ভিক্ষা নাই, মাফ করেন

দেশ হিসাবে আমেরিকা খুব একটা খারাপ না। বিদ্যূত এর সমস্যা নেই, যানজট এর বালাই নেই, আবহাওয়াও খুব একটা খারাপ নয়। ছোট থাকতে সাদা-কালোর যেই পার্থক্যের কথা শুনতাম এখানে এসে ওই ভুলও মোটামুটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু …………. সব খানেই একটা কিন্তু থেকে যায়। যেমন-

# ঘটনা ১.

আমি একটা সুপার স্টোর এ কাজ করি যেখানে ৭০% ভাগ কর্মচারী বাঙ্গালী সুতরাং বাকিরা বাংলা না বুঝলেও কথা বললে বুঝতে পারে যে এটা বাংলা।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৬

আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছেই, রাতভর ঝরে ঝরে ঢাকাশহরে প্লাবন নিয়ে আসবে বুঝি।
অনেক রাত হলো, একটুও ঘুম আসছেনা।
হুস করে একটা ট্রাক চলে গেলে পুরো মহল্লাটা পাশ ফিরে শুলো।

বাইরে রাস্তায় টিমটিম করে জ্বলতে থাকা ল্যাম্পপোস্টের বাতিটা কোনরকমে একফোঁটা আলো এনে ফেলেছে আমার বিছানার উল্টোদিকের দেয়ালটাতে।
সেখানে ঝুলছে পৃ-র দেয়া মুখোশটা, পহেলা বৈশাখে মেলা থেকে কিনে দেয়া।
হা করে মস্ত একটা নির্ঘুমতা নিয়ে আমার দিকে চেয়ে থাকে একেকটা রাত,

বিস্তারিত»

বিকেলে-২


ফেনিল মেঘনীলে
ঝাঁপিয়ে
হারিয়ে
গেছিলি মেয়ে,
মনে পড়ে?

আজ এত বিকেল পরে
আকাশের কিনারায়
এই উঁচুতে চড়ে
ঘাড় কাত করে
ঠায় ব’সে আছি,
তোর পালকের
রঙিন ইশারা
যদি চোখে পড়ে
_____________________________________________________________
রুম্মানের আঁকা ছবি নিয়ে ফের কিছু লেখার চেষ্টা চালালাম।
নিজের অজান্তেই দেখছি ‘বিকেলে’ সিরিজ করে ফেলছি এই যৌথপ্রয়াসকে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা। আমি লেখালেখিতে তেমন অভ্যস্ত নই। তবুও লেখালেখি নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। যাই হোক, প্রথম লেখাটা অনেকটা জার্নাল ফরম্যাট এ লেখা। যদিও এতে কোন ধরণের রেফারেন্স ব্যবহার করিনি। সাধু-চলিত ও বাংলা-ইংরেজির (বাংলাতেই) যথেচ্ছা ব্যবহার, পড়া পর্বে পাঠকের উষ্মা প্রকাশের কারণ হতে পারে। আশা করি, পাঠক আমার লেখাটি সাদরে গ্রহণ করবেন।

সাইফুল
ফকক/ফহা/১৯৪৮/১৯৯২-১৯৯৮(৩৯-তম ব্যাচ)

লেখার উদ্দেশ্য: ২০১১ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল কিছুদিন আগে বের হয়েছে।

বিস্তারিত»

চিলে কান নিয়ে গেল: আমি জ্ঞানপাপীর দলে

ফেসবুকের এক্স ক্যাডেটস ফোরামে হঠাৎ করেই প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য/ গালি-গালাজের বন্যা বয়ে গেল। প্রথম আলোর সাংবাদিক/ যে কোনো সাংবাদিকদের নিয়ে তীর্যক/ শ্লেষাত্মক মন্তব্য পড়তে পড়তে ভাবলাম, এই পেশায় এসে কি ভুল করে ফেলেছি! তার উপর আবার দীর্ঘদিন প্রথম আলোতেই ছিলাম। এখনো প্রথম আলোতে বেশ কয়েকজন ক্যাডেট বেশ দায়িত্বশীল পদে কাজ করছে। এদের সবার নজর এড়িয়ে কি করে এমন ক্যাডেটবিরোধী একটা প্রতিবেদন ছাপা হলো!

বিস্তারিত»

এবিসি রেডিও অবশেষে ওয়েবে

এবিসি রেডিও’র ওয়েবসাইট নিয়ে এই সিসিবিতে কম কথা হয়নি। আমিও আজ না কাল এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছি অনেকদিন। বিশেষ করে সিসিবির প্রবাসী ব্লগারদের দাবি ছিল দ্রুত কাজটি করার। সুখবর হলো, শেষ পর্যন্ত এবিসি রেডিওর ওয়েবসাইটটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ পুরোপুরি চালু হয়েছে। আর সবচেয়ে আনন্দের খবরটি হচ্ছে, লাইভস্ট্রিমিং ব্যবস্থা থাকায় একে একরকম স্বাধীন নেট রেডিও বলা যায়। এবিসি কাভারেজ এলাকার বাইরের দেশ-বিদেশের শ্রোতারা এখন সহজেই এবিসি রেডিও’র নানা আয়োজন,

বিস্তারিত»

তোমারে দাও, আশা পুরাও

ঠাকুর এ পৃথিবীর বায়ু গ্রহণ করেছিলেন আশি বছর। দিয়ে গেছেন তার চেয়ে অনেক, অনেক বেশি। জন্মেছিলেন কলকাতার সবচাইতে সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ঐশ্বর্য কম দেখেননি, ছেলেবেলা থেকেই দেখেছেন চারপাশে জাঁকজমকের আধিক্য। বিলাত ভ্রমণ করে আসা জমিদারপুত্র রবীন্দ্রনাথ হয়ে থাকাই তার জন্য অনেক সহজ ছিল। কিন্তু সে পথ তাকে টানেনি। টেনেছে তাকে নানা রকমের প্রশ্ন; টেনেছে তাকে জীবন।

সেই আশি বছরে ঠাকুর প্রেম খুঁজেছেন, প্রেমের কারণ খুঁজেছেন,

বিস্তারিত»

হাতিবেড় গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান :: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাওয়াল গড়াঞ্চলের বিস্তীর্ণ শালবন পরিবেষ্টিত হাতিবেড় গ্রাম। লালমাটি আর অসমতল টিলা বনভূমি ঘেরা অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ পল্লী। এক সময় এ গ্রামটি জনবসতিহীন বন্য পশু-পাখির অভয়ারণ্য ছিল। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ভালুকার বিশাল বনাঞ্চল পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল জনপদ হিসেবে। আর দিন বদল আর পালাবদলের পালায় এ গ্রামেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার।

বিস্তারিত»

বিকেলে


সেদিন জ্যামিতিক বিকেলে
অতর্কিতে দিয়েছিলো হানা
উড্ডয়নের সুনীল প্ররোচনা

কেটে কি যেতোনা
ডানা গুটনো
সমূহ নিমেষ
ধ্যানের
সুনিপুণ অভিনয়ে,
নীলসাদার
ছকে ছকে
আকাশ

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য

[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।

বিস্তারিত»

বাক্স (পর্ব ১ – মানুষটা)

নিথর, নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে মানুষটা। নাকে দু’টো আতর লাগানো তুলো গোঁজা। তার দিকেই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তার ছোটো নাতনী হৃদিতা।
– ভাইয়া, দাদার নাক থেকে ওটা খুলে দাও না, দাদা তো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।

অর্ক তাকে কিভাবে বলবে যে দাদা আর কখনো শ্বাস নেবেন না। সেও তো এ বিদায় মেনে নিতে পারছে না; মনে মনে অনেকবার ভেবেছে দাদা এখনই জেগে উঠবে;

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৫

মুঠোবন্দী অনর্থক মুহূর্তগুলো
আঙুলের ফাঁক গলে
ঝরে ঝরে
ক্রমশঃ নাগালের বাইরে
চলে যাচ্ছে দেখে
কুড়োবার ঝোঁকে
আকুল হাত বাড়াতে
দানাগুলো মুহূর্তে
সময়ের গেলাশে
মিশে
যেতে
যেতে
জানান দিয়ে যায়
অর্থ রয়েছে কেবল অর্থহীনতায়

বিস্তারিত»

গুড়াকাব্য: ইহা একটি পুরুষবিদ্বেষী শততম পোস্ট

তীব্র সাম্প্রদায়িক, নারীবিদ্বেষী এবং সংকীর্ণ পুরুষতান্ত্রিক একটি পোস্টের জবাব

এক.
বিকেল বেলা চটপটি
পড়ে থাকে কটকটি

[অর্থ: প্রেমিকার সঙ্গে ডেট করে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি ………………..]

দুই.
ভেলকি লাগরে লাগ
ঝাড়ুর পিঠে ভাগ

[অর্থ: বিপ্লবী নারী সংহতির মিছিলে ভুলে ঢুকে পড়েছিলেন হোমো এরশাদ …………………..]

তিন.
পাশের বাড়ির হাদা
বাসর ঘরে খামচি খেয়ে
ভ্যাকসিনে হল আধা

[অর্থ: বাসর ঘরে ভুলে ঢুকে পড়া বেড়ালকে কখনো মারতে নেই।

বিস্তারিত»

হাবিবুল্লাহ স্যারের অপ্রত্যাশিত চিরবিদায়

ছোটবেলায় আব্বার কাছে শুনতাম ‘কলেজের বারান্দায় পা না রাখলে নলেজ হয়না’।১৯৯৩ সালের ২০শে মে সপ্তম শ্রেনীতেই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের আঙ্গিনায় পা রাখার মাধ্যমে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়।নলেজ হয়েছে কিনা জানিনা কিন্তু আমার কলেজ যে অনেক নলেজেবল স্যারের উপস্থিতিতে নলেজের আধার ছিল তা বেশ বুঝতে পারি।
কলেজে গিয়েই হাউস মাস্টার হিসেবে পাই ইংরেজীর হাবিবুল্লাহ স্যার কে।অনেক জ্ঞানী,ড়ায়নামিক,মানষিকভাবে অনেক তরুন সেইসাথে কড়া।একদিন উইকএন্ড মুভি শো হচ্ছিল অডিটরিয়ামে।আমি তখনো যাইনি,হাউসে ফাঁকি মারছিলাম।হাউসের সামনে স্যারের কাছে ধরা।স্যার খুব শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলেন কেন যাইনি।আমি আমতা আমতা করে কিছু বলতে গেলেই আমাকে ধরার জন্য থাবা দিয়েছেন।আমি যখন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলাম স্যারও আমাকে ধরার জন্য রীতিমত দৌড়।ধরতে না পারলেও ঐ বয়সে ভালই ধাওয়া দিয়েছিলেন আমাকে।স্যার কোন এক টার্মে আমার রেজাল্ট শীটে হাউস মাস্টারের কমেন্টে লিখলেন “সম্ভাবনাময় ক্যাডেট” যা আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল।কালে কালে বেলা অনেক গড়িয়েছে স্যারও অবসর জীবনে চলে গিয়েছেন।গত রিইউনিয়নে(ডিসেম্বর ২০০৯)অনেকদিন পর স্যারের সাথে দেখা।সালাম দেয়ার পর স্যারকে বললাম,

বিস্তারিত»

ছাগলে তো সব ঘাস খেয়ে ফেললো…

ঢাকার বন্ধুর ফোন এল।

– কিরে, তুই নাকি ইউনুসের জন্যে ‘ফাইট’ করছিস।
– ঠিক ইউনুসের জন্যে না। আমার জন্যে।

অপর দিক থেকে খানিকক্ষন চুপচাপ।

– তাহলে ঠিক আছে।
– ঢাকার লোকের চিন্তাধারা কোন দিকে?
– সবাই আছে যায় যার তালে। এদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। জানিনা কোন দিকে যাচ্ছে।
– তোর তো কোন অসুবিধা নেই।

বিস্তারিত»