমার কখনও ছিল না এখনও তেমন নেই। সময় কাটাতে ব্লগে আষি।এখানকার এবং সামুর ভালো লিখিয়েদের লেখা পড়ি উপভোগ করি। নিজে আবজাব যা লিখি শুধুই নিজের ভালো লাগার জন্য।আজকের পর আমার সত্যি সত্যিই আরো বেশি লিখার আগ্রহ পাচ্ছি।সমসয়া হলো সময়। লিখা লিখতে আমার অনেক সময় চলে যায়। এই লিখার প্রথম পার্ট ছিলো আগে অনেক আগে লিখা। কিন্তু পরের পার্ট প্রত্যেকটা লিখতে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগছে। এত সময় বের করাটা একটু কষ্ট।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকবেন।
প্রশংসার রকমফের আছে...
এতো ভালো যখন লেখ ভাই, পাঠকের কোন উচ্ছাসটা সত্যিকারের- সেইটা ধরাও শিখতে হবে... :-B
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আর কিছু বলটে পারছি না। 😀 😀 😀
মানব, মানবী এবং ভালবাসা নিয়ে তোর কন্সেপ্ট খুব ভাল লাগল। অতি চমৎকার এক সিরিজ শেষের অভিনন্দন ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
সাদরে গৃহীত হলো তাইফুর মাহবুবু পাভেল ভাই। 🙂 🙂 🙂 🙂
বুবু ? 😮 😮
তাও ভালো পরের হ্রস্ব উ-কারটা দিছো। 😉
:pira: :pira:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বড় দেরি করে লেখা দাও তোমরা , এই জন্যে মাইনাস।
লেখার জন্যে :thumbup:
আগেই তো বলছি ভাইয়া আমি খুব আইলসা।
আর অসুস্থতার জন্য এইটা একটু বেশি দেরি হইছে।
থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
তোমার পর্যবেক্ষণ আংশিক সত্য। :hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানা ভাইয়ের মন্তব সবসময়ের জন্য প্রেরণা। 🙂 🙂 🙂 🙂
আমি লেখাটা সামুতে পড়ার সময় পাই নাই। আজকে সন্ধ্যায় পড়লাম, কিন্তু কমেন্ট করার সময় পাই নাই। এখন পাইলাম! বুঝ অবস্থা!
লেখা খুবই ভালো হইছে। তোর লেখার মাশে শব্দ-নির্বাচন বা বাক্যগঠন অনেক বেশি ম্যাচিউর এখন। পাঠককে টেনে ধরে রাখে, আলটপকা পড়ে ফেলা যায় না(সেটা উচিত ও না! এ ধরনের ক্যালিবারের লেখা মনোযোগ দাবি করে।)। পরিণতি/ সমাপ্তি নিয়েও কিছু বলার নাই, কারণ পৃথিবী এত বিচিত্র জায়গা যে এক একজনের অভিজ্ঞতা, মানসিকতা সব মিলিয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়! তোর ফিনিশিং আমার মনপূতঃ হইছে! আরো গল্প লিখ! এই কথনের স্টাইলটা ধরে রাখ।
দোস্ত তোর মন্তব্য টা আগেই দেখছিলাম । গত দুইদিন ব্লগে আসলেও মন্তব্য করার টাইম ছিল অন্য ব্যস্ততায়। অনেক ব্যস্ততায় এই গল্পটা লিখছিলাম। তখনই একটা পরিতৃপ্তি ছিল। এখানে এবং সামুতে কিছু কমেন্ট পেয়ে আনন্দটা কয়েকগুন হলো। তোদের মন্তব্যেই উৎসাহিত হই। ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য। ভালো থাকিস।
গাথুনি ফাটাফাটি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যঙ্কু জানাইতে ভুলে গেছিলাম।
আমি অনেক পরে এসে তোর এই গল্পটা শেষ করলাম। বাস্তব কিনা জানিনা তবে মেনে নিতে পারি না। মানুষের শুরুটা হয়ত মোহ দিয়ে শুরু হয় তারপর তা ভালবাসায় পরিণত হয় কিন্তু একসাথে থাকা শুধু ভালবাসা দিয়ে হয় না। একসাথে থাকতে থাকতে ভালবাসার সাথে দায়িত্ববোধ, নির্ভরশীলতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, আরো অনেক কিছু আসে। এর সব কিছু একসাথে শেষ হয়না বলেই আমার বিশ্বাস। গ্রাফে প্রত্যেকটারই উঠানামা থাকতে পারে কিন্তু সর্বোপরি সব গুলার মিশ্রণই মানুষের সম্পর্ক ধরে রাখে। যারা অনেকদিন ভালবাসায় থেকেও এইসব অর্জন করতে পারে না এবং ভালবাসা মারা গেছে বলে সরে দাঁড়ায় তারা মোহ স্তর থেকে ভালবাসায়ই যেতে পারেনি বলে আমার ধারণা।
বুঝার চেষ্টা করছি তোর বক্তব্য। কিন্তু তুই যে কথা বললি তার প্রেক্ষাপট আর গল্পের প্রেক্ষাপট এক না। গল্পে আমি দেখাতে চেয়েছি অনন্ত সম্ভাবনাহীন দুটি নর নারীর পারস্পরিক ভালো লাগার মিথস্ক্রিয়া। এবং তোর কথার সমর্থনই কিন্তু আমার লেখা করে। মানব মানবীর চুড়ান্ত পরিণতি বিয়োগান্তক হবার পিছনে কারণ ছিল তাদের মধ্যকার সামাজিক অসামঞ্জস্য আর তার সাথে তাদের সম্পর্কের পিছুটানহীনতা। কিন্তু তাদের মাঝে যে সম্পর্ক তা শুধুই মোহ ছিল না একথা বলা যায়। ভালোবাসা তার চরম শিখরে পৌছে যাবার পরই তাদের মাঝে সব প্রাপ্তির পূর্ণতা চলে আসে। এবং তারপরে......................
আমার গল্পটির শিরোনামও কিন্তু শুধুই লেখা অথবা গল্প। অর্থাৎ যে যেভাবে নেয়।