১.
…দুপুর গড়িয়ে চলে এলেও ঘেরা-পর্দা ঘরে সবুজ-আঁধার, বিনম্র; চলাচল করে। আমি ওঘর থেকে এলোমেলো ঘুম পায়ে এসে একটু হকচকিয়ে যাই, দেখি অন্ধকারের সবুজ মায়া তখনও যা টেবিলের প্রান্তে লেগে ছিল। আমাদের ঘরের একাকী রসনা-টেবিলে কিছু বোনা-কাপড়ের ম্যাট চকচকে-কাঁচ গেলাশেরা মিনারেল বোতলে ভরা মমতা-জল উদভ্রান্ত আর বিষন্ন বসে থাকে। এ ঘরে এলেই তারা সবাক-সশব্দ হয়ে ওঠে, কিশোরীর ঋতুমন্ত হয়ে ওঠার মতো তাদের কোমল ব্রীড়া, গোপন কান্না আমার নখাগ্রে মিশে যেতে থাকে। আমি ইতস্তত দ্রুততায় ঈর্ষা-কাম-ক্রোধ-লোভঃ প্রথাগত রিপুসমূহ লুকিয়ে ফেলি তারা ভয় পেতে পারে ভেবে…
২.
…সারাদিন বাইরে ঘুরে আমি রিপুগুলো ঘষে ধারালো ক্ষুরধার করেছি হা হা করে হেসেছি অস্ত্র বাগিয়ে চিরেছি বাগান, ফুল আর কোমল ঘাস। ঘরে ফিরে ক্ষুধার্ত দাঁতাল শুয়োরের মত ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে দরোজা-জানালা ভাঙচুর করি ধূলো ওড়ানো কার্পেট চষে গেরস্তের জামা, চাকরের চুরি করা ট্যাঁকে গোঁজা টাকা, ছেলেটার টিফিনের বাক্স আছড়ে ভাঙতে থাকি। ভুল করে বেখেয়াল উন্মত্ততায় যেই এঘরে এলাম, রসনা-টেবিলের কিশোরী-তৈজস আমাকে নিরস্ত্রনির্মূলনখদন্তহীন করে দিল!…
—
৮.১.৯
১ম ? 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ঠিক ঠিক...যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
????????????????
ভুল করে বেখেয়াল উন্মত্ততায় যেই এই পোষ্টে এলাম, তোমার এই ব্যাপক লেখা আমাকে নিরঙ্কুশঙ্কিতহতবিহবলিতন্দ্রাহীন করে দিল!... :bash:
তাই আর বুঝার চেষ্টা না করে :no: ঘুমাতে গেলাম 🙁
:khekz: :khekz:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তন্দ্রাহীন কইরা দিলে ঘুমাইতে যাস ক্যামনে 😀 ????
Life is Mad.
আমি তো ভাবছিলাম তন্দ্রা কোনো মানুষের নাম। রহমান ভাই বুঝি উনারে হারাইয়া ফেলাইছে। 😉
😀 😛 =))
😀 😛
জোর কইরা ঘুমাইতে গেছিলাম 😐 , ঘুম আইলনা :no: 🙁 । তাই আবার লগইন করলাম। তাও বুঝতার্ছিনারে ~x( ~x( ~x(
আমিও বুঝি নাই। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বুঝি নাই। :no: :no: :no:
...দুপুর গড়িয়ে চলে এলেও
ঘেরা-পর্দা ঘরে সবুজ-আঁধার,
বিনম্র;
চলাচল করে।
আমি ওঘর থেকে এলোমেলো ঘুম পায়ে এসে
একটু হকচকিয়ে যাই,
দেখি অন্ধকারের সবুজ মায়া তখনও যা
টেবিলের প্রান্তে লেগে ছিল।
আমাদের ঘরের একাকী রসনা-টেবিলে
কিছু বোনা-কাপড়ের ম্যাট
চকচকে-কাঁচ গেলাশেরা
মিনারেল বোতলে ভরা মমতা-জল
উদভ্রান্ত আর বিষন্ন বসে থাকে।
এ ঘরে এলেই তারা সবাক-সশব্দ হয়ে ওঠে,
কিশোরীর ঋতুমন্ত হয়ে ওঠার মতো
তাদের কোমল ব্রীড়া, গোপন কান্না
আমার নখাগ্রে মিশে যেতে থাকে।
আমি ইতস্তত দ্রুততায় ঈর্ষা-কাম-ক্রোধ-লোভঃ
প্রথাগত রিপুসমূহ লুকিয়ে ফেলি
তারা ভয় পেতে পারে ভেবে...
দেখতো, এবার পড়ে কবিতাটা কেমন লাগলো?
ধন্যবাদ। আসলে গদ্যের মতো বুঝতে চাইতেছিলাম। কষ্ট করছিস আমারে বোঝানোর জন্য। 🙂
বুঝছি। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বুঝতেপার্লাম্না 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
…সারাদিন বাইরে ঘুরে আমি
রিপুগুলো ঘষে ধারালো ক্ষুরধার করেছি
হা হা করে হেসেছি
অস্ত্র বাগিয়ে চিরেছি বাগান,
ফুল আর কোমল ঘাস।
ঘরে ফিরে ক্ষুধার্ত দাঁতাল শুয়োরের মত
ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে দরোজা-জানালা
ভাঙচুর করি
ধূলো ওড়ানো কার্পেট চষে
গেরস্তের জামা,
চাকরের চুরি করা ট্যাঁকে গোঁজা টাকা,
ছেলেটার টিফিনের বাক্স
আছড়ে ভাঙতে থাকি।
ভুল করে বেখেয়াল উন্মত্ততায়
যেই এঘরে এলাম,
রসনা-টেবিলের কিশোরী-তৈজস
আমাকে
নিরস্ত্র
নির্মূল
নখদন্তহীন
করে দিল!…
দেখতো এবারে কেমন লাগে কবিতাটা! 🙂
আন্দালিব,
আগের কমেন্টে দুষ্টামি করেছিলাম ভাই। আশা করি কিছু মনে করোনি। তোমার লেখার ষ্ট্যান্ডার্ড অনেক অনেক ভালো। কিন্তু মাঝে মাঝে আমার এন্টেনার উপর দিয়ে চলে যায়, ক্যাচ করে না :no: । তাই আমি তোমার লেখা পড়তে একটু ভয়ও পাই 🙁 । এখন কবিতাটা বোঝা যাচ্ছে, পড়তেও আরাম লাগছে, কিছুটা মনে হয় বুঝতেও পারছি 🙂
রহমান ভাই, কিছুই মনে করিনি। আপনি খামাখা এভাবে বলে আমাকে লজ্জায় ফেলে দিচ্ছেন। আমার শেষ কিছুদিনের লেখালেখি একটু বিক্ষিপ্ত, সেটা নিয়ে আমি খুব চিন্তা চালাচ্ছি। কারণ লেখার মাঝে যদি সরল চিন্তাগুলো ঠিক মত আনতে না পারি তাহলে আমার নিজের কাছেও অস্বস্তি লাগে।
গদ্যকবিতা নিয়ে আমার কাজ খুব বেশি নাই, পড়াও হয় নাই বেশি। তবে লোভ সামলাতে পারি না গদ্যকবিতা লেখার। সেজন্য মাঝে মাঝে হয়ত লেখাগুলো খুবই বেশি দুর্বোধ্য হয়ে পড়ে। সেখানে আপনাদের নিরন্তর উৎসাহ লেখা চালিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়, সেকথা না বললে অন্যায় হবে...
ঃ)
আর আমি কিনা এইডারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে লেখা প্রবন্ধ ভাবছিলাম... :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আরে ব্যাপার না বাচ্চু, আর কাউরে কইও না, চাপি যাও।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার। একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
আন্দালিব আরো চাই। ~x( ~x( ~x( ~x( ~x(
কামরুল ভাই, ইমো দেখে তো আর কোন কবিতা লেখার সাহস পাচ্ছি না! 😕 😕 😕
ধুর! কি যে কউ না!
ওইডা তো ভুলে দিয়া দিছি ~x( ~x(
:khekz:
ভাই 'ব্রীড়া' মানে কি?
ব্রীড়াঃ লজ্জা
শীর্ষেন্দুর একটা শিশুতোষ গল্পের বই আছে "গোসাইবাগানের ভূত" না কি যেন.........সেখানে নতুন জামাইয়ের সাথে শালীদের ঠাট্টার নমুনা স্বরূপ পানের মধ্যে আস্ত আস্ত সুপারী দিয়ে দেবার কথা আছে। সেই জামাই বাবাজি আবার কড়মড় কড়মড় করে সেই সুপারী চিবিয়ে খেয়েও সব দাঁত ভেঙ্গে ফ্যালে 😛 😛 ।
আমার সেই কড়মড় কড়মড় অনুভূতি হচ্ছে 😀 😛 😀 😛 ।
বহুত কডিন রে ভাই।
Life is Mad.
এট্টু হানি দি বিজাই ল। লরম অই যাইব :-B । আর কডিন লাগব না :no: ।
😮 😮 😮
পোস্ট পইড়া বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল।
পড়ে লাইন ভাঙার পর ভালো লাগলো।
ব্যাপারটা দারুণ লাগলো,লাইন না ভেঙে কবিতার লাইণ এক করে দেয়া। :clap: :clap: :clap:
এটার কারণও আছে। একসাথে দেয়ার পিছনে কারণ হল চিন্তাপ্রক্রিয়া। আমরা যখন চিন্তা করি, তখন ভেঙে ভেঙে করি না। সেগুলো হাত ধরাধরি করে পরপর চলে আসে। এখানেও সেই ইফেক্টটা দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। মনে হচ্ছে তাতে পুরাপুরি দূর্বোধ্য হয়ে গেছে লেখাটা। বোধের সীমানায় আনতে পরে ভেঙে দিলাম, তাই।
হেইয়াকইবানামনু এই লাইনটা একলগে চিন্তা করছি 😀
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এইটা বুঝছি 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপাতঃ অতি নগণ্য কিশোরী-তৈজসে যৌবনাক্রান্ত কবির এহেন আত্মসমর্পণ মেনে নিতে পারছিনা। 😀 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অ্যাকিলিসেরও একটা গোড়ালি ছিল, আর আমি তো তুচ্ছ যুবক! কিশোরী-তৈজসের ভাঁজে কী মায়া লুকানো থাকে কাইয়ুম ভাই, যদি জানতেন! আমার ক্ষমতা কী তাকে অবজ্ঞা করার?? 😉
[অর্থটা ধরলেন ক্যামনে? :thumbup: ]
কাইয়ুম ভাই, আপনি একটা বস্! :boss: :boss:
আন্দালিব তুই আসলেই বস, তোর লেখাই শুধু না তোর চিন্তা ধারণা গুলাও।
ধুর ব্যাটা! কী বলিস! চুপ চুপ! :shy:
পাব্লিকের মুখ কি আর তুমি বন্ধ করতে পারবা আন্দালিব, একদিন না একদিন পাব্লিক সত্যি কথা বল্বেই। 😀 😀 😀
আন্দালিব কবিতার আকারে দেয়ার পরই ভাল লাগছিল। কোন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করলে ফুটনোট দিয়ে দিও ........তাতে সবার উপকার হবে..........কিংবা কোন স্টাইলে পড়তে হবে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কামরুলতপু বলেছেনঃ
আন্দালিব (১৯৯৬-২০০২)
প্রিয় আন্দালিব,
প্রাথমিক উপস্থাপনা এবং পরবর্তীতে রূপ পরিবর্তন -
শিরোনামসমেত মোহনীয় হয়ে ঠেকলো আমার কাছে।
🙂
শুভেচ্ছা নিও ভাইয়া।
সৈয়দ সাফী
আন্দালিব, লেখা নিয়ে তোমার নিত্যনতুন এক্সপেরিমেন্ট করার ব্যাপারটা আমার বেশ ভাল লাগে।
প্রবন্ধ অবস্থাতেই একটু বুঝেছিলাম, কবিতা আকারে দেয়ার পর বেশ স্পষ্ট হয়ে গেল।
চমৎকার। :thumbup: :thumbup:
মর্মার্থ উদ্ধার করিতে যাইয়া নিজেই তো হত্যা হইয়া গেলাম ... ~x( ~x( ~x(
কিন্তু রচনাটি আধুনিক বাংলায় জটিল ছিল। :hatsoff: :hatsoff: