একটি যাপিত জীবন


লাটিম হয়ে কক্ষপথে নক্ষত্রের ঘূর্ণি-
মানুষ আমি অবিরাম ছুটি দিবানিশি ।
হঠাৎ আচমকা কখনও ফুসরত মিললে
নীল আকাশের দিকে তাকাই মুখ তুলে।

বহমান নদীর জলের মত পলি ফেলে
নিরুদ্দেশের মোহনাকে মেনেছি গন্তব্য।
চলতি পথের নুড়ি পাথরের গায়ে গায়ে
লেপ্টে রয় আমার অপূ্রনীয় স্বপ্নগুলো ।


সবুজ পাহাড় পেরিয়ে যাযাবর হয়ে
ধুলো মাখা পথ মাড়িয়ে ছুটে চলি।

বিস্তারিত»

যে সীমান্তে শুধুই বসন্ত ! (৪)

চমকিত বিজলী

প্রথম আমাদের দেখা হয়েছিল
জমকালো এক শপিং মলের
অলস দুপুর পেরিয়ে রোমাঞ্চকর সেই বিকেলে।
তুমি কালো শাড়ি পড়েছিলে,
আর আমি পড়েছিলেম
সাদা জমিনে কমলা সুতোয় কাজ করা পাঞ্জাবী।
অথচ জানিনা আমরা দুজনের কেউই
‘কালো’ আমার আর ‘কমলা’ তোমার প্রিয় রঙ।

বড়রা তখনও সৌজন্যমূলক আলাপচারিতায় মত্ত।
আজকের এই দেখা হওয়াটাকে তারা সবাই মিলে-
নেহায়েৎ –

বিস্তারিত»

প্রেক্ষাপট – আন্তঃনগর ট্রেন এবং অতঃপর …

রাতুল ঘড়িটা দেখে নিল। হাতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে রওনা দেয়ায় ওরা যথাসময়ে স্টেশনে পৌঁছে গেল। ওরা তিনজন- রাত্রি ওর সহধর্মিনী – রাশু ওদের দুবছরের ছেলে আর ও অর্থনীতিতে মাস্টার্স শেষে বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে আছে।
চট্টগ্রাম। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো আন্তঃনগর ট্রেন। যাত্রীরা কেউ কেউ উঠে বসেছে। কেউবা দাঁড়িয়ে বা বসে প্ল্যাটফর্মে ছড়ানো ছিটানো। ওরা টিকেট দেখে উঠে বসলো।

প্রথম শ্রেনী – শীততাপ নিয়ন্ত্রিত– চারজনের কামরা।

বিস্তারিত»

আজব দুনিয়ার কিছু ভুয়া “গজব” এর কাহিনী!

এক সপ্তাহের মাথায় আবার লিখতে বসলাম। পড়াশোনার চাপ মনে হয় কম, এইজন্য এখন ব্লগর ব্লগর করতে মজা লাগে মনে হয়! যাই হোক বেশী কথা বাড়াবো না; আমার অন্যান্য ব্লগ দেখে ধারণা করতে পারবেন আমার কাজ বাইরের পত্র-পত্রিকা বা নেট থেকে আর্টিকেল চুরি (!) করে এখানে লেখা… আমার তো আবার “ক্রিয়েটিভিটি” একটু কম কিনা!  :-B

আজকে লিখব ‘শেষ বিচারের দিন’ নিয়ে। না ভাইয়া এ্যান্ড আপুরা,

বিস্তারিত»

ফেসবুকে’র জন্য কিছু শর্টকাট (এবং অন্য কিছু)

 

আমাদের প্রতিদিনই এখন কমবেশী কম্পিউটারে বসা লাগে – এবং নেটে বসলে একবারের জন্য হলেও যার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট আছে সে ফেসবুকে যাবেই!

তো কিছুদিন আগেও আমি এই ফেসবুক ব্যাবহারের সময় বেশকিছু নিরাপত্তার ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে লিখেছিলাম। আজকে লিখব ফেসবুকে কিছু “কী-বোর্ড শর্টকাট” নিয়ে – যা আমি নিশ্চিত আমাদের অনেকেই কোনদিন জানতই না!! (আমি নিজেও জানতাম না –

বিস্তারিত»

ফেসবুক [চোর] হইতে সাবধান!!

তা বেশ কিছুদিন যাবৎ খেয়াল করতেসিলাম যে কি সুন্দর ফেসবুকে সবাই সবার “ranking” করতেসে। কে কারে কত “লাইক” করে, কার সঙ্গে কার প্রেমের “চান্স” (!) বেশী – কার কোন ছবিটা কত সুন্দর, কার প্রথম পোস্ট কোনটা আর কবে… নাইলে অমুক মাইয়ার তমুক ভিডিও দেইখা তার বাপের ‘রি-এ্যাকশ্‌ন’ – মানে মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ, দুনিয়া তো আসলেই চরম হইয়া গেসে!!

যাই হোক, ভাবতে খারাপ লাগে, যখন পরে শুনি যে কারও প্রোফাইল “হ্যাক”

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য

[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।

বিস্তারিত»

খাদু দাদু, চিল, অমল কান্তি, বেঞ্জামিন মূলায়েস ও অন্যান্য

কবিতা ও গানের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। তারা শুধু তার মাঝেকার অন্তর্নিহিত ভাবের মাঝে সীমবদ্ধ থাকে না। মাঝে মাঝে তারা ধারণ করে পাঠক অথবা শ্রোতার হারিয়ে যাওয়া সময়কে। যে সময় খুঁজে পাওয়া যায় না শুধু নিজের স্মৃতিকোঠা ছাড়া সেই সময়ই হাপুস করে বেরিয়ে আসে কবিতা ও গানের কোল থেকে। প্রতি পাঠেই পূর্ব চর্চিত কোন এক সময় ফিরে আসে শ্রোতার মাঝে। তখন সেই প্রিয় সময়ের মতো কবিতাও আপন হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

এলো্ + মেলো = এলোমেলো 0.১

অনেকদিন ধরে কিছু লিখতে ইচ্ছা করেনা, পড়তেও ইচ্ছা করে না । সারা মন জুড়ে আছে শুধু একটা ভীষন আলসেমি । আর আমার ব্যাড লাক টা খুবই খারাপ যাচ্ছে ইদানিং । গত শনিবারেই কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল । যাচ্ছিলাম ফারজানি’র জন্মদিনে, বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ গাড়ির ব্রেক ফেল করল আর ধাম করে সামনের গাড়িটাকে মেরে দিলাম । পুরা ঘটনা টা হলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে । প্রাথমিক শকটা কাটিয়ে উঠে বের হয়ে দেখি গাড়ির বাম্পার তিন টুকরা হয়েছে আর হুডটাও গেছে ।

বিস্তারিত»

বাইচ্যা আছি

মানুষ বড় হয়ে কত কিছু হইতে চায়। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, নবীন গবেষক, আবার কেউ ছাত্রলীগের নেতা। আমি যত বড় হইতে লাগলাম খালি মনে হতে লাগলো আমার কিছুই হওয়ার দরকার নাই। ২৪/৭ মনের মত আলসেমি করে দিন পার করে দিতে পারলেই আমি খুশী। সে লক্ষ্যে বেশ ভালোমতই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। বিএসসি সার্টিফিকেট বালিশের তলায় রেখে রাতের বেলায় ঘুমাতাম আর সকাল সাড়ে বারোটায় ঘুম থেকে উঠে হাই তুলতে তুলতে ভাবতাম –

বিস্তারিত»

তোমার জন্য, প্রেমা

প্রেমা,

আজ তোমাকে খুব খুব মনে পড়ছে। কেমন আছো? নিশ্চয়ই ভালো, কারণ শেষবার যখন তোমাকে দেখি, খুব সুখীই লাগছিলো। ভুলে গেছো, না! আসলে এটাই স্বাভাবিক। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তোমার বা আমার, কারোরই নয়।

জানো, আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিকে আমি বলতাম “রোমান্টিক বৃষ্টি”। বর্ষার এই দিনগুলো তোমার সাথে ব্যালকনিতে বসে থাকতে কি যে ভালো লাগতো! মনে আছে তোমার,

বিস্তারিত»

অবচেতন মনের অসচেতন প্রার্থনা …

পড়ে আছে বাবা, মাথার ক্ষত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে মেঝে। ক্ষতটা ডানহাতে চেপে ধরে বাবার নিথর দেহটা কোলে নিয়ে বসল সামী। বাবাকে হত্যা’র দায় কাঁধে নিয়ে …

বাবা মা কে সামী কখনই কম ভালবাসেনি, বাসেও না। তাদের কষ্টের সময়ে, অসুস্থতার সময়ে রাতের পর রাত মাথার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছে, আদর্শ সন্তানের মত সামলে নিয়েছে সব। অথচ সেই সামী’রই ইদানিং আর বাবাকে, মাকে সময় দেয়ার মত সময় হয়না ।

বিস্তারিত»

২৫ ”

“এখনই নয়। আপাততঃ প্রহর গুনছি…”

২৫’

২৫ ‘ ‘

রাতের আঁধারে একান্তে
অগ্নি শিখার প্রজ্বলন,
মোমের ছন্দের সাথে
পুরনো বেহালার ক্রন্দন।

অবুঝ কর্পূর প্রাণে –
মুছে যাওয়া গান
ভুলে থাকা অভিমান ;

কেনই বা আর কবিতা ?
থাক শুধুই নী র ব তা !!

বিস্তারিত»

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে একজন আম-দর্শকের ভাবনা

বিশ্বকাপ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। সপ্তাহের কম সময় দূরে দাড়িয়ে সে। এর মাঝেই প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দল এই প্রথম মিনোজ ট্যাগ হতে বেরিয়ে বিশ্বকাপ খেলছে। আর সাথে রয়েছে হোম এডভানটেজ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ দল গঠন নিয়ে মিডিয়া জুড়ে আলোচনা সমালোচনারও অভাব নেই। সেই আলোচনা সমালোচনায় সামিল হওয়ার জন্যই এই ব্লগের অবতারণা। একজন বোদ্ধার চোখে নয় বরং আঠারো বছর বাংলাদেশের ক্রিকেট ফলো করা একজন আম দর্শকের চোখে বাংলাদেশের দল নিয়ে মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা এই অধম ব্লগারের।

বিস্তারিত»

অপত্য

নার্স এসে যখন কাপড়ের পুঁটলিতে মোড়ানো ছেলেটাকে দিয়ে গেল তাসলিমের কোলে, ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না বাবা হয়ে গেছে সে এখন। কাপড় সরিয়ে ছেলের মুখের দিকে তাকাল তাসলিম, ঘুমন্ত ছোট একটা মুখ। পাশ থেকে মা বললেন, একদম তোর মতো হয়েছে। তাসলিম অবশ্য কোন মিল খুঁজে পেল না। আনমনে ছেলের মুখ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, হুঁ।

এরপরের কয়টা দিন যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারেনি তাসলিম।

বিস্তারিত»