আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সেটা ছিল আশির দশক, আমার ছাত্রজীবনের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। গণসংগীত আর গণনাট্য ছিল সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।

রূপেশ বড়ুয়া উদীচীর প্রাণ ছিল। অসাধারণ তবলা বাজাতো। সব অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহড়া, আড্ডায় তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রূপেশ জীবিকার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে একটা পোশাকের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো।

বিস্তারিত»

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

সানা ভাই এর “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান” লেখাটা পড়তে যেয়ে মনে হল সিসিবির সদস্যদের বাংলাদেশের এমন আরেকজন প্রকৃত বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। (পাশাপাশি আমার ইনিংসেরও গোড়াপত্তন আর কি :gulli: )

ইনি আলেন গিনেসবার্গ । একাত্তরে বাংলাদেশের উপর নিপীড়ন দেখে তিনি এই কবিতাটি লিখেন।

বিস্তারিত»

এবিসি রেডিওতে সিসিবি ব্লগারদের আমন্ত্রন ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায়

এবিসি রেডিওতে সিসিবি ব্লগারদের আমন্ত্রন ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায়। কারা কারা আসবা জানাও। রেডিও অফিস দেখলা, কিছুক্ষণ আড্ডা দিলা। সমস্যা নাই। আর কয়জনের জন্য খাওনের ব্যবস্থা করতে হইবো সেইডা না জানাইলে তো সমস্যা।

দুই-তিনদিন আগে একটা পোস্টের ভেতরে সেটা জানিয়েছিলাম। কামরুল, জুনা এরপর আর কিছু জানায় নাই। তাই এই পোস্ট দিয়ে প্রকাশ্য নিমন্ত্রণ। সবগুলা না আসলে খবর আছে!! x-(

আমার মনে হয়- কামরুল,

বিস্তারিত»

অস্কার জিতলো স্লামডগ মিলিওনেয়ার

মাসুম, মুহাম্মদ, এহসান, কামরুল আর রকিব গেলো কই? স্লামডগ মিলিওনেয়ার তো অস্কার জিতা গেল! ৮টা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে। সেরা পরিচালক, সেরা মূল গান, সেরা মূল সুর, সেরা সম্পাদনা, সেরা শব্দ, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি এবং সেরা কাহিনী। একেবারে জয়-জয়াকার যারে বলে!! কিন্তু সিনেমাবোদ্ধারা এখনো এইডা নিয়া কোনো পোস্ট দিল না? কেম্নে কি?

কিন্তু ছবিটা এখনো আমার দেখা হইলো না :(( :(( :(( !!

আমাদের চা-বয় রকিব তাইলে শেষ পর্যন্ত মিলিওনেয়ার হইয়া গেল!!

বিস্তারিত»

ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায়

একুশ নিয়ে ছোট ভাইরা নানারকম পোস্ট দিয়েছে। কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা স্মৃতিচারণের পোস্ট তাই আর নয়। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি এবিসি রেডিওতে অমর সূরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ফুল দিতে যাবো আমি বলো তো কোথায় সকাল ৯টা, ১১টা এবং বেলা ২টার খবরের পর প্রচারিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১১টার খবরের পর এটি আবারো প্রচার হবে।

কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে সেটা শুনেছোও।

বিস্তারিত»

কি বিরানি খাওয়াইলা ক্লাস ক্যাপ্টেন ভাই

আজ কোনো সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে ইচ্ছে করছে না। তার ওপর আমাদের সেই ক্লাস ক্যাপ্টেন আজ মেইলে যা সব ছবি পাঠাইছে! এরপর কি আর মন অন্য কাজে বসে? আমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেনের পরিচয়টা আজকে ফাঁস করে দিই? কি বলো?

এ ব্যাপারে অবশ্য তার অনুমতি নেয়া হয় নাই। তবে এই ব্লগে ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচের আমাদের বন্ধুদের নিয়ে যতো কিছু লিখেছি, কারো কাছ থেকেই কখনো অনুমতি নেয়া হয়নি।

বিস্তারিত»

হাবিজাবি: স্পেশাল ডিনার!

বিষ্যুদবার। বৃহস্পতিবার।

ইংরাজিতে থার্সডে। সন্ধ্যে নামার অনেকক্ষণ আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষা শুরু হতো। আজ ডিনারে কে কার কাছ থেকে কাস্টার্ড পাবে- কে কাবাবের সাথে স্যুপ অদলবদল করবে অন্য কারো সাথে। এসব আলোচনা শুরু হতো পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা কলেজটায় – আমার প্রানের কলেজটায় সন্ধ্যে নামার অনেক আগে!

টিভি রুমের ভিসিডি শোতে সামনের চেয়ারে কে বসবে এসব নিয়ে খুনসুটির মাঝপথে যখন ডিনারের হুইসেল বাজতো- আমরা য়খন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন সাথে সাথে ছুটতাম ফলইনে।

বিস্তারিত»

সি-৫৯, দক্ষিণ ছায়াবীথি

আটানব্বইয়ের শেষের দিকে কোন একসময়। ঢাকায় এসেছি আই এস এস বি দিতে। অন্য ক্যাডেট কলেজগুলোর চেনা অচেনা বিভিন্ন বন্ধুদের সাথে জমজমাট চারটা দিন পার করলাম। তখন কোন এক কারণে সরকারবিরোধীদের হরতাল অবরোধ চলছিল। যেদিন আই এস এস বি শেষ করে বের হলাম সেদিন সন্ধ্যা থেকেই আবার লাগাতার এক অবরোধের ডাক দিয়ে বসেছিলেন বিরোধী নেত্রী। বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা তিনজন ঠিক করলাম গাজীপুর যাবো। জহিরের বাসায়।

বিস্তারিত»

মানুষ ভালোবাসে পাগলের মতো, বোকার মতো নয়

আজ ভালোবাসা দিবস। সিসিবি’র সবাইকে আজকের দিনটিতে প্রচণ্ডরকম ভালোবাসা জানাচ্ছি। ভীষণ ভালোবাসার মানুষকে একেবারে বুকে আগলে ধরে যেভাবে পাগলের মতো ভালোবাসে, সেভাবেই। তোমাদের খুব কম মানুষকেই আমি মুখোমুখি দেখেছি, অধিকাংশকেই কখনো দেখিনি, কথা বলা তো দূরের কথা। অথচ এই ব্লগের মাধ্যমে তোমরা সবাই আমার কতো চেনা, কতো আপন, কতো ভালোবাসার- সেটা প্রতি মূহুর্তেই উপভোগ করি।

বলতে পারো, এইটা আর নতুন কি? আপনি তো প্রায়ই সেটা বলেন।

বিস্তারিত»

স্যার ডানছের ছোডে খালি বাত্তি জ্বলে আর নিভে

প্রেপটা রীতিমতো একটা যন্ত্রণা! এইভাবে ধইরা-বাইন্ধা কি পড়াশুনা হয়? কিন্তু কি আর করা! ক্যাডেট কলেজের নিয়ম বলে কথা। সন্ধ্যার পর সাদা ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট, ব্ল্যাক সু’র সঙ্গে আবার কলেজ ক্র্যাস্টের প্রিন্টে টাই গলায় ঝুলিয়ে ফুল বাবু সেজে পড়তে বসতে হবে! অ্যাকাডেমিক ব্লকে তখন চক্কর দেবেন একজন ডিউটি মাস্টার। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখবেন ছেলেরা পড়ছে, নাকি দুস্টুমি করছে! ধরা পড়লে এক্সট্রা ড্রিল তো বান্ধা।

তখন ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ি আমরা।

বিস্তারিত»

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান

জর্জ হ্যারিসনের “বাংলাদেশ” অনেকেরই প্রিয় গান। ১৯৭১ সালে আমাদের দুঃসময়ে মূলতঃ ওস্তাদ রবিশংকরের উদ্যোগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে লড়াকু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে জনমত গঠনে “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার ভীষণভাবে সক্রিয় থাকলেও মিডিয়া ও জনমত ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পক্ষে।

ওই কনসার্টের অর্থ ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের উদ্বাস্তু জনতার সহায়তায় ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।

বিস্তারিত»

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ ফোরাম সাইট

১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত কৌশলগত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন মহলে কিছু মতভিন্নতা এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়গুলোর প্রতিটির বিভিন্ন দিক নিয়ে সুবিচারকামী সচেতন মানুষদের পরস্পরের সাথে সুনির্দিষ্ট “বিষয়ভিত্তিক” আলোচনা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যেও সেটি জরুরী। সে সুযোগ তৈরীর লক্ষ্যে আমাদের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ হিসেবে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত “মুক্তাঙ্গনের বিশেষ ফোরাম” সাইটটি তৈরী করা হয়েছে। ঠিকানা:

বিস্তারিত»

“যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হোক, রায় যা হয় আমরা মেনে নেবো”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে ইতিমধ্যে একটা প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের ভূমিধ্বস বিজয়ের পেছনেও কাজ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তারা সেটা করবে বলে এখনও ওয়াদা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাই।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই গুটিকয় মানুষ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে আজ গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জামাত এবং এর সহযোগী বলে পরিচিত চিহ্নিত পক্ষটিও আজ তেমন জোরালোভাবে বিচারের বিরোধীতা করতে পারছে না।

বিস্তারিত»

মন খারাপ হলে আমি শুনি বব মার্লের ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’

গায়ক বব মার্লেকে (অথবা মার্লি) কোনো বিশেষণে আখ্যা দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। একরকম বালককাল থেকে অবশ্য ফৌজদারহাটে তার গানের সঙ্গে পরিচয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এক গায়ক। মুখে মুখে ফিরতো তার গান, “নো ওমেন, নো ক্রাই”, “বাফালো সোলজার” তো বটেই আমার প্রিয় হয়ে ওঠেছিল, “গেট আপ স্ট্যান্ড আপ”। বন্ধু শাহীন (এখন কানাডা প্রবাসী) তো গানটিকে তার জাতীয় সংগীতে পরিণত করেছিল।

সংবাদপত্রের জগতে ঢুকে মাথা থেকে গান,

বিস্তারিত»

লালনের গান আনুশেহ’র গলায় আর মিনারের গলায় ‘সাদা’

লালনের (১৭৭৪-১৮৯০) প্রেমে মগ্ন নয়, এমন বাঙালি কমই আছে। লালনের গীতিকবিতা সহজ-সরল, কিন্তু অসাধারণ। আমার তো মনে হয়, লালন এখন বেঁচে থাকলে আর এসব গান গাইলে তাকে নির্ঘাৎ মুরতাদ ঘোষণা করা হতো। হয়তো দাউদ হায়দার বা তসলিমার মতো পালিয়ে বাঁচতেন, নয়তো হুমায়ুন আজাদের মতো কুড়ালের নিচে যেতো মাথাটা।

“প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য-অস্বীকার করে তিনি যে মরমী ভূবন নির্মাণ করেছেন তা মানবিক চেতনা ও বোধে ঋদ্ধ।”

বিস্তারিত»