খেলা দেখা : আনন্দ, বিড়ম্বনা, অতঃপর একজন ভুক্তভোগীয় বয়ান

আমার দাদা একজন তুমুল ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন, এমন তথ্য কোন কালে কোন ঘটনায় খোঁজ পাওয়া যায় না কিন্তু তার ছেলেদের নামের সাথে মিল রেখে কাকতালীয় ভাবে ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে এসেছে ক্রমাগতই। আমার বাবার কথাই ধরা যাক। আশরাফুলের গুরু নামে খ্যাত ওয়াহিদুল গণির সাথে তার নাম অনেকখানিই মিলে যায়। পৃথিবীতে আগমনের দিকে ওয়াহিদুল গণির চাইতে হয়তো আমার বাবাই এগিয়ে থাকবেন, তবে ক্রীড়াসংশ্লিষ্টতার দিক থেকে তাদের ব্যবধান আকরাম খান আর খিলিপানের চাইতে কোন অংশেই কম হবে না।

বিস্তারিত»

শেষ সিগারেট

ছুটে চলা ট্রেনের জানালা দিয়ে মুখ বের করে দিলাম আর দুরন্ত বাতাসে বুজে এলো দুটি চোখ। ডোবায় আধখানা চাঁদের টলমলে প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে হঠাৎ বৃষ্টির ঝাপটায় এফোঁড় ওফোঁড় করে দিলো মুখ। চাঁদ ও বৃষ্টির এই উদ্ভট সহাবস্থানের কোন ব্যাখ্যা দাড়া করানোর চেষ্টা না করে মাথা ভেতরে এনে জানালা বন্ধ করতে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সহযাত্রীর প্রশ্ন, “বৃষ্টি পড়ছে?” উত্তর দিলাম, “চাঁদের আলো বৃষ্টি দুটোই পড়ছে।” ইয়ার্কি করছি কিনা সেটা বোঝার জন্যে সহযাত্রীর চোখ মূহুর্তের জন্যে সরু হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে এলো।

বিস্তারিত»

বদলে না যাওয়া ভালোবাসাগুলো

১৯৯৮ সালের জুন মাসের এক তারিখ

আব্বা, আম্মা আর আমি – এই তিনজন গাড়িতে করে টাঙ্গাইল যাচ্ছি। সবাই বললো ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া অনেক কঠিন। তাই ঠিক হলো আমাকে ক্যাডেট কোচিং এ দেয়া হবে। যেখানে থাকি সেখানে ভালো কোন কোচিং নেই। অগত্যা টাঙ্গাইলে চলো। ঠিক হলো আবাসিক থেকে কোচিং করবো কয়েক মাস। আজ সেই দিন। আমাকে কোচিং এ রেখে আসা হবে। গাড়িতে আম্মা আমার পাশে বসা।

বিস্তারিত»

অপরিচিত কিংবা অর্ধ পরিচিত মানুষ ও জীবনের গল্প

গল্প লিখতে বসলে গল্পের চরিত্র নিয়ে কাহিনী ও নাম সংকটে পরে যেতাম প্রথম প্রথম। বাস্তব আর গল্পের অসমতায় প্রভাবিত হয়ে গল্পের প্লট নিয়েই সন্দেহাতুর হয়ে যেতাম। বাস্তবের ঘটনাগুলো গল্পের মতো অভিনব হয় না নাকি গল্প বাস্তবের মত জীবন্ত হয় না এ নিয়েই দ্বিধা কাজ করতো মনে। কাহিনী তাই গড়ে উঠে বয়ে চলা জীবনগুলোর একটার সাথে আরেকটার কাহিনীর যোগ বিয়োগে। অদেখা জীবন গল্পে চলে এলে সেই জীবনের বাস্তবতার চেয়ে সেই জীবন নিয়ে রোমান্টিক ভাবনায় স্টেরিও টাইপ কাহিনী গড়ে উঠে।

বিস্তারিত»

হে বীর, তোমায় সালাম

সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।

বিস্তারিত»

বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট

ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।

বিস্তারিত»

অবশেষে ফিরে এলাম…………………

শেষ পর্যন্ত এক্স ক্যাডেট হয়েই গেলাম !!!!! অনেকদিন আগে সিসিবিতে নিয়মিত থাকতাম । পরে আমাদের(বর্তমান ক্যাডেট) লেখা পোস্ট বন্ধ করে দেয়ার পরে একরকম অভিমানেই সিসিবি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম । এমন কি অনেক দিন খবর পর্যন্ত রাখিনি । আজ মনে হল রাগ করাটা অযৌক্তিক ছিল । এই কয়দিন সবাইকে অনেক মিস করেছি । সব ভাই আর আপুদের কাছে আজ আবার ফিরে আসতে পেরে খুব ভাল লাগলো ।

বিস্তারিত»

আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?

যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।

বিস্তারিত»

আ জার্নি বাই বাস

ঢাকা শহরে কর্মব্যস্ত মানুষের অর্ধেক সময় কাটে বোধহয় রাস্তায়। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে নিজস্ব গাড়ি অথবা পাবলিক বাসে। জ্যামকালো এই শহরে গাড়ি কিংবা বাসগুলো ছুটে চলার চেয়ে জ্যামের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেই বেশি অভ্যস্ত। তার সাথে সাথে অভ্যস্ত এই শহরের মানুষগুলোও। এরা ঠাঁঠাঁ রোদে মিরপুর ইউনাইটেড কিংবা বিহংগে’র ভাঙাচোরা তেল চিটচিটে সীটে বসে দরদর করে ঘামে আর দেশটা দিয়ে কেন কিছুই হবেনা তার হিসেব নিকেশ করে সশব্দে,

বিস্তারিত»

ছোটগল্প : ডায়েরির ছেঁড়া কোন নিশ্চুপ পাতায়

এক
শেষ বিকেলের রোদের তীর্যক রেখা অফিসের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে আমার পাশের টেবিলে কর্মরত বীথির নগ্ন বাহুরর উপর পড়লে আমি সচকিত হই। রোদের এই আগমন হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিংবা বলা যায় এমন ঘটনা যে আগে ঘটে নি তাও হয়তো নয় তবে এই আলোকের হঠাৎ ঝলকানিতে আমার মাথা ব্যথার উদয় ঘটল আবার নতুন করে। ব্যথার অনুভূতিটা অদ্ভুত। এক ধরণের নেশাভাব কাজ করে এই ব্যথার মাঝেই।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***

দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।

বিস্তারিত»

পোতাশ্রয়ের নির্বাক কমেডি

একটিবার চার্লি চ্যাপলিনদের যুগে ফিরে যাওয়া যাক। সেটা নিঃসন্দেহে নির্বাক কমেডির স্বর্ণযুগ। মুখের কথা ছাড়া কেবল অঙ্গভঙ্গি আর চলচ্ছবির মাধ্যমে যখন চলচ্চিত্রকাররা সমাজকে বিদ্রুপ করতেন আর মানুষের অন্তরকে ভালবাসতেন। ২০১১ সালের একটি সিনেমায় ঠিক তেমন বিদ্রুপ আর ভালোবাসার ছবি দেখতে পেলাম। সিনেমার নাম ল্য আভ্র্ (Le Havre), পরিচালনা করেছেন ফিনল্যান্ডের ওটার চলচ্চিত্রকার আকি কাউরিসম্যাকি। আকি-র নাম যদি আগে কেউ শুনে না থাকেন,

বিস্তারিত»

মুক্তগদ্য: মোহাচ্ছন্ন গ্রহনের কালে

গ্রহনের কালে দাড়িয়ে আমরা মোহগ্রস্ত হই। আলোকের খোঁজ করে বেড়ানো আমাদের চোখ ক্লান্ত হয় আলোকহীন ঘুটঘুটে অন্ধকারে। সেই সময়ে হায়েনার গর্জন অথবা শূকরের ঘোৎ ঘোৎ শব্দে আমাদের কান বিদীর্ণ হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোক সন্ধানী আমাদের চোখে শূকর গুলো ধরা পড়ে। তাদের ঘোৎ ঘোৎ তীব্রতর হয়। অথচ কী আজব! সেই ঘোৎ ঘোতানির মাঝেও অন্ধরা মায়া খুঁজে পায়। অন্ধজনেরা সত্যের খোঁজ করে শূকরের সাথে। তাদের নর্দমাস্নাত নোংরা শরীরের সাথে গা লাগিয়ে অন্ধরা আলিঙ্গন করে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির পাতায় বিটিভি : প্রসঙ্গ বিদেশি সিরিয়াল

সময়টা আশির দশকের শেষ দিকে অথবা নব্বই দশকের শুরুতে। সেই সময়টা মনের পাতায় এলেই শান্ত সৌম্যভাব কাজ করে। তখন শহরের ধূলোবালি হয়তো কম ছিলো এখনকার চেয়ে। নাগরিক যান্ত্রিকতায় ছেয়ে যাওয়া এই শহরের বুকে হয়তো একটু বেশি প্রাণের স্পন্দন ছিলো। সেই সময়ের শিশুদের শৈশবে হয়তো শান্ত নীরবতার স্থান এখনকার চেয়ে একটু বেশি। দুপুর শেষ করে বিকেলের ছুটোছুটি কিংবা নিরর্থক ক্রীড়ার আয়োজনও ছিলো তখন বেশি। আর বিকেল শেষে সন্ধ্যার আগে অথবা দুপুর শেষে বিকালের আগে টেলিভিশনের পর্দায় কার্টুনের আনাগোনাও তখনকার সময়ের এই আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প

রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,

The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.

বিস্তারিত»