বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান

১।

প্রথম পাকিস্থানিদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় হয়েছিল ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে, আই ইউ টি-তে। তখন ভব্যতা জ্ঞান একটু কম ছিল। পরিচয়ের দুই মিনিটের মাথায়ই সাংবাদিকদের স্টাইলে জিজ্ঞাসা করে বসলাম ১৯৭১ নিয়ে তোমরা কি জান? তোমদের ভাবনাটাই বা কি? সেই ব্যাটা বলে, আমরা এইসব ব্যাপারে কিছুই জানি না। বোঝাই যাচ্ছিল, সাজানো উত্তর, আসলে কি ভাবে শেয়ার করবে না। পাকিস্থানি পোলাগুলা এমনি খুব খারাপ ছিল না।

বিস্তারিত»

গল্প: নারী শব্দের যৌক্তিকতা এবং আজমেরী দাওয়খানার মালিশ

পাচ টাকার জ্যোতিষী একদিন বলল জীবনের অনেক উন্নতির কথা, আর সেটা ভেবে বসে ছিল সায়মা অনেকদিন। ততদিনে তার চোখে চশমা উঠেছে, চশমার ক্ষমতা বেড়েছে সামন্তর প্রগমনে, কামিজ ছোট হতে হতে শার্ট হয়ে গেছে, ঈশ্বরের পরিত্যক্ত পৃথিবীর অবশিষ্ট সুঘ্রাণের নির্যাস জমেছে তার শরীরে, কিন্তু উন্নতির সোপান খুজে দেখে কিছুই পায় নি সে। যদিও আমরা যারা রাস্তায় বাসে টাই ঠিক করি, ঘেমে প্রধানমন্ত্রীকে গালি দেই আর জুম্মা বারে নামাজ পরার সময় আমাদের সেলফোনে দিপীকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমার সুর বেজে উঠলে বেহেশতে কল্পনা করি স্বল্পবসনা দিপীকাদের,

বিস্তারিত»

দুর্ঘটনা

অন্যান্য দিনের মত সকালের দৌড়-ঝাপ শেষে বাসায় ফেরত এসে নাস্তা খেয়ে একটু ঝিমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় শাহরিয়ার (১৯৪৪ – মকক) এর ফোন। ধরার পরেই বলল,”অই কিবরিয়ারে স্ট্যাব করসে গাজীপুর স্টেশানে শুনছিস নাকি?! এখন ঢাকা সি,এম,এইচ এ আসে??!” বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠতে গিয়ে ব্যালান্স হারিয়ে পরে গেলাম। আরোও বলল প্রথম আলো দেখতে। বাসায় ছিল ডেইলি স্টার। চোখ বুলাতেই দেখি “গাজীপুর স্টেশানে ৪ বুয়েট ছাত্র ছুরিকাহত”।

বিস্তারিত»

অন্ধকারের উপাসনা

আলোর মিথ্যাচারীতায় ক্লান্ত আমি এখন
অন্ধকারের উপাসনা করি ।
চারপাশের আলো ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে,
রঙ্গিন থেকে সাদাকালো……অতঃপর শুধুই নিকষ কালো ।

আমি প্রার্থনা জানাই অন্ধকারের দেবতার কাছে –
খানিকটা রঙের আশায় ।

বিস্তারিত»

পাতালে গিয়ে হাস ধরার গপ্পো

গত ১৯ মার্চ শুক্রবার, কলেজের পোলাপাইনের সাথে ব্যাপক গুল্গুল-কিল্কিল করে রাতে বাসায় ফেরার পর থেকেই হাল্কা হাল্কা পেট ব্যাথা শুরু। শরমে বউ’রে কিছু বললাম না, বদ-হজম জাতীয় ব্যাপারে টিপ্পনী শুনতে কার ভাল লাগে। সারারাত বেশ ভালই কষ্ট হল, রাতে ঘুম একদমই হচ্ছিল না। বউয়ের কাছে ব্যাপারটা আর লুকানো গেল না। এমনিতে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা থাকার দরুন বউ আমারে “গিয়াসের বাপ” ডাকে … সে রাতে আমার একটু সিরিয়াস অবস্থা দেখে খুব একটা রসিকতা না করে সেবা করাই মনঃস্থির করল।

বিস্তারিত»

ক্রিকেট, লোডশেডিং এবং এইচ এস সি- ২য় পর্ব- লোডশেডিং

ক্যাডেট রা রুটিন এর মধ্যে থাকতে ভালবাসে 🙂

এইচ এস সি পরীক্ষার আগের এবং মাঝের ফাকা দিনগুলোর সকাল আমাদের কাটত ক্রিকেট খেলে. ক্লান্ত আমরা দুপুর টা ঘুমিয়ে সন্ধ্যা থেকে পড়া শুরু করতাম. পড়ার মাঝে মাঝে কখনো কারেন্ট চলে যেত, কিন্তু আমাদের চার্জার লাইট সেটা সামাল দিতে যথেষ্ট ছিল. পড়তে পড়তে রাত বার্ত . রাত গভীর হবার সাথে সাথে শফিক এর নেতৃত্বে একদল নিশাচর প্রাণী গাজা,

বিস্তারিত»

ক্রিকেট, লোডশেডিং এবং এইচ এস সি

আবার দেখি এইচ. এস. সি. শুরু হয়ে গেল ! ক্রিকেট ( আইপিএল) , এইচ. এস. সি. আর লোডশেডিং – নাহ, ২০০৭ এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। 🙂

পরীক্ষার মাঝের দিন গুলোর সকাল গুলো বেশ কাজে লাগতো আমাদের। ব্রেকফাস্ট এর পর পরই আমরা শচীন, আফ্রিদী, মালিংগারা বল ব্যাট হাতে কমন রুম এর দিকে ছুট দিতাম । কিছুদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে ম্যাচ খেলার পর ক্রিকেট বোদ্ধারা ভাবলাম,

বিস্তারিত»

তড়িৎ সমীপে তড়িৎ বার্তা

আয়রে আমার কারেন্ট বাবা
আয় চলে আয় তড়িৎরে
দিব্যি কেটে বলছিরে- তোর
নেই কোন দাগ চরিত্রে

বলতো দেখি কোন মেয়ে তোর
ছ্যাক দিয়েছে মনটাতে
কার বিরহে যাস চলে তুই
ডেইলি প্রতি ঘন্টাতে ?

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ১০ (ক্যাডেট কলেজ – শেষ পর্ব)

২১ জুন ২০০৪
৬ আষাঢ় ১৪১১
মাঝে অনেকদিন ডায়েরী লেখা হয়নি বা হয়েছে সেটা আমার আপাদত মাথাব্যথা নয়। কিন্তু আজকে এই মুহুর্তে কিছু না লিখলে ব্যাপারটাকে স্মৃতির খাতায় নাম লিখাতে পারব না। আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা বাকি আছে। সমাপনী দিবস বলা চলে। যেই সমাপ্তি অনেকের কাছেই কাম্য নয়, যেই সমাপ্তির কথা চিন্তা করে বিষন্ন রাত কাটিয়েছি আমি, আমার মত অনেকে, যেই সমাপ্তি আবার অনেকের কাছেই প্রাণের চেয়ে বেশী কাম্য।

বিস্তারিত»

ছুটি

১২ ই জুন ১৯৯৯। প্রথম বার ছুটি কি তা সত্যি উপলব্ধি করি। আমাদের ফার্স্ট টার্মের প্রথম ছুটি ছিল সেটা। এর আগে স্কুল লাইফ এ পাওয়া সব ছুটির আনন্দ যেন উবে গিয়েছিল নিমিষেই। আর কখনও ঐ অনুভুতি ফিরে পাওয়াটা দুষ্কর হবে বলে ভেবেছিলাম। আমি জানি আমাদের সিংহভাগই কখনও আর সেই স্বাদ আস্বাদন করতে পারে নি।
অথচ ভাগ্যের চক্রে আমাদের মত গুটিকয়েক অসহায় প্রাণ এখনও ছুটির জন্য সেই একই ভাবে সীমাহীন আগ্রহে অপেক্ষা করে।

বিস্তারিত»

বৃহদাঙ্গ

“সবুউউউজ, ঐ সবুজ।”
“কি?”
“কই যাস?”
“শ্যাখেগো বাড়িত যাই।”
“ক্যা?”
“কাম আসে।”
“কি কাম?”
“হেইডা তর দরকার কি?”
“না ভাল লাগতাসে না। আয় কুতকুত খেলি”
“নাহ। মাইয়া মাইনশের খেইল খেলতাম না”।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে

বহুদিন পর কলেজে গেলাম আজকে। সেই বহুদিনটা হিসেব করতে গিয়ে দেখি চার বছর হয়ে গেছে! শেষবার গিয়েছিলাম কলেজ রিইউনিয়নে, ২০০৭ এ। ৩৩ জনের বড়সড় গ্যাং ছিলাম সেবার আমরা। যাই করি সবাই একসাথে মিলে করি , শুধু বাথরুম আর টয়লেট ছাড়া। আনন্দে মাখামাখি হয়ে সেবার কলেজ থেকে ফিরে আসার পর কলেজে আর যাওয়া হয়নি।
আবার গেলাম আজ।
নস্টালজিয়ার টানে না, নেহায়েত পার্থিব দরকারেই যাওয়া।

বিস্তারিত»

টুকিটাকি ছন্দ, হবে কি পছন্দ ?

১.
ও পাড়ার নিতিশ এ
করে দুর্নীতি সে
পুছেনাকো কারো কথা
কারো ভয়-ভীতি সে
কিছুদিন থেমে শুরু
করে যথারীতি সে।

২.
দিলাম তোমায় মন দেহ
করছো তবু সন্দেহ ?

৩.
যার উপদেশে ভেসে গেল এই দেশটা
নাম তার হলো সরকারি উপদেষ্টা

বিস্তারিত»

ব্লগরোল ০১

১।

সিসিবিতে আমার সিরিজ আছে দুইটা। পরবাসীর রোজনামচা আর আচার। নতুন প্রোগ্রামের ঠেলায় পড়ে এই দুই সিরিজেরই নতুন কোন পর্ব লেখার ম্যাটেরিয়াল পাচ্ছি না। স্মৃতিচারণ করা যায়, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক স্মৃতি আমার কাছে কেমন যেন ধোঁয়াশা লাগে। পোলাপাইনের সাথে আড্ডায় বসলে মনের গভীর থেকে সেইগুলা উগলে আসে, জাবর কাটি। আড্ডা শেষে আবার ধোঁয়া।

নতুন একটা সিরিজ শুরু করুম ভাবতেছি। এইটা তার প্রথম কিস্তি।

বিস্তারিত»

ব্যাক্তিগত একটি সংবাদ নিয়ে একটি আজাইরা পোস্ট

একটা গল্প আছে মিথ্যাবাদী রাখালের। সেই গল্প সবাই নিশ্চয় জানেন অতএব তার উল্লেখে সবাইকে বিরক্ত করাটা অনুচিত হবে। তাই গল্পটা আর মনে করানোর ধৃষ্টতা দেখালাম না। তবে যেহেতু তার উল্লেখ ঘটেছে এই পোস্টে অতএব তার সাথে মিল বা বেমিল ব্যাখ্যা করতে আমি বাধ্য। এই গল্পটা আমরা খুব ব্যবহার না করলেও গল্পের শিরোনামটা বেশ ব্যবহৃত আমাদের কলেজে বিশেষ করে দুটি হাউসে। তার কারণ অবশ্য শিরোনামে একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের নামোল্লেখে।

বিস্তারিত»