তোমার বাহুমূল, পিঠের দু’পাশ থেকে
রক্তের ফোঁটাগুলো
গড়িয়ে
এলোমেলোভাবে
নেমে
যেতে
যেতে
ফুলে পরিণত হয়ে গিয়ে
ভেতরে ভেতরে যদিও
উসকে দিচ্ছে যাবতীয় আগুন,
বারংবার বারংবার
তবু চিৎকার করে চলেছি
ডানা-কাটা-পরীদের আমি দু’চোখে দেখতে পারিনা……
বিস্তারিত»তোমার বাহুমূল, পিঠের দু’পাশ থেকে
রক্তের ফোঁটাগুলো
গড়িয়ে
এলোমেলোভাবে
নেমে
যেতে
যেতে
ফুলে পরিণত হয়ে গিয়ে
ভেতরে ভেতরে যদিও
উসকে দিচ্ছে যাবতীয় আগুন,
বারংবার বারংবার
তবু চিৎকার করে চলেছি
ডানা-কাটা-পরীদের আমি দু’চোখে দেখতে পারিনা……
বিস্তারিত»১।
পুরনো বইয়ের ভাঁজ থেকে
টুপ করে কখন
ঝরে গিয়ে
পিঠে ডানা
জুড়ে নিয়ে
অসমাপ্ত চুমুর
সেই লুকনো বুদ্বুদটি
তোমার ঠোঁটের
উদ্দেশে
শেষে
একাই
উড়াল দিলে
২।
কাজ কি সখী শতকথায়,
তারচে’ এসো
মেতে উঠি
চারটি ঠোঁটের কথকতায়…
চিৎ হয়ে তার আকাশ দেখার আয়োজনে
বাধ সেধেছে আজ পর্ণমোচী দিন…..
সন্তর্পণে এইখানে এসে
ভাবছিলো সে
নীলাকাশ পান করে নেবেই
আজ আঁজলা ভরে
এমন উজ্জ্বল বিকেলে,
মৃদুহেসে অনুচ্চারে
ভালোবাসা বলেছে কি
বলেনি ভালো ক’রে
হুমায়ূন আহমেদকে যার যেমনই লাগুক আমার কাছে উনি একজন অসাধারন লেখক। গতকাল তার একটি উপন্যাস পড়ছিলাম, নাম ‘নি’। সেখানে একটি কথা ছিল এরকম “পাখিদের নিয়ম সবসময় জোড়ায় জোড়ায় থাকা, একটা পুরুষ পাখির সাথে একটা মেয়ে পাখি থাকবেই। কিন্তু সব ঝাঁকে সবসময় পাখি থাকে বেজোড় সংখ্যক; অর্থাৎ কমপক্ষে একটি পাখি থাকবেই যার কোনো জোড়া নেই”। কি অদ্ভূত সুন্দর একটি ঘটনা, আমরা কখনো বুঝতে পারবো না পাখিটি কোনটি,
বিস্তারিত»নাহ্ আর ভাল্লাগছেনা এত কাজ। সিগারেটে টান দিতে দিতে ঠিক করে ফেললাম, ক’দিনের জন্য অফিসের খাঁচা থেকে উড়াল দিতে হবে। এই আঠার তলা থেকেও আকাশটাকে যে কেন এত দূরের বলে মনে হয়!
মনটা কি আজ উড়ুউড়ু হয়ে আছে? লাঞ্চটাইমে নিশা ডাগর আঁখি মেলে জানতে চাইলো, আপনার কি মন খারাপ?
না মেজাজ খারাপ।কাজ যেটা দিয়েছিলাম হয়ে গেছে?(আমার মন খারাপের দিস্তা তোমারে মাপতে কে কইলো লক্ষীছাড়া?)
এখন ভোর সাড়ে চারটে।
বিস্তারিত»প্রথমে ঠিক করেছিলাম ২ নভেম্বর, নির্বাচনের দিনেই ভোট দিতে যাব। এখানে বাংলাদেশের মত নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধ দেওয়া হয় না। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে। আমাদের অফিসে ৩ ঘন্টার ছুটি পাওয়া যায় ভোট দেবার জন্যে। এমনিতে আমি ‘ফ্লেক্সিটাইম’ ভোগ করি। অর্থাৎ ইচ্ছামত আগে পরে আসি, তবে সপ্তাহের ৪০ ঘন্টা ঠিকই পূরণ করি। নির্বাচনের দিন পড়ছে মঙ্গলবার, ঠিক করেছিলাম বাড়ী থেকে বেরিয়ে অফিসে আসার পথে বাড়ীর কাছের সেন্টারে ভোট দিতে যাব।
বিস্তারিত»দুটি কথাঃ অনেক বক্তব্যই অনেক জায়গা থেকে ধার করা।কেউ আবার মানহানির মামলা কইরেননা। বিশেষ করে লিভিং লিজেন্ড আনপ্যারালাল গুরুকে অনুসরণ করা হয়েছে।
হঠাৎ করে আলোর ঝলকানির মত বিশ্ববাসীর চোখকে ধাধিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যয়ী তরুন ক্রিকেটাররা,বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা নিউজিল্যান্ডের মত বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তিকে পর পর ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরাজিত করতে সমর্থ হলো।এটা বাংলাদেশের জন্যে,
বিস্তারিত»ভ্রমণ কাহিনীর আমি গোগ্রাসে গিলি। তাতে মজা একটাই। অদেখা, অজানা সব জায়গায় নিজে যেতে না পারলেও অন্যের চোখ দিয়ে দেখে নিই। এই যে আমাদের শান্তা, এমন সব দারুণ লেখে। পড়েও অতৃপ্তিটা থেকে যায়। যদি আরো কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু ভ্রমণ তো এক জায়গায় শেষ হতেই হবে। শান্তা দেশ দেখে, স্থান দেখে, মানুষ দেখে, সেসব নিয়ে ভাবে- তারপর দারুণভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরে। সাইফ ভাই মানুষ দেখেন।
বিস্তারিত»[সেদিন বীথোফেনের সিম্ফনি ৩ শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো বিশ্বখ্যাত Cleveland Orchestra-র পরিবেশনায়। পরিচালনা করছিলেন ফ্রানজ ওয়েলসার মোস্ত্। এই সিম্ফনিটি Eroica নামেও পরিচিত। নেপোলিয়নের বীরত্বকে উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে এটি রচিত হয়েছিলো, যদিও পরে আর তা করেননি বীথোফেন। তাই (H)eroica নামকরণ।অপূর্ব এই সিম্ফনিটি সম্পর্কে বিস্তারিত যে কেউ জেনে নিতে পারবেন একটু সার্চ করলেই। আপাতত শ্রবণকালীন অনুভূতির কিছু টুকরো এখানে তুলে ধরলাম, আমার মতো করেই। লিংকটিতে গিয়ে সুরটি চালিয়ে নিয়ে পাঠ করতে অনুরোধ করছি।
বিস্তারিত»সূর্যটা যেন দিগন্তে হেলান দিয়ে মজা দেখছে
কম্পিউটার মনিটরে তাকিয়ে থেকে থেকে চোখ ব্যথা হয়ে গেলো আজ। সিগারেটের তৃষ্ণায় ভেতরটা ছটফট ছটফট করলেও সারাটা দিন উঠবার এতটুকু উপায় ছিলোনা ।
কাল ছুটি, নিশাকে ডেকেছিলাম কয়েকটা নির্দেশ দেবো বলে।ও বেরিয়ে যেতে দেখি জানলা উজিয়ে এসে একদেয়াল সোনালী তরল রোদ টলমল করছে রেনোয়া-র After the Bath এর ওপর।
সাধে কি মনে হলো,
বিস্তারিত»সেই ভোরবেলা থেকে ঝমঝম করে বৃষ্টি ঝরেই চলেছে। মন খারাপ করে সারাদিন বসে থাকবো সে উপায় নেই। সকাল সকাল এত্তেলা, অফিস চলো। ছুটির দিনে অফিস। বসের পিণ্ডি চটকাতে চটকাতে একেকটা রেড লাইট পেরিয়ে চলেছি হঠাৎ হুডতোলা পর্দাঘেরা রিকশায় একটি যুগলকে দেখলাম অপলক দৃষ্টিতে পরষ্পর চেয়ে আছে তো আছেই, আশপাশের বৃষ্টি কাদাজল অ্যাম্বুলেন্স ট্রাফিক পুলিশ ঝাপসা সিগন্যাল বাতি গলগল বয়ে চলা ড্রেন ছলছল ঢাকা শহর, কিছুই যেন আর ওদের বিব্রত করতে পারছেনা।মনটা ভীষণ অন্যমনা হয়ে গেলো।
বিস্তারিত»খুব স্পষ্ট মনে আছে আমার, ক্লাস ফোর এর প্রথম দিনটির কথা। শ্রুতলিপি ক্লাসে সবার আগে লেখা শেষ করে আঁতেলের মত ম্যাডাম কে খাতা দেখাতে যাচ্ছিলাম। ব্যাপারটা একদমি সহ্য করতে পারেনি আমাদের সাথে সেকেন্ড টাইম চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া রাহাত। দৌড়ে গিয়ে সে আমার খাতায় ঘেচ করে একটি দাগ বসিয়ে দিল। আমি তখন কিছু বলিনি। পরে আবশ্য খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে নাকি ছেলে-মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার সাথে সমানে বেয়াদবি করে বেরায়।
বিস্তারিত»কাজ করতে একটুও ইচ্ছে করছেনা।কি ভীষণ গরম! সিগারেট খাবার জন্য দুবার অফিসের বারান্দায় এসেই ঘেমে নেয়ে যাবার উপক্রম। দরজা ঠেলে ফের ভেতরে ঢুকতেই নিশা, আমার ব্যক্তিগত সুন্দরী (সরি, সেক্রেটারি), এখনো মানুষ হলেনা-গোছের দুষ্টু হাসি দিয়ে নাক চেপে ধরলো। নাহ্ আজ পালাবো। একটু ইটিশ পিটিশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে আজ….
কাল একটু ভালো করে সাজগোজ করে এসো কেমন? কাজ আছে… নিশাকে বলে বেরিয়ে পড়লাম।
সিঁড়ি দিয়ে দুরদার করে নামতে নামতে দেখি পৃ-র মেসেজ।
খোলাছাদে এই যে বৃষ্টির কণাগুলো
অবিরল শরীর ছুঁয়ে
মুখ ঠোঁট বুক চুঁয়ে
নেমে যায়
কবেকার কোন্ পাহাড়ি মেয়ের
উদ্গত অশ্রুগাঁথা নিয়ে,
কে জানে।
আমি শুধু লম্বমান।
ভিজে চলি
বালিকার তীব্র অভিমানে।
এদিকে কান্নাগুলো
কখন চুপিচুপি
ছাদের থেকে নেমে
নালা-নদী হয়ে
চলে গেছে সমুদ্রের কোলে।
মেয়েটি?
ততক্ষণে চোখ মুছে নিয়ে
আকাশের নীল খাম ছিঁড়ে
মেঘের ফেরত-চিঠি খোলে……..