এরা আমার সম্পত্তি নয়,সম্পদ-২

 

সবচে অবাক হয়েছি ক্যাকটাসের ফুল দেখে।অধিকাংশ ক্যাকটাসের ফুল হয় এবং সে ফুল অনেক দিন থাকে!!!সপ্তাহে একবার অল্প করে পানি দিলেই চলে।আলাদা করে আর কোন যত্ন নেয়া লাগেনা।চাকরির কিছু চক্করে গত বছরের শুরু থেকেই দৌড়ের উপর আছি।তাই ক্যাকটাস কালেকশন কার্যক্রম খানিকটা থমকে আছে।ইচ্ছা আছে দেশে ফিরে নতুন উদ্যমে শুরু করার।

বিস্তারিত»

এরা আমার সম্পত্তি নয়,সম্পদ-১(আমার ক্যাকটাস কালেকশন)

আমাদের বাসার সামনে উপজেলা অফিস।প্রতি বছর সেখানে কৃষিমেলা নামক কিছু একটা ব্যাপার হয়।খুব ছোটবেলা স্থানীয় এক কলেজ অধ্যাপক তার পিএইচডি এর জন্য যোগার করা ক্যাকটাস দিয়ে একটা স্টল দিয়েছিলেন।তখন খুব ভাল লেগেছিল।প্রায়ই মনে পড়ত সে স্মৃতি ।মিশনে আসার বছরখানেক আগে হঠাৎ করে মাথায় পোকা ঢুকল ক্যাকটাস কালেকশন করার। কারণ দেখতে সুন্দর,যত্ন খুব বেশি করা লাগেনা।মাথায় চিন্তা আসা মাত্রই কাজে নেমে পড়লাম।তবে যোগার করতে গিয়ে টের পেলাম ব্যাপারটা অত সহজ না।কারণ সব নার্সারিতেই কিছু কমন প্রজাতির বাইরে কিছু পাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

জমজ প্রেম

প্রেম সবার জীবনেই একবার না একবার আসেই। আজকে আরেকটা প্রেমের গল্প। গল্পের নায়ক আমার বন্ধু প্রথি। প্রথি ছোট বলা থেকেই পাড়ার সবচাইতে ভদ্র ছেলে। বাংলা সিনেমার নায়করা যেমন নম্র ভদ্র ক্লাসের ফার্স্ট বয় হয়, গল্পের নায়ক প্রথিও তাদের থেকে কম যায় না, উপরন্তু মাকে বলা ছাড়া বাসা থেকেও বের হয় না।

প্রথির মা এর আবার আমার উপর অগাধ বিশ্বাস যে, আমি একটা ভালো ছেলে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন সন্ত্রাস – ১

খুব মৃদু ভাবে ঘন্টা বেজে যাচ্ছে যেটা একদম ভালো লাগে না। আজকে একদম উঠতে ইচ্ছা করছে না। বন্ধ চোখ এক চিলতে খুলে দেখলাম বাইরে আলো ফুটেনি কিংবা কুয়াশা। যেটাই হোক এখন উঠবার প্রশ্নই আসে না। চোখ আবার বুজে ঘুমের রাজ্যে একটু ডুব দেবার আগেই স্টাফের তীক্ষ্ণ হুইসেল বেজে উঠলো। নাহ আজকে ঘুমাতেই দিবে না। কোনমতে উঠে বসলাম বিছানায়। ফয়সাল, মঞ্জুর, হাবীব, শাকেরীন, মোটামুটি সবাই উঠে পড়ছে।

বিস্তারিত»

আমার সকল প্রেমগাথাঃ২ (দ্বিতীয় প্রেম)

আমার দ্বিতীয় প্রেমের কাহিনীটা লেখা শুরু করে ছিলাম অনেক আগেই, কিন্তু আমার ল্যাপটপের মকরামির কারনে লেখাটি হারিয়ে যায় তারপর আর মনের দুঃখে আর লেখা শুরুও করিনাই । আর লেখা কয়েকবার শুরু করলেও প্রথম বার যেমন হয়েছিল তেমন টি আর হয় না যার ফলে দ্বিতীয় পর্ব আসায় এতো দীর্ঘ সময় নিল। যা হোক, আসল কথায় আসি এবার, সেই প্রথম প্রেমে ছেকা খাবার পর চলে গেলাম ক্যাডেট কলেজে।

বিস্তারিত»

আমার সকল প্রেমগাথাঃ১(প্রথম প্রেম)

ছোটবেলা থেকেই আমার একটা বড়সড় সমস্যা আছে। সেটা হইল দুর্বলতা। নারীজাতির প্রতি দুর্বলতা। এই দুর্বলতাটা প্রতীয়মান হয় আমি যখন ক্লাস টু তে পড়ি। আমাদের বাসায় একটা ক্যালেন্ডার ছিল। সেখানে তখন কার যুগের কোন এক মডেল এর ছবি ছিল। আমি হা করে সেই মডেলটির দিকে তাকিয়ে থাকতাম। গোসল করার সময়, খাবার সময় ঘুমের সময় চিন্তা করতাম, আহ কি সুন্দর একটা মেয়ে। আমার বউখানা যদি এমন হইত!!মামা খালারা যখন প্রেম করতো আমি ভাবতাম আমি যে কবে এমন করে প্রেম করব,

বিস্তারিত»

নাম সমগ্র

সঙ্গত কারনে পোস্ট সরিয়ে নেয়া হইল। লেখক অনেক মাইর খেয়েছেন তার ক্লাসমেট দের হাতে  :duel: :duel: :gulli: :gulli: :gulli2: :gulli2: :chup: :chup: :brick: :brick: :brick:

বিস্তারিত»

কাইন্ডলি কাইন্ডলি জী

 

ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিন। বাবা-মা, খালা-খালু, নানা-নানি, মামা-চাচা সবাইকে নিয়ে ক্যাডেট কলেজে হাজির। কেমন যেন ভয় ভয় লাগছিল। আমার খালাতো ভাই আর চাচা ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে ক্যাডেট কলেজের অনেক গল্প শুনেছি। আর আমরা সবাই যেমন একটু বাড়িয়ে বলতে ভালবাসি নিজের বীরত্ত দেখাতে, আমার চাচা বা ভাই ব্যতিক্রম ছিলেন না। তারাও নিজের বীরত্ত দেখাতে বা শোনাতে ক্যাডেট কলেজের সিনিয়র ভাইদের সম্পরকে এমন গল্প শুনিয়েছেন যে আমি ক্যাডেট কলেজে ঢোকার আগেই ভয়ে মরে যাচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

অপরিচিত কিংবা অর্ধ পরিচিত মানুষ ও জীবনের গল্প – ২

[ ডিসক্লেইমার : আগে একই নামে আবজাব কিছু লেখবার চেষ্টা করেছিলাম। ইচ্ছা করলো সেটাকে আরো বাড়াতে। তবে এটা সিরিজে রূপ নেবার সম্ভাবনা কম ]

কলেজ থেকে বিদায় নেয়ার সময় এক স্যার আবেগ থেকে কিছু কথা বলেছিলেন। সেই কথা গুলো মনের পর্দায় আটকে থাকে না চাইলেও। সেই কথাগুলোর সাথে আরো কিছু কথা যোগ হয়ে বরাবরই চলে আসে যে কোন বিদায় বেলায়। কথাগুলি মনে মনে আউড়াই সময়ে অসময়ে।

বিস্তারিত»

হাবুল হোসেনের সাথে হুমায়ুন আহমেদের একান্ত আড্ডা (অপ্রকাশিত সাক্ষাতকার)

রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে নিজের ঘরে পা দেয়ার পরে ছোট ভাইবোনদের হুমায়ুন বিষয়ক জল্পনা কল্পনা, মুখরোচক আলোচনায় এতক্ষণ ভুলে ব্যথাটা নতুন করে জেগে উঠে হাবুলের। হুমায়ুনের মৃত্যুতে যেখানে সবাই হুমায়ুনের সাথে স্মৃতিচারণ নিয়ে মেতে রয়েছে, তখন তার ভাণ্ডার একদম খালি। তার সহকর্মীদের কেউ হুমায়ুনের সাথে এক বিকালে চা খাওয়ার গল্প লিখছে, কেউ হুমায়ুনের বাসায় বসে দেওয়া আড্ডার কথা লিখছে, সাহিত্যিক কাম সাংবাদিকরা যেখানে হুমায়ুনের মুখ থেকে বুলি বের করে নিজের কৌতুককে জাতে উঠাচ্ছে,

বিস্তারিত»

খাগড়াছড়ি, ভালোবাসার টানে কাছে আনে – ১

হ্যান্ডস ডাউন হতে চাচ্ছিলাম না। কপট রাগের আরো এক ঝাপ্টা গায়ে লাগতেই আর উপায়ন্ত দেখলাম না। অব্যবহিত পূর্বের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হিসাবে ফেরদৌস ভাইয়ের (ফৌজদারহাট, ৯০-৯৬) হাতে বার-বি-কিউ স্টিক দিয়ে উত্তম মধ্যম খাবার আরেকটি সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে হ্যান্ডস ডাউন হলাম। অন্ধকার ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে বসে থাকা সিনিয়ারদের নিঃশব্দ ভিলেন টাইপের হাসিটা ছিলো অনুভবের ব্যাপার মাত্র। সাইফুল্লাহ ভাইয়ের (রংপুর, ৯০-৯৬) হাতের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠলো বেশ কয়েকবার।

বিস্তারিত»

খেলা দেখা : আনন্দ, বিড়ম্বনা, অতঃপর একজন ভুক্তভোগীয় বয়ান

আমার দাদা একজন তুমুল ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন, এমন তথ্য কোন কালে কোন ঘটনায় খোঁজ পাওয়া যায় না কিন্তু তার ছেলেদের নামের সাথে মিল রেখে কাকতালীয় ভাবে ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে এসেছে ক্রমাগতই। আমার বাবার কথাই ধরা যাক। আশরাফুলের গুরু নামে খ্যাত ওয়াহিদুল গণির সাথে তার নাম অনেকখানিই মিলে যায়। পৃথিবীতে আগমনের দিকে ওয়াহিদুল গণির চাইতে হয়তো আমার বাবাই এগিয়ে থাকবেন, তবে ক্রীড়াসংশ্লিষ্টতার দিক থেকে তাদের ব্যবধান আকরাম খান আর খিলিপানের চাইতে কোন অংশেই কম হবে না।

বিস্তারিত»

শেষ সিগারেট

ছুটে চলা ট্রেনের জানালা দিয়ে মুখ বের করে দিলাম আর দুরন্ত বাতাসে বুজে এলো দুটি চোখ। ডোবায় আধখানা চাঁদের টলমলে প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে হঠাৎ বৃষ্টির ঝাপটায় এফোঁড় ওফোঁড় করে দিলো মুখ। চাঁদ ও বৃষ্টির এই উদ্ভট সহাবস্থানের কোন ব্যাখ্যা দাড়া করানোর চেষ্টা না করে মাথা ভেতরে এনে জানালা বন্ধ করতে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সহযাত্রীর প্রশ্ন, “বৃষ্টি পড়ছে?” উত্তর দিলাম, “চাঁদের আলো বৃষ্টি দুটোই পড়ছে।” ইয়ার্কি করছি কিনা সেটা বোঝার জন্যে সহযাত্রীর চোখ মূহুর্তের জন্যে সরু হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে এলো।

বিস্তারিত»

বদলে না যাওয়া ভালোবাসাগুলো

১৯৯৮ সালের জুন মাসের এক তারিখ

আব্বা, আম্মা আর আমি – এই তিনজন গাড়িতে করে টাঙ্গাইল যাচ্ছি। সবাই বললো ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া অনেক কঠিন। তাই ঠিক হলো আমাকে ক্যাডেট কোচিং এ দেয়া হবে। যেখানে থাকি সেখানে ভালো কোন কোচিং নেই। অগত্যা টাঙ্গাইলে চলো। ঠিক হলো আবাসিক থেকে কোচিং করবো কয়েক মাস। আজ সেই দিন। আমাকে কোচিং এ রেখে আসা হবে। গাড়িতে আম্মা আমার পাশে বসা।

বিস্তারিত»

অপরিচিত কিংবা অর্ধ পরিচিত মানুষ ও জীবনের গল্প

গল্প লিখতে বসলে গল্পের চরিত্র নিয়ে কাহিনী ও নাম সংকটে পরে যেতাম প্রথম প্রথম। বাস্তব আর গল্পের অসমতায় প্রভাবিত হয়ে গল্পের প্লট নিয়েই সন্দেহাতুর হয়ে যেতাম। বাস্তবের ঘটনাগুলো গল্পের মতো অভিনব হয় না নাকি গল্প বাস্তবের মত জীবন্ত হয় না এ নিয়েই দ্বিধা কাজ করতো মনে। কাহিনী তাই গড়ে উঠে বয়ে চলা জীবনগুলোর একটার সাথে আরেকটার কাহিনীর যোগ বিয়োগে। অদেখা জীবন গল্পে চলে এলে সেই জীবনের বাস্তবতার চেয়ে সেই জীবন নিয়ে রোমান্টিক ভাবনায় স্টেরিও টাইপ কাহিনী গড়ে উঠে।

বিস্তারিত»