গভীর রাতে কয়েক কিশোরের অ্যাডভেঞ্চার

তখন ছিল গভীর রাত। শীতকালে রাত ১২টা মানেই অনেক। পেছনে পাহাড় আর সামনে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে সবুজের এক সমতলে ইট-কাঠ মাঝে নিয়ে গাছগাছালির ১৮৫ একরের বিশাল ক্যাম্পাসে সবাই ঘুমিয়ে। নাইট গার্ড কয়েকজন লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে। আর একটু পরপর হুইসেল বাঁজিয়ে তাদের চলছে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ। সময়টা ১৯৮০ সাল।

এমন সময় ডাইনিং হলের পেছনে একে একে এসে জড়ো হলো আট-দশজন কিশোর। সবার বয়স ১৭-১৮ হবে।

বিস্তারিত»

এরশাদকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল কিছু তরুণ

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যখন খুনি চক্র সপরিবারে হত্যা করে তখন আমার বয়স মাত্র ১৪। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি। একে তো ওই ঘটনার তাৎপর্য বোঝার বয়স তখন ছিল না; দ্বিতীয়ত, ক্যাডেট কলেজের মতো সেমি কারাগারে রাজনীতিটা একরকম নিষিদ্ধ বস্তু। মনে পড়ে, ক্লাস কক্ষে একজন শিক্ষক এসে আমাদের বঙ্গবন্ধু হত্যার তথ্যটি জানিয়েছিলেন। ব্যাস ওইটুকুই।

১৯৮১ সালে যখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানতে হত্যা করা হয়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ি।

বিস্তারিত»

চাপাতির সঙ্গে আমার ছয় বছরের শত্রুতা

চাপাতি খেয়েছেন কখনো?

আঁতকে উঠবেন না। এটা আঘাত করার অস্ত্র নয়। নিতান্তই সহজপাচ্য একটা খাদ্যপণ্য। এটা গমের আটা দিয়ে তৈরি।

আটার রুটি বললে আমাদের চোখে সহজেই ভাসে একটি খাদ্যের চেহারা। রুমালি রুটি, গরম গরম পেলে মনে হয় মাক্ষন্! কিন্তু গমের আটা দিয়ে তৈরি চাপাতি কি জিনিস?

১৯৭৪ সালের ১৪ আগস্ট লাল্টু-পল্টু ধরণের ৫৬টি বালক (শিশু বললে কি খারাপ শোনায়?

বিস্তারিত»

পাহাড় চূড়াটা আমাকে নির্জনতায় মগ্ন হওয়ার সাহস জোগায়

কলেজ ক্যাম্পাসে আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল ডাইনিং হলের পেছনের পাহাড় চূড়া। কতো রাত ওখানে বসে সাগরের গান শুনেছি! বন্ধু মামুন অথবা শাহীনকে নিয়ে ওই চূড়ায় বসে হতো কিশোর বয়সের কতো গল্প! কখনো কখনো গলা ছেড়ে গান, তাও চলতো। ওখানে বসে শাহীন গান তুলতো উঁচু গলায়, বব মার্লি কিম্বা জোয়ান বায়েজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার এই ক্যাম্পাসেই।

অমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমা যে কোনো রাতেই ছোট্ট এই পাহাড় চূড়াটা ছিল দারুণ।

বিস্তারিত»

হে আল্লাহ,আমাদের সুফিকে তুমি দেখে রেখো……

“আমরা গাজীপুর পৌঁছাই ১১টার কিছু আগে। জহিরকে রাখা হয়েছিলো বাসায় ঢোকার আগের খোলা জায়গাটাতে। কেউ একজন এসে কাফনের কাপড়টা সরিয়ে ওর মুখটা দেখালো। চোখের কাছটায় সুরমা দেয়াতে কিছুটা নীলচে হয়ে আছে মনে হলো। এছাড়া অন্যকোনো অস্বাভাবিকতা নেই। প্রথম দেখাতে কোনো অনুভূতিই হলোনা। কিভাবে হবে? আমাদের সুফির লাশ কাফনে মুড়ে খাটিয়াতে শুয়ে আছে আর আমরা ভীড় করে দেখছি, এটা কোনো কথা নাকি?তাই ওই সময়ে ভাবলেশহীন মুখে আমরা দেখে বাড়ির বাইরে এসে দাড়িয়ে থাকলাম।

বিস্তারিত»

“কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন”

মুহাম্মদের আগের পোস্টটি পড়ছিলাম যেটি উইকিপিডিয়ার ক্যাডেট কলেজের ইতিহাস বিষয়ক একটি ফিচার নিয়ে লেখা । সেটি পড়তে গিয়েই স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম দিকের “কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন” এর কথা মনে পড়ে গেলো । আমরা অনেকেই হয়তো এটার কথা জানিনা। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম। বিশাল এই আর্টিকেলটি লিখেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ১৩ তম ব্যাচের খাদেম ভাই। আমাদের এই ব্লগটি যেহেতু বাংলায় তাই আর্টিকেলটা বাংলায় অনুবাদ করে দেয়া উচিত ছিল।

বিস্তারিত»

অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ১

[[ ব্লগে কলেজের অনেক মজার মজার কথা আমরা সবাই লিখছি। আমাদের নতুন উদ্যোগ- সম্পূর্ণ কাল্পনিক কিছু ঘটনা নিয়ে সাজানো ক্যাডেট কলেজ। এই গল্প যে কেউ লিখতে পারো। আমি শুরু করলাম। পরবর্তী অংশ অন্য কেউ লিখবে। এভাবে চলতে থাকবে। নিয়মটা হল- পরবর্তী অংশ যে লিখবে- তাকে মন্তব্যে বলে দিতে হবে… ঘটনা কীরকম হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নাই।
তাইলে শুরু করা যাক…]]

একঃ

ঘটনার শুরু হল ঠিক বারোটা তেত্রিশ মিনিটে।

বিস্তারিত»