লেখাটা পড়ে আমি নিজের চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। এ তুলনায় আমি-আমরা কতো ভাগ্যবান (!!) ছিলাম। লেখাটা একজন প্রাক্তন ক্যাডেটকে নিয়ে। তার জীবনের কাহিনী, কল্পনাকেও হার মানায়। আমরা এবিসি রেডিওতে তার ওপর এরকম একটা প্রতিবেদন কাল প্রচার করবো আশা করি। নিচের লেখাটা যখন ছাপা হয় তার পরে সম্প্রতি এই মানুষটির জীবনে একটা পরিবর্তন এসেছে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নেরর দায়িত্ব নিচ্ছেন কাল বা পরশু। সে কারণে মূল লেখার সঙ্গে আমার শিরোনামের পার্থক্য।
বিস্তারিত»সূর্যাস্তের পর
সূর্যাস্তের পর আবার আমাদের দেখা হত
প্রখর রৌদ্রে মোরা যে যে যার যার মত
অথবা সূর্যের কিরণে আমাদেরকে চোখে পড়ে না;
নিভায়মান আলোকটুকু বাঁচাতে,
আরেকটু গাঢ়ভাবে জ্বলে ওঠার প্রচেষ্টা।
আমাদের আলোগুলো মিললেও
খুব যে দিন হত তা না।
তবুও ঐখানটায়, যেখানে আঁধার
আমরা প্রতিদিন সুখ খুঁজে বেড়াতাম
নিয়ম করে, নিজেদের জন্য।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুঃসাহস দেখতে চাই
আমাদের জাতীয় সংসদের নতুন সদস্যরা ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদকে করায়ত্ত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি সব মহল থেকেই করা হচ্ছিল। এই দেশটির জন্মের পরপর সংবিধানের প্রণেতারাও এর গুরুত্ব ভালোভাবেই বুঝেছিলেন। এইরকম একটা প্রেক্ষাপটে ড. ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপজেলা পরিষদ আইন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয় সরকারের এই সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের অধীন করে আমাদের আইন প্রণেতারা প্রমাণ করেছেন তারা যথেষ্ট ক্ষমতাবান!
বিস্তারিত»আক্ষেপ
বোবার অসহায় গোঙানী শোনা যাচ্ছে,
কি যেন বলার তীব্র প্রচেষ্টা।
মাঝে মাঝে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
এদিক থেকে ওদিক।
সবাই বলে পাগল,
ওকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
মাঝে মাঝে ধাক্কা দিচ্ছে
দরজায়, দেওয়ালে, গ্রীলে, মাটিতে।
বৃষ্টি – ৪
যাচ্ছিল খুব ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে
রিকশায় পাশাপাশি
অফিস পরবর্তী বিকেলে।
একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে
অস্বস্তি হয়না এমন নয়
তবু ভাবখানা এই —
স্পর্শে তো পুলক পেতে নেই!
ভদ্র আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল যেহেতু।
কামনাবাসনা সমস্ত অতএব
বিনিদ্র রয়ে যাক
একান্তে খামের ভেতরে,
কী কাজ খামোখা
অস্বস্তি ফিল করে!
এক রুমমেটের কথা
স্মৃতির পাতা হাতড়ে লিখছি, তাই ঘটনা তে কিছু বিবর্তন আসতে পারে।
একই সাথে ৭,৯,১০ এবং ১২শ এ একই রুম এ থাকতাম। তাই সম্পর্ক টা ঠিক বন্ধুত্ব না বলে ভাতৃত্ব বলা সহজ। তার সকল কথা আমার অজানা এমনটি হয়নি। স্বভাবে চঞ্চল এক কথায় দুষ্টদের সরদারদের একজন।
ক্যাডেটরা শিক্ষকদের সাথে যা করে তেমনি করত, তবে মাঝেমাঝে হঠাৎ যে বেশি হত না তার গ্যারান্টি ছিল না।
শিরোনামহীন-২
গন্তব্যে পৌঁছনোর পর
বাস থেকে নামবো বলে
দাঁড়াতে
কন্ডাক্টর এসে হাত পাতে।
ভাড়া আট আনার বেশী না, জানা ছিলো।
পকেটে কেবল
একটা কয়েন ফেলে দিয়ে
লাফিয়ে বাসে উঠে
সীটে গিয়ে বসতে না বসতে
জানলা দিয়ে দেখি
একটা রূপালী চাকতি
সারিসারি ডালপালার ভেতর
হোঁচট খেতে খেতে
পড়িমরি করে
বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে
শেষমেশ এইখানে এসে
জিভ বা’র করে যখন হাঁপাচ্ছে
তখন এ-পকেট ও-পকেট
হাতড়াতে থাকা আমি
কি ঘুণাক্ষরেও জানি,
রক্ষণশীলতা
“চোখ তো তোলো!”
তোলে।
“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।
“নেকাবটা সরাও”
সরায়।
“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।
“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।
শিরোনামহীন
একটু আগে’ গেছো তুমি
“এখুনি আসছি” বলে
মুহূর্তগুলি মুহূর্তে বছরে পরিণত
বছর বছর প্রতীক্ষা শেষে
তুমি এসে
এতো বছর কাছাকাছি রইলে,
অথচ একটি মুহূর্তেই
তারা কেটে গিয়ে
আবার বছর বছর প্রতীক্ষা —
তুমি এই তো এলে বলে……
বিস্তারিত»রূপান্তর
ভোরবেলা ঘুমের থেকে জেগে
সকাল দেখবো বলে
বারান্দায় এসেই
দেখি, এ কি
আমি তো গ্রীলের ফাঁক গলে
আকাশ পৌঁছে গেছি
ছোট্ট চড়ুই পাখি
দেয়ালের প্রতিদিন
সেভেনটিনথ এপ্রিলে সিসিবি মিট হবে এবিসি রেডিওতে, ফ্রেন্ডস মিস করো না
কি কবে : সিসিবি আড্ডা
কোথায় : এবিসি রেডিও, ৯৯ কারওয়ানবাজার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, তিনতলা, ঢাকা
কবে কখন : শুক্রবার এপ্রিল ১৭, ২০০৯, বিকেল চারটা
এখন কি প্রয়োজন : কারা আসছে তার একটা সম্ভাব্য তালিকা
কেন : খাবারের আয়োজন করতে হবে না? 😀
সম্ভাব্য উপস্থিতি : ৫০ জন
তালিকাভুক্তির শেষ সময় : শুক্রবার এপ্রিল ১৭, ২০০৯, বিকেল চারটা
………………………………………………………………………
চুমু-সংক্রান্ত
১.
“মদ ছোঁবেনা কোনদিন, আমাকে ছুঁয়ে
কথা দাও!” — অপ্রস্তুত ঠোঁট চুঁয়ে
এরপর আলগোছে
আধপেগ নীট চুমু ঢেলে
অনুনয়ে শুধায় এরকম,
“ক্যানো, আমি কি মদের কিছু কম?”
২.
ছেলেটির ঠোঁট ফাটে
মাখেনা ভেস্লিন,
মেয়েটি যত্নবান
ওরা ঠোঁটে ঠোঁটে লীন
সহি খোয়াবনামা
[ভূমিকাঃ তারেক-এর লেখাটা পড়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে মনে পড়ে গেলো। চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা — মাত্র এই দুটো উপন্যাসের জনক তিনি। অথচ তাতেই চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। ছোটগল্প মোট ক’টা লিখেছেন জানিনা, আর সেটা নিয়ে খানিকটা তো জানলাম তারেক আর মাওলা ব্রাদার্স এর কল্যাণে।
আজকের লেখাটি লিখেছিলাম ‘৯৭ এর জানুয়ারিতে, ৪ তারিখ ইলিয়াস মারা যাবার পর। অস্থি-র ক্যানসার হয়েছিলো। কলকাতায় এসে চিকিৎসা করিয়ে আক্রান্ত পা-টি ছাড়া তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়,
বিস্তারিত»ফুটবল গোলাকার
আমাদের পাড়ায় এক সিনিয়র ভাই আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, ভাল ফুটবল খেলেন। নামিদামি কোন ক্লাবে খেলেন না কিন্তু ফুটবল প্রেমী বলা যায়। বছরের সব সময় উনাকে পাড়ার মাঠে পাওয়া যাবে। ফুটবল খেলা ছাড়াও আরেকটি স্বভাব আছে সুযোগ পেলে আমাদের লেক্চার দেওয়া, দু একটা বই ও হয়তো পড়েন। আমাকে তিনি বেশ কয়েকবার মাঠে নিয়ে গিয়ে ছিলেন, কিন্তু দু-এক জনকে ল্যাং মারা ছাড়া তেমন কিছু করতে পারিনি।
একদিন বর্ষার কোন এক বিকেলে,
বিস্তারিত»