একজন বাঁশীওয়ালা খুঁজে ফিরি

সভ্যতার আদিতে প্রকৃতির কোলেতে স্নিগ্ধ শুভ্রতারই বসবাস ছিল ! তখন এতটা দূষণ ছিলনা বাতাসে। তাইতো হৃৎপিন্ড এখন একটুতেই হাঁপিয়ে উঠে।
শুদ্ধতার মোহে তাড়িত হই আমি পথ থেকে পথে। সবার জীবনেই ছোট বড় দীর্ঘশ্বাস জমে যায়।
এ জন্যই হয়তো শব্দের ছলনায় সেইসব দীর্ঘশ্বাসগুলো আমরা একদম ভুলে থাকতে চাই।
জোর করে আঁকতে চাই শুধুই সুখছবি; তবুও এসে যায় ভায়োলিনের কান্না।
অভিমানে এক বুক আঁধার নিয়ে ছাইমাখা জীবনে উড়ে চলি –

বিস্তারিত»

?

খবরটা

বিস্তারিত»

টস্‌ বৃত্তান্ত !!

হেডঃ

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
বটবৃক্ষের ছায়ায় পা ছড়িয়ে বসে থাকি।
নিজের মনন কে ছুটি দিয়ে
একেবারে নির্বিকার অপেক্ষমান আমি।

তারপর চলে সময়ের সাথে
ক্লান্ত সাপ লুডু খেলা।
থেকে থেকে মান অভিমানে
আকাশ পানে চেয়ে থাকা; আর
কেবল অদৃষ্টকে দোষারোপ !!
:thumbdown:

টেইলঃ

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেছি চকিতে
পোড়া হৃদয়ের ব্যস্ত সাঁজোয়া ব্রিগেডে।

বিস্তারিত»

অযান্ত্রিক

ঋত্বিক ঘটকের অনন্য শব্দসংযোগ এবং সম্পাদনার প্রথম নিদর্শন অযান্ত্রিক। সিনেমার ইতিহাসে প্রথম সিনেমাগুলোর একটি যাতে কোন জড় বস্তুর সাথে মানুষের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে অযান্ত্রিকে কিছু কল্পবিজ্ঞান থিম ফুটে ওঠে। আধুনিক ডিজনি সিনেমাগুলোতে গাড়ির ওপর যেভাবে প্রাণ আরোপ করা হয় সম্পূর্ণ বাস্তবতাবাদী গণ্ডীর মধ্যে থেকেই ঋত্বিক ঘটক সেটি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কল্পবিজ্ঞান বা রূপকথার আবহ তৈরির জন্য তাকে ফ্যান্টাসি সিনেমার ব্যকরণ প্রয়োগ করতে হয়নি। পোস্ট-প্রোডাকশনে ধারণকৃত বিভিন্ন শব্দ এবং ট্যাক্সির ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন অংশের আপাত-অবাস্তব নড়াচড়ার মাধ্যমে গাড়িরও যে প্রাণ আছে তা ভাবতে বাধ্য করেছেন তিনি।

বিস্তারিত»

অক্সিডেন্ট আর ছায়াশ্রমিক- মধ্যিখানে ব্রেনার পাস

রোমে আসার আগে শুনতাম এই শহরে নাকি ৩০,০০০ বাঙালি আছে, আসার আগে বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু আসার পর মনে হচ্ছে সংখ্যাটা এরও বেশি হতে পারে। আমি থাকি মূল শহরের বাইরে গ্রামমত একটা জায়গায়, আশেপাশে অনেক খোলা জায়গা, পাশেই ইউনিভার্সিটি। শহরকেন্দ্রে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা, বাসে ২০ মিনিট আর মেট্রোতে ৪০ মিনিট। প্রধান বাস এবং ট্রেন স্টেশনের কারণে কেন্দ্রটির নাম তেরমিনি (Termini)। এখান থেকেই শুরু অভিবাসীস্থানের।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ বদলাবেই

আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।

বিস্তারিত»

ইসসিরে! কতদিন পর সিসিবি আড্ডা!

লাবলু ভাই গাড়ির ইঞ্জিন ইস্টার্ট দিতে দিতে কহিলেন, চলো বৎস, “খাদ্য দর্শন” নামক দোকানে চলো। আগে আগে পৌঁছাইয়া সবাইকে গ্রহণ করিতে হইবেক। আমি সামনের সীটে বসিতে বসিতে কহিলাম- জী আজ্ঞে।

তো ব্যাপারটার শুরু এইভাবেই।

ফুড ভিশনে পৌছে বুঝলাম ভীষণ রকমের আগেই পৌছে গেছি আমি আর লাবলু ভাই। আমাদের দেখা মাত্র বেশ ভালো রকমের স্বাস্থ্যের অধিকারী এক হাসিখুশি ছেলে তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে লম্বা মাপের সালাম দিলো।

বিস্তারিত»

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সেরা অসেরা বিতর্ক এবং এই বিষয়ে আমার ভাবনা

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বের হলো। তারপরেই শুরু হয়ে গেলো সেরা অসেরা বের করার প্রয়াস। কোন এক সমীকরণের হিসাব মেনে ক্যাডেট কলেজ গুলো বেশ ভালোভাবেই শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। এটা নিয়ে ফেসবুকে একটা পোলকে ঘিরে কাদা ছোড়াছুড়িও হচ্ছে বেশ। তারমাঝে অতি দুঃখজনক ভাবে লক্ষ্য করলাম আমাদেরই ক্যাডেট ছোটভাই অনেকেই ফেসবুকে কিছু মন্তব্য করেছে যা অনাকাঙ্খিত এবং দৃষ্টি কটুও। কথা বলার মাঝে নুন্যতম সৌজন্য বোধ হারিয়ে সেরা অসেরার কুতর্কে মেতে উঠেছে অনেকেই।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৮

আকাশের বিশালতা কে বক্ষে ধারন করার এক ব্যাপক অভিপ্রায়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজ হাতে বানিয়েছি আমি চৌত্রিশটা ছোট বড় ঘুড়ি। এর মধ্যে সকালের মিষ্টি রোদের মত কিছু আছে। অন্য কিছু সুনীল সাগরের মত; গোটা কতক রক্তলাল, কয়েকটার আছে সবুজ পাড়। কেউ সোনালী, কেউ কেউ রুপালী – আর বাকি গুলো স্রেফ সাদা কালো।

একদিন হয়তো উড়ানোর অনুমতি মিলবে – এই প্রতীক্ষায় আমি বানিয়েছি এইসব ঘুড়ি।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প: আমাদের মায়াবতীর একজোড়া কাজলকালো চোখ ছিলো

আমাদের গল্প শুরু হয় না শেষ হয় না কখনো। কেবল বৃত্তায়িত ভাবে ঘুরপাক খায় আমাদের বিকালের পুকুরপাড়ের আড্ডায়। মফস্বল এলাকার খবর হওয়া সব ঘটনাই উঠে আসে আমাদের আড্ডায় জোরেসোরে। এর মাঝে এখন মায়াবতীর গল্প কেউ ভুলক্রমে তুলে ফেললে আমরা না শোনার ভান করে এড়িয়ে যাই। তারপরেও হয়তো চোরা চোখ চলে যায় কোন এক সবুজের দিকে। বিকালের সূর্য আটকা পড়ে তার ক্লান্ত কক্ষপথের কোন এক চোরা গলিতে।

বিস্তারিত»

প্রাকৃতিক অনু পরমানু


জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম
সারাটা দুপুর, মেঠো পথের দিকে-
রোদের তাপ কমে গেলে;
মাড়িয়েছি ঘাসফুল অবুঝের মত
একটা ঘাস ফরিঙ এর পিছুপিছু ।


পুকুরের জলে পা ডুবিয়ে বসেছিলাম-
মাছরাঙার ছোঁ-মারা ভঙ্গিমাটুকু
বিস্মিত নয়নে দেখব বলে।
গোটা বিকেলটাই পালিয়ে গেল;
কিন্তু অপেক্ষাটুকু ফুরালো না।


আকাশে লালিমা মেখে তখন
আমায় থমকে নামলো সন্ধ্যা।

বিস্তারিত»

একটি খোলা চিঠি

নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লিখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি – আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় –

বিস্তারিত»

বৃষ্টি অথবা শহরের কিছু দৃশ্যকল্প এবং একটি অগল্প

কালো মেঘ আর সাদা বৃষ্টির মিতালিতে স্বপ্নের সাদাকালো রঙে প্রকৃতি সেজেছে আজ হয়তো তার জন্যই । পিচঢালা তপ্ত রাস্তাও বর্ষণ অবগাহনে আজ শান্ত। ধূলোর চাদর ঝেড়ে নগরী আজ বিদায় জানিয়েছে যেন জমে থাকা ধুসর সময়কে। বৈদ্যুতিক তারের উপর বসে ভিজছে কিছু কাক। কে জানে হয়তো বা তাদের মাঝেও বৃষ্টি শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিয়েছে। হালকা বাতাসের মৃদু আদর আর বর্ষিত বারির আশীর্বাদে গাছগুলোকেও একটু পুলকিত মনে হচ্ছে।

বিস্তারিত»

নিরুদ্দেশ

ঘর ছাড়িয়ে পথে পথে,
পথ ছাড়িয়ে মাঠে মাঠে।
মাঠ ছাড়িয়ে বনে বনে-
বন ছাড়িয়ে দূর তেপান্তরে
পাহাড় ছেড়ে মেঘের পারে।

সব দেশ ঘুরে ফিরে,
ক্লান্ত আমি অবশেষে;
ফিরি তব আপন ঘরে।

তুমি তখন মুচকি হাসো,
ভালবেসে কাছে আসো।
দুহাতে আমি যতন করে
তখন সরাই তোমার কেশ,
ঐ দু’চোখেই ডুবে আছে
আমার অচিন নিরুদ্দেশ।।

বিস্তারিত»