ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে

বহুদিন পর কলেজে গেলাম আজকে। সেই বহুদিনটা হিসেব করতে গিয়ে দেখি চার বছর হয়ে গেছে! শেষবার গিয়েছিলাম কলেজ রিইউনিয়নে, ২০০৭ এ। ৩৩ জনের বড়সড় গ্যাং ছিলাম সেবার আমরা। যাই করি সবাই একসাথে মিলে করি , শুধু বাথরুম আর টয়লেট ছাড়া। আনন্দে মাখামাখি হয়ে সেবার কলেজ থেকে ফিরে আসার পর কলেজে আর যাওয়া হয়নি।
আবার গেলাম আজ।
নস্টালজিয়ার টানে না, নেহায়েত পার্থিব দরকারেই যাওয়া।

বিস্তারিত»

টুকিটাকি ছন্দ, হবে কি পছন্দ ?

১.
ও পাড়ার নিতিশ এ
করে দুর্নীতি সে
পুছেনাকো কারো কথা
কারো ভয়-ভীতি সে
কিছুদিন থেমে শুরু
করে যথারীতি সে।

২.
দিলাম তোমায় মন দেহ
করছো তবু সন্দেহ ?

৩.
যার উপদেশে ভেসে গেল এই দেশটা
নাম তার হলো সরকারি উপদেষ্টা

বিস্তারিত»

ব্লগরোল ০১

১।

সিসিবিতে আমার সিরিজ আছে দুইটা। পরবাসীর রোজনামচা আর আচার। নতুন প্রোগ্রামের ঠেলায় পড়ে এই দুই সিরিজেরই নতুন কোন পর্ব লেখার ম্যাটেরিয়াল পাচ্ছি না। স্মৃতিচারণ করা যায়, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক স্মৃতি আমার কাছে কেমন যেন ধোঁয়াশা লাগে। পোলাপাইনের সাথে আড্ডায় বসলে মনের গভীর থেকে সেইগুলা উগলে আসে, জাবর কাটি। আড্ডা শেষে আবার ধোঁয়া।

নতুন একটা সিরিজ শুরু করুম ভাবতেছি। এইটা তার প্রথম কিস্তি।

বিস্তারিত»

ব্যাক্তিগত একটি সংবাদ নিয়ে একটি আজাইরা পোস্ট

একটা গল্প আছে মিথ্যাবাদী রাখালের। সেই গল্প সবাই নিশ্চয় জানেন অতএব তার উল্লেখে সবাইকে বিরক্ত করাটা অনুচিত হবে। তাই গল্পটা আর মনে করানোর ধৃষ্টতা দেখালাম না। তবে যেহেতু তার উল্লেখ ঘটেছে এই পোস্টে অতএব তার সাথে মিল বা বেমিল ব্যাখ্যা করতে আমি বাধ্য। এই গল্পটা আমরা খুব ব্যবহার না করলেও গল্পের শিরোনামটা বেশ ব্যবহৃত আমাদের কলেজে বিশেষ করে দুটি হাউসে। তার কারণ অবশ্য শিরোনামে একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের নামোল্লেখে।

বিস্তারিত»

নামটা খুঁজে পাচ্ছি না

আমার ঠিক জানা নাই ভালো লেখকরা কোন কিছু লিখার আগেই নামটা দিয়ে দেন কিনা।আমি শুধু এটাই জানি যে আমি দেই।কিন্তু এইটার যে কি নাম দিব খুঁজে পাচ্ছি না।

ছোটবেলায় প্রথমে হতে চেয়েছিলাম কনফেকশনারীর দোকানদার।বিনা পয়সায় পেষ্ট্রী খাওয়াটাই যখন আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষনীয়।তারপর কখন ও ক্রিকেটার,কখন ও জার্নালিষ্ট (স্পোর্টস),কখন ও ফ্যাশন ডিজাইনার আবার কখন ও স্বপ্ন দেখেছি আমি বিরাট এক্সিবিশন করছি বেংগল গ্যালারীতে।কখনোই যেটা চাইনি সেটা হল আর্মি অফিসার হতে।শেষ পর্জ়ন্ত ওটাই হতে হল।তাই স্পোর্টস রিপোর্টার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেটা এই ব্লগেই পুরন করি।

বিস্তারিত»

দর্শনপাঠ: এপিকুরোসের বাগান

গৌতম বুদ্ধ জন্মকেই দুঃখ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। এর কারণ বুঝি- মৃত্যু যদি দুঃখময় হয় তাহলে জন্মকেও দুঃখময় হতে হবে। নিজের জন্মকে দুঃখময় মনে করি কিনা সেটা জানি না, কিন্তু জীবন যে দুঃখময় এতে কোন সন্দেহ নেই। সকল ধরণের সামাজিকতা আমার কাছে দুঃখময় মনে হয়, কারণ সমাজে মিথ্যার জয়জয়কার। সমাজে কেবলই মিথ্যার বাহার যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলো- ইসলাম, খ্রিস্ট, ইহুদি, হিন্দু ব্লা ব্লা ব্লা…

বিস্তারিত»

ইয়েস, দে আর এ লুলু পাগল … পর্ব -১

ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “ইত্যাদি”তে ‘পাগল সম্মেলন’ নিয়ে একটা পর্ব হইছিল … পাগল সম্রাট লুলু পাগল সেই সম্মেলনের উদ্দোক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলছিলেন “ইয়েস আই এ্যাম এ লুলু পাগল, এ্যান্ড মাই ওয়াইফ নূর-জাহান, সে মাছ কোটে আর গান গায়”। জনৈকা পাগলী তার পাগল হওয়ার রোমহর্ষক কাহিণী বর্ননায় বলছিলেন “মাছি দিয়া ভাত খাইছিলাম”।

ক্যাডেট কলেজের প্রতিটা ব্যাচেই দুই চাইরটা পাগল থাকে, এর মধ্যে ভবের পাগল,

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৯

২৩ জানুয়ারী ২০০৪, শুক্রবার, রাত ১১:১৫
ইদানিং মাঝে মাঝেই ‘স্মৃতি ভারাক্রান্ত’ হয়ে যাই আগের চেয়ে। কারণটা নিতান্তই পরিস্কার। কলেজে আছি আর মোটে ৩ মাস বা তার কিছু বেশী। বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় মনের অজান্তেই বিগত ৬ বছরের স্মৃতি মনে করার ব্যর্থ চেষ্টায় নিবিষ্ট থাকি। অথচ সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘন্টা বাজাচ্ছে। ক্লাস সেভেন, এইট, নাইন, টেন, ইলেভেন এবং শেষে টুয়েলভ। অনেক কিছুই মনে করে হেসে উঠছি কিন্তু শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ভুল অ্যালগরিদমে আত্মগ্রাসী যৌনতা

ডেভিড ক্রোনেনবার্গ এর ক্র্যাশ (১৯৯৬) [পল হ্যাগিস এর ক্র্যাশ (২০০৪) নয়] আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অস্বস্তিকর সিনেমাগুলোর একটি। অস্বস্তিকর শব্দটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করিনি। আসলে পুরো সিনেমায় যদি বিপরীত ও সমকামী সংগম, গাড়ি দুর্ঘটনা, শুষ্ক ক্ষত, ভগ্ন হাড় আর নাইহিলিস্ট প্রতিবেশ ছাড়া আর কিছু না থাকে তবে স্বস্তি পাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু অস্বস্তি জাগানিয়া সিনেমাটি নিঃসন্দেহে নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে সাহসী, মানবিক, উদ্ভাবনী সিনেমাগুলোর একটি।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি বিড়ম্বনা ও বিভ্রাট

গল্প শব্দবিভ্রাট নিয়ে। বাস্তবে ঘটা এবং সত্য ঘটনা।

সুকুমার রায়ের গল্পে পড়েছি, “দাদা। জল পাই কোথায় বলুন তো?” প্রতিউত্তরে বলেছে “মুশকিলে ফেললেন, এখনতো জলপাই এর সময় না।তবে আম-কাঠাল হলে চলবে?”

আমার গল্প এইসব বিড়ম্বনা বা বিভ্রাট নিয়েই। একবার ক্লাসে এক ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,”এই তোমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন কে?” আমার বন্ধুর সরল মনের উত্তর, “কাদের”।

ম্যাডাম খেপে গিয়ে বললেন, “ফাজলামো করো।একটা চড় দিয়ে দাত কয়টা ফেলায় দেবো।কাদের আবার?

বিস্তারিত»

মাথায় কিস্তি টুপি পড়েছিলাম

ক্যাডেট কলেজে আসিবার পূর্বে প্রতীক (ছদ্মনাম), উদয়ন স্কুল-এ পড়িত। শান্ত শিষ্ঠ এবং ভদ্র ক্যাডেট হিসাবে সপ্তম শ্রেণীতেই তাহার বেশ নামডাক। মনে করিতে পারি, তাহার দুই বৎসর ক্যাডেট জীবনে অনেক অভিমান আর দুঃখের পাহাড় জমিয়া উঠিয়াছিল। মাঝে মাঝে আমাদিগকে তাহার মনের কষ্টের কথা শুনাইয়া ছাড়িত। অভিমান জমিতে জমিতে যখন নিতান্তই অসহনীয় হইয়া উঠিল, তখন সে ঠিক করিল, কলেজ হইতে পালাইয়া বাড়ী যাইতে হইবে, এ জীবনে তাহার আর কিছুই পাইবার নাই।

বিস্তারিত»

সিসিবিতে আমার ৫০ তম পোস্ট : একটি জন্মদিন বিষয়ক পোস্ট

আমি নিজে ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করি। আর সেখানে সবচেয়ে প্রিয় (!!!) ব্যাটসম্যানটির নাম জাভেদ ওমর বেলিম। যার নামেই আমি ভয়াবহ ভাবে আৎকে উঠি। তার নিরীহদর্শন চেহারা নিয়ে মাথে দাঁতে দাঁত চেপে সে সংগ্রাম করে আর আমরা হই বিরক্ত। এমন কুৎসিত স্লো ব্যাটিং কেমনে সম্ভব। যা হোক বদনাম করার জন্য এই পোস্ট না বরং সিসিবিতে আমার জাভেদীয় স্লো ফিফটির ঘোষণা দিতে এত ভূমিকা করা। এহসান ভাইয়ের ঝাড়ির কথা মনে রাইখা পোস্ট যাতে যথেষ্ট “আজাইরা”

বিস্তারিত»

বক্ররেখায় প্রস্থান

“উফ, একটুর জন্য ম্যচটা হাতছাড়া হয়ে গেল”-বলছিল রাসেলের টিমমেট তারেক। তারেকের দিকে এক পলক তাকিয়েও দৃষ্টি সরিয়ে নিল রাসেল। মনটা তার একটু বেশীই খারাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য তার ২ টা পরীক্ষা মিস হয়ে গেছে। তার উপর এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও সে, তারপরও ফাইনালে তার জন্যই কিনা দল হেরে গেল! শেষ ৫ সেকেণ্ডে ফ্রি-শুট পেয়েও স্কোর করতে না পারায় তারা হেরে গেছে ৭৮-৭৭ পয়েন্টে।
‘খুব একা একা লাগছে,

বিস্তারিত»

আইনজীবি সনদ পরীক্ষা, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০ – অভিজ্ঞতা

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ছিল আমার আইনজ়ীবি হবার পরীক্ষার প্রথম ধাপ, মানে লিখিত পরীক্ষা। (যারা এখন জানেন না তাদের জ্ঞ্যাতার্থে আবার বলছি, আমি কিন্তু সোজা বাংলায়……উকিল হতে যাচ্ছি…মানে ধর আর :duel: আর কেউ আছেন ভাই? একটু জানান দিয়েন)

তো যা বলছিলাম, পরীক্ষার প্রস্তুতি, কলেজ থেকে পাওয়া বাজে অভ্যাস মত, এক মাস আগে শুরু না করে শুরু করলাম এক সপ্তাহ আগে। পড়তে বসে বুঝতে পারলাম,

বিস্তারিত»

জনাব ফখরউদ্দিন আকন্দ স্যার – ব্যাটিং এর জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে যারা ১৯৯০ থেকে পরবর্তি বছরে পড়েছেন তাদের সবার “ফখরউদ্দিন আকন্দ” নাম দেখা মাত্র চেনার কথা। গনিতের এই শিক্ষকের নিকনেম ছিল ব্যাটসম্যান (আগের কথা ঠিক জানিনা)।

মূল কাহিনীতে যাবার আগে নামকরনের সার্থকতা একটু বর্ণনা করে যেতে চাই। লেকচার, কথা, বকা, স্যার ম্যাডামদের এই মোক্ষম অস্ত্রটিকে যে নামেই ডাকতে চান উনি সেটা ক্যাডেটদের উপর প্রয়োগ করতেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে। বাধ্য হয়েই ব্যাপারটির হয়ত নাম হয়ে গিয়েছিল ব্যাটিং।

বিস্তারিত»