মুক্তগদ্য : বিচ্ছিন্ন সময়ের টুকরো অনুভূতিসমূহ

এক

খসখসে সময়ের মাঝে আমাদের পথচলার মাঝে আকাশ অচেনা হয়। দূরের দিগন্তের শেষবিন্দুর মাঝে চোখ আটকে গেলেও আমাদের পথ চলা থামে না। আমরা সবাই ছুটে চলি। ছুটে চলার ফাঁকে কালগর্ভে বিলীয়মান আমাদের অন্তর্ধান ঘটে আমাদের অজান্তেই। হারিয়ে যাওয়া মানুষ হারিয়ে যাওয়া সময়ের জন্য মন প্রাণ উজার করে কাঁদতে চাই। অথচ দিগন্তের অচেনা আলোকরেখার নিষ্প্রাণ অথচ দুর্নিবার আকর্ষণ আমাদেরকে সব ভুলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় অচেনা আকাশের নিচে অচেনা আমাদের মাঝে।

বিস্তারিত»

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী । পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন আমাদের ৫৭ জন সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিওর ভাইয়ারাও ছিলেন। তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। আজ ৩ বছর পেরোতেই কি আমরা ঝিমিয়ে গেলাম? আমাদের অনুভূতি গুলো ভোতা হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়। আমরা কি আজ তেমনি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে পারি না আজ? মতামত চাই। অতিথিদের কেও আমন্ত্রন জানাচ্ছি মতামত দেবার জন্য।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প : স্বপ্ন, ভালোবাসা অথবা যাপিত জীবনের গল্প

একটি রোমান্টিক গল্প লিখবার জন্য গল্পটি শুরু হয়। গল্পের শুরু বাছাইয়ে সমস্যা হয়। যাপিত জীবন থেকে কেটে নেওয়া কোন সময়ের থেকে তার শুরু। রোমান্টিক হবার প্রয়োজনেই গল্পের শুরুতে তাই স্বপ্নের পিছে ছুটে চলা কোন মানবকে দেখা যায়। তারপরে আপন শিরোনামেই গল্পের পরিসর বাড়ে খণ্ড খণ্ড দৃশ্য কল্প দিয়ে।

স্বপ্নের হাতছানিতে ছুটে চলা

নগরীর বুকে যখন রাত গভীর হয়, সময়কে যখন ক্ষণিকের জন্য স্থবির মনে হয়,

বিস্তারিত»

কই গেল?! কই গেল?! কই গেল?!

বহু হলো নাক ডাকা, সাথে “ধীরে চল্”
কই সব পলাতক ব্লগারের দল?

কই গেল জাস্ট ফ্রেন্ড মাস্ফূ দ্যা ঠোলা
কুড়িগ্রাম , চুয়াডাঙা, নাকি গেছে ভোলা?
কই গেল রায়হান আবীরের লেখা
কেন আর টিটো দা কে যায়নাকো দেখা।
কই গেল টুশকিটা ? মদীনা, না কাবা?
কই গেল আমাদের রুমকির বাবা?
কই গেল বাথরুমে টেনে আসা বিড়ি
কই গেল তাইফুর মাম্মার সিঁড়ি?

বিস্তারিত»

বোকা বাঙ্গালী বলছি-১

আমি বোকা বাঙ্গালীদের দলে। মৌসুমী বিপ্লবীদের দলে আছি কিনা জানি না। আমিও বোকা বাঙ্গালীদের মতই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।কত কমেন্ট পড়ল সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছি বলে মনে হয় না।  ব্লগ লেখার মত পড়াশুনা, জ্ঞান কোনোটাই নাই তাই ব্লগ লিখি না (বলতে পারেন লিখতে পারি না)। কিন্তু সব ব্লগ পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মত আমিও  আপ্লুত হয়েছি এই ভেবে যে, আমরা সচেতন হচ্ছি। যদিও খুব বেশি লেখালেখি বা জন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এটি আমি বলতে পারবো না যতটা সৃষ্টি হয়েছিল আবু গারাইব কারাগারের নির্যাতন কিংবা দেশীয় এডাল্ট ক্লিপ বের হবার পর।

বিস্তারিত»

পাঠ ভাবনা : বিতংস — ওয়াহিদা নূর আফজা

প্রচলিত অর্থে রিভিউ বলতে যা বুঝায় আমার এই লেখাটি ঠিক সেই কাতারে পড়বে না। আবার কেউ যদি একে বিজ্ঞাপনমূলক ফরমায়েশী লেখার দলে ফেলে দেন তা হলেও আমি আপত্তি করবো। কারো উপন্যাস নিয়ে যখন আলোচনা মূলক কিছু লিখবো তার উদ্দেশ্যে প্রচারণা থাকবে না এমন আশা করা যায় না। তবে এই লেখাটি আমার কাছে মোটেও ফরমায়েশী নয়। বরং ভালো লাগার জায়গা থেকে স্বপ্রণোদিত লেখা।এত কিছু শুরুতে বলে নেয়ার কারণ হলো এই বইটি আমি পুরোটা পড়ি নি।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস এবং প্রাসঙ্গিক কথা

ইদানিং খোমাখাতায় বিভিন্নজনের তথ্য দেখতে গেলে আমি বেশ মজা নিয়ে লক্ষ্য করি রাজনৈতিক দর্শনের জায়গাটাতে খুব গর্ব ভরে পূরণ করা আছে “আমি রাজনীতি ঘৃণা করি”।লেখাটার মধ্য দিয়ে নিজেকে ফ্রেশ প্রমাণের একটা উন্নাসিক ভাব খেয়াল করি বলেই হয়তো আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয় তা। কারণ রাজনীতি ঘৃণা করি বলে রাজনীতিকে নিজের বলয়ের বাইরে ডিফাইন করার প্রক্রিয়াটি আমি মনে করি একধরণের ভেজিটেশন প্রক্রিয়া। আর এর মাধ্যমে নোংরা রাজনীতিবিদদের নোংরামিকে প্রতিবাদ করার জায়গাটা থেকে আমরা সরে আসি।

বিস্তারিত»

ধর্মানুভূতির বয়ান

সকল সমাজেই ধর্মানুভুতির সংক্রান্ত সামাজিক ট্যাবু অথবা ক্ষেত্রে বিশেষে আইনি বন্দবস্ত থাকে। প্রায়ই আমরা দেখতে পাই কোন একজন মানুষকে মুরতাদ অথবা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। কারও কারো মাথার দাম ঘোষণা করা হয়। যদিও মাথার দাম ঘোষণা করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে সেলফ হিপোক্র্যাসি মনে হয়। ধরা যাক সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে(ইরান সত্যিই সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল, আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে আয়াতুল্লাহ খোমেনী করেছিলেন।

বিস্তারিত»

শেষ প্রান্তে

বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।

অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…

বিস্তারিত»

ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার

কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।

বিস্তারিত»

sdjhgf

wowhdscsgiusg

বিস্তারিত»

কিছু একটা লিখতে চাই…অনেকদিন পর…

নানাবাড়িটি মেঘনার ঠিক পাড়েই। আশুগঞ্জ, বি-বাড়িয়া। ছোটখাট আবাসিক এলাকার মত এই নানাবাড়ির শেষ সীমানায় অবস্থিত আমার খালার ৫ তলা অট্রালিকার দো-তালায় আমার থাকা হয় পেশার সুবাদে। মেঘনা কিন্তু বয়ে চলেছে ৫০ গজ পিছন দিয়েই। নিজেকে সৌভাগ্যবান বলতে কার্পণ্য করি না কখনো। ছাদে উঠে প্রায়শই নদী ও তার আশেপাশে দেখার অভ্যাসটা বেশ ভালো ভাবেই গড়ে উঠেছে। এখন আবার শীতের আগমন। শুকিয়ে যাওয়া নদীর উপরে মাছের খোঁজে শ্যেন দৃষ্টিতে টহল দিচ্ছে শিকারী বাজ,

বিস্তারিত»

ছোটগল্প : ব্যস্ত শহরের অনিঃশেষ গল্প

রাত যৌবনবতী হবার অনেক আগেই শহরের আলোকবিন্দুগুলো তাদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করে। উপর থেকে তাকালে আকাশের তারার মতোই অসীম মনে হবে ছোট ছোট বিন্দুগুলোকে। এই তারকাসম আলোকে ঘিরে সতত সঞ্চারণমান মানুষগুলো আবর্তিত হয় আপন নিয়মে। ব্যস্ত শহরের মানুষগুলো বয়ে চলে নিজেদের পেছনে একেকটি গল্প। মানুষগুলোর সাথে গল্পগুলো ছুটে চলে,হেঁটে বেড়ায় ক্রমাগত। তাই শত গল্পের মাঝেকার ছোট সাবসেট এই গল্পের আরিফের নেশায় টলায়মান হয়ে বাসে উঠা,

বিস্তারিত»

পাঠ প্রতিক্রিয়া : প্রযত্নে হন্তা

অভিনবত্ব কিংবা বাস্তবতা — ছোটগল্পের উপজীব্য কোনটা হতে পারে এমন তর্কটা পুরনো। ঘটনা হয়তো এমন নয় যে, এই দুটো গুণ সাংঘর্ষিক। তবে তারপরেও যেটা সত্যি সেটা হলো বাস্তব জীবনে অভিনব ঘটনা কম ঘটে। আর গল্প যেহেতু বাস্তবের বিম্ব তার মাঝে অভিনবত্বের ছোঁয়া সবসময় আশা করাটাও অনুচিত- এই কথাটা যেমন ঠিক, তেমনি সমানভাবে একথাও সত্যি যে রোজকার খাওয়া দাওয়া ঘুম অফিস যৌনাচারের বৈচিত্র্যহীন ক্লিশের ক্রমাগত বয়ান পাঠকের জন্য ক্লান্তিকর।

বিস্তারিত»

সবুজ মানুষদের গপ্পো


সবুজ মানুষের ইশারা পেতেই চিহ্নিত স্থানে
মাটি খুঁড়ে উত্তোলিত হলো গুপ্তধনের সিন্দুক।
ডালা খুলতেই ফুস করে উড়াল দিল
এক ঝাঁক রঙীন প্রজাপতি !
সময়ের হাতে কিডন্যাপ হয়ে যাওয়া
কিছু সুপ্ত ভাব ও ভাবনা…

চুপিচুপি উড়ে যায় অভিসারে
চঞ্চলপ্রাণ সকল; এক ঝাপটায় উধাও
ওদের গোপন ডেরায় -সবুজের রাজত্বে।
দেবদারু গাছেরা সীমানায় সারিবেধে;
পাতার প্রাচীর বিচ্ছেদকারী সূর্যকিরন ।

বিস্তারিত»