প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে,আমার আরও কিছু ( ৭ খানা ) পেইন্টিং একটি গ্রুপ এক্সিবিশনে যাইতেছে । আরও আনন্দের বিষয় হইলো ঐ একই এক্সিবিশনে আরও ৩ পিস এক্স ক্যাডেটের ছবি যাইতেছে । এখন আপনারাই বলেন , আমার গত এক্সিবিশনে যারা যামু যামু কইরাও যান নাই , আমার জন্য না গেলেও ৪ জন এক্স ক্যাডেটের এক্সিবিশন হিসেবে ঐখানে ১বার ঢুঁ মারাটা আপনার কর্তব্য হইয়া যায় কীনা?
কাঁঠাল বৃত্তান্ত
কলেজের স্মৃতিচারণ করা হয় না বহুদিন। আজকে তাই নোটপ্যাড খুলে কিবোর্ড নিয়ে বসে পড়লাম। যা থাকে কপালে, একটা কিছু তো বেরোবে। স্মৃতিচারণটুকু একটা স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে, তাই নাম উল্লেখ করলাম না অনেকের।
তখন আমরা ক্লাস টুয়েলভে। থাকি সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতালার বক্সরুমে। বক্সরুম বলার কারণ হলো গিয়ে, ওইরুমের কোন নাম নাই, নম্বরও নাই। যদিও হাউসের বাকী সবগুলো রুমেরই একটা নাম বা নম্বর আছে। অন্য রুমগুলোর সাথে নম্বর মিলালে গিয়ে হয় ১০ নম্বর রুম।
বিস্তারিত»ব্লগরোল ০৩
১।
সিসিবির জন্মদিন গেল, কিছুই লিখি নাই। একটা কমেন্ট পর্যন্ত না। শান্তাপা গ্রেড দিলেন, আমি সেইখানে ঢুকতে পারলাম না। সামিয়া “অতিপ্রিয় তৌফিক কই গেলেন” বলে চিল্লায়ে ব্লগ মাথায় তুলে ফেলল (ঠিক আছে, মানছি, অতটা করে নাই হয়তো, কিছুটা তো করছে B-) ), আমার কিবোর্ড তবু চালু হইল না। আমার দেশী মানুষ শীর্ষেন্দুর সাক্ষাৎকার একটা পড়েছিলাম অনেক আগে। প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাংলা সাহিত্যে নতুন লেখক আসছে না কেন।
বিস্তারিত»অধরা ভালোবাসার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অণুগল্প অথবা একটি গাঁজাখুরি গল্প
একে একে পাঁচজন উঠে যাই শহীদ ভাইয়ের বাসার ছাদে। এই ছাদটির প্রতি এক ধরণের দুর্বলতা আমাদের সবার মাঝেই যে আছে সেটা বেশ বুঝা যায়। আকাশে জোছনার বৃষ্টি ছড়িয়ে তীব্র চাঁদের স্নিগ্ধ খোমার উপরে ধোঁয়াটে কুয়াশা এক ধরণের রহস্যময় বিষণ্ণতা তৈরি করেছে। একে একে পাঁচজন বসে যাই জায়গা মত। নেশার আহবানে সাড়া দেয়া পাঁচ জোড়া নেশাতুর চোখ ঢুলুঢুলু হয়ে জেগে থাকে বিষণ্ণ কুয়াশার নিচে। ধোঁয়াটে কুয়াশার নিচে খুব আস্তে আস্তে ক্রমে ছড়িয়ে পরে আমাদের ঝাঁঝালো গাঁজার ধোঁয়া।
বিস্তারিত»এই দিনে…মনে পড়ে
আমাদের সবার এই এক প্রবলেম। কিছুদিন গেলেই যেকোনো কিছুর উপর দাবি জন্মায়। নিজের বলে মনে করি। তাই তো কালকে রাত থেকেই সিসিবি এর জন্মদিনে নিজের জন্মদিনের মতো খুশি খুশি লাগতেছে। আর সিসিবি এর এডু/মডূ এর উপর রাগ। এই নিয়ে কোনো বিশেষ আয়োজন নাই বলে। প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছ থেকেও তো একটা পোষ্ট আশা করতে পারি।
ইদানিং সিসিবি তে এতো নতুন আর কঠিন সব লেখক তাই নিজে লিখে,
বিস্তারিত»উইকিলিকসের বোমায় আহত কিছু বিখ্যাত মানুষ
একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছে উইকিলিকস,বের হচ্ছে বিখ্যাত মানুষদের ‘সাধারণ’ সব সমস্যা!সেরকম কিছু মজার তথ্য নিয়েই এই ব্লগ।
১। গার্লফ্রেণ্ডসহ সারকোজির সৌদি ভ্রমণ
প্রায় মাস দশেক আগে এক ব্রিটিশ মহিলা তার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে যায় দুবাইতে, কিন্তু ‘অবৈবাহিক সম্পর্ক’ এর অপরাধে সেই মহিলা এবং তার বয়ফ্রেন্ডকে বিচারের কাঠগড়ায় যেতে হয় !!!কিন্তু এমন আইন যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির জন্যও প্রযোজ্য হবে সেটা কে জানত!
সালমান খান,একজন আলোকের দিশারী !
প্রথমেই বলে নেই যারা সালমান খান নামটি দেখে বলিউড হিরো সালমান খানের কথা ভেবেছেন তারা ভুল করছেন । এই সালমান খান একজন শিক্ষাবিদ।
সালমানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্স শহরে ১৯৭৭ সালে ।বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিনি। তার বাবা বরিশাল থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান, আর মা কলকাতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে গণিত, তড়িৎ কৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান_এ তিন বিষয়েই স্নাতক করেন সালমান।
বিস্তারিত»প্রবাসে দ্বিতীয় ঈদ, ঈদ মোবারক … একটি ফাউল পোস্ট
প্রথমেই বলে নেই , এটি আমার জীবনের প্রথম কোনো লেখা ।জীবনে প্রথম বারের মতো কোনো লেখা লিখছি (পরীক্ষায় রচনা ,ভাব সম্প্রসারণ এইসব বাদে .. কারণ এই গুলা সব সময় না পরে লিখতাম ) তাই সবার কাছে এই পোস্টটিকে একটি ফালতু পোস্ট হিসেবে দেখে আমার ভুল ক্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আহবান জানাই ।
যখন লিখছি তখন ভোর চার টা চৌত্রিশ মিনিট ,১৭/১১/২০১০, কোভেন্ট্রি,ইংল্যান্ড ।
রকিব হাসান থেকে সৈয়দ আবুল মকসুদ
তিন গোয়েন্দা যখন পড়া শুরু করলাম তখন আমি হয়ত ফোরে পড়ি।সারাদিন মাথা গুঁজে রহস্যের সমাধান পড়তাম আর কিশোর পাশাকে হিরো বানিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভাসতাম।তিন গোয়েন্দা পড়ার আগে আমি তেমন একটা গল্পের বই পড়তাম না।ছোটবেলায় আমার সমসাময়িক সবাই যখন সারাদিন কার্টুন দেখে কিংবা কমিক পড়ে ফিক ফিক করে হাসে,আমি সেই সময়ে ব্যস্ত খেলাধুলা নিয়ে।অনেক ছোট থেকেই আমার ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা মারাত্মক।আমি আর আমার চেয়ে ৪ বছরের বড় চাচাতো ভাইটি বাড়ির উঠানকে মাঠ বানিয়ে প্রতিদিন সবাইকে যন্ত্রনা দিতাম।আরেকটু বড় হলে আমরা উঠানের পাশাপাশি বড় মাঠেও খেলা শুরু করলাম।আমার খেলার সাথী ছিল আমার বড় ভাইয়ের বন্ধুরা,আমি আমার বয়সী বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলা শুরু যখন আমার ভাইয়ের বন্ধুরা ক্রিকেট ছেড়ে ফুচকা খাওয়া কিংবা চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ার মাঝেই বেশি মজা খুজে পেল।আসলে আমার বয়সি ছেলেরা তখন বরফ-পানি বিংবা ছোয়াছোয়ি খেলা থেকে অবসর নিয়ে মাত্র ক্রিকেট ময়দানে নাম লিখিয়েছে।অবশ্য তাদের সাথে বেশিদিন খেলার সৌভাগ্য আমার হয়নি।ক্লাস ফোরে থাকতে আমি ঢাকায় চলে আসি আর বিদায় জানিয়ে আসি বাল্যবন্ধুদের।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘোরা হয়নি হয়নি করেও একদম কম জায়গায় যাইনি। সেদিন বসে বসে চিন্তা করছিলাম কয়টা জেলা আমার দেখা হয়েছে। সর্বশেষ ভ্রমণটা ছিল ঢাকা থেকে প্রায় ২.৫ ঘন্টার দূরত্বে মানিকগঞ্জের ঝিটাকা নামক থানায়। ঝিটাকায় ফারুকের বাসায় ঘুরতে যেয়ে ‘ফ্রি’ হিসেবে পদ্মা দর্শনটা বেশ উপভোগ্যই ছিল বটে। তবে সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল চরের বাচ্চাদের সাথে ফুটবল ম্যাচটা!
মানিকগঞ্জে যাওয়ার প্রায় মাস ছয়েক আগে ঘুরে এসেছিলাম পাহাড়ের জেলা বান্দরবান থেকে।
বিস্তারিত»আমার ক্যাডেট বেলা – ৮ (ক্লাস ইলেভেন পর্ব)
জলে রাজা কুমীরই তো, বনে রাজা সিংহ’য়
ক্যাডেট কলেজে ক্লাস ইলেভেনই কিং হয়!
তিনমাস ছুটি শেষে ভুড়ি নিয়ে মস্ত
আবারো কলেজে ফেরা, জুনিয়র ত্রস্ত!
ডাইনিংয়ে আগে গিয়ে বসে পড়ি আসনে
এ যে দেখি ভারি মজা রাজ্যটা শাসনে!
বেল দিলে গ্লাসে পানি নিয়ে খাই ঢকঢক
চোখাচোখি হলে জুনিয়র কাঁপে ঠকঠক!
ঘড়ি মানা অভ্যাসটাকে আমি টাটা দেই
পিটির ফলইনে রোজ দৌড় ভুলে হাঁটা দেই!
অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতাঃ ২
আমার প্রিয় খেলার তালিকাটা মনে হয় এরকম হবেঃ বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল। দেখতে হলে এবং খেলতে হলেও। এই তালিকাটা কিছুদিন আগেও একটু ভিন্নরকম ছিল, কিন্তু আপাতত এইটাই সবচেয়ে কারেন্ট আর আপডেটেড লিস্ট। কিন্তু এইগুলা হইল কনভেনশনাল স্পোর্টস। তালিকায় চতুর্থ নামটা যোগ করতে হলে একটা আনকনভেনশানাল স্পোর্টের নাম লিখতে হয়- পেইন্টবল। পেইন্টবল খেলা সম্পর্কে যারা জানেন না, তার ঘুরে আসতে পারেন প্রাগৈতিহাসিক একটা পোস্ট থেকেঃ
আগে পেইন্টবল খেলছি ইনডোরে।
বিস্তারিত»স্বপ্ন মৃত্যু অথবা ভালোবাসার গল্প
স্বপ্নেরা সুন্দর হয়,ভালোবাসা বিষণ্ণ হয় , জন্ম হয় শুভ্র অথবা শীতল। আগমনে চঞ্চল হয় এক অথবা দুফোটা জলকণা। আর নিশ্চলতার মাঝে শুরু হয় গতির। সেই গতির টানেই শুরু হয় তার অথবা তাদের যাত্রা।শুভ্রতার বুক হতে সে নেমে আসে কেবল। আঁধার অরণ্য তাকে আলো দেখিয়ে শোনায় একটানা একঘেয়ে নৈঃশব্দ্যের গান। সেই গানে তারা সঞ্চারিত হয় ক্রমশ। পাথরের বুক চিড়ে বের হয়ে আসে যেন।জন্ম হয় শুভ্র, শুভ্রতা বিলীয়মান হয় জীবনের গতিতে।তপ্ত রৌদ্র বেগবান করে তার স্রোতকে।নিশ্চল পাথুরে ভালোবাসায় বেড়ে উঠে সে ক্রমাগত বিদীর্ণ করে তার জননীর বুক অথবা সে জননী যেন হাসিমুখে বরণ করে নেয় জন্মের বেদনা।
বিস্তারিত»কলেজ হাসপাতাল (স্মৃতিচারণমূলক অথবা গীবত নির্ভর পোস্ট)
হাসপাতাল জায়গাটা সাধারণভাবে কারোরই খুব পছন্দের জায়গা হবার কথা নয়। মৃত্যুর গন্ধে আচ্ছন্ন মৃত্যুপথযাত্রীদের পাঞ্জা লড়বার জায়গা কারি বা পছন্দ হয়। কিন্তু জগতের অনেক বিষয়ের মত এ জায়গাতেও ক্যাডেট কলেজগুলো অনন্য। হাসপাতাল জায়গাটা ক্যাডেটদের কাছে খুব বেশি অপ্রিয় হবার কারন নেই। বরং ডজার ক্যাডেটদের কাছে তা বেহেশততুল্য। রবিবাবুর ছেলেবেলার মত ক্যাডেটদের শরীর বেয়াড়া রকম ভালো হয়। তারপরেও থেমে থাকে না হাসপাতাল নামক জায়গায় গমন এবং ক্লাশ প্রেপ কিংবা পিটি ফাঁকি মারার সুযোগ নেয়া কিংবা দল ধরে বান্দ্রামি করবার বেহেশতি সুযোগ।
বিস্তারিত»অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ৩
৩
শুভ’র হার্ড ব্রেকে একটা ঝাকুনী দিয়ে ফিল্ডারটি মূহূর্তেই থেমে যাবে।
(ক্লোজ শট)কিছুক্ষণ নিথর থেকে মনে মনে হিসাব কষে নিবে শুভ।
তারপর গাড়িটি রিভার্স গিয়ারে ফেলে পিছাতে শুরু করবে। সারাদিনের চিত্ত বিনোদন নিমিষেই উবে গিয়ে ভর করবে আঁধারে আবৃত অশনী সংকেত।
(হাল্কা জুম আউট ) এতক্ষণে গাড়ির বাকিরাও নড়ে চড়ে উঠবে।
পেছন থেকে স্নেহা (শুভ পত্নী) শুধালো, “কি হয়েছে ?